ফ্রি-তে টাকা ইনকাম করার এ্যাপস-২০২৪ - অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

প্রিয় পাঠক, আপনি কি ফ্রি-তে ইনকাম করার কয়েকটি অ্যাপস সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এ আর্টিকেলটি আপনাকে এ বিষয়ে জানতে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাকে ফ্রি-তে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি এ্যাপস এবং ফ্রি-তে টাকা ইনকাম করা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ফ্রি-তে টাকা ইনকাম করার এ্যাপস
এ আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে। এগুলো উপায় কাজে লাগিয়ে আপনি প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ভূমিকা

বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। এ যুগের বেশিরভাগ কাজকর্ম প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতিও ঘটেছে অনেক। প্রযুক্তির যুগ হওয়ার কারণে মানুষের জীবনযাত্রা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এই প্রযুক্তিগুলো আবার ইন্টারনেট ভিত্তিক হওয়ার কারণে মানুষ ঘরে বসেই বিভিন্নভাবে ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। আমাদের দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ অনলাইনে মাধ্যমে ইনকাম করছে।


অতীতে অনলাইন থেকে ইনকাম করা খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্তু বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা খুবই সহজ। নিজের দক্ষতা ও ধৈর্য্যকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। যার ফলে আমাদের প্রিয় দেশ বাংলাদেশ উন্নতির দ্বারপ্রান্তে এগিয়ে যাচ্ছে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার কতগুলো পদ্ধতি রয়েছে তার যেকোনো একটি বেছে নিয়ে আপনিও চাইলে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যে বিষয়ে আপনার দক্ষতা রয়েছে সেই বিষয়টি বেছে নিয়ে আপনি প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনলাইনে।

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

অনলাইন থেকে বিভিন্ন উপায় টাকা ইনকাম করা যায়। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক

ব্লগিং করে আয় করা

ঘরে বসে খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ এবং সুবিধাজনক পদ্ধতি হচ্ছে ব্লগ করে আয় করা। ব্লগিং করে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ব্লক ইন সাইট তৈরি করতে হবে৷ নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখানেও ব্লগিং শুরু করতে পারেন। বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখালেখি করে নিজের ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হয়।

যখন অনেক আর্টিকেল লেখা হবে আপনার ওয়েবসাইটে তখন গুগল থেকে এড দেখানো হবে। সে মাধ্যমে আপনারা ইনকাম করতে পারবেন। ঘরে বসে এভাবে ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা

অনলাইন জগতে যে পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ ইনকাম করে থাকে সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং বেকারত্বের হার কমাতে এই সেক্টরের গুরুত্ব অপরিসীম। অনলাইন জগতে যাদের দক্ষতা বেশি তারাই নিজেদের রিপ্রেজেন্ট করে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে তুলে ধরছে এবং নিজে দের আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনছে ৷

অনলাইন ইনকাম এর ক্ষেত্রে যে সকল সেক্টর রয়েছে সেগুলোর মধ্যে আপনার যে বিষয় দক্ষতা রয়েছে সে বিষয়ের ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এসব কাজ করে স্বাবলম্বী হতে গেলে দক্ষতা এবং ধৈর্য উভয়ই প্রয়োজন।

ইউটিউবিং করে আয় করা

সব মানুষের জন্য সহজ এবং সুবিধাজনক অনলাইন ভিত্তিক কাজ হচ্ছে ইউটিউবিং করে আয় করা। বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ইউটিউবার রয়েছে যাদের মাসিক ইনকাম ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। যে কেউ চাইলেই এভাবে ইনকাম করতে পারে। ভিডিও বানানোর জন্য থাকতে হবে একটি ক্যামেরা এবং সেগুলো প্রচার করার জন্য নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে।

যেকোনো বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়ে সেই চ্যানেলে পাবলিশ করতে হবে। এরপর YouTube থেকে ইনকাম করতে যে সকল ধাপ পার হতে হবে সেগুলো পার হলেই আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। YouTube এ ভিডিও বানাতে গেলে ভিডিও এডিটিং এ খুব ভালো দক্ষতা থাকলে ইনকাম খুব তাড়াতাড়ি হবে।

ওয়েবসাইট বিক্রি করে আয়

ওয়েবসাইট তৈরি করার অভিজ্ঞতা থাকলে ওয়েবসাইট বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইটের দাম অনেক টাকা। আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনি একটি ভালো ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট আপলোড করে এবং ওয়েবসাইটটি সচল রেখে বিক্রি করলে ভালো দাম পাবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর যা অনেক জনপ্রিয় এবং অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশেও এই মার্কেটিং ব্যবস্থা সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা এই মার্কেটিং ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ এবং সুবিধাজনক। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইটে অন্য জনের প্রোডাক্ট বিক্রি করা।


সে বিক্রিত প্রোডাক্টের নির্ধারিত হারে দাম আপনি পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য সবচেয়ে বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে amazon। মার্কেটিং করে আপনার ঘরে বসে মাসের লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করা

ঘরে বসে আগ্রার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করা। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে যেমন Facebook, twitter, Pinterest, Instagram ইত্যাদি। এ ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক মার্কেটিং করে ঘরে বসে প্রচুর টাকা আয় করা যায়।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করা

ঘরে বসে আয় করার আরো একটি উপায় হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করা। আপনি যদি একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইন সেক্টরে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারণ মার্কেটপ্লেসে এ ধরনের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। একজন গ্রাফিক ডিজাইনার ঘরে বসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারে।

আর্টিকেল লিখে আয় করা

কনটেন্ট রাইটার বা আর্টিকেল রাইটার হতে পারে আপনার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি পেশা। কারণ বর্তমান সময়ে আর্টিকেল রাইটারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখালেখি করে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করার মাধ্যমে আয় করা হয়। এছাড়াও মার্কেটপ্লেসে এ ধরনের কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে আপনি ইচ্ছা করলে মার্কেটপ্লেসের কাজ করে বহু অর্থ উপার্জন করতে পারেন।


বিভিন্ন কোম্পানিতে এ ধরনের জব পাওয়া যায়। আপনি চাইলে আর্টিকেল রাইটিং হিসেবে সেগুলো কোম্পানিতে জব করতে পারেন। এই কাজগুলো শুধুমাত্র ঘরে বসেই করতে পারবেন। আর্টিকেল লিখে বিক্রি করেও আয় করা যায়।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আয় করতে পারেন

বর্তমান সময়ে অনেক লোভনীয় চাকরি হচ্ছে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট। আপনার যোগ্যতা এবং দক্ষতা থাকলে ঘরে বসে পৃথিবীর যে কোন কোম্পানির ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন। এ কাজের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ঘরে বসে কাজ করা। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর চাহিদা রয়েছে প্রচুর।

গুগল এডসেন্স থেকে

গুগল এডসেন্স থেকে ঘরে বসে ইনকাম করা যায়। আপনার ওয়েবসাইটের ব্লগে নির্ধারিত জায়গায় জায়গায় এড বসিয়ে এই পদ্ধতিতে ইনকাম করা যায়। গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের যে অ্যাড গুলো দেখানো হয় সে এড গুলোর উপর ক্লিক করলে তা থেকে আয় করা যায়।

এই কাজটি পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় থেকে করতে পারবেন। ওয়েবসাইটে আয় বৃদ্ধি করতে চাইলে ভিজিটর বৃদ্ধি করতে হবে। এগুলো সম্পর্কে দক্ষতা থাকলে ঘরে বসে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইন সার্ভে

অনলাইন সার্ভে করে ঘরে বসে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজ উপায়। গবেষণা দেখা গেছে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি তাদের প্রচার পণ্য বা সেবার উন্নতির জন্য গ্রাহকের মতামত সংগ্রহ করে থাকেন। এজন্য তারা অনলাইন সার্ভে করেন। এগুলো কোম্পানির ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করে প্রশ্ন উত্তর দিলেই নগদ অর্থ পাওয়া যায়। প্রত্যেকটি প্রশ্ন উত্তরের জন্য ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।

ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

আপনার সফলতা অর্জনের অন্যতম পথ হতে পারে ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। এই ধরনের কাজের যেমন চাহিদা রয়েছে তেমনি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম। মার্কেটপ্লেসে এ কাজের অনেক ডিমান্ডও রয়েছে। এ ধরনের কাজ করতে গেলে আপনাকে অবশ্যই একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে হবে। এ কাজগুলো ঘরে বসে করতে পারবেন।

ফ্রি-তে টাকা ইনকাম

যারা বেকার সময় পার করছেন বা ঘরে বসে দিন কাটাচ্ছেন তাদের জন্য মূলত এই আর্টিকেলটি। এমন অনেকে রয়েছেন যাদের সময় রয়েছে অনেক কিন্তু ইনভেস্ট করার মত কোন টাকা পয়সা নেই। মূলত তারা ফ্রি টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজে থাকে। ফ্রি টাকা ইনকাম করা কি খুব সহজ? ফ্রি টাকা ইনকাম করার উপায় অনেকে জানলেও এগুলো নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।

ফ্রি-তে টাকা ইনকাম করার যতই বিজ্ঞাপন থাকুক না কেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেগুলো ফেক বা প্রতারণার একটি ফাঁদ বলা যেতে পারে। প্রথমে আপনাকে ফ্রী টাকা ইনকাম করার কথা বলবেন তার পরবর্তীতে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আদায়ের চেষ্টা করবে। এ ধরনের কোন অ্যাপস যদি আপনার সামনে আসে তাহলে অবশ্যই এগুলো এড়িয়ে চলা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

তবে ফ্রি টাকা ইনকাম করা সবগুলো সাইট-ই ফেক তা কিন্তু নয়, কিছু কিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলোতে কোন ইংলিশ ছাড়াই টাকা ইনকাম করা যায়। তবে সেগুলোর বিষয়ে জেনে বুঝে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়াও উপরে উল্লেখিত ঘরে বসে টাকা আয়ের যেগুলো উপায় রয়েছে সেগুলো বিষয়ে যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে কোন ইনভেস্ট ছাড়াই ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।

ফ্রি টাকা ইনকাম করার অ্যাপস-২০২৪

ফ্রি টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে দেখা যায়। তবে সবগুলো বিশ্বস্ত কিনা এ নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মতামত পোষণ করেন আমরা এখানে ফ্রি টাকা ইনকাম করার কয়েকটি বিশ্বস্ত অ্যাপ আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

Facebook

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি এ্যাপস হচ্ছে ফেসবুক যা আমরা কম বেশি সবাই ব্যবহার করে থাকি। ফেসবুক ব্যবহার করেন না এরকম মানুষের সংখ্যা অনেক কম। ফেসবুক শুধুমাত্র পোস্ট করা, লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করার জন্য নয়, এটি আপনি আয়ের একটি উৎস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

কারণ ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসার পরিধি অনেক বৃদ্ধি করা যায়। কেননা ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রচার তাড়াতাড়ি হয়। ফেসবুক পেজ, ফেসবুক গ্রুপ এবং ফেসবুক শপ থেকে টাকা ইনকাম করা যায়।

FanFare

ফ্রি টাকা ইনকাম করার কয়েকটি এ্যাপস এর মধ্যে FanFare সবচেয়ে অন্যতম। এই এ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারেন। এটি পরোক্ষভাবে টাকা ইনকাম করার একটি এ্যাপস। FanFare হচ্ছে কেনাকাটার বিশ্বস্ত একটি ওয়েবসাইট। অনেক ইউটিউবার রয়েছেন যারা ফ্যান ফেয়ার থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করেন।

টেলিগ্রাম

টেলিগ্রামের সাথে সবাই খুব একটা পরিচিত নয়। এটিও ফেসবুকের মত একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তবে এর ব্যবহারকারী খুব কম তাও কিন্তু না। সারা বিশ্বে প্রায় এক বিলিয়ন লোক টেলিগ্রাম ব্যবহার করে। আপনি যদি ফ্রি টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনি এই টেলিগ্রাম এ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।

টেলিগ্রাম-এ টাকা ইনকাম করতে চাইলে ইউটিউব-এর মতো ভিডিও আপলোড করতে হবে না শুধুমাত্র একটি চ্যানেল তৈরি করতে হবে এবং সেই চ্যানেলে মানুষ এ্যাড করতে হবে। এই এ্যাপস যদি আপনার ফোনে না থাকে তাহলে গুগল প্লেস্টোর থেকে এ্যাপসটি ডাউনলোড করতে হবে।

Shutterstock

ফ্রি টাকা ইনকাম করার আরো একটি অ্যাপস হলো Shutterstock। আপনি যদি ছবি বা সেলফি তুলতে ভালোবাসেন তাহলে এই এ্যাপসটি আপনার জন্য। আপনি জানলে অবাক হবেন যে এই এ্যপসের মাধ্যমে ছবি বিক্রি করে টাকা আয় করা যায়। আপনার মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি থেকে আপনি প্রতি মাসে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন এই অ্যাপসের মাধ্যমে।

লেখক এর মন্তব্য

উপরের আলোচনার মাধ্যমে আমরা অনলাইনে টাকা আয়ের টাকা কতগুলো উপায় তুলে ধরেছি। আশা করি কিছুটা ধারণা পেয়েছেন এ সম্পর্কে। তবে ফ্রিতে টাকা ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই বিশ্বস্ত এ্যাপ বা বিভিন্ন বিষয় নজর রেখে তারপর এগিয়ে যেতে হবে। কারণ বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফেক এ্যাপ তৈরি করে মানুষকে প্রতারিত করছে। এ ধরনের এ্যাপস থেকে দূরে থাকুন।

প্রিয় পাঠক, এ আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url