বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে এ বিষয়ে জানতে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে বাচ্চার ওজন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এই সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা
এ আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন বাচ্চার ওজন কম হলে করণীয় এবং গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ।

ভূমিকা

বাচ্চার খাবার খাওয়া নিয়ে পিছু পিছু দৌড়ানো কমবেশি সব মায়েরই অভিজ্ঞতা রয়েছে। প্রতিটি সচেতন মায়েরায় সন্তানের খাবার নিয়ে নানা ধরনের দুশ্চিন্তায় ভোগে। কারণ প্রতিটি শিশুর জীবনের শুরুর দিকে সঠিক বৃদ্ধি ও ওজন ঠিক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি বলতে মূলত শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক এবং সামাজিক বিকাশকে বোঝায়।


প্রতিটি মানুষের দৈহিক গঠন আলাদা আলাদা ভাবে হয়ে থাকে। বয়স অনুযায়ী শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিমাপের একটি চার্ট রয়েছে যা দেখে বোঝা যায় শিশু স্বাভাবিক বৃদ্ধি হচ্ছে কিনা। যেসব শিশু পুষ্টিগুণ স্বাভাবিক থাকে তারা সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে। আর যেগুলো শিশু পুষ্টির অভাবে থাকে তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে না।


পুষ্টির অভাব ছাড়াও আরো কিছু কারণ রয়েছে যেমন লিঙ্গ, জিন, শারীরিক কসরত, ঘুমের সমস্যা এবং অসুস্থতা। এগুলোর সমস্যার কারণে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। তবে প্রতিটি মা-বাবার উচিত তার সন্তানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। সেজন্য ওজন ও শারীরিক বৃদ্ধি মাঝে মাঝে পরিমাপ করা উচিত।

বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা পরিমাপ

বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন এবং উচ্চতা ঠিক আছে কিনা সেটি দেখার জন্য গবেষকরা এই চার্ট তৈরি করছে। এই কাঠের মাধ্যমে বোঝা যায় বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা সম্পর্কে। তাহলে চলুন বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন পৌঁছে পরিমাণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়-

মেয়ে বাচ্চার উচ্চতা ও ওজন বৃদ্ধির চাট

ছেলে বাচ্চার উচ্চতা ও ওজন বৃদ্ধির চাট

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার কারণ

গর্ভাবস্থায় বাচ্চার ওজন কম হওয়ার প্রধান কারণ গর্ভবতী মায়ের অপুষ্টি। গর্ভবতী মায়ের শরীরে যখন অপুষ্টি দেখা দেয় তখন গর্ভের বাচ্চার উপরে তার প্রভাব পড়ে যার ফলে বাচ্চার ওজন কম হয়। অনেক গর্ভবতী মায়েরা রয়েছে যারা দরিদ্র হওয়ার কারণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সামর্থ্য থাকে না বলে খেতে পারেনা। যার ফলে তারা অপুষ্টিতে ভোগেন এবং বাচ্চার ওজন কম হয়।


আবার অনেক গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন যারা কর্মকালীন সময়ে রুচিহীনতায় ভোগেন যার ফলে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে পারে না। পরবর্তীতে তাদের গর্ভে থাকা বাচ্চার ওজন ওকম হয়। আবার আরেকটি প্রধান কারণ রয়েছে যেটি হচ্ছে বাচ্চা প্রসবের সঠিক সময়ের আগেই প্রসব হয়ে যায়। সেসব বাচ্চারা বেড়ে ওঠার সময় পায় না।

শিশুর ওজন কম হলে করনীয়

নানা কারণে শিশুর ওজন কম হতেই পারে। কিন্তু ওজন কম বলে শিশুর বাবা-মা বসে থাকলে চলবে না। শিশুর স্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি কিভাবে করা যায় সে উপায় সম্পর্কে জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার শিশুকে খাওয়াতে হবে। শিশু ওজন কম হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে পুষ্টির অভাব।

সেজন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার নিয়ম করে খাওয়ালে শিশুর ওজন আপনা আপনি বেড়ে যাবে। তবে মাথায় রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর উপায়ে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করতে হবে। কোন ওষুধ গ্রহণ করে শিশুর ওজন বৃদ্ধি করা যাবে না, এক্ষেত্রে শিশুর শরীর ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

একটি শিশু জন্মের পর তার সুস্বাস্থ্যের সম্পূর্ণ দায়িত্ব বাবা-মার। সেজন্য বয়স অনুযায়ী বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা ঠিক আছে কিনা এ বিষয়ে মাঝে মাঝে চেক করা প্রত্যেক বাবা-মার কর্তব্য। এতে করে বাচ্চার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে। কারণ সুস্থ বাচ্চার ওজন ও উচ্চতা সব সময় সঠিক থাকে।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার-পরিজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url