চুলের যত্নে থানকুনি পাতার উপকারিতা - যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আপনি কি চুলের যত্ন করে থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এ আর্টিকেলের মাধ্যমে মধ্যে আমরা আপনাকে চুলের যত্নে থানকুনি পাতার উপকারিতা এবং যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
চুলের যত্নে থানকুনি পাতার উপকারিতা
এই আর্টিকেলটি আরো জানতে পারবেন থানকুনি পাতার উপকারিতা, থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয়, থানকুনি পাতা খেলে কি ফর্সা হয়, থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম, থানকুনি পাতার অপকারিতা ইত্যাদি।

ভূমিকা

আমাদের বাড়ির আশেপাশে এবং রাস্তার ধারে জন্মানো এই ভেষজ উদ্ভিটির নাম হচ্ছে থানকুনি। এটি একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ যার বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুণ রয়েছে। থানকুনি নিরাময় করতে পারে এমন সব রোগকে যা দীর্ঘদিন ধরে শরীরে চলমান থাকে। থানকুনি খুবই পরিচিত হলেও এলাকা ভিত্তিক এর নাম আলাদা আলাদা।


বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে ডাকা হয় ঔষধি গুনাগুণ সম্পূর্ণ এই উদ্ভিদকে। পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে থানকুনি পাতা বিশেষভাবে কার্যকরী। এটি শরীরের বিভিন্ন সমস্যা যেমন দূর করে তেমনি ত্বক ও চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত থানকুনি ব্যবহার করলে ত্বক সুন্দর ও সতেজ হয়ে ওঠে তেমনি চুলও স্বাস্থ্যজ্জল হয়ে ওঠে।


আপনি যদি থানকুনি পাতার উপকারিতা না জেনে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়ে দেখুন। কারণ বাড়ির পাশে অযত্নে গড়ে ওঠা এই উদ্ভিদের কত যে গুনাগুণ সে সম্পর্কে জানা প্রত্যেকেরই আবশ্যক। এর উপকারিতা জানলে আপনার যেকোন সমস্যার সমাধান হিসেবে কাজেও লেগে যেতে পারে এই থানকুনি।

থানকুনি পাতার উপকারিতা

থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুণাগুণ শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। আমরা এখানে থানকুনি পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পেটের সমস্যায়ঃ কথায় আছে পেট ভালো তো সব ভালো। পেট সুস্থ থাকলে শরীর সুস্থ থাকে আর পেট সুস্থ না থাকলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। থানকুনি পাতা পেটের সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। থানকুনি পাতা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে পেটের সমস্যা দূর করে এমনকি পুরাতন সমস্যাও দূর করে থাকে।

যাদের দীর্ঘদিন আমাশয়ের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত প্রতিদিন সকালে খালি পেটে থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন তাহলে ভালো ফল পাবেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ থানকুনি পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এই পাতার রস নিয়মিত দিনে দুইবার খেলে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ থানকুনি পাতা যেমন পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে তেমনি হজমশক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা হজম কার্যে সহায়ক এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার ফলে হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয় এবং বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

সর্দি জ্বর উপশমেঃ আবহাওয়া পরিবর্তন এর সাথে সাথে মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি শুরু হয়ে যায় বিশেষ করে সর্দি জ্বর। থানকুনি পাতা এই সর্দি জ্বরে বিশেষভাবে কার্যকরী। প্রতিদিন খালি পেটে থানকুনি পাতার রস তার সাথে শিউলি পাতার রস মিশিয়ে খেলে সর্দি জ্বরে ভালো ফল পাওয়া যায়।

কাশি কমায়ঃ সব ধরনের কাশি উপশম এ থানকুনি পাতা ভালো কাজ দিয়ে থাকে। কাশি হলে থানকুনি পাতার রস করে সামান্য পরিমাণ চিনি মিশিয়ে খেলে তাড়াতাড়ি কাশি ভালো হয়ে যায়। দীর্ঘদিন যাদের কাশি ভালো হচ্ছে না তারা থানকুনি পাতার রস খেয়ে দেখতে পারেন তাহলে ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন।

ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় নাঃ অতিরিক্ত পরিশ্রম বা শরীর রোগাটে  হওয়ার কারণে অল্প বয়সে বয়সের ছাপ পরতে থাকে। এতে করে ত্বকের জৌলস কমে যেতে থাকে। থানকুনি পাতা ব্যবহারের ফলে ত্বকের সুন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং বয়সের ছাপ পরা থেকে সুরক্ষিত রাখে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায়ঃ বেশিরভাগ মানুষের মূল সমস্যা হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। থানকুনি পাতা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আধা লিটার দুধের সাথে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি এবং তার সাথে থানকুনি পাতার রস যোগ করে প্রতিদিন সকালে অল্প অল্প করে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যায়।

ত্বকের সতেজতায়ঃ থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উচ্চমানের অ্যামাইনো এসিড। সেজন্য থানকুনি পাতা নির্যাস ব্যবহারের ফলে ত্বক সতেজ হয়ে উঠে এবং বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর হয় ও ব্রন থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে থানকুনি পাতা অধিক কার্যকরী। পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করেঃ থানকুনি পাতায় রয়েছে এন্টি অ্যাংজাইটি এফেক্ট। এছাড়াও এই পাতার ঔষধি গুনাগুন মস্তিষ্কের অক্সিডেটিভ টেস্ট ও নিউরন ইনফ্লামেশন এর মত সমস্যাকে খুব সহজেই কমিয়ে থাকে। তাই এই পাতা নিয়মিত খেলে স্ট্রেস থেকে শরীরকে মুক্তি দিয়ে থাকে।

চুলের যত্নেঃ থানকুনি পাতা ত্বকের যত্নেও যেমন উপকারী তেমনি চুলের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী। এই পাতার রস ব্যবহার করলে চুলের অনেক উন্নতি হয়।

চুলের যত্নে থানকুনি পাতার উপকারিতা

বাড়ির আশেপাশে জন্ম নেওয়া এই উদ্ভিদটি শরীর সুস্থ রাখতে যেমন অধিক কার্যকরী তেমনি চুলের যত্নেও এটি অনেক উপকারী। তাহলে চলুন এই পাতাটি চুলের কি কি উপকারে আসে তা জেনে নেওয়া যাক-

চুল পড়া কমায়ঃ থানকুনি পাতা চুল পড়া কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷ এ পাতার রস নিয়ম করে মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে চুল পড়া অনেক কমে যাবে৷

নতুন চুল গজাতেঃ থানকুনি পাতা চুল পড়া কমিয়ে নতুন চুল গজাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ব্যবহারের ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল ঘন ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়।

খুশকি দূর করতেঃ খুশকি হয় এমন একটি সমস্যা যা প্রায় মানুষের মাথায় দেখা দেয়। থানকুনি পাতা খুশকি দূর করতে অধিক কার্যকরী। এটি মাথার ত্বক ভালো রেখে খুশকি দূর করে চুল স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও ঝলমলে করে তোলে।

স্কেপের কোথাও কমেঃ থানকুনি পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা স্কাল্পের প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেজন্য এই পাতা নিয়মিত ব্যবহার করলে স্কাল্পের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

চুলের বৃদ্ধিতেঃ থানকুনি পাতা চুলের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ পাতার রস নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল যেমন লম্বা হয় তেমনি ঘন ও কালো হয়।

যৌবন ধরে রাখতে থানকুনি পাতার উপকারিতা

যৌবন ধরে রাখতে বা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কৃত্রিম জিনিসের চেয়ে ভেষজ উপাদান বেশি কার্যকরী। কৃত্রিম জিনিসে সৌন্দর্য তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পেলেও সেটি স্থায়ী হয় না কিন্তু ভেষজ গুণসম্পন্ন এই উদ্ভিদগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত ধরে রাখে। তাহলে চলুন থানকুনি পাতা সৌন্দর্য কিভাবে ধরে রাখে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
  • সৌন্দর্য বা যৌবন ধরে রাখতে হলে আপনাকে নিয়মিত থানকুনি পাতার রস খেতে হবে। থানকুনি পাতায় যে উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সাথে পাঁচ থেকে ছয় চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে ত্বকের জেল্লা ও লাবণ্য ফিরে আসে।
  • এমনকি ত্বকের এমন ভাবে বৃদ্ধি পায় যা চেহারার সৌন্দর্যকে দ্বিগুণ ফুটিয়ে তোলে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং মৃত কোষগুলোকে পুনর্গঠন করে ত্বক কোমল ও মসৃণ করে তুলে।

থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয়

থানকুনি পাতা মুখে দিলে বিভিন্ন ধরনের ত্বকের উপকারিতা পাওয়া যায়। কারণ থানকুনি পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। এই দুই ধরনের ভিটামিন ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী কারণ ভিটামিন বি ত্বকের সুস্থতা ধরে রাখে এবং ভিটামিন সি ত্বকের ভিতরে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে।


এছাড়াও এই পাতায় উপস্থিত রয়েছে আয়রন ও অন্যান্য উপকারী মিনারেল যা ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জিল্লা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

থানকুনি পাতা খেলে কি ফর্সা হয়

থানকুনি পাতা ত্বকের জন্য উপকারী অনেক। এই পাতার রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক ফর্সা করে। এ পাতা ব্যবহারের ফলে মুখের বিভিন্ন ধরনের দাগ সব দূর করে ত্বকের জৌলস ফিরিয়ে আনে। সে যেন আপনি যদি ত্বক ফর্সা হওয়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে এই পাতা নিয়মিত দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন এবং ব্যবহার করতে পারেন।

থানকুনি পাতার অপকারিতা

উপরে এতক্ষণ আমরা থানকুনি পাতার বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা বা কি কি কাজে আসে এই নিয়ে আলোচনা করলাম। এখন আমরা থানকুনি পাতার অপকারিতা বা থানকুনি পাতা খেলে কি কি সমস্যা তৈরি হতে পারে এ সম্পর্কে আলোচনা করব। পরিমাণ মতো থানকুনি পাতা খেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায়।

কিন্তু পরিমাণের অতিরিক্ত থানকুনি পাতা খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। থানকুনি পাতা পেটের জন্য অনেক উপকারী তবে তা পরিমাণমতো। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা তৈরি হয় এমনকি পেটব্যথার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

যাদের লিভারের সমস্যা আছে তারা কোনভাবেই থানকুনি পাতা খেতে পারবেন না। এতে করে লিভারের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম

থানকুনি পাতা রোগ নিরাময়ের জন্য রস করে খাওয়া হয়। থানকুনি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে পেটের অসুখসহ অন্যান্য সমস্যা দূর হয়ে যায়। থানকুনি পাতা আবার চিবিয়েও খাওয়া যায়। অনেকে থানকুনি পাতার রস সরাসরি খেতে পারেন না তারা এ পাতার রস এ সামান্য পরিমাণ চিনি মিশিয়ে খেতে পারবেন।

এক গ্লাস দুধে ৫ থেকে ৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়া যায়। এদের শরীরের যেমন বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে তেমনি তোকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

মন্তব্য

থানকুনি পাতা শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা উপরের আলোচনার মাধ্যমে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। আপনি যদি থানকুনি পাতা খেতে চান তাহলে অবশ্যই পরিমাণমতো খাবেন। কি পরিমাণ খেলে আপনার শরীরের অনেক উপকার হবে তা জানার জন্য আপনার নিকটস্থ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

তবে থানকুনি পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ পরিমাণের অতিরিক্ত থানকুনি পাতা খেলে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতে পারে। প্রিয় পাঠক, এ আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url