দুধ ও খেজুর একসাথে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি দুধ ও খেজুর একসাথে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে দুধ ও খেজুর একসাথে খাওয়ার উপকারিতা এবং দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
দুধ ও খেজুর একসাথে খাওয়ার উপকারিতা
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন দুধ ও খেজুর খাওয়ার নিয়ম, দুধ ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা এবং দুধ ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি।

ভূমিকা

সর্বাধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন যে সকল খাদ্য আছে সেগুলোর মধ্যে দুধ অন্যতম। দুধ আদর্শ খাবার হিসেবে পরিচিত। দুধ ক্যালসিয়ামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় চিকিৎসকরা নিয়মিত দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। দুধ অনেকের পছন্দের একটি খাবার। আবার অনেকেই এটি পুষ্টি চাহিদা মিটানোর জন্য খেয়ে থাকেন। সুস্থ থাকতে হলে প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন।


তাহলে শরীর সম্পূর্ণভাবে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকবে। অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন দুধে যদি কয়েকটা খেজুর মেশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে এর উপকারিতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কারণ খেজুরেও রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উপাদান। এক গ্লাস দুধের সাথে দুটো করে খেজুর মিশিয়ে খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

দুধ এবং খেজুর একসাথে মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। এই পানীয়টি বৃদ্ধদের জন্য অনেক উপকারী।

দুধ ও খেজুর একসাথে খাওয়ার উপকারিতা

দুধ অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি পানীয় এবং খেজুরও অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। এ দুটো একসাথে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আজ আমরা এখানে দুধ ও খেজুর একসাথে খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক -

দুর্বলতা দূর করেঃ দুধ ও খেজুর একসাথে খেলে শরীরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই পানীয়টি খেলে শরীরকে অধিক শক্তিশালী করে তোলে এবং শারীরিক দুর্বলতা দূর করে। যাদের ওজন কম, ওজন বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছেন কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না তারা দুধ ও খেজুর একসাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারে। তাহলে ওজন অনেকটা বৃদ্ধি পাবে।

হার্টের সুস্থতা বজায় রাখেঃ খেজুর হার্টের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। খেজুরে কোলেস্টেরল এবং ফ্যাটের মাত্রা অনেক কম রয়েছে। এছাড়াও খেজুর খেলে খারাপ কোলেস্টোরে দূর করতে সাহায্য করে। যা হার্টের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী। খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা ও দুধে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি। সেজন্য দুধ ও খেজুর একসাথে খেলে পুষ্টিগণ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এভাবে খেলে শরীরকে যেমন শক্তিশালী করে তুলবে তেমনি শরীরের বিভিন্ন সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করবে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সমস্যার কারণে অল্প বয়সে দৃষ্টি শক্তি কমে যেতে থাকে। এছাড়াও চোখে ছানি পড়ার সমস্যাও দেখা দিয়ে থাকে। চোখের এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য চিকিৎসকরা দুধ ও খেজুর একসাথে খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে করে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং চোখের অন্যান্য সমস্যাও দূর হয়ে যায়। যারা সারাদিন স্কিনের সামনে থাকেন তাদেরও দুধ ও খেজুর খাওয়া প্রয়োজন

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারীঃ দুধ ও খেজুর একসাথে মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত এই দুধ ও খেজুর একসাথে খেতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিস এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে।

হাড় মজবুত করেঃ দুধ হচ্ছে ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস। আর হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখতে হলে ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। দুধ ও খেজুর একসাথে মিশিয়ে খেলে এর গুনাগুণ আরো বহুগুণে বৃদ্ধি পায় যা হাড়কে শক্তিশালী ও মজবুত করে তোলে। এটি হাড়ের বিভিন্ন রোগ দূর করতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ দুধ ও খেজুর একসাথে মিশিয়ে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পর খালি দুধ না খেয়ে খেজুর মিশানো দুধ পান করুন তাহলে দেখবেন পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এভাবে দুধ খেলে এসিডিটির ক্ষেত্রে ভালো কাজ দিয়ে থাকে। দুধ খাদ্য পরিপাকে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে সেজন্য প্রতিদিন শোয়ার আগে এক গ্লাস দুধের সাথে দুটো করে খেজুর মিশিয়ে খেতে পারেন

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধ খেজুর একসাথে খেলে রোগ প্রতিরক্ষামতা বৃদ্ধি পায়। খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেই জন্য দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে সেটি আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায় ফলে বিভিন্ন রোগের দ্রুত মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।

গর্ভবতী মায়েদের জন্যঃ গবেষণা করে দেখা গেছে গরুর দুধের সাথে খেজুর মিশিয়ে রেখে খেলে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী। এতে গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং গর্ভে থাকা বাচ্চারও অনেক উপকার হয়। গর্ভে থাকা শিশুদের হাড় মজবুত করতে এটি খুবই কার্যকরী।

হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করেঃ দুধ ও খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম তারা নিয়মিত দুধের সাথে খেজুর ভিজিয়ে খেতে পারেন তাহলে দেখবেন ১০ থেকে ১৫ দিনে রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে গেছে। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত এভাবে খেতে পারেন তাহলে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে।

বয়সের ছাপ দূর করেঃ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্য অভ্যাসের কারণে অল্প বয়সে শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। এ সমস্যা সঠিক সমাধান হিসেবে দুধে খেজুর মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দিবে না এবং যাদের বয়সের ছাপ পড়ে গেছে সেটি ধীরে ধীরে কমে যাবে।

ত্বকের যত্নেঃ খেজুর মিশানো দুধ খেলে ত্বকেরও নানা ধরনের উপকার হয়ে থাকে। ত্বকে তৈরি হওয়া বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করে এবং ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জিল্লা ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে। খেজুর ও দুধের পুষ্টিগুণ ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ করে এবং সুন্দর্য বৃদ্ধি করে।

চুলের যত্নেঃ চুল পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে ভিটামিনের অভাব। দুধ এবং খেজুর একসাথে মিশিয়ে খেলে ভিটামিনের অভাব দূর হয় ফলে চুল পড়া কমে যায়। এটি চুলের গোড়ায় বহুগুণ পুষ্টি সরবরাহ করে ফলে অল্প সময়ে চুল অনেক বড় হয়। চুলকে ঘন ও স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করতে এই পানীয় জাতীয় খাদ্যের গুরুত্ব অপরিসীম।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ গরম দুধের সাথে খেজুর মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়। এভাবে নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যারও সমাধান হয়ে যায়।

দুধ ও খেজুর একসাথে খাওয়ার নিয়ম

দুধ যেমন অত্যন্ত উপকারী তেমনি শুকনো ফল হিসেবে খেজুরও অনেক উপকারী। এই দুটি খাদ্য একসাথে মিশিয়ে খেলে অনেক বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। তবে এগুলোর উপকারিতা বেশি পাওয়ার জন্য কয়েকটি নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে খেজুর মিশিয়ে খেলে অনেক ভালো পাওয়া যায়।

এভাবে খেলে শরীর শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। দুধের মধ্যে দুই থেকে তিনটি খেজুর দিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে সেই দুধ পান করলে শরীরের দুর্বলতা দূর হয়ে যায়। খেজুর দুধের সাথে মিশিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগেও খেতে পারেন এবং সকালে খালি পেটেও খেতে পারেন। দুধের মধ্যে ছয়টি খেজুর সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে এ দুটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।

তারপর এগুলোর সাথে এলাচের গুড়া এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে গর্ভবতী মায়েদের জন্য অনেক উপকার হবে। এটি গর্ভে থাকা শিশুরও হাড় মজবুত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

দুধ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

দুধ ও কিসমিস একসাথে খেলে উপকারিতা দ্বিগুণ পাওয়া যায়। কারণ এই দুটোতেই অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। দুধ ও কিসমিস একসাথে মিশিয়ে খেলে কি উপকার পাওয়া যায় তা  জেনে নেই-

  • শারীরিক দুর্বলতা কমাতে দুধ ও কিসমিস একসাথে খেতে হবে। তাহলে এ দুটো শরীরের শক্তি ফিরে আনবে এবং মাথা ঘোরা, মাথা ঝিমঝিম করা ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • দুধ ও কিসমিসে সোডিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে সেজন্য এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। যে কারণে উচ্চ রক্তচাপের যে সমস্যা হয় সেগুলো থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • দুধে রয়েছে কেচেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবাং কিসমিসে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান। এ দুটো একসাথে মিশিয়ে খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। চিকিৎসকরা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে দুধ ও কিসমিস একসাথে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
  • দুধ ও কিসমিস একসাথে খেলে শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকালের হাত থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
  • দুধ ও কিসমিস একসাথে মিশিয়ে খেলে চোখে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে পলফেলোনিক ফাইটোনিউটিয়ন্স থাকে যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মতোই চোখের সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য ও রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করতে দুধের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খাওয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে হলে গরম দুধের সাথে কিসমিস মিশিয়ে খেতে পারেন।
  • কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। সেজন্য এটি দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকারিতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যাদের রক্তস্বল্পতা সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত দুধ ও কিসমিস একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • দুধ ও কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

দুধ ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

কালোজিরায় রয়েছে অনেক গুনাগুণ। কালোজিরাকে মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধ বলা হয়ে থাকে। তবে দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে এর গুনাগুণ আরো অনেকগুণে বৃদ্ধি পায়। আমরা এখানে দুধ ও কালোজিরা একসাথে খাওয়ার উপকারিতাগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক-

  • যেকোনো তরকারি বা খাবারের স্বাদ বা গন্ধ বাড়িয়ে দিতে কালোজিরা অতুলনীয়। খাবারের স্বাদ যেমন বৃদ্ধি করে এটি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় উপকার বয়ে আনে। কারণ কালোজিরায় রয়েছে জরুরী নিউট্রিয়েন্টস উপাদান। এটি যদি দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে উপকারিতা অনেকগুণ বেশি পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে থাকা জরুরি পুষ্টি উপাদান শরীরের কর্মক্ষমতাকে দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় পাশাপাশি শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • গর্ভাবস্থায় কালোজিরা ও দুধ ভালো উপকার দিয়ে থাকে। এগুলোতে থাকা উপাদানগুলো দেহে রক্তের পরিমাণ বহুগুণে বৃদ্ধি করে। গর্ভবতী মহিলাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • কালোজিরা ও দুধ একসাথে খেলে দেহের কার্যক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। কারণ কালোজিরা দেহের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং দুধ শরীরের সব ধরনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে। তাছাড়া এই উপাদানগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শরীরকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত তারা কালোজিরা ও দুধ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। কারণ কালোজিরা ও দুধ শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে থাকে। মেটাবলিজম বেশি থাকলে শরীরের ওজন খুব সহজেই কমে যাবে।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং এন্টিসিস্টেমকে উন্নত করতে খুবই উপযোগী দুধ ও কালোজিরা। কালোজিরার মধ্যে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এটা বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে শরীরকে সুস্থ রাখে।
এছাড়াও কালোজিরা ও দুধের সংমিশ্রণে রয়েছে অনেক উপকারিতা। এতে শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। আবার এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ব্যাকটেরিয়ার জনিত সংক্রমন রোধ করে। দুধ ও কালোজিরার সংমিশ্রণ চোখ, চুল এবং ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

দুধ ও কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম

কালোজিরা বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। রান্নাবান্না এবং সরাসরি খাওয়া যায়। দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। কুসুম গরম দুধে কালোজিরা বা কালোজিরা গুড়া মিশিয়ে খেতে পারেন। এর স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য এগুলোর সাথে ছোট এক টুকরা গুড় যুক্ত করতে পারেন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই মিশ্রণটি খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।

লেখকের মন্তব্য

উপরের আলোচনার মাধ্যমে দুধের সাথে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য মিশিয়ে খেলে যেগুলো উপকারিতা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। এই মিশ্রণগুলি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কারণ এভাবে খেলে পুষ্টিগুণ দ্বিগুণ পাওয়া যায়। আপনি যদি শরীরে দ্বিগুণ পুষ্টি পেতে চান তাহলে দুধের সাথে মিশিয়ে এই খাবারগুলি খেতে পারেন। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url