অটিজম কি রোগ এবং অটিস্টিক শিশু কিভাবে চেনা যায় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি অটিস্টিক শিশু কিভাবে চেনা যায় এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে অটিস্টিক শিশু কিভাবে চেনা যায় এবং অটিজম কি কারণে হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে।
অটিজম কি রোগ এবং অটিস্টিক শিশু কিভাবে চেনা যায়
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন অটিজম ভালো হয় কিনা, অটিজম কি রোগ, অটিজম শিশুর চিকিৎসা, অটিস্টিক শিশুর শিক্ষা পদ্ধতি ইত্যাদি।

ভূমিকা

সুস্থ এবং স্বাভাবিক সন্তান প্রতিটি বাবা-মার কাম্য। জন্মগত ত্রুটির কারণে কিছু কিছু বাচ্চা অস্বাভাবিক হয়ে থাকে। অস্বাভাবিক আচরণগত বৈশিষ্টের বাচ্চাদের সাধারণত অটিস্টিক বা অটিজম শিশু বলা হয়ে থাকে। অটিজমের সমস্যা জন্মানোর সাথে সাথে বোঝা যায় না। শিশুর বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এ সমস্যা প্রকাশ পায়। এ সমস্যা মূলত তিন বছর বয়সের পর থেকে ভালোভাবে প্রকাশ পায়।


অটিজম শিশুর পিতা-মাতা ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারে তার বাচ্চা অন্য স্বাভাবিক বাচ্চার সাথে আচরণগত পার্থক্য রয়েছে। অটিস্টিক বাচ্চাদের প্রতি অন্যান্য বাচ্চার তুলনায় অনেক বেশি যত্নশীল হতে হয়। কেননা তারা স্বাভাবিকভাবে কোন কিছুই করতে পারে না। অনেক সময় এসব বাচ্চারা নিজে চলাফেরা করতেও অক্ষম হয়ে থাকে।

অটিজম একটি রোগ। এই রোগটিকে অনেকে মানসিক রোগ বলে মনে করলেও মূলত এটি স্নায়বিক রোগ। অটিজম আক্রান্ত শিশুরা অন্যান্য শিশুদের সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা থাকে। সেই জন্য অটিস্টিক বাচ্চাদের প্রতি বাবা-মার সচেতন হওয়া খুবই জরুরী।

অটিজম কি রোগ

অটিজম বা আত্মলীনতা এমন একটি রোগ যা শিশুর মানসিক বিকাশে বাধা তৈরি করে। তিন বছর পার হতেই এ রোগের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। এসব বাচ্চারা স্বাভাবিক আচরণে কম সক্ষম হয়। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্ভরশীল হয়ে থাকে। ইংরেজি ভাষায় এসব বাচ্চাদের অটিস্টিক শিশু বলে।

অটিস্টিক শিশুরা পারিবারিক সম্পর্ক এবং সামাজিক আচরণেও সক্ষমতা কম থাকে। এসব বাচ্চাদের বয়স বৃদ্ধি পেলেও আচরণ একই রকম রয়ে যায় ।

অটিস্টিক শিশু চেনার উপায়

অটিস্টিক বাচ্চাদের চেনার কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে। সেই লক্ষণ দেখে বোঝা যায় শিশু অটিজম আক্রান্ত কিনা। আমরা এখানে অটিস্টিক শিশু চেনার কয়েকটি লক্ষণ বা উপায় আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

কথা বলতে না পাড়াঃ স্বাভাবিক বাচ্চারা এক বছরের মাথায় মা বাবা ডাকতে শেখে। কিন্তু যে সকল বাচ্চারা অটিজম আক্রান্ত তারা বাবা মাকে ডাকতে পারেনা। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে কোন ছোট ছোট শব্দ দিয়ে বলতে পারেনা।

আগ্রাসী আচরণঃসকল বাচ্চাদের আচরণ সব সময় খিটখিটে মেজাজের হয়। হুট হাট করে কান্নাকাটি বা বাচ্চাদের মার দেওয়া শুরু করে দেয়।

নিজের মত চলাফেরাঃ অটিজম আক্রান্ত বাচ্চারা নিজের মতো চলাফেরা করতে পছন্দ করে। তারা কখনো অন্য বাচ্চাদের অনুসরণ করে না বা অন্য বাচ্চাদের সাথে মেলামেশা চেষ্টা করে না।

বয়স ও আচরণের ভারসাম্যহীনতাঃ বয়স বাড়লেও এ সকল বাচ্চাদের আচরণের কোন পার্থক্য দেখা যায় না। তারা সব সময় ছোট বাচ্চাদের মত আচরণ করে। স্বাভাবিক বাচ্চারা যেমন বয়সে সাথে সাথে তাদের আচরণের ও পরিবর্তন হয় কিন্তু এ সকল বাচ্চাদের আচরণ একই রকম রয়ে যায়।

একই কাজ বারবার করেঃ এদের মধ্যে পুনরাবৃত্তিমূলক লক্ষ্য করা যায়। একই কাজ বারবার করতে তারা পছন্দ করে। তাদের মধ্যে নতুন কিছু তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

চোখে চোখ রেখে কথা না বলাঃ আপনি যদি অটিজম আক্রান্ত বাচ্চার সাথে কথা বলতে চান দেখবেন সে আপনার চোখে চোখ রেখে কথা বলবে না কেননা তাদের মধ্যে কোন আই কন্টাক্ট থাকে না। তারা তাদের মন মত এদিক ওদিক তাকিয়ে কথা বলে।

কথা বলার ক্ষেত্রেঃ এ ধরনের অনেক বাচ্চা রয়েছে যারা কথা বলতে পারে না। যারা কথা বলতে পারে তাদের কথার মধ্যে আবার জড়তা থেকে যায়। একটা বয়স পর্যন্ত তারা কথা বললেও তারপরে কথাগুলো আবার ভুলেও যায়। আবার অনেক সময় একা একা আপন মনেও কথা বলে।

চেহারা গত পার্থক্যঃ অটিজম বাচ্চাদের সাথে স্বাভাবিক বাচ্চাদের চেহারার পার্থক্য বিদ্যমান। শারীরিক গঠন দেখে বোঝা যায় এ বাচ্চাগুলো অটিজম কিনা। তবে এ লক্ষণগুলো বয়স যত বাড়বে প্রকাশ তত বৃদ্ধি পাবে।

কম ধৈর্যশীলঃ কম ধৈর্যশীল হওয়া অটিজম বাচ্চাদের প্রধান লক্ষণ। তারা কোন কাজ বা খেলনা নিয়ে খেলতে গেলে সেটি ধৈর্য সহকারে খেলতে পারবে না। অল্প সময় ধৈর্য ধারণ করা তাদের জন্য অনেক কঠিন ব্যাপার।

খাবারের প্রতি অনীহাঃ খাবারের প্রতি অনীহা এ সকল বাচ্চাদের অনেক বেশি হয়। তারা খাবার পছন্দ করতেও পারেনা।

সমাজিকীকরণে অনুপস্থিতিঃ বাচ্চাদের যে সকল সামাজিক আচরণগুলো শেখানো হয় সে আচরণগুলো শেখার ক্ষেত্রে অটিজম বাচ্চাদের অনিহা থাকে। তাদের মধ্যে ছোট বড়দের সাথে কি সম্পর্ক রাতে হয় এ সম্পর্কে বুঝতে পারেনা। এমনকি তার চেয়ে ছোট এবং বড়কে চিনতেও ভুল করে।

অমনোযোগীঃ অটিজম আক্রান্ত বাচ্চারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অমনোযোগী হয়। তারা তাদের খেয়াল খুশিমত সকল কিছু করে। মনোযোগ দিয়ে করার মত ধৈর্য বা ক্ষমতা কোনটাই তাদের থাকে না।

চোখ ও মুখে ভঙ্গিঃ স্বাভাবিক বাচ্চাদের সাথে অটিস্টিক বাচ্চাদের চোখ মুখের ভঙ্গি আলাদা হয়ে থাকে। চোখ মুখের ভঙ্গি দেখলে বোঝা যায় বাচ্চা স্বাভাবিক কিনা।

এ সকল লক্ষণ দেখে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চা অটিজম আক্রান্ত কিনা। এ সকল আচরণ যদি দেখতে পান তাহলে অবশ্যই বুঝে নেবেন যে আপনার বাচ্চা অটিজম আক্রান্ত।

অটিজম কি কারণে হয়

অটিজম বা আত্মসংবৃতির কারণ সম্পর্কে এখনো সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এর কারণ হিসেবে বংশগত কারণ কি চিহ্নিত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে এটি পারিপার্শিক কারণে হয়ে থাকে যেমন টিকা নেবার সীমাবদ্ধতা, গর্ভে থাকাকালীন মায়ের এমন কোন গর্বে থাকা শিশুর জন্য ক্ষতিকর ওষুধ যেগুলো সেবন করলেএ সমস্যাগুলো হতে পারে কিংবা গর্ভপাত করানোর ওষুধ।


অটিজম শিশুর পিতা-মাতা সর্ব প্রথম লক্ষণগুলো দেখে চিনতে পারে। লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি। শুরু থেকে এ রোগে চিকিৎসা করলে অনেক ক্ষেত্রে কমে যেতে পারে।

অটিজম কি ভাল হয়

অনেকেই প্রশ্ন করেন অটিজম ভাল হয় কিনা? নিউরোলজিস্ট বিশেষজ্ঞরা বলেন অটিজম সম্পূর্ণরূপে ভালো করা কখনোই সম্ভব না। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে এটি কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব। পাঁচ বছরের মধ্যে শিশুকে যদি ইপনার সেন্টারে নিয়ে আসা হয় তাহলে তার আচরণের বাঁ হাত পায়ে অঙ্গভঙ্গি কিছুটা পরিবর্তন আনা সম্ভব।

অটিজম বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন হওয়া সবচেয়ে জরুরী। ছয় মাসের মধ্যে যদি বাচ্চা মায়ের দিকে তাকিয়ে না হাসে তাহলে বুঝতে হবে সেই বাচ্চা অটিস্টিক। বুঝতে পারা সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী। সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে এই রোগে তীব্রতা বৃদ্ধি পায় না।

অটিজম শিশুর চিকিৎসা

অটিজম রোগ দ্রুত শনাক্ত করতে পারলে চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়। এ রোগের চিকিৎসা করতে কয়েক ধরনের স্পেশালিস্ট প্রয়োজন হয় যেমন পেডিয়াট্রিক, নিউরো রিহ্যাবিলিটেশন, পিস এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট ইত্যাদি। এর চিকিৎসা ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপিস্ট এর সহযোগিতায় অনেক ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা অটিস্টিক শিশুদের আলাদা আলাদা ডিজাইন করে থাকে।

এ ধরনের বাচ্চার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ কয়েকটি বিশেষ ধরনের স্কুল রয়েছে। সেখানে ভর্তি করালে তার আচরণগত সমস্যা অনেক ক্ষেত্রেই কমে যায়। শুধুমাত্র চিকিৎসা করলেই এসব বাচ্চাদের সমস্যা কমে না সে জন্য বাবা-মার সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। অটিস্টিক শিশুদের বাবা-মা অনেক ধৈর্যশীল হতে হয়।

কেননা এসব শিশুর আচরণগত অনেক সমস্যা রয়েছে যা ধৈর্যশীল না হলে কন্ট্রোল করা সম্ভব নয়। অটিজম আক্রান্ত বাচ্চাদের নিজের খেয়াল খুশি মতো চলতে দেওয়া সবচেয়ে ভাল। তাদের উপর জোর করে কোন কিছু চাপিয়ে দেয়া উচিত নয়।

অটিস্টিক শিশু সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ অটিজম কোন বয়সে হতে পারে?

উত্তরঃ অটিজম একেবারে শিশু থেকে হয়ে থাকে। পিতা-মাতা একটু সচেতন হলে খুব সহজেই এ সমস্যা শনাক্ত করতে পারে। এক বছরের বয়সের বাচ্চার মধ্যে যেসব আচরণ স্বভাবে দেখা যায় অটিজম একান্ত শিশুর মধ্যে সে আচরণগুলো অনুপস্থিত থাকে।

প্রশ্নঃ অটিজম সর্বপ্রথম নামকরণ করা হয় কত সালে?

উত্তরঃ অতীতে এই রোগের নাম সম্পর্কে অনেকেরই অজানা ছিল। অনেকেই জানতো না এর রোগ এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে। কিন্তু বর্তমানে প্রায় সবারই এরকম সম্পর্কে জানা। ১৯৪৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স নামক হাসপাতালে মানসিক চিকিৎসক ডক্টর লিও ক্যানার এর রোগের নামকরণ করেন।

প্রশ্নঃ অটিস্টিক শিশুরাকত ভাগ পুরুষ?

উত্তরঃ অটিস্টিক শিশুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষ হয়। প্রতি ১৮ জনে পুরুষের সংখ্যা ১৭ জন। আর মেয়েদের সংখ্যা ১ জন। সেজন্য বলা বাহুল্য যে এই রোগ পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

প্রশ্নঃ কোন দেশে অটিজমের হার বেশি?

উত্তরঃ অটিজমের হার সবচেয়ে বেশি কাতারে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আরব আমিরাত। কাতারে প্রতি ১০০০০ জনে ১৫১ জন অটিজম রোগে আক্রান্ত। উন্নত দেশগুলো তে অনুন্নত দেশগুলোর তুলনায় অটিজমের সংখ্যা অনেক বেশি।

অটিজম কি বংশগত

আমাদের দেশে অনেকেরই ধারণা এ রোগ বংশগত বা বাবা-মার কোন পাপ বা অভিশাপের কারণে হয়ে থাকে। কিন্তু চিকিৎসকরা গবেষণা করে বলেছেন এটি কোন বংশগত রোগ নয় এবং বাবা-মার দোষের কারণেও হয় না। এ সমস্যার জন্য বাবা-মা কাউকেই দায়ী করা যায় না। তবে বাবা-মায়ের বয়সের তারতম্যের সাথে কিছুটা সম্পর্ক রয়েছে অটিনামের। এ রোগের কারণ হিসেবে অনেক সময় বাবার বয়সকে বেশি দায়ী করা হয়।

অটিজম প্রতিরোধ করতে যা করণীয়

অটিজম মানসিক ও স্নায়বিক বিকাশজনিত রোগ সেজন্য এটি প্রতিরোধ করতে সচেতনতায় হচ্ছে একমাত্র মোক্ষম উপায়। অটিজম করতে বর্তমান সরকার এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। অটিজমের সমস্যা শুরু হয় প্রথমত মায়ের গর্ভ থেকে। গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মহিলাকে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম, দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা, শিশুর সাথে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করা ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

মহিলাদের বেশি বয়স হয়ে গেলে বাচ্চা না নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কেননা বেশি বয়স্ক মহিলাদের গর্ভে এ ধরনের সন্তান জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। গর্ভবতী মায়ের সামনে নেশা জাতীয় কোন দ্রব্য যেমন সিগারেট, গাজা, ইয়াবা ইত্যাদি দ্রব্য পান না করা। এতে করে গর্বের বাচ্চার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

গর্ভকালীন সময়ে কি কি মেডিসিন খাওয়া উচিত এবং কি কি খাওয়া উচিত নয় সে বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ সেবন না করাই সবচেয়ে ভালো। গর্ভকালীন সময়ে ন্যূনতম চারবার চেকআপ করা।

অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতি

অটিস্টিক শিশুদের শিক্ষা পদ্ধতির এমন হওয়া উচিত যাতে করে সেখানে তারা আনন্দের সাথে শিখতে পারে। এসব শিশুদের আচরণগত পার্থক্যের কারণে তাদের উপর জোর করে কোন কিছু শেখানো উচিত নয়। ভালোভাবে বুঝিয়ে শেখাতে হবে যাতে করে তাদের কাছে সে বিষয়টি সহজ হয়ে ওঠে। যেকোনো জটিল বিষয়ে সহজ করে যদি ধাপে ধাপে তাদের শেখানো হয় তাহলে তারা সে বিষয়টি তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করবে এবং আয়ত্ত করতে পারবে।

সামাজিক দক্ষতা অর্জনের পদ্ধতির মাধ্যমে অটিজম শিশুদের শিক্ষাদান করা যায়। এই শিক্ষা দানে তাদের আচরণগত অনেক সমস্যা কমে যাবে। অটিস্টিক শিশুদের সবসময় বেশি যত্ন নেয়া উচিত তাদের কখনোই বোঝা মনে করা উচিত নয়।

লেখকের মন্তব্য

অটিস্টিক শিশুদের প্রতি প্রতিটি বাবা মায়ের সচেতন হওয়া জরুরি। বাবা-মা সচেতন হলে এই সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। অনেক ক্ষেত্রে এসব বাচ্চাদের বোঝা মনে করা হয়। সামাজিক বা মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে এসব বাচ্চাকে কখনোই বোঝা মনে করা উচিত নয় বরং তাদের উপর পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে হবে।

প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url