এলার্জি দূর করার ১১টি কার্যকরী উপায় - রক্তে এলার্জি দূর করার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাকে এলার্জি দূর করার উপায় এবং কোন কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এলার্জি দূর করার উপায়
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন রক্তে এলার্জি দূর করার উপায়, রক্তে এলার্জির লক্ষণ এবং অ্যালার্জি হলে কি কি খাওয়া যাবে ইত্যাদি।

ভূমিকা

মানব দেহে সচরাচর যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে এগুলোর মধ্যে এলার্জি একটি। এ সমস্যা অধিকাংশ মানুষের মধ্যে দেখা যায়। প্রত্যেকের এলার্জির ধরন আলাদা আলাদা। কারো দুধে এলার্জি বা কারো সবজিতে অ্যালার্জি অথবা কারো ধুলোবালিতে। এলার্জির সমস্যা থাকলে মন ভরে খাওয়া দাওয়া করা যায় না। সাধারণত আমরা যেগুলো খাই সেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ খাবারের এলার্জি রয়েছে।


আবার এমন অনেকে রয়েছে যারা বুঝতে পারে না কোন কোন খাবার খেলে এলার্জি হতে পারে। কারণ এলার্জি এমন একটি রোগ যা বোঝার জন্য খাবারগুলো খাওয়া প্রয়োজন। তারপর বোঝা যাবে কোন কোন খাবারে এলার্জি সমস্যা রয়েছে। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো খেলে যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আমরা এখানে কোন কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে সে বিষয়ে আপনাদের সামনে আলোকপাত করবো।

কোন কোন খাবারে এলার্জি রয়েছে

যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে খাবার খাওয়া নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকে। কারণ তারা বুঝতে পারেন না কোন খাবার খেলে এলার্জির সমস্যা হতে পারে। কোন কোন খাবারে এলার্জির পরিমাণ বেশি সেগুলো নিয়ে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

দুধঃ দুধ সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার জন্য দুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই দুধ খেলে অনেকের এলার্জি সমস্যা দেখা দেয়। তিন বছর কম বয়সী বাচ্চাদের গরুর দুধ খেলে এলার্জির সমস্যা বেশি হয়। তবে বড় হওয়ার সাথে সাথে এই অ্যালার্জি কমে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দুধ খেলে এলার্জি কমই দেখা যায়।

ডিমঃ দুধের মত ডিম অধিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি খাদ্য। যা শরীরকে শক্তিশালী করতে এবং শরীরে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে খাওয়া হয়ে থাকে। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সেই ডিম খেলেও এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুধের মত ডিমেও তিন বছর বয়সী বাচ্চাদের এলার্জি সমস্যা হয়। ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি সেজন্য এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের ডিম খেলে এলার্জি হয় তাদের ডিম না খাওয়াই ভালো।

গমের আটা বা ময়দাঃ গমের ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার ভাতের পরে প্রধান খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। গমের ময়দা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা হয়ে থাকে। এই গমে আবার অনেকের এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। গমের ময়দা দিয়ে তৈরি যে সকল খাবার সেগুলো খেলে যদি এনার্জি সমস্যা হয় তাহলে সেগুলো বর্জন করাই ভালো। এছাড়াও শিশুদের যদি গমে এলার্জি থাকে তা হলে বার্লি বা অন্যান্য শস্য দানায় ও এলার্জি দেখা দিতে পারে।


গাছবাদামঃ বাদাম অনেকের পছন্দের একটি খাবার। বাদাম আমরা যে কোনভাবে খেয়ে থাকি। এটি সরাসরি খাওয়া যায় এবং বিভিন্ন রেসিপিতে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহার করা হয়। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট, পেস্তা বাদাম এবং ব্রাজিল নাট এ ধরনের গাছবাদামেও অনেকের এলার্জি সমস্যা হয়ে থাকে। তবে এর মধ্যে কোন একটিতে যদি কারো অ্যালার্জি হয় তাহলে মনে করবেন না যে সবগুলোতেই হবে।

শেলফিশঃ শেলফিশ বলতে সে ধরনের মাকে বোঝায় যেগুলোর গা শক্ত খোসা বা আবরণ দ্বারা ঢাকা থাকে যেমন চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার ইত্যাদি। এই মাছগুলো খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দেয় প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের। এগুলোর নাম শুনলেই বোঝা যায় এগুলো এলার্জিযুক্ত মাছ।

চিনা বাদামঃ সবার সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়ে থাকে চিনা বাদাম। এ বাদামগুলো দেখতে ছোট হলেও খেতে খুব সুস্বাদু। এই বাদাম খাওয়ার পরেও এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই বাদাম খেলে যাদের এলার্জির সমস্যা হয় তাদের খাওয়ার সাথে সাথে এলার্জি দেখা দেয়।

সয়া জাতীয় খাদ্যঃ সয়া জাতীয় খাবারে বড়দের তেমন এলার্জি সমস্যা হয় না, কিন্তু এটি শিশুদের এলার্জি সমস্যা তৈরি হতে পারে। সয়া জাতীয় খাবার যেমন সয়াবিন, সয়া মিট এবং সয়া মিল্ক ইত্যাদি। এ জাতীয় খাবারের তিন বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের সমস্যা বেশি হয়। তবে বয়স বেশি হলে আস্তে আস্তে কমে যায়।

মাছঃ কিছু কিছু মাছে অনেকেরই এলার্জি হয় যেমন- স্যালমন, টুনা, ম্যাক্রোল জাতীয় সামুদ্রিক মাছ। এ ধরনের মাছ খেলে যাদের অ্যালার্জি সমস্যা হয় তারা এগুলো মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সালফাইটঃ যেগুলো খাবারের রং ভালো হয় না সেই খাবারগুলোকে সুন্দর রং দেওয়ার জন্য সালফাই ব্যবহার করা হয়। এই সালফেট থেকেও অনেকের এলার্জি হয়ে থাকে।

ফল ও সবজিঃ ফল ও সবজি দুটোই শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কিন্তু কিছু কিছু ফল ও সবজি রয়েছে যেগুলো খেলে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফল বা সবজি থেকে একজনের সমস্যা দেখা দিলে সবার সমস্যা হবে এমনটি নয়।

মাংসঃ মাংস আমাদের সবারই প্রায় পছন্দের। মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দের মাংস হচ্ছে গরুর মাংস। এই গরুর মাংস খেলে অনেকের এলার্জি সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়াও হাঁসের মাংস খেলেও এলার্জি সমস্যা তৈরি হয়।

এলার্জি কমানোর উপায়

যাদের অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের খুব সাবধানে এবং চলাফেরা করতে হয়। একটু এদিক সেদিক হয়ে গেলে এলার্জি দেখা দেয়। এলার্জি একটি বিরক্তিকর সমস্যা। এলার্জি থেকে মুক্তি পেতে হলে কয়েকটি উপায় অবলম্বন করতে হবে যেমন-

আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল সিডার ভিনেগার-এ রয়েছে অ্যাসিটিক এসিড যা এলার্জিজনিত চুলকানি দূর করতে সহায়তা করে। তবে ব্যবহার করার আগে জেনে নিতে হবে এই জিনিসটিতে আপনার এলার্জি সমস্যা তৈরি হয় কিনা। তাহলে এটি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল-এ রয়েছে ময়েশ্চারাইজিং যা এলার্জি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। নারিকেল তেল অ্যালার্জিজনিত চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। নারিকেল তেল কুসুম কুসুম গরম করে এলার্জির জায়গায় লাগালে ভালো কাজ দিয়ে থাকে।

এলোভেরা জেলঃ ত্বকের এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মোক্ষম উপায় হচ্ছে অ্যালোভেরা জেল। এটি ত্বকে বিভিন্ন কারণে হওয়া জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি হতে ত্বককে আরাম দিয়ে থাকে। সতেজ এলোভেরা ত্বকে লাগালেই এর ফলাফল বোঝা যায়।

গোলাপজলঃ গোলাপজল চোখের এলার্জি দূর করতে অধিক কার্যকরী। এটি চোখের এলার্জির প্রিভেন্টিভ হিসেবে কাজ করে থাকে। চোখে এলার্জি দেখা দিলে দুই থেকে তিন ফোঁটা করে গোলাপজল দিলে এটি দূর হয়ে যায়। তবে চোখে গোলাপ জল দেওয়ার পর কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ রাখতে হবে।

ঠান্ডা পানিঃ চোখের এলার্জি দূর করার জন্য ঠান্ডা পানির কোন তুলনা নেই। এলার্জির কারণে চোখ ফুলে গেলে বা লাল হয়ে গেলে বারবার ঠান্ডা পানির ঝাপটা চোখে লাগান। তাহলে এলার্জির প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসবে।

আমলকি ও মধুঃ আমলকির গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এটি নিয়মিত খেলে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম মজবুত হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও এটি শরীরে এলার্জির সমস্যা দূর করতে অধিক কার্যকরী।

সায়েনিঃ সায়েনি হচ্ছে এক রকমের হাব। এটি দেখতে অনেকটা মরিচের মত। এটি শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। সেজন্য শরীরে এলার্জি সমস্যা তৈরি হতে দেয় না।

পরিছন্নতাঃ এলার্জি সমস্যা দূর করতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই জরুরী। সেজন্য ঘর ও বিছানা সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। কারণ ধুলাবালি থেকে এলার্জি সমস্যা তৈরি হয় এবং সমস্যা বৃদ্ধি পায়।

পেয়ারাঃ ঠান্ডা জাতীয় এলার্জি সমস্যা দূর করতে হলে নিয়মিত পেয়ারা খান। কারণ পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন সি যা এলার্জি দূর করতে সাহায্য করবে।

ঘিঃ ঠান্ডা জনিত এলার্জি দূর করার জন্য বিশুদ্ধ ঘি খাওয়া অতি প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন এক চা চামচ ঘি খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর হবে সেই সাথে এলার্জি রোগ।

কালোজিরাঃ কালোজিরাকে সর্ব রোগের মহা ঔষধ বলা হয়। এটি নিয়মিত খেলে ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন দূর করে তেমনি এলার্জি সমস্যা দূর করে থাকে।

রক্তে এলার্জি দূর করার উপায়

এলার্জি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কারো নাকে এলার্জি থাকে কারো চোখে কারো রক্তে আবার কারো শরীরে। আমরা এখানে রক্ত এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেই-

এলার্জি যুক্ত খাবার বন্ধ করাঃ এলার্জি দূর করতে হলে প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে এলার্জি যুক্ত খাবার বন্ধ করা। অনেক সময় এলার্জি দূর করার জন্য ওষুধ খেলেও তা সম্পূর্ণভাবে কাজ করে না। সেজন্য আমাদের উচিত যেগুলো খাবার খেলে এলার্জি হয় সেগুলো থেকে দূরে থাকা।

ধুলাবালি সংস্পর্শে না যাওয়াঃ ধুলোবালিতে প্রচুর পরিমাণে এলার্জি রয়েছে। ধুলাবালি থেকে নাকের, চোখের, ত্বকের সব ধরনের এলার্জি হয়। সেজন্য ধুলোবালি থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন।

হলুদ ও মধুঃ রক্তের এলার্জি দূর করার জন্য হলুদ ও মধু অত্যন্ত কার্যকরী। হলুদ ও মধু একসাথে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে এলার্জির প্রকোপ অনেকাংশেই কমে যায়।

আদা চাঃ আদা চা’এ রয়েছে এন্টিহিস্টামিন বৈশিষ্ট্য যা ঠান্ডাজনিতে সমস্যা এবং এলার্জির সমস্যা দূর কর। এছাড়াও আদার রস মিশানো কুসুম গরম পানি নিয়মিত খেলে শরীরে এলার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করে।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারঃ রক্তে এলার্জি দূর করার জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অধিক প্রয়োজন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। কারণ এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে এন্টিএক্সিডেন্ট। সেজন্য এলার্জি সমস্যা দূর করতে হলে যেগুলোতে ভিটামিন সি রয়েছে সেগুলো খাওয়া বেশি প্রয়োজন।

রক্তে এলার্জির লক্ষণ

প্রত্যেক রোগেরই লক্ষণ থাকে। এলার্জির ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে এটি এলার্জি। আমরা এখানে রক্তের এলার্জির কয়েকটি লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেই লক্ষণগুলো-

যেগুলো খাবারে এলার্জি রয়েছে সেগুলো খাবার খাওয়ার পর যদি দেখেন ত্বকের র‌্যাস বের হয়েছে তাহলে বুঝবেন এটি এলার্জি। ধুলাবালিতে গেলে ঘনঘন হাঁচ্চি হলে বুঝে নিবেন এটিও এলার্জির লক্ষণ। শরীরে এলার্জি হলে শরীর চাকা চাকা হয়ে যায়। পুরো শরীর চুলকানো শুরু করে। নাক দিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি ঝরে। তলপেটে ব্যথা অনুভব হয় সেই সাথে বমি হয়।

এলার্জি হলে কি কি খাওয়া যাবে

অনেকের মধ্যে এলার্জি সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যায় বেশিরভাগ মানুষই নাজেহাল হয়ে পড়ে। তারা বুঝতে পারে না কি খেলে এলার্জি হবে না বা দুর হয়ে যাবে। এলার্জি হলে কি কি খাওয়া যাবে সে বিষয়ে আমরা আপনাদের সামনে আলোকপাত করবো তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক-

টক দইঃ টক দই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। টক দইকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বলা হয় যা শরীরের বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ করতে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে টক দই। এটি এলার্জির সমস্যাও কমাতে সাহায্য করবে।

ভিটামিন সি যুক্ত ফলঃ যেকোনো সমস্যাতে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খাওয়া প্রয়োজন। কারণ এসব ফলে থাকে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ বিরোধী ক্ষমতা। এটি চুলকানি ও এলার্জির মত সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে।

বায়োফ্লাভোনয়েড সমৃদ্ধ খাবারঃ বায়োফ্লাভোনয়েড হচ্ছে এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান। বায়োফ্লাভোনয়েড সমৃদ্ধ খাবারগুলো ত্বকের এলার্জি ফুসকুরি ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবারঃ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এ ধরনের খাবার খেলে শরীরে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। কারণ এগুলোতে রয়েছে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার মত ক্ষমতা।

প্রতিবেদকের মন্তব্য

উপরে আলোচনার মাধ্যমে এলার্জি দূর করার উপায় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছে। আপনি যদি ঘরোয়াভাবে এলার্জি দূর করতে চান তাহলে এই উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারেন। প্রিয় পাঠক আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের কাছে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url