রান্নায় কোন তেল ভালো ও স্বাস্থ্যকর - মেয়েদের চুলের জন্য কোন তেল ভালো জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি রান্নায় কোন তেল ভালো প স্বাস্থ্যকর ও সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এই আর্টিকালের মাধ্যমে আমরা আপনাকে রান্নার জন্য কোন তেল ভালো ও স্বাস্থ্যকর এবং মেয়েদের চুলের জন্য উপকারে কোন তেল এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

রান্নায় কোন তেল ভালো ও স্বাস্থ্যকর
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন শরীরে মাখার জন্য কোন তেল ভালো, রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা এবং ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি।

ভূমিকা

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রান্নাবান্নায় তেলের ব্যবহার অপরিহার্য। কেননা তেল ছাড়া রান্না কল্পনা করাই যায় না। বিশেষ করে যেকোনো ধরনের ভাজি করার জন্য তেল আবশ্যিকভাবে প্রয়োজন। তেল যেমন রান্নার স্বাদ বাড়াতে কাজ করে তেমনি এই তেলের কারণে স্বাস্থ্যের নানা রকম ঝুঁকি হয়ে থাকে। সেজন্য তেল সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা খুবই জরুরী।


বিশেষজ্ঞরা বলেন আমাদের শরীরে হাজারো রোগের বাসা তৈরি হয় এই তেলের কারণে। সেজন্য স্বাস্থ্য সচেতন লোকেরা স্বাস্থ্যসম্মত তেল খোঁজে। রান্না করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল রয়েছে যেগুলো পরিশোধিত এবং অপরিশোধিত দুই ভাবে পাওয়া যায়। পরিশোধিত তেল তো অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো কিন্তু অপরিশোধিত তেল স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

আজ আমরা এখানে রান্নার জন্য কোন তেল ভালো হবে সে বিষয়ে আলোচনা করব। কিছু কিছু তেল রয়েছে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তেল সম্পর্কে অনেকেরই ভুল ধারণা রয়েছে, অনেকে মনে করেন তেল ছাড়া রান্না করলে শরীর সুস্থ থাকবে। কিন্তু এই ধারণাটি বিশেষজ্ঞরা ভুল প্রমাণিত করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন স্বাস্থ্যকর তেলে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড।

যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে, ইমিউনিটি সিস্টেমকে উন্নত করে, হরমোন তৈরি করে ইত্যাদি। সে জন্য আমাদের উচিত রান্নায় স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করা। তবে তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যেমন যেগুলো তেলের স্মোকিং পয়েন্ট কম সেগুলো হালকা তাপে রান্না করতে হবে এবং যেগুলো তেলের স্মোকিং পয়েন্ট বেশি সেগুলো উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা যাবে।

রান্নায় কোন তেল ভালো এবং স্বাস্থ্য উপকারী

প্রতিদিন রান্নাবান্নায় আমাদের তেল ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই সাথে আমাদের‌ সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করা আরো বেশি প্রয়োজন। তাই এমন তেল আমাদের বেছে নিতে হবে যেগুলো আমরা রান্নায় ব্যবহার করতে পারি এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয়। আজ আমরা এখানে রান্নায় কোন তেল ভালো এবং স্বাস্থ্য উপকারী সেরকম কয়েকটি তেল আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

সরিষার তেলঃ প্রাচীনকাল থেকে রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। সরিষা বীজ থেকে তৈরি করা হয় এই তেল। সরিষার তেলের স্মোকিং পয়েন্ট বেশি সেজন্য এটি উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করতে পারেন। সরিষার তেল স্বাস্থ্যকর একটি তেল। সরিষার তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

এটি পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। সরিষার তেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম এজন্য এটি হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত এই তেল রান্নায় ব্যবহার করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়াও সরিষার তেলে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফাটি এসিড এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড যা মস্তিষ্ক বিকাশের জন্যখুবই প্রয়োজন।

তবে সরিষার তেলে ভালো গুনাগুণের পাশাপাশি সামান্য কিছু খারাপ গুণ রয়েছে সেগুলো হল সরিষার তেলে ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে ৩৬ শতাংশ যা বেশি পরিমাণে খেলে কিডনির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

অলিভ অয়েলঃ জলপাই থেকে তৈরি হয় এই তেল। সৌখিন রান্নাবান্নার জন্য এশিয়ার দেশগুলোতে এটি ব্যবহার করা হয়। এই তেলটি খুবই স্বাস্থ্যকর। তবে এশিয়ার তুলনায় ইউরোপে এই তেলের ব্যবহার অনেক বেশি। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে জলপাই তেল বা অলিভ অয়েল রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।

যদিও এই তেলের মূল্য অন্যান্য তেলের চেয়ে অনেক বেশি তবে সুস্থতার কাছে এটা কিছুই নয়। জলপাই তেলে রয়েছে মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। অলিভ অয়েল ওজন কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং ফিটনেস ধরে রাখতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েললে স্মোকিং পয়েন্ট উচ্চমানের সেজন্য এটি উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করা যাবে।

তিলের তেলঃ তিলের তেল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তিল থেকে তৈরি করা হয় এই তেল। পূর্ব এশিয়া দেশগুলো এবং মধ্যপ্রাশে এই তেলের ব্যবহার অনেক। এই তেলেরও স্মোকিং পয়েন্ট বেশি সেজন্য ভাজি করতে অনেক সুবিধা। এই তেল যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি জনপ্রিয়। মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশী এবং স্যাচুরেটেড কম থাকায় এই তেল হার্টের জন্য অনেক বেশী উপকারী।

এছাড়াও তিলের তেলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি সিক্স এবং কপার। হাড় সুস্থ রাখতে এই তেলের গুরুত্ব অত্যাধিক।

বাদাম তেলঃ বাদাম থেকে তৈরি হয় এই তেল। শখের বসে এই তেল দিয়ে যেটুকু রান্না করা হয় তাছাড়া রান্নায় তেমন একটা এই তেল ব্যবহার করা হয় না। কেননা এই তেল অনেক ব্যয়বহুল। বাদাম তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। এই তেল শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে খুবই কার্যকরী। মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এই তেলেও বেশি রয়েছে।

এই তেল ব্যবহার করলে শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল অপসারণ করে ভালো কোলেস্টেরল উৎপাদন করতে সাহায্য করে। এই তেল হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

নারিকেল তেলঃ চুলের যত্নে নারিকেল তেলকে আমরা সব সময় নির্ধারিত করে থাকি। তবে ডায়েটের জন্য রান্নায় এই তেল ব্যবহারে জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারিকেল থেকে তৈরি করা হয় নারিকেল তেল। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নারিকেল তেল রান্নার জন্য প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। তবে এই তেলের স্যাচুরেটের মাত্রা বেশি থাকায় স্বাস্থ্যের জন্য তেমন একটা উপকারী নয়।

রাইস ব্রান অয়েলঃ ধানের তুষ বা গুড়া থেকে তৈরি করা হয় রাইস ব্রান অয়েল। এই তেলও সয়াবিন তেলের মতই খাবার তেল। এই তেল প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের সমৃদ্ধ এবং ক্ষতিকর কোলেস্টেরল মুক্ত। রান্নার জন্য যে সকল স্বাস্থ্যকর তেল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি তেল। রাইস ব্রান্ড অয়েল হার্টের জন্য খুবই উপকারী।

এই তেলে রয়েছে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান যা শরীর সুস্থ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে এই তোলের ভূমিকা অতুলনীয়। আপনি যদি রান্নার জন্য স্বাস্থ্যকর তেল খোঁজে থাকেন তাহলে এই তেলটিকে বেছে নিতে পারেন। কারণ এই তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা।

সূর্যমুখী তেলঃ সূর্যমুখী তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সূর্যমুখী বীজ থেকে এই তেল তৈরি করা হয়। এই তেলের স্মোকিং পয়েন্ট উচ্চমানের হওয়ায় কোন কিছু ভাজি করতে বেশি ব্যবহার করা হয়। স্বাস্থ্যসম্মত সূর্যমুখী তেল নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য এই তেল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদ্যা।

তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই তেল প্রচুর পরিমাণে না খাওয়াই ভালো। বেশী খেলে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

ক্যানোলা তেলঃ আমেরিকা ও ইউরোপ মহাদেশের সরিষার তেলের মতোই ক্যানোলা বীজ থেকে তৈরি হয় এই তেল। এটি সরিষার তেলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ক্যানোলা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এতে এলো হার্টের জন্য অনেক ভালো। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড থাকায় এটি মানসিক এবং মস্তিষ্ক বিকাশের সহায়তা করে। এই তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যা শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

সয়াবিন তেলঃ বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ সয়াবিন তেল ব্যবহার করে। সেজন্য এই তেলে রয়েছে প্রচুর জনপ্রিয়তা। উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না, ভাজাপোড়া ইত্যাদি খাবার তৈরিতে এই তেল ব্যবহার উপযোগী। এই তেল বেশি ব্যবহার করার অন্যতম কারণ হচ্ছে এটি আমাদের ক্রয় ক্ষমতা মধ্যে। প্রতিদিনের রান্নায় এই তেল পরিমাণ মতো ব্যবহার করতে পারেন।

তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কিছু রোগীদের জন্য এটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ এবং অতিরিক্ত খাওয়ার ফলেও শরীরে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা থাকে।

উপরে আমরা কয়েকটি তেল সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যে তেলটি আপনার কাছে স্বাস্থ্যকর মনে হবে সেই তেল রান্নার জন্য বাছাই করে নিতে পারেন।

শরীরে মাখার জন্য কোন তেল ভালো

শরীরের নিয়মিত তেল মাখা সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা কোন তেল শরীরে মাখলে ভালো হবে। আমরা এখানে শরীরে মাখার জন্য কোন তেল ভালো সে সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোকপাত করবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল শুধুমাত্র চুলের জন্য উপকারী না বরং এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এই তেল শরীরে মাখলে ত্বকের জন্য খুবই উপকার বয়ে আনে। এই তেল নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বক মসৃণ এবং কোমল হয়ে ওঠে

অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েল শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটা নিয়মিত শরীরে মাখলে বিশেষ করে শীতে তাহলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। তবে শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করতে সাহায্য করে।

সরিষার তেলঃ প্রাচীনকাল থেকে মানুষ শরীরে ব্যবহারের জন্য সরিষার তেল ব্যবহার করে আসছে। কেননা এই তেলে রয়েছে অনেক গুনাগুণ। এই তেল শরীরে মাখলে যেমন ত্বকের জন্য উপকারী তেমনি বিভিন্ন রোগের জন্য অনেক উপকারী।

শিয়া বাটার অয়েলঃ যাদের শরীরের ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক তারা নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। এ তেল ব্যবহারে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই তেল ব্যবহার করলে শীতকালে ত্বকের রুক্ষতা থেকে শরীরকে মুক্তি দেয়।

মেয়েদের চুলের জন্য উপকারী কোন তেল

স্বাস্থ্যউজ্জল ও ঝলমলে চুল পেতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্ভর করে তেলের উপর। ভালো তেল ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলের জন্য কোন তেল উপকারী।

আমন্ড অয়েলঃ আমন্ড অয়েল চুল ভালো করতে অধিক কার্যকরী। এই তেলটি হালকা ধরনের যা ব্যবহার করার পর চুল চিটচিটে করে না। আমন্ড অয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা চুলের গোড়াতে পুষ্টি যোগাতে সক্ষম। এটি চুলের আদ্রতা ধরে রাখে এবং চুলের গোড়া মজবুত ও ঝলমলে করে তুলে।

ক্যাস্টর অয়েলঃ চুল পড়া কমাতে এই তেলের কোন তুলনা নেই। যাদের প্রচুর পরিমাণে চুল ওঠে তাদের জন্য এই তেল অনেক উপকারী। শরীরে এমন কিছু হরমোন রয়েছে যেগুলোর কারণে চুল পড়া সমস্যা দেখা দেয়। এই তেল হরমোনগুলোকে দমন করতে সাহায্য করে ফলে খুব সহজে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুতগতিতে হয়ে থাকে।

অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড জাই স্ক্যাল্পকে পুনর্জীবিত করে চুলের গোড়াতে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

তিলের তেলঃ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে এই তেল ব্যবহার করে থাকে। এই তেলের রয়েছে অনন্য গুনাগুণ যা চুলের বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। এই তেল অনেক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। তিলের তেল ব্যবহার করলে মাথায় খুশকি তৈরি হয় না।

রাতে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহারের উপকারিতা

আমরা মুখের বা ত্বকের পরিচর্যার জন্য বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করি। অনেক পণ্য আমাদের মুখের ত্বকে সহ্য করে নিতে পারে আবার অনেক পণ্য ত্বকের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ভুল পণ্য ব্যবহার করলে আমাদের ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। সময়ের আগে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। তবে ত্বককে সুরক্ষা দিতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে মুখে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে ঘুমাতে পারেন।

কারণ অলিভ অয়েলের যেগুলো পুষ্টিগুণ রয়েছে তা ত্বকের বার্ধক্যের ছাপ পড়তে বাধা তৈরি করে। রাতে মুখে অলিভ অয়েল মাখার নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে। যেমন মুখে বলিরেখা পড়তে দেয় না, বয়সের ছাপ পড়া থেকে ত্বককে রক্ষা কর, ত্বক নরম ও মসৃণ করে, ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে, ত্বকে তারুণ্য দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে রাখে এবং ব্রণসহ ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করে দেয়।

সেজন্য আপনি যদি ত্বক ভালো রাখতে চান তাহলে অবশ্যই রাতে ঘুমানোর আগে অলিভ অয়েল মেখে ঘুমাতে পারেন। কয়েকদিন ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন এর ফলাফল। অলিভ অয়েলের যে পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা ত্বককে সুরক্ষিত করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম

আমরা জানি ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েলের কোন তুলনা নেই। কিন্তু কিভাবে ব্যবহার করলে এর সম্পূর্ণ গুনাগুণ পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। তাহলে চলুন ত্বকে অলিভ অয়েল ব্যবহারের নিয়ম গুলো জেনে নিই-
  • কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল হাতে নিয়ে ত্বকের উপর মালিশ করতে পারেন, এতে করে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলত ও বৃদ্ধি পাবে।
  • ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি পেতে যেকোনো ধরনের ফেসপ্যাক এর সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে ব্যবহার করলে দ্বিগুণ উপকারিতা পাওয়া যায়।
  • মাইট ক্লিনজার ব্যবহার করে প্রথমে ত্বক পরিষ্কার করে নিন। তারপর কয়েক ফোটা অলিভ অয়েল হাতের তালুতে নিয়ে ত্বকের উপর ভালোভাবে মেসেজ করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর ভেজা তোয়ালে দিয়ে ত্বক মুছে নিন। এভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের টানটান ভাব দূর হয়ে যাবে।
  • ত্বকের পোড়া ভাব দূর করতে এক কাপ অলিভ অয়েলের সাথে হাফ কাপ লেভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। এরপর ত্বকে টানটান জায়গায় দিনে চার-পাঁচবার লাগাতে থাকুন। এভাবে ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যে দেখতে পাবেন টানটান ভাব দূর হয়ে গেছে এবং ত্বক ও কমল হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদকের মন্তব্য

আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে কোন তেল স্বাস্থ্যের, ত্বকের এবং চুলের জন্য ভালো এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি যদি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কোন তেল আপনার জন্য ভালো হবে। প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url