ইউরোপের কোন কোন দেশে ফ্রিতে পড়াশোনা করা যায়-ইউরোপের কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ

 প্রিয় পাঠক, আপনি কি ইউরোপের কোন কোন দেশে ফ্রিতে পড়াশোনা করা যায় সে বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এয়ার আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে ইউরোপের কোন কোন দেশে ফ্রিতে পড়াশোনা করা যায় এবং কোন কোন দেশে টিউশন ফি অনেক কম সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ইউরোপের কোন কোন দেশে ফ্রিতে পড়াশোনা করা যায়
এ আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন ইউরোপের কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ এবং ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ ইত্যাদি।

ভূমিকা

প্রত্যেক বছর দেশের বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য বিদেশে পাড়ি জমান। উন্নত জীবনযাত্রা এবং শিক্ষার গুণগতমান চিন্তা করে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে ইউরোপের দেশগুলো। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলোতে পড়াশুনার খরচ অনেক বেশি হওয়ায় অনেকের ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন থাকলেও পূরণ করতে পারে না।


কারণ অনেক শিক্ষার্থীর জন্য এটি সাধ্যের বাইরে। কিন্তু খরচের কথা চিন্তা করে থেমে যাবে কি স্বপ্ন এবং পড়াশোনা। আমরা এখানে ইউরোপের কয়েকটি দেশের কথা তুলে ধরব যেখানে টিউশন ফি ছাড়াই উচ্চশিক্ষা অর্জন করার সুযোগ দেয়। তাহলে চলুন সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে জেনে নিতে নিন কোন কোন দেশে টিউশন ফি ছাড়াই পড়াশোনা করতে পারবেন।

ইউরোপের যে দেশগুলোতে ফ্রী পড়াশোনা করা যায়

ইউরোপ মহাদেশের এমন অনেকগুলো দেশ রয়েছে যেখানে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য কোন খরচের প্রয়োজন হবে না। আমরা এখানে সেই দেশগুলো সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোকপাত করবো। তাহলে চলুন জেনে নেই -

জার্মানি

অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিক দিয়ে ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে অন্যতম শক্তিশালী দেশ হিসেবে জার্মানিকে আমরা সবাই চিনে থাকি। জার্মানিতে রয়েছে এমন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো বিশ্বের মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে। জার্মানির প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

যে কারণে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করার জন্য কোন টিউশন ফি প্রয়োজন হয় না। ফলে ইউরোপীয় উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য যে কোন শিক্ষার্থীর পছন্দের প্রথম স্থানে থাকতে পারে জার্মানি এবং এটি হবে শিক্ষার্থীদের সেরা গন্তব্য।

নরওয়ে

নরওয়ে সৌন্দর্যের দিক থেকে প্রথম স্থানে এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক শক্তিশালী একটি দেশ।অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছ নরওয়ে।  ইউরোপের এই দেশে পড়াশোনা করার জন্য কোন টিউশন ফি প্রয়োজন হয় না। কারণ এখানকার প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়।

আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে তেমন খরচ করার প্রয়োজন হয় না। যেসব শিক্ষার্থী এই দেশে পড়তে চান শুধুমাত্র প্রশাসনিক ফি দিয়ে করতে পারেন এদেশটিতে।

সুইডেন

খরচ ছাড়া উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হচ্ছে সুইডেন। এ দেশটিতে শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়। এখানকার শিক্ষার মান অনেক উন্নত। সুইডেনের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের সুযোগ দিয়ে থাকে যা আপনাকে বিনা খরচে পড়ার সুযোগ দিতে পারে।

এতে একজন শিক্ষার্থীর সম্পূর্ণ খরচ ছাড়াই করতে পারে এখানে। এছাড়াও সুইডেনে বিনা খরচে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করতে পারেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা।

চেক প্রজাতন্ত্র

ইউরোপের অন্যতম এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী দেশ হচ্ছে চেক প্রজাতন্ত্র। এখানেও শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে কোন খরচ করার প্রয়োজন হবে না। এ দেশটিতে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য একটি মাত্র শর্ত দেওয়া থাকে আর সেটি হচ্ছে চেক ভাষায় কথা বলতে জানা। এ ভাষায় কথা বলতে জানলে শিক্ষার্থীদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ দেয়া হয়।

অস্ট্রিয়া

অর্থনৈতিকভাবে আরও একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এটি বিশ্বের ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি। এখানকার জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত। এটি আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে অন্যতম গন্তব্য হতে পারে। এদেশের বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় টিউশন ফি মুক্ত।

কোন কোন দেশের টিউশন ফি অনেক কম

উচ্চশিক্ষা অর্জন এবং উন্নত ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু দেশের বাইরে গিয়ে পড়াশোনা করলে অনেক খরচের ব্যাপার। সবার সামর্থ্য সমান নয়। অর্থনৈতিক অবস্থান দুর্বল হলে তাদের পক্ষে বাইরে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করা অনেক কঠিন হয়ে যায়।

কিন্তু তাই বলে কি পড়াশোনা করার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে? আজ আমরা এখানে এমন কয়েকটি দেশের নাম তুলে ধরবো যেখানে অল্প খরচে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার সুযোগ রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক -

ফ্রান্স

আপনি যদি কম খরচে পড়াশোনা করতে চান তাহলে আপনার সঠিক গন্তব্য হওয়া উচিত ফ্রান্স। এই দেশে অল্প খরচে যেমন পড়াশোনা সুযোগ রয়েছে তেমনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ব্যবসায় খাতে আকর্ষণীয় কাজের সুযোগ পাবেন। যেখানে ফ্রান্স সবার পছন্দের তালিকায় প্রথম স্থানে থাকে। এখানে স্নাতক লেবেলে প্রতি বছরে খরচ হতে পারে ২,৭৭০ ইউরো বাংলাদেশী টাকায় যেটি ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। মাস্টার্স লেভেলে খরচ হয় ৩,৭৭০ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা।

জার্মানি

উন্নত ক্যারিয়ার গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য প্রথম পছন্দের তালিকায় একটি দেশের নাম হচ্ছে জার্মানি। এখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য তেমন কোন খরচ হয় না। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি লাগলেও তা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম। জার্মানিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার খরচ প্রতিমাসে ৭২৫ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় ৭৯ হাজার ৯০০ টাকার মতো।

গ্রীস

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছাত্র-ছাত্রীরা খুব কম খরচে পড়াশোনা করতে পারে গ্রীসে। যদিও এই সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয় তথাপি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা খুবই কম খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ পায়।

স্পেন

আপনি যদি অল্প খরচে দেশের বাইরে গিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জন করার চিন্তা করেন তাহলে বেছে নিতে পারেন স্পেন। কারণ এখানেও পড়াশোনার খরচ অনেক কম। সেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য বছরে ১ থেকে ৩ হাজার ডলারের মতো খরচ হয়ে থাকে।

পোল্যান্ড

সাড়ে চারশো বেশি সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে পোল্যান্ডে। বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে পোল্যান্ডে। এ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনরকম ভর্তি পরীক্ষা না থাকায় শিক্ষার্থীরা সাচ্ছন্দের সাথে এখানে পড়াশোনা করতে পারে। এদেশে বিদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা করতে প্রতি মাসে খরচ হয় ৩৫০ থেকে ৫৫০ ইউরো যা বাংলাদেশী টাকায় ৩৩,৭৩৪ থেকে ৫৩ হাজার টাকার মতো।

তুরস্ক

তুরস্কের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ অত্যন্ত কম। এই দেশে পড়াশোনা করার জন্য বিদেশী শিক্ষার্থীকে প্রতিমাসে খরচ করতে হয় আর ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ৬২ হাজার পর্যন্ত।

ইউরোপের কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ

ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে এমন মানুষের সংখ্যা রয়েছে অনেক। তবে সঠিক তথ্য এবং দিক নির্দেশনা খুঁজে না পাওয়ায় অনেকেই বুঝতে পারেন না কোন দেশে যাওয়া সহজ এবং কোন দেশে যাওয়া কঠিন। আমরা এখানে স্টুডেন্ট ভিসায় ইউরোপের যে দেশগুলো সহজে দেওয়া যায় সে সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোকপাত করব তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক-

নেদারল্যান্ড

নেদারল্যান্ড এমন একটি দেশ যেখানে খুব সহজেই স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যায়। এদেশের স্টুডেন্টদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসার সাকসেসের হার ৯৯%। আপনি উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য নেদারল্যান্ডে পাড়ি জমাতে চাইলে অবশ্যই আইএলটিএস কোর্সটি সম্পন্ন করতে হবে এবং আইএলটিএস এর সর্বনিম্ন স্কোর হতে হবে ৬.৫।

এর চেয়ে বেশি হলে সেখানে যাওয়া আরো সহজ হবে। এই দেশটিতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সহজে ভিসা পাওয়া যায় এবং ভিসা নিশ্চিত করা হয় সরাসরি ইউনিভার্সিটি থেকে। সেজন্য ভিসা না পাওয়ার আলাদা কোনো দুশ্চিন্তা থাকে না।

হাঙ্গেরি

প্রতিবছর স্কলারশিপ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে থাকে হাঙ্গেরি। এছাড়াও এদেশে অনেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করার জন্য গিয়ে থাকেন। এদেশের স্টুডেন্ট ভিসার সফলতার হার 95%। এদেশে জব ভিসাতেও অনেক মানুষ সেখানে যায়। এদেশে জব ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। এদেশে যারা চাকরি করেন পারিশ্রমিক কম হলেও এখানকার ভিসা সফলতার হার অনেক বেশি।

ফ্রান্স

স্টুডেন্ট ভিসায় ফ্রান্সে পড়াশোনা করতে যাওয়া অনেক সহজ। তবে এখানে এপ্লাই করার জন্য আইএলটিএস থাকতে হবে তাহলে এপ্লাই করতে পারবেন। তবে এখানেও স্টুডেন্ট ভিসার সফলতার হার অনেক বেশি। ফ্রান্সের জব ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন। এদেশে তেমন একটা জব ভিসায় যাওয়া যায় না।

লিথুনিয়া এবং লাটভিয়া

এই দুইটি দেশ সবচেয়ে বেশি ভিসা প্রদান করে থাকেন স্টুডেন্টদের জন্য। এ দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসায় দেওয়া খুবই সহজ। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ জব ভিসাতেও এ দুটি দেশে গিয়ে থাকেন। এই দেশ দুটিতে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হতে পারে।

ইউরোপের কোন দেশে নাগরিকত্ব পাওয়ার সহজ

কিছু সময় আগে মানুষের আমেরিকা যাওয়ার প্রবণতা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু পালাক্রমে বর্তমানে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এখানকার উন্নত জীবনযাপন, উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা এবং ভালো উপার্জনের জন্য মানুষের এখানে আসার চাহিদা অনেক বেশি। অনেক মানুষ শুধুমাত্র এখানে উপার্জনের জন্য আসে না বরং এখানে স্থায়ীভাবে থাকার জন্যও অনেকে আসেন।

ইউরোপের কিছু কিছু দেশ রয়েছে যেখানে খুব সহজেই নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে যে দেশে নাগরিকত্ব সহজে পাওয়া যায় সে দেশটি হলো ইংল্যান্ড। এখানে পাঁচ বছর অবস্থান করলেই সহজে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। পড়াশোনা করতে গিয়ে পাঁচ বছর থাকলে তারাও খুব সহজে নাগরিকত্ব পেয়ে যান।

বাবা মা বাংলাদেশী হলেও সেখানে জন্ম নেওয়া সন্তানরা খুব সহজেই ব্রিটিশ পাসপোর্ট পেয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশী টাকায় ২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেই খুব সহজে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়। এটি ছাড়াও পর্তুগাল ও গ্রীস এ দুটি দেশও অল্প বিনিয়োগে নাগরিকত্বের সুযোগ দিচ্ছেন। সেখানে সর্বনিম্ন দেড় থেকে দুই কোটি টাকা বিনিয়োগ দেখাতে হয় এবং সেটি যে কোনো খাতে হতে পারে যেমন বাড়ি কেনা বা অন্যান্য খাতে।

ইউরোপের কোন দেশে বেতন বেশি

প্রবাসীরা সবসময় দেশের বাইরে গিয়ে অর্থ উপার্জনের চিন্তা করেন। অর্থ উপার্জনের জন্য অনেকেই ইউরোপের দেশগুলোকে বেছে নেয়। তবে যাওয়ার আগে অনেকেই প্রশ্ন করেন ইউরোপের কোন দেশের সবচেয়ে বেশি বেতন পাওয়া যায়।

জার্মানি

ইউরোপের যে দেশগুলোতে প্রবাসী শ্রমিকদের বেতন বেশি দেওয়া হয় সে দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জার্মানি। জার্মানিতে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারিত হয়ে থাকে ৫০০ থেকে ৬০০ ইউরো। বেতন বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই জার্মানিতে যাওয়ার কথা চিন্তা করেন।

ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডেও প্রবাসী শ্রমিকদের ভালো বেতন দেওয়া হয়। এখানে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয় ৪০০ থেকে ৫০০ পাউন্ড।

নরওয়ে

সবচেয়ে সুন্দর এবং উন্নত দেশ হচ্ছে নরওয়ে। এখানেও প্রবাসী শ্রমিকদের পারিশ্রমিক দেওয়া হয় অন্যান্য দেশে তুলনায় অনেক বেশি। কাজের ধরন অনুযায়ী পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন কর্মীরা। এখানে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন দিয়ে বেতন দেয়া হয় তার পরিমাণ হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ ইউরো।

ইতালি

ইতালি হচ্ছে ইউরোপের ধনী দেশগুলোর মধ্যে একটি। এদেশের পড়াশুনা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা অন্যান্য দেশে তুলনায় অনেক উন্নত। এই দেশে বসবাসের জন্য অনেক ভালো। বিভিন্ন দেশ থেকে বহুসংখ্যক মানুষ কাজ করার উদ্দেশ্যে এদেশে আসেন কেননা এ দেশের ভালো পারিশ্রমিক পাওয়া যায়।

ডেনমার্ক

ডেনমার্কে প্রবাসী শ্রমিকদের সর্বোচ্চ মজুরি প্রদান করা হয়ে থাকে। এখানে যেমন রয়েছে সুযোগ-সুবিধা তেমনি রয়েছে সর্বোচ্চ বেতন প্রদানের নিশ্চয়তা। অন্যান্য দেশের তুলনায় সব থেকে বেশি মজুরি প্রদান করা হয় এদেশে। এদেশের যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে কাজ ও বেতন দেওয়া হয়। এছাড়াও এখানে দক্ষতার উপর ভিত্তি করে বেতন প্রদান করা হয়। এখানে সর্বনিম্ন বেতন ৫০০০ ডলারের মত যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে ৫ লক্ষ টাকার বেশি হয়।

প্রতিবেদকের মন্তব্য

আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশ গমন করে থাকেন। কিন্তু দেশের বাইরে পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখার সাথে সাথে খরচের কথা চিন্তা করে সে স্বপ্ন অনেক সময় ভেঙে পড়ে। উচ্চ শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে তাদের মূল গন্তব্য হয় ভালো কোন দেশ যেখানে শিক্ষা অর্জন করতে তেমন বেশি খরচের প্রয়োজন হয় না। এ সকল সুবিধা ইউরোপের অনেক দেশেই পাওয়া যায়।

আপনি যদি দেশের বাইরে যেতে চান উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য। সেক্ষেত্রে ইউরোপের কোন এক দেশ বেছে নিতে পারেন যেখানে পড়াশোনার খরচ অনেক কম। প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url