কোন কোন খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয় - ত্বক ফর্সা হওয়ার জুস সম্পর্কে জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি কোন কোন খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয় সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে কোন কোন খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয় এবং পানি খেলে ত্বক ফর্সা হয় কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কোন কোন খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয়
এ আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন কোন ভিটামিন খেলে ত্বক ফর্সা করে, ত্বক ফর্সা করার জুস এবং ত্বক ফর্সা করার ট্যাবলেট এর নাম ইত্যাদি।

ভূমিকা

সুন্দর এবং উজ্জ্বল ত্বক কেনা চায়। সুন্দর লাবণ্যময়ী এবং উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কিন কেয়ার করে থাকি দৈনন্দিন জীবনে। স্কিন কেয়ারের মাধ্যমে কি ত্বকের উজ্জ্বলতা সম্পূর্ণরূপে বৃদ্ধি পায়। সম্পূর্ণভাবে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য পুষ্টির প্রয়োজন হয়।


পুষ্টির ঘাটতি না থাকলে ত্বক ভিতর থেকে একেবারে পরিষ্কার হয়ে যায়। আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য খেয়ে থাকি সে সবগুলো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নাও হতে পারে। ত্বকের ট্রিটমেন্ট করে ফর্সা হলে সেটি স্থায়িত্ব বেশি হয় না। কিন্তু পুষ্টির মাধ্যমে বা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করা যায় তবে সেটি হবে দীর্ঘস্থায়ী।

কি কি খাবার খেলে ত্বক ফর্সা হয় এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি মূলতঃ ত্বক ফর্সা করার খাবার নিয়ে। যে খাবারগুলো খেলে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি ত্বক ফর্সা দেখাবে এবং ত্বকের সুস্থতা বজায় থাকবে।

ত্বক ফর্সা করার খাবার

এমন অনেক খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো খেলে শরীর সুস্থ থাকে ও ত্বকের উজ্জ্বলতার বৃদ্ধি পায়। আজ আমরা কোন কোন খাবার খেলে ফর্সা হওয়া যায় সে খাবারগুলো নাম আপনাদের সামনে তুলে ধরব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

ভিটামিন সি জাতীয় ফলঃ ভিটামিন সি জাতীয় ফল যেমন লেবু, জাম্বুরা, মালটা ইত্যাদি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। কারণ এই ফলগুলোতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ভিটামিন সি যুক্ত ফল ত্বক হাইড্রেড রাখে এবং ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই ফলগুলো ত্বকের মেলোনিন কমিয়ে ত্বককে অধিক উজ্জ্বল করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পানিঃ ত্বককে ভালো রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। দিনে অন্তত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা শরীরের জন্য যেমন প্রয়োজন তেমনি ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। পরিমাণ মতো পানি পান করলে ত্বকের মধ্যে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ভাজ হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের কোষের পানি পৌঁছায় যার ফলে ত্বক সজীব হয়ে ওঠে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পানি পান করলে মুখের ত্বকের ব্রণের উপদ্রব কমে যায়।

টমাটোঃ টমাটোতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং বিটা ক্যারোটিন যা ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেয়। এটি ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বক ভালো রাখতে আরো কিছু উপাদান যেমন- ভিটামিন বি-বি ওয়ান, বি থ্রি, বি ফাইভ, বি সিক্স এবং বিনাইন টমেটোর মধ্যে পাওয়া যায়। সেজন্য টমেটো খেলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না

শসাঃ ত্বকের দাগ দূর করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি সেটি হচ্ছে শসা। শসায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে হেলদি এবং গ্লোয়িং করে তোলে। ফেসপ্যাক এ শসা ব্যবহার করা হয় কারণ এতে রয়েছে কুলিং ইফেক্ট যা ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং ত্বকে প্রশান্তি এনে দেয়।

শসা শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনি ত্বকের জন্য। এটি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেকের বিভিন্ন কারণে চোখের নিচে কালো দাগ হয়। সে দাগ তোলার জন্য শসা স্লাইস করে কেটে চোখের নিচে লাগালে ধীরে ধীরে কালো দাগ দূর হয়ে যায়

গাজরঃ গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বিটা করোটিন এটি ত্বকের সুস্বাস্থ্য সেলকে প্রমোট করে ত্বক সুস্থ রাখে। নিয়মিত গাজর খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পায় এবং ত্বককে লাবণ্যময় করে তুলে। গাজর ত্বকে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে।

বাদামঃ আমরা বিভিন্ন ধরনের বাদাম সম্পর্কে জানি যেমন চিনা বাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম আখরোট ইত্যাদি। বাদাম আমাদের সবার পছন্দের তালিকায় থাকে। বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা ডেমেজ হওয়া স্কিন সেলসকে রিপিয়ার করে এবং ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে

বাদাম নিয়মিত খেলে ত্বক যেমন সুরক্ষিত থাকে তেমনি ত্বকের সুস্থতা বজায় থাকে। বাদামে থাকা ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ফাটি এসিড ত্বকের শুষ্কতা কমে আনে এবং সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

পালং শাকঃ পালং শাক সবুজ শাক সবজির মধ্যে একটি। এতে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ যা বলে শেষ করা যাবে না। পালং শাক ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পালং শাকে রয়েছে লুটেইন যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। পালং শাকে আরো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে। যেমন ভিটামিন ই, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে যা ত্বক স্বাস্থ্য উজ্জ্বল করতে খুবই প্রয়োজনীয়।

এটি ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না এবং ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে। এছাড়াও পালং শাক খেলে ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

দারুচিনিঃ দারুচিনি একটি মশলা জাতীয় খাবার যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। দারুচিনিতে উপস্থিত রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের ব্রণ ও ফুসকুড়ি দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

জিরাঃ জিরাও একটি মসলা জাতীয় খাবার। জিরাতে এমন কিছু গুনাগুণ সমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এ বিষাক্ত পদার্থ শরীরে জমে থাকার কারণে ত্বকে ব্রণের সৃষ্টি হয়। ত্বকে ব্রণ তৈরি হলে সুন্দর্য বহুগুণে কমে যায়। ব্রণ ভালো হওয়ার পরেও থেকে যায় ব্রণের দাগ। যা সুন্দর চেহারার উপর অসুন্দরের ছাপ পড়ে যায়। সেজন্য খাবারে তালিকার সাথে জিরাও রেখে দিতে পারেন।


টক দইঃ টক দই এমন একটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার যা উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে থাকে। টক দই এ আছে প্রোবায়োটিক উপাদান যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা হয় যেমন চুলের ত্বকের এবং শারীরিক সুস্থতায়। শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই কার্যকরী টক দই। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল করে তুলবে

আপেলঃ আপেলে রয়েছে অধিক পরিমাণ ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আরও প্রয়োজনীয় উপাদান। এটি তারুণ্য ধরে রাখতে খুবই বেশি কার্যকরী। ত্বকের সুস্থতায় এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় এটি অনেক উপকারী।

কলাঃ কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকের সুন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং সুন্দর্য ধরে রাখতেও সাহায্য করে। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি এটি ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মাছঃ মাছে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা চেহারার বয়সের গতিকে কমিয়ে আনে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড ত্বকের প্রদাহ দূর করে এবং ত্বকের ব্রণ দূর করে দেয়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিডযুক্ত মাছ প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ওমেগা থ্রি থার্টি এসিড যুক্ত মাছ খাওয়া ত্বকের জন্য খুবই ভালো।

গ্রিন টিঃ শরীরকে ভালো রাখার জন্য গ্রিন টি একটি সবচেয়ে ভালো উপাদান। গ্রিন টি শরীরকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করতে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেল হতে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। এটি ত্বকের ডার্ক স্পট কমিয়ে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। বৃদ্ধিতে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডার্ক চকলেটঃ ডার্ক চকলেট এ রয়েছে ফ্লাভানল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা স্কিনকে সুন্দর এবং সুস্থ রাখতে অধিক কার্যকরী। এটি স্কিন কেয়ার অক্সিডেটিভ ট্রেস থেকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি ত্বককে মসৃণ এবং লাবণ্যময়ী করে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

দুধঃ দুধে রয়েছে ল্যাকটিড এসিড জাতককে সুন্দর করতে সাহায্য করে। দূরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা ত্বকের কোলাজেন বুস্ট করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি অকালে বয়সের ছাপ পড়া থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে। প্রতিদিন নিয়ম করে এক গ্লাস দুধ খেলে ত্বক হেলদি এবং গ্লোয়িং দেখাবে।

প্রতিদিন দুধ খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও বহুবণে বৃদ্ধি পাবে কেননা দুধ একটি আদর্শ খাদ্য যা ত্বক এবং শরীর দুটোর জন্যই অনেক উপকারী।

রসুনঃ রসুন এটি মসলা জাতীয় খাবার। এগুলো সাধারণত রান্নাবান্না কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু ত্বকের জন্য রসুনের উপকারিতা অনেকেই জানে না। প্রতিদিন সকালে এক কোয়া রসুন খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় কারণ রসুনে রয়েছে উন্নত মানের স্কিন প্রটেক্টিভ পলি ফেলন।

পাকা পেঁপেঃ পাকা পেঁপে ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পাকা পেঁপেতে রয়েছে এনজাইম যা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের দাগ দূর করতে খুবই কার্যকরী। সেজন্য পাকা পেঁপে খেলে ত্বক যেমন উজ্জ্বল হয় তেমনি ত্বক মসৃণ এবং লাবণ্যময়ী হয়ে ওঠে।

কমলাঃ কমলাতে রয়েছে ত্বক মশ্চারাইজ করার ক্ষমতা। কমলা নিয়মিত খেলে ত্বক মশ্চারাইজ করে তুলে। এছাড়াও কমলাতে থাকা প্রাকৃতিক তেল ত্বকের বলিরেখা থেকে ত্বককে মুক্ত রাখে।

আমলকিঃ ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল করতে চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে আমলকি খান। কারণ আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য খুবই প্রয়োজন।

মিষ্টি কুমড়াঃ মিষ্টি কুমড়া অনেকেরই পছন্দের একটি সবজি। এটি যেমন পুষ্টিকর তেমনি অনেক উপকারী। ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়া সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি এটি ত্বকে বলিরেখো পড়তে দেয় না

মিষ্টি আলুঃ মিষ্টি আলু ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ত্বকের ব্রণ দূর করতে হলে এবং ত্বক সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত মিষ্টি আলু খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। মিষ্টি আলু খেলে ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার থাকে

পানি খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়ঃ আমরা জানি পানির অপর নাম জীবন। পানি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। অনেকের প্রশ্ন পানি খেলে ত্বক ফর্সা হয় কিনা এ সম্পর্কে। পানি শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ত্বক ভালো রাখতে প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি খাওয়া খুবই প্রয়োজন।

পানি কম খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে একটি ব্রণ। পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার ফলে শরীরের বিষাক্ত বা দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায় যার ফলে শরীর সতেজ থাকে। পরিমাণমতো পানি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং কমলতা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। পানি ত্বককে হাইডেটেড রাখতে সাহায্য করে।

ত্বক ডিহাইডেট হয়ে গেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে যাবে এবং ত্বকে শুষ্কতা বেড়ে যাবে। পানি খেলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক সজীব হয়ে উঠবে। সেজন্য বলা যেতেই পারে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পানির কোন বিকল্প নেই।

কোন ভিটামিন ত্বক ফর্সা করে

শরীরকে সুস্থ রাখতে যেমন ভিটামিনের প্রয়োজন তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং সুস্থতার জন্য ভিটামিনের প্রয়োজন অবশ্যিক। ত্বককে ফর্সা করতে যে ভিটামিনগুলোর প্রয়োজন সেগুলো হল- ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে। এই ভিটামিনগুলো ত্বককে ফর্সা করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ত্বকে ভিটামিন এ এর অভাব হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠে। যাদের সোরিয়াসিস এবং ব্রণ রয়েছে তাদেরকে ভিটামিন এ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে বিশেষজ্ঞরা। দুধ, ডিম, হলুদ এবং সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ও কলিজায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। ভিটামিন এ ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে অধিক কার্যকরী।

ভিটামিন সি ত্বকের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এগুলো ছাড়াও অন্যান্য ভিটামিনগুলো ত্বক সুস্থ রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ত্বক ফর্সা হওয়ার জুস

এমন কিছু পানিয় রয়েছে যেগুলো খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি ত্বকের অন্যান্য সমস্যা দূর করতেও অনেক কার্যকরী। যেসব পানীয় ত্বক ফর্সা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেগুলো আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। তাহলে চলুন জেনে নেই-

গাজরের জুসঃ কমলা রঙের গাজরের জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ বলিরেখা দূর করে সেই সাথে ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

বিটরুটের জুসঃ বেগুনি কালার বিটরুটের এক গ্লাস জুসে রয়েছে আয়রন, জিংক, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি এর মত পুষ্টি উপাদান। এগুলো ত্বকের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। এই জুস রক্ত পরিশোধন করে ত্বককে দ্বিগুণ উজ্জলতা দিয়ে থাকে।

টমেটো জুসঃ টমেটোর জুস ত্বকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যাদের শরীরে লোম কুপ বড় হওয়ার সমস্যা তৈরি হয় এ সমস্যা দূর করার জন্য টমেটো জুস খেতে পারেন। এছাড়াও এটি ত্বকের রোদে পোড়াভাব, বলি রেখা এবং ব্রণ দূর করতে খুবই কার্যকরী।

বেদানার জুসঃ বেদানার জুস ত্বক ফর্সা করার জন্য খুবই উপকারী। বেদানার জুস নিয়মিত খেলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া থেকে দীর্ঘদিন দূরে রাখে এবং ত্বকের তারুণ্য দীর্ঘদিন ধরে বজায় রাখে। এটি রক্ত পরিষ্কার করতে এবং ত্বকের কোলাজেন তৈরি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

পালং জুসঃ পালং শাকের জুসও ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যাধিক কার্যকরী। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি,  ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে যা ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

কমলা রসঃ কমলার জুসে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য অন্যতম। নিয়মিত কমলার জুস খেলে এমনি ফর্সা হয়ে যাবে।

ফর্সা হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম

প্রায় মানুষই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ব্যবহার করে ফর্সা করতে চায়। কারণ সেগুলোর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকেনা। কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়া সময় সাপেক্ষ ব্যাপার যা অনেকের কাছে নাও থাকতে পারে। আবার অনেকে খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা হতে চায় সেজন্য তারা প্রাকৃতিক উপাদানের পরিবর্তে ফর্সা হওয়ার ট্যাবলেট ব্যবহার করে থাকে।

আমরা এখানে ফর্সা হওয়ার কয়েকটি ট্যাবলেটের নাম উল্লেখ করব। তাহলে তাহলে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-
  • ভিটামিন ই ক্যাপসুল
  • সাফি ক্যাপসুল
  • Colgan 10mg tablet
  • L-Gluta5 Barry plus+
  • Frozen collagen (2in1)

লেখকের মন্তব্য

উপরের আলোচনায় পরিপ্রেক্ষিতে আপনি ত্বক ফর্সা করার খাবারগুলো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। আমার মনে হয় ত্বক ভিতর থেকে ফর্সা করতে চাইলে পুষ্টিকর এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমেই করা উচিত। তাতে করে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে তেমনি ত্বক অনেক সুন্দর হবে। তবে ট্যাবলেট ব্যবহার করে ফর্সা হতে চাইলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ব্যবহার করাই শ্রেয়।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url