ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম এবং ১৭টি উপকারিতা-কোন রঙের ক্যাপসিকাম বেশি উপকারী

প্রিয় পাঠক, আপনি কি ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম এবং উপকারিতা এবং লাল ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম
এ আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন সবুজ ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা, হলুদ ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্যাপসিকামের দাম ইত্যাদি।

ভূমিকা

ক্যাপসিকাম একটি সবজি জাতীয় খাদ্য যা সাধারণত শাকসবজি ও নুডুলস সজ্জিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এরমধ্যে অনেকে আবার সালাতের সাথে খেতে পছন্দ করেন। চাইনিজ জাতীয় খাবারে ক্যাপসিকাম বেশি ব্যবহৃত হয়। ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উপাদান যা শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সহায়তা করে।


ক্যাপসিকামে ক্যালরির পরিমাণও রয়েছে অনেক কম যা শরীরের কোলেস্টেরল বৃদ্ধি হয় না। শরীরের জন্য যেমন উপকারী চোখের জন্য অনেক উপকারী। ক্যাপসিকাম লাল, হলুদ এবং সবুজ রঙের হয়ে থাকে। ক্যাপসিকাম সমৃদ্ধ এবং ভিটামিন এ ও বিটাকারোটিনের প্রধান উৎস হিসেবে পরিচিত।

পুষ্টিবিদরা গবেষণা করে বলেছে ক্যাপসিকাম শুধুমাত্র খাবারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে করে না বরং এটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবেও অতুলনীয়

ক্যাপসিকামের উপকারিতা

ক্যাপসিকাম শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। স্বাস্থ্যকর খাদ্য হিসেবে ক্যাপসিকামের জনপ্রিয়তা রয়েছে দেশসহ গোটা বিশ্বে। এটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এর রয়েছে নানা ধরনের উপকারিতা। আমরা এখানে ক্যাপসিকাম এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। যাতে করে আপনারা এর উপকারিতাগুলো সম্পূর্ণভাবে জানতে পারেন। তাহলে চলুন এর উপকারিতাগুলো জেনে নেওয়া যাক-

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজন। বয়স বৃদ্ধির সাথে এবং শরীরের বিভিন্ন জটিলতার কারণে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যায়। এই ক্যাপসিকাম দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং কমে যাওয়া দৃষ্টি শক্তি ফিরে আনতে সাহায্য করে। চোখ ভালো রাখতে নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেতে পারেন। কারণ চোখের জন্য এই সবজিটি খুবই উপকারী।

পেটের সমস্যা দূর করেঃ ক্যাপসিকামে উপস্থিত রয়েছে ট্যানিন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিজঅর্ডার যা পেটের বিভিন্ন রোগ সারাতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া, আমাশয়সহ আরো অন্যান্য পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে এই সবজিটি। এটি আলসার হতেও পেটকে সুরক্ষিত রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি শরীরের প্রদাহ দূর করে থাকে।ক্যাপসিকামে থাকা ফ্ল্যাবোনয়েড ফুসফুসের ইনফেকশন হতে রক্ষা করে। দ্রুত শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ক্যাপসিকাম।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ ক্যাপসিকামে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম রয়েছে সেজন্য শরীরে কোলেস্টোলের বৃদ্ধি পায় না। এছাড়াও এটি মাত্রাধিক্য কোলেস্টরেল কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখেঃ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই খাদ্যে ফ্ল্যাবোনয়েড থাকায় হৃদযন্ত্র বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখে হৃদযন্ত্রকে। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেলে হাইপারটেনশন এবং হার্ট রেটকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে।

চুলের গোড়া মজবুত রাখেঃ ক্যাপসিকাম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় এতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে যা চুলের জন্য অতি উপকারী। কোলাজেন নামক উপাদান এই সবজিতে উপস্থিত থাকায় এটি চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া কম করে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে দারুন ভূমিকা পালন করে।

ত্বকের সুস্থতায়ঃ অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি এবং কোলাজেন নামক উপাদান রয়েছে এই সবজিতে। এটি ত্বককে সুস্থ রাখতে অধিক কার্যকরী। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ত্বকের বার্ধকের ছাপ পড়তে বাধা দেয় ক্যাপসিকাম। এটি নিয়মিত খেলে ত্বক সতেজ থাকে।

ব্যথা উপশম করেঃ ক্যাপসিকামকে ব্যথা উপশমকারী ওষুধ বলা হয়ে থাকে। প্রবল ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যায় ক্যাপসিকাম খেলে। শরীরে বিভিন্ন কারণে অস্ত্র পাচারের পর চিকিৎসকরা খাদ্য তালিকায় ক্যাপসিকাম রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ ক্যাপসিকাম এমন একটি সবজির যা সহজে হজমযোগ্য। ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। এটি খেলে শরীরের যেমন পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হবে তেমনি হজম শক্তিও বৃদ্ধি পাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ক্যাপসিকামের গুরুত্বও অত্যাধিক।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের রাখে যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এতে যাদের উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য উপকারী। তারা সবজি বা সালাদের সাথে এটি খেতে পারেন তাহলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে আনেঃ প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে ক্যাপসিকামে যা ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী। ক্যাপসিকামে চর্বির পরিমাণ যেমন কম থাকে তেমনি এটি ফাইবার জাতীয় খাবার হওয়ায় শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সহায়তা করে। এটি পেটের মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ ক্যাপসিকামে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ বিরোধী উপাদানগুলো থাকায় এটি এন্টিক্যান্সার এজেন্ট হিসেবে স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ভালো। এতে থাকা সালফার যৌগ ছাড়াও ক্যারোটিনয়েড লাইকোপেন নামক উপাদান থাকায় শরীরে বিভিন্ন ক্যান্সার হতে শরীরকে মুক্ত রাখে। এছাড়াও এটি ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি হতে বাধা দেয়।

আয়রনের অভাব সংক্রান্ত সমস্যা দূর করেঃ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই সবজিতে। ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণে সহায়তা করে, সেজন্য রক্তস্বল্পতা বা আয়রনের ঘাটতিজনিত সমস্যা দূর করে থাকে ক্যাপসিকাম।

চামড়া পরিষ্কার রাখেঃ ক্যাপসিকাম শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনি বাইরে ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি খেলে চামড়া পরিষ্কার থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের র‌্যাস হওয়া ও ব্রণ প্রতিরোধ করে। চর্মরোগ জনিত সমস্যায় এটি ভালো কাজ দিয়ে থাকে।

হাড় ভালো রাখেঃ ক্যাপসিকামে উপস্থিত ভিটামিন সি শরীরে কোলাযেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা ত্বক সুস্থ রাখে এবং হাড় ভালো রাখে। এটি হাড় ভালো মজবুত রাখে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

ইমিউনিটি সিস্টেমকে উন্নত করেঃ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে ক্যাপ্টিকামে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। ফলে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম উন্নত হয়। যে কোন রোগ সহজে কাছে ঘেষতে পারে না।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনেঃ নিয়মিত ক্যাপসিকাম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। এটি শরীরের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিছু সবজি আছে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাওয়া বারণ কিন্তু ক্যাপসিকাম ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে খেতে পারে এটি তাদের জন্য খুবই উপকারী।

ক্যাপসিকাম খাওয়ার নিয়ম

ক্যাপসিকাম বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় যেমন- নুডুলসের সাথে, বিভিন্ন ধরনের সবজির সাথে, স্যুপ তৈরিতে, বাঁকুড়া তৈরিতে ইত্যাদি খাবারে ব্যবহার করা হয় ক্যাপসিকাম। কিন্তু অনেকেই কিভাবে খেলে এর উপকারিতা ভালোভাবে পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে ধারণা রাখেনা। এটি খাবারের স্বাদ এবং খাবারের সাজসজ্জা ব্যবহার করে থাকে।

এটি বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। তবে যে খাবারই খান না কেন সেটি খাওয়ার আগে জেনে নিতে হবে তার পুষ্টিগুণ এবং কিভাবে খেলে তা সম্পূর্ণভাবে পাওয়া যাবে। ক্যাপসিকাম রান্না করে খেলে সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় না কারণ অতিরিক্ত তাপে রান্না করার ফলে এর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

এর পরিপূর্ণ পুষ্টি তখনই পাওয়া যায় যখন এটি কাঁচা অবস্থায় খাওয়া যায়। সালাদের সাথে ক্যাপসিকাম খেলে সম্পূর্ণভাবে পুষ্টি পাওয়া যায়। তবে হালকা তাপমাত্রায় রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ অটুট থাকে। সেজন্য ক্যাপসিকাম বেশি তাপমাত্রায় না রান্না না করে খাওয়াই ভালো।

ক্যাপসিকাম এর দাম

ক্যাপসিকাম অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি সবজি সেটি আমরা সবাই জানি। বর্তমানে এটাই বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় চাষ করা হচ্ছে। ক্যাপসিকাম চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। এই সবজিটি দেশসহ বিদেশের রপ্তানি করা হয়। পাইকারি বাজারে ক্যাপসিকামের দাম নির্ধারণ করা হয় এক কেজিতে ২০০ টাকা।

খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে এটি ২৩০ থেকে ৩০০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে এই ক্যাপসিকাম। তবে এটি চাহিদা অনুযায়ী একেক এলাকায় একেক রকম দামের হতে পারে। ক্যাপসিকাম বিভিন্ন রকম হওয়ায় দামেরও বিভিন্নতা রয়েছে। প্রত্যেক রঙের ক্যাপসিকামের আলাদা আলাদা দাম ও নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

লাল ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা

ক্যাপসিকাম সুস্বাদু একটি মরিচ জাতীয় সবজি। এটি দেখতে মরিচার মতো হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি সবজি। ক্যাপসিকাম তিন ধরনের রং এর হয়ে থাকে যেমন সবুজ, লাল এবং হলুদ। আমরা এখানে লাল ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক লাল ক্যাপসিকামের উপকারিতা-
  • লাল ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ ধরনের ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে। যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তারা এটি খেতে পারেন তাহলে সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • মানসিক চাপ ক্লান্তি এবং অবসাদ দূর করতে লাল ক্যাপসিকাম এর গুরুত্ব অত্যাধিক। এটি শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • লাল ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।
  • লাল ক্যাপসিকামে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কোলাজেন ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি ত্বক সুস্থ রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে থাকে।
  • চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী এ ধরনের ক্যাপসিকাম। কারণ লাল ক্যাপসিকামে রয়েছে ভিটামিন সি, যা চুলের সুস্থতার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। এটি চুল পড়া কম করে এবং চুল বড় করে। এটি মাথার ত্বক ভালো রাখতেও সাহায্য করে ফলে খুশকি হয় না।
  • লাল ক্যাপসিকাম ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল এবং কঠিন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। নিয়মিত লাল ক্যাপসিকাম খেলে শরীর সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকে এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

সবুজ ক্যাপসিকামের উপকারিতা

সবুজ ক্যাপসিকামে রয়েছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যা শরীরের জন্য অতি প্রয়োজন। এই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উপাদানগুলো শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তাহলে চলুন জেনে নেই সবুজ ক্যাপসিকামের উপকারিতাগুলো-
  • সবুজ ক্যাপসিক্যাম রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে হার্টকে সুরক্ষিত থাকে।
  • সবুজ ক্যাপসিকামে রয়েছে লুটেইন নামক উপাদান যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এই ক্যাপসিকামের গুরুত্ব অত্যাধিক।
  • ফাইবার নামক উপাদান সবুজ ক্যাপসিকামে রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সবুজ ক্যাপসিকামে উপস্থিত ফাইবার পেটের ক্ষুধা কমায় ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। সেজন্য শরীরে ওজনও বৃদ্ধি পায় না। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রতিদিন সবুজ ক্যাপসিকাম খেতে পারেন।
  • সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেজন্য এই ক্যাপসিকাম খেলে উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার এবং হৃদরোগসহ বিভিন্ন কঠিন রোগ থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ কাসিকাম এর উপকারিতা

  • হলুদ ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • এটি ফ্রিরেডিকেলের সাথে লড়াই করে এবং ত্বককে সুস্থ রাখে ও সেল ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।
  • হলুদ ক্যাপসিকামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার শরীরের বিষাক্ত টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
  • উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকায় হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হলুদ ক্যাপসিকাম।
  • এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

লেখক এর মন্তব্য

ক্যাপসিকামের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এটি খাওয়া খুবই প্রয়োজন। তবে ক্যাপসিকাম খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো মেনে খাওয়া উচিৎ, তাহলে সম্পূর্ণভাবে পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে। আপনি যদি সবজি জাতীয় খাবারগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত পুষ্টিগুণ খুজেন তাহলে অবশ্যই ক্যাপসিকাম বেছে নিন। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার পরিবার ও কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url