ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়-ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায়

প্রিয় পাঠক, আপনি কি ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করবে। এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আপনাকে ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায় এবং ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ওজন কমানোর উপায়
এ আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন লেবু খেয়ে ওজন কমানোর উপায়, ওজন কমানোর খাবারের তালিকা এবং মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায় ইত্যাদি।

ভূমিকা

শারীরিক সুস্থতা আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত। দেহের অতিরিক্ত ওজন শারীরিক সুস্থতার জন্য হুমকি স্বরূপ। সুস্থ থাকা একজন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। অতিরিক্ত ওজন যেমন শারীরিক সৌন্দর্যকে নষ্ট করে, তেমনি দিনে দিনে শরীরকে বিভিন্ন রোগের দিকে ঠেলে দেয়। শারীরিক সুস্থতা এবং ফিটনেস সকলেই চায়।


সেজন্য সবাই অতিরিক্ত ওজন কমানোর বিভিন্ন উপায় খুঁজে থাকে এবং যাতে করে সেই উপায়গুলোর মাধ্যমে অল্প সময়ে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়। শারীরিক ফিটনেসসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে ওজন কমানোর প্রয়োজন পড়ে। নিজেকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ রাখার পরেও পাঁচ থেকে ছয় মাস সময়ে ওজন কমানো যায়।

তবে কেউ যদি এক মাস বা তারও কম সময়ে ওজন কমাতে চান তাহলে তার জরুরি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন পড়ে। এগুলো পদক্ষেপ এর মাধ্যমে শুধুমাত্র ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে তা নয় বরং খাদ্য অভ্যাসের এবং জীবন যাপনের অনেক পরিবর্তন ঘটবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যাও কম হয়।

আজকে আমাদের এই প্রতিবেদনটি কিভাবে ওজন কমিয়ে নিজের ফিটনেস ধরে রাখা যায় সেই সম্পর্কে।

লেবু খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

অতিরিক্ত ওজন কমাতে এবং শরীরের মেদ ঝরিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে লেবুর গুণ সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। পানির সাথে লেবু মিশিয়ে পান করলে এটি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকের মধ্যে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা রয়েছে যে লেবু পানি খেলে ওজন দ্রুত কমে যায় কিন্তু অনেকেই আবার মনে করেন লেবু পানি খেলে কি ওজন আসলেই কমে?

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে লেবু পানি খেলে ওজন অনেক কমে যায়। লেবু পানি খাওয়ার কয়েকটি উপায় রয়েছে সেগুলো আমরা এখানে আলোচনা করব। তাহলে চলুন লেবু দিয়ে ওজন কমানোর কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

ওজন কমাতে খালি পেটে লেবু পানি পান করাঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা অনেকেই চা বা কফি পান করে থাকে। কিন্তু সেগুলো শরীরের পক্ষে উপকারের তুলনায় ক্ষতি বেশি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে দিনের শুরু করতে পারেন লেবু মিশ্রিত পানি দিয়ে। খালি পেটে লেবু সাথে হালকা বা কুসুম কুসুম গরম পানি একসাথে খেলে পেটের চর্বি ঝরে যায়।

এটি খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং সারা দিনে যা কিছু খাওয়া হয় তা সহজে হজম হয়ে যায়। লেবু মধু এবং পানি একসাথে মিশিয়ে খেলে ক্ষুধা কম লাগে সেজন্য আবার কম খেতে হয়। আর খাবার কম খেলে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর উপায়

শরীরের অতিরিক্ত ওজন মানুষের জীবনে একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের বেশিরভাগ রোগের মূল কারণ শরীরের অতিরিক্ত ওজন। সেজন্য চিকিৎসকরা সবসময় ওজন নিয়ন্ত্রণের কথা বলে থাকেন। শারীরিক ব্যায়াম ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু অনেকেই ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করে থাকে।

আজ আমরা এখানে ব্যায়াম না করে কিভাবে ওজন কমানো যায় সে বিষয়ে আলোকপাত করব। তাহলে চলুন জেনে নেই ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে-

নিয়ম মেনে খাওয়াঃ আমরা জানি অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সেজন্য নিয়ম মেনে পরিমাণমত খাবার খাওয়ার দিকে মননিবেশ করতে হবে। যেটুকু খাবার শরীরের জন্য প্রয়োজন শুধুমাত্র সেটুকু খাবার গ্রহণ করা উচিত। যেগুলো খাবারে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় অথচ শরীরের কোন উপকার হয় না সেগুলো খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত।

বুদ্ধি করে খাওয়াঃ যে খাবারগুলোতে স্বাস্থ্য উপকারিতা বেশি রয়েছে এবং ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম বুদ্ধি করে সে সকল খাবার খাওয়া প্রয়োজন। অধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ না করা শরীরের জন্য খুবই ভালো। সেজন্য কোন খাবার আপনার শরীরের জন্য ভালো ও উপকারী এবং কোন খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর সে বিষয়ে ভেবে চিন্তে তারপর খাওয়া শুরু করুন।

সঠিক খাদ্য অভ্যাস তৈরি করাঃ আমাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে যারা পছন্দের খাবার ক্ষতিকর হলেও সেটি খাওয়া থেকে বিরত থাকেনা এবং অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়ে থাকে। এইসব কারণে শরীরের ওজন দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পায় যা শরীরের জন্য খুবই হুমকি স্বরূপ। ওজন কমানোর জন্য আমাদের সঠিক খাদ্য অভ্যাস তৈরি করতে হবে। ক্ষতিকর খাবার পছন্দনীয় হলেও সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ফাইবারযুক্ত খাদ্য খাওয়াঃ ওজন কমাতে চাইলে আমাদের বেশি বেশি করে ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ফাইবারযুক্ত খাবার হজম শক্তি বৃদ্ধিতে যেমন সহায়তা করে তেমনি পেটের ক্ষুধা অনেক কমিয়ে দেয়। সেজন্য কম খাবার খাওয়া প্রয়োজন হয়ে থাকে। ফলমূলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। প্রতিদিন নিয়ম করে ফলমূল খেলে ফাইবারের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।

পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ পরিমাণমত পানি পান করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পানি পান করার ফলে শরীরের ক্যালরি কমে যায়। পর্যাপ্ত পানি পান করার ফলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ফলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়াও পরিমিত পানি পান করলে শরীরের ওজন কমে নিয়ন্ত্রণে আসে।

খাবার না খাওয়া এড়িয়ে যানঃ অনেকে মনে করেন খাবার না খেলে বা পরিমাণে তুলনায় অনেক কম খেলে ওজন কমে যাবে। কিন্তু এটি শরীরের জন্য যেকোনো সময় বিপদ বয়ে আনতে পারে। কারণ খাবার কম খেলে শরীরে পুষ্টি ঘাটতি পরবে এবং শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। সেজন্য খাবার না খেয়ে ওজন কমানোর চিন্তা করলে সেটি মাথা থেকে বের করে দিন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং চর্বিযুক্ত খাবার না খাওয়াঃ ব্যায়াম না করে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। যে সব খাবারে শরীর সুস্থ থাকবে সে সব খাবার গ্রহণ করতে হবে এবং যেসব খাবার খেলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমবে সেসব খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়াঃ শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চাইলে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে হবে। প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন- ডাল, ডিম, মাছ ইত্যাদি জাতীয় খাবার ডায়েটের তালিকায় রাখতে হবে। কেননা প্রোটিনযুক্ত খাবার দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুধামুক্ত রাখে এবং পেটের ক্ষুধা অনেক কমিয়ে দেয়।

চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ না করাঃ চিনি শরীরের ওজন বাড়াতে খুবই কার্যকরী। সেজন্য আপনি যদি ডায়েটের মধ্যে থাকেন বা ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে চান তাহলে চিনিযুক্ত খাবার অল্প পরিমাণ গ্রহণ করুন।

বেশি বেশি সালাদ খাওয়াঃ সালাদ শরীরের জন্য অতি উপকারী। বেশি বেশি পরিমাণ সালাদ খেলে যেমন শরীর সুস্থ থাকে তেমনি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতেও সহায়তা করে। সেজন্য খাবারে তালিকায় সবসময় বিভিন্ন ধরণের সালাদ রাখা অত্যন্ত জরুরী।

ওজন কমানোর খাবার তালিকা

ওজন বৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রায় সব মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বোঝা যায় ওজন বৃদ্ধি করা যেমন সহজ তেমনি ওজন কমানো অনেক কঠিন। ওজন কমানোর জন্য অনেক মানুষ বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে। কিন্তু খাবার গ্রহণের মাধ্যমে ওজন কমানো যায় এ বিষয়ে অনেকেই জ্ঞান রাখেনা।

খাবার গ্রহণের ফলে যেমন ওজন বৃদ্ধির পায় তেমনি সে খাবারগুলো মাধ্যমে আবার ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়। তাহলে চলুন কি কি খাবারে ওজন কমে সে তালিকা সম্পর্কে আমরা জেনে নেই-

গ্রিন টিঃ গ্রিন টি একটি পানীয় জাতীয় খাবার যা ওজন কমাতে অত্যাধিক কার্যকরী। কারণ গ্রিন টি’তে রয়েছে ক্যাটেচিন অক্সিডেন্ট যা শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি পান করলে যেমন শরীরের ওজন কমে তেমনি শরীরের অন্যান্য উপকারিতাও পাওয়া যায়।

পানিঃ শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে পানি একটি কার্যকরী উপায়। খাবারের পূর্বে দুই গ্লাস পানি পান করলে শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকার বয়ে আনে এবং শরীরের ক্যালরির পরিমাণ অনেক কমে যায়। সেজন্য নিয়মিত খাবার খাওয়ার পূর্বে পানি পান করা অত্যাবশ্যক।

পেস্তা বাদামঃ ওজন কমানোর জন্য ডায়েটের চাটে পেস্তা বাদাম যোগ করতে পারেন। কারণ পেস্তা বাদামে রয়েছে হেলদি ফ্যাট, প্রোটিন এবং ডায়েটারি ফাইবার। যা শরীরের ফ্যাট কমিয়ে অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং বাদামে থাকা হেলদি ফ্যাট শরীর সুস্থ রাখা এবং হার্ট সুস্থ রাখায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

মাশরুমঃ ওজন কমানোর জন্য খাবারের তালিকার আরো একটি খাবারের নাম হচ্ছে মাশরুম। এটি সহজে হজমযোগ্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মাংস জাতীয় খাবার কম খেয়ে মাশরুম নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে।

অলিভ অয়েলঃ অলিভ অয়েল শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল এর মধ্যে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরের ফ্যাট কমায়। সালাদের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে সালাদের গুনাগুণকে বহু মাত্রায় বাড়িয়ে দিবে।

ব্রকলিঃ ব্লকলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার এবং মিনারেল। এতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম রয়েছে। এটি পেটের ক্ষুধা এবং খাওয়ার ইচ্ছা দুটোকেই প্রতিহত করে। সে জন্য আপনি খাবারের তালিকায় ব্রকলি রাখতে পারেন তাহলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে।

লেবুঃ লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি যেটি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করবে। ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এবং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত লেবু পানি খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে নিয়ন্ত্রণে আসে।

ডিমঃ অনেকে মনে করে ডিম খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় এবং মোটা হয়। কিন্তু ওজন কমাতে ডিম একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ডিম একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যা খাওয়ার পর ক্ষুধা কমে যায় এবং পেট অনেক সময় ধরে ভরা থাকে। প্রতিদিন একটি করে ডিম খেলে যেমন শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি পাবে তেমনি ডায়েটের কারণে পুষ্টি ঘাটতির সম্ভাবনা কমে যাবে।

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

শরীরের অতিরিক্ত ওজনের ফলে পুরুষের তুলনায় মেয়েদের সমস্যা বেশি তৈরি হয়। সেজন্য মেয়েদের ওজন কমানো খুবই জরুরী হয়ে পড়ে। আমরা এখানে মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেই-
  • মেয়েদের ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে খাবার খাওয়ার নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ওজন কমানো।
  • স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার বর্জন করা।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা, কারণ ভিটামিন সি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা যেমন ফলমূল শাকসবজি ইত্যাদি।
  • চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
  • শর্করা জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ না করা।
  • প্রোটিন এবং ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা।
  • পরিমিত পরিমাণ ঘুম ও বিশ্রাম নেওয়া।
  • নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম এবং শরীরচর্চা করা।

ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর প্রতিযোগিতায় আমরা সবাই প্রতিযোগী। ওজন কমানোর জন্য একেকজনের পরিকল্পনা এক এক রকম। ওজন কমাতে গিয়ে কেউ না খেয়ে থাকছেন, আবার কেউ ঘন্টার পর ঘন্টা শারীরিক ব্যায়াম করছেন। ওজন কমানোর জন্য ডায়েট এবং শরীর চর্চার বিকল্প নেই। সেই সাথে ওজন কমাতে সঠিক জীবনযাপন ও ঘুমেরও বিকল্প নেই।

ঘুমিয়েও যে ওজন কমানো যায় এ বিষয়ে অনেকেই চিন্তাভাবনার মধ্যে রাখেন না। সঠিক ঘুম শরীরের ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে বয়সভেদে ঘুমানোর পরিমাণও আলাদা আলাদা। ঘুমিয়ে কিভাবে ওজন কমানো যায় তা জেনে নেওয়া যাক-
  • প্রতিদিন পরিমাণমতো ঘুমালে ২৭০ ক্যালরির মতো ওজন কমাতে সাহায্য করবে। সঠিক ঘুম প্রতিদিন যদি ২৭০ ক্যালরি পরিমাণ ওজন কমায় তাহলে চিন্তা করেন এক মাসে কত ক্যালোরি পরিমাণ ওজন কমতে পারে।
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন একটি করে প্রোটিন শেক খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন তাতে করে পেট ভরা থাকবে এবং মাঝরাতে ক্ষুধাও লাগবে না। প্রোটিনে কার্বোহাইড্রেট এর তুলনায় থার্মোজেনিক অনেক বেশি রয়েছে সেজন্য ঘুমিয়ে বেশি পরিমাণে ক্যালরি কমাতে পারেন।
  • অনেকে ওজন কমানোর জন্য রাতের খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলেন। এটা কোনভাবেই ভালো অভ্যাস নয়। এটি শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। সেজন্য রাতে সঠিক নিয়মে খাবার খাওয়া প্রয়োজন যাতে শরীরের কোন ক্ষতি না হয় এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।
  • রাতে ঘুমানোর সময় কম্বল ছাড়া ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কম্বল ছাড়া ঘুমালে শরীরের তাপমাত্রা কম থাকে এবং কম তাপমাত্রায় বিপাক প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে শরীরের অতিরিক্ত কমে যায়।
  • অন্ধকার ঘুমানো উচিত কারণ অন্ধকারে ঘুমালে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

প্রতিবেদকের মন্তব্য

অতিরিক্ত ওজন নিয়ে প্রতিটি মানুষের সচেতন থাকা উচিত। কারণ অতিরিক্ত ওজন মানুষের বিপদের দিকে ঠেলে দেয়। শরীরে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগ। সেজন্য ওজন নিয়ে সচেতন থাকুন এবং সুস্থ জীবন যাপন করুন। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব কাছের মানুষের কাছে এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url