জয়তুন তেলের ১৮টি উপকারিতা - চুলের যত্নে জয়তুন তেলের উপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি জয়তুন তেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সম্পূর্ণভাবে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে জয়তুন তেলের উপকারিতা এবং চুলের যত্নে জয়তুন তেলের উপকারিতা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
জয়তুন তেলের উপকারিতা
এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন জয়তুন তেল ব্যবহারের নিয়ম, জয়তুন তেলের দাম এবং আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় ইত্যাদি।

ভূমিকা

তেল হচ্ছে আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমাদের শরীরের জন্য যে সকল উপকারী তেল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে জয়তুন তেল অন্যতম। পবিত্র কুরআন শরীফের সূরা ত্বীনের এক থেকে পাঁচ আয়াত এর মধ্যে যে দুটি ফলের কথা উল্লেখ করার রয়েছে সেটি হলো ত্বীন এবং জয়তুন। এই জয়তুন থেকেই তৈরি হয় জয়তুন তেল।


এই জয়তুন তেলের অতিরিক্ত পুষ্টিগুণ থাকার কারণে এটি অনেক পূর্বে থেকে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই তেলটি শরীরের জন্য অত্যাধিক উপকারি। এই তেল যেমন শরীরে ব্যবহার করা যায় তেমনি এটি রান্নাতেও ব্যবহার করা যায়। এই তেল দিয়ে রান্না করা খাবার শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনি অনেক সুস্বাদু।

জয়তুন তেলের পুষ্টি উপকারিতা সকলেই জানে সে জন্য এই তেলের চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক। শিশুদের শরীরের জন্যও এই তেল অনেক উপকারী এটি তাদের শারীরিক বিকাশ সাধনে সাহায্য করে।

জয়তুন তেলের উপকারিতা

জয়তুন তেল আমাদের শরীরের জন্য অতি উপকারী একটি তেল। এ তেল ব্যবহারে আমাদের শরীরের যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় তা নিচে আলোচনা করা হলো। তাহলে চলুন জেনে নেই এই তেলের উপকারিতা-

অতিরিক্ত ওজন কমাতেঃ জয়তুন তেল অতিরিক্ত ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জয়তুন তেল রান্নায় ব্যবহার করলে এবং সে রান্না করা খাবার খেলে শরীরে চর্বি জমতে দেয় না ফলে অতিরিক্ত ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। যারা ডায়েটে রয়েছেন তারা নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় জয়তুনের তেল অত্যন্ত উপকারী। এই তেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে। কারণ এই তেলে সুস্থ রাখা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার উন্নত ক্ষমতা রয়েছে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ জয়তুনের তেল-এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

রক্তস্বল্পতা দূর করেঃ রক্তশূন্যতা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে এই তেলে। রক্তস্বল্পতার সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের মধ্যেই দেখা যায়। নিয়মিত এই তেল খেলে রক্তস্বল্পতা ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে। শরীরের রক্তের পরিমাণ কম থাকলে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে। সেজন্য রক্ত শূন্যতা বা স্বল্পতা দূর করা অতীব প্রয়োজন।

মাতৃত্বজনিত দাগ থেকে রক্ষা করেঃ মহিলাদের গর্ভকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের মাতৃত্বজনিত দাগ তৈরি হয়। এই তেল পেটে নিয়মিত ব্যবহার করলে এই দাগগুলো আর তৈরি হয় না। এই তেল দিয়ে নিয়মিত মালিশ করলে অন্যান্য দাগ দূর হয়ে যায়।

চুলের যত্নে জয়তুন তেলঃ চুলের যত্ন এই তেলের রয়েছে নানা উপকারিতা। দুই হাতের তালুতে তেল নিয়ে মাথায় ভালোভাবে মেসেজ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুলের গোড়া মজবুত করে। নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করলে চুলের সৌন্দর্য দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাবে।

বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় নাঃ আজকাল ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে বয়স বৃদ্ধির প্রয়োজন হয় না। অস্বাভাবিক জীবনযাপন, মানসিক চাপ এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে অল্প বয়সে শরীরে বা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। জয়তুনের তেল খেলে অল্প বয়সে শরীরে বার্ধকের ছাপ পড়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে। কারণ এই তেলে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদান।

শরীরের জ্বালাপোড়া দূর করবেঃ জয়তুন তেল অতিরিক্ত পুষ্টিগুণ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এ ভরপুর। জয়তুন তেল সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু সোনার গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে যা শরীরের জ্বালাপোড়ার ভাব থাকলে কমে যায়।

ত্বক কোমল ও নরম থাকেঃ জয়তুন তেল শরীরে মালিশ করলে ত্বকের বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যায়। এই তেল নিয়ম করে যদি শরীরে মালিশ করা হয় তাহলে শরীরের ত্বক নরম এবং কোমল করে তুলবে। এই তেল ব্যবহারে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ ও বলিরেখা দূর করে।

পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করেঃ জয়তুন তেল দিয়ে রান্না করে খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায়। কারণ এই তেলে রয়েছে রেচক বৈশিষ্ট্য যা খাদ্য হজমে ভূমিকা পালন করে। এই তেল খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও দূর হয়ে যায়।

পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধ করেঃ জয়তুনের সাথে আমাদের পিত্তথলির সাদৃশ্য এবং এর রসের সাথে পিত্তরসের মিল রয়েছে। এটি পিত্তথলির পাথর পাথর হওয়া থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। এই তেল খেলে অনেক সময় পিত্তথলির পাথর অপসারণ হয়ে যায়।

চর্মরোগে রোগের উপকারীঃ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে জয়তুন তেল ব্যবহার করে আসছে। এদের ব্যবহার করলে চর্ম রোগের ভালো উপকার পাওয়া যায়। জয়তুন তেল চর্ম রোগীদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ জয়তুন তেল ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। এই তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি হতে বাধা প্রদান করে। নিয়মিত যদি জয়তুন তেল খাওয়া হয় তাহলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক আকটাই কমে যায়।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারীঃ জয়তুন তেল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। জয়তুন তেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যাধিক ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি ডায়াবেটিক সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আপনার ডায়েটে জয়তুন তেল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিঃ দৈনন্দিন জীবনে নানা কারণে আমাদের দৃষ্টিশক্তি অনেক ক্ষেত্রে কমে যেতে থাকে। জয়তুন তেল ব্যবহারে দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে সে জন্য এ তেল চোখের আশে পাশে ভালোভাবে প্রতিদিন মালিশ করতে হবে।

চোখের ক্লান্তির দূর করেঃ মোবাইল বা কম্পিউটার স্ক্রীনে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে চোখে ক্লান্তি অনুভব হয়। সে জন্য জয়তুন তেল নিয়ে চোখের চারিপাশে মেসেজ করলে সেই ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এটি চোখে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবে সেইসাথে শরীরকে সতেজ করে তুলবে।

হাড় মজবুত করেঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয় যেমন- হাড়ের সমস্যা। এই সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। হাড়ের সমস্যা দূর করার জন্য এবং হাড়কে মজবুত রাখার জন্য নিয়মিত জয়তুন তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারে হাড় শক্তিশালী হবে এবং সুস্থ থাকবে।

সুস্থ মস্তিষ্কের জন্যঃ জয়তুন তেলে রয়েছে পলিফেনল যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। সে জন্য এটি ব্যবহারের ফলে মানসিক চাপ থেকে শরীরকে দূরে রাখে এবং মস্তিষ্ক সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে। এছাড়াও এর তেল ব্যবহার করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

জয়তুন তেল ব্যবহারের নিয়ম

জয়তুন তেল শরীর, চুল এবং ত্বকের জন্য অতি উপকারী। এই তেল বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। আমরা জয়তুন তেলের ব্যবহারের কয়েকটি নিয়ম আপনাদের সামনে তুলে ধরব। তাহলে চলুন নিয়মগুলো জেনে নেই-
  • জয়তুন তেল বিভিন্ন ধরনের রান্নাবান্নায় ব্যবহার করা যায়। এ তেল রান্নায় ব্যবহার করলে রান্নার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এই তেলের রান্না খেলে শরীর সুস্থ এবং সবল থাকবে। কারণ এ তেলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
  • চুলের যত্নে জয়তুন তেল অতি উপকারী। এই তেল ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল পড়া কমে যায়। চুল ঘন ও লম্বা করতে চাইলে এ তেল ব্যবহার করতে হবে। এই তেল ব্যবহারে চুলের সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বজায় থাকে।
  • ত্বকের যত্নে এই ছেলে রয়েছে অনন্য গুনাগুণ। এটি নিয়মিত ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক নরম এবং কোমল হয়। দুই হাতে তালুত নিয়ে মুখে বা শরীরে মেসেজ করতে হবে তাহলে ত্বকের নানা ধরনের উপকার পাওয়া যাবে।
  • এই তেল পুরো শরীরে ভালোভাবে ব্যবহার করলে চর্ম রোগের বিভিন্ন সমস্যাও দূর হয়ে যায়। যাদের চর্ম রোগের সমস্যা রয়েছে তারা নিশ্চিন্তে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ধীরে ধীরে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
  • শিশুদের যত্নেও এই তেল ব্যবহার করা হয়। কেননা এই তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা শিশুদের শারীরিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুদের ত্বকে এই তেল ব্যবহার করলে ত্বক অনেক মোলায়েম হয়ে ওঠে।

জয়তুন তেলের দাম বাংলাদেশ

জয়তুন তেলের দাম বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। আমরা এখানে বাংলাদেশে জয়তুন তেলের দাম কেমন তা উল্লেখ করব।
  • ১ লিটার জয়তুন তেলের কাঁচের বোতলের দাম= ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা
  • ৫০০ গ্রাম জয়তুন তেলের কাঁচের বোতলের দাম= ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা
  • ২৫০ গ্রাম জয়তুন তেলের কাঁচের বোতলের দাম= ৩৭৫ থেকে ৪০০ টাকা
  • ১০০ গ্রাম জয়তুন তেলের কাঁচের বোতলের দাম= ১৫০ থেকে ২০০ টাকা
আমরা এখানে জয়তুন তেলের দামের কিছুটা ধারণা দিয়েছি। তবে গুণগত মান, স্থান এবং এর চাহিদা অনুযায়ী দামে তারতম্য হতে পারে। দাম যেমনই হোক না কেন এই তেলের উপকারিতার কাছে দাম তেমন কিছুই না। তবে জয়তুন তেল কেনার একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে যেমন এর গুণগত মানে দিক যাচাই করা। কেননা অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে বিভিন্ন ধরনের নকল বা ভেজাল তেল বিক্রি করছে।

আসল জয়তুন তেল চেনার উপায়

জয়তুন তেল ব্যবহার করতে হলে সব সময় খাঁটি তেল ব্যবহার করা উচিত। কারণ নকল তেল ব্যবহার করলে শরীরে উপকারের তুলনায় ক্ষতি বেশি হবে। আমরা এখানে খাঁটি জয়তুন তেল চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব তাহলে চলুন জেনে নেই-

আসল জয়তুন তেল চিনতে হলে প্রথম এবং প্রধান উপায়টি হচ্ছে তেলের ঘনত্ব দেখে। তেলের ঘনত্ব দেখার জন্য প্রথমে আপনাকে তেলটির অধিক ঠান্ডাস্থানে বা ডিপ ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। আসল জয়তুন তেল ফ্রিজে রাখলে কখনো সম্পূর্ণভাবে জমে যায় না শুধুমাত্র এর ঘনত্ব বেড়ে যায়। ফ্রিজে রাখার পর যদি আপনি দেখেন তেলটি একেবারে জমে গেছে বা তেলের কোন পরিবর্তন হয়নি তাহলে বুঝবেন সেই তেলটি নকল।

এছাড়াও আসল জয়তুন তেল চেনার উপায় হল তেলের বোতলের গায়ের মেয়াদ দেখে। মেয়াদ যদি বেশী থাকে তাহলে বুঝবেন সেই তেলটি আসল নয়। কারণ আসল জয়তুন তেলে দুই বছরের অধিক মেয়াদ দেয়া থাকে না। জয়তুন তেল চেনার আরেকটি উপায় হল এর দাম দেখে। আসল জয়তুন তেলের দাম অনেক বেশি। এর দাম বেশি হওয়ার কারণে অনেকে এই তেল মানুষ কিনতে চান না।

সেজন্য বিক্রেতারা কম দামে নকল তেল বিক্রি করে। যখন দেখবেন তেলের দাম তুলনামুলক অনেক কম তখন বুঝে নেবেন এই তেলটি আসল নয়। আরো একটি চেনার উপায় হচ্ছে জয়তুন তেলের বোতল দেখে। এদের সবসময় মোটা কাঁচের বোতলে বিক্রি করা হয়। এই তেল টিন বা প্লাস্টিক বোতলে কখনো বোতলজাত করা হয় না।

জয়তুন তেল সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ জয়তুন তেল মুখে দিলে কি হয়?

উত্তরঃ জয়তুন তেল মুখে দিলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় যেমন ডার্ক সার্কেল, ডেড সেল রিপেয়ার, ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ছোপ ছোপ দাগ দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

প্রশ্নঃঅলিভ অয়েল এবং জয়তুন তেল কি এক?

উত্তরঃ অলিভ অয়েল তৈরি হয় জলপাই থেকে আর জলপাই য়ের আরবি নাম হচ্ছে জয়তুন। সেজন্যই বলা যেতেই পারে অয়েল এবং জয়তুন তেল একই।

চুলের যত্নে যয়তুন তেলের উপকারিতা

জয়তুন তেল চুলের যত্নে অত্যন্ত উপকারী। এটি ব্যবহার বলে চুলে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। জয়তুন তেলের মাধ্যমে চুলের কেমন উপকারিতা পাওয়া যায় জেনে নেওয়া যাক -
  • জয়তুন তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাটি অ্যাসিড রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে । এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল অল্প সময়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
  • জয়তুন তেলে ভিটামিন এ থাকায় চুলকে সিল্কি, নরম এবং মসৃণ করে। এটি ব্যবহারে চুল ঝলমলে এবং উজ্জ্বল দেখাবে।
  • চুল পড়া কমাতে জয়তুন তেলের কার্যকারিতা রয়েছে অনেক। এই তেল হাতে নিয়ে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মেসেজ করলে চুল পড়া কমে যায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
  • এই তেল ব্যবহার করলে মাথার ত্বক ভালো থাকে এবং চুলের খুশকি দূর হয়ে যায়। এছাড়াও এটি ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে।

প্রতিবেদকের মন্তব্য

ত্বক, চুল এবং শরীরের সুস্থতায় অত্যন্ত কার্যকরী জয়তুন তেল। এই তেল ব্যবহার করলে আপনি পাবেন অনেক উপকারিতা। সে জন্য আমাদের নিয়মিত জয়তুন তেল খাওয়া এবং ব্যবহার করা উচিত। প্রিয় পাঠক, আপনার যদি এ আর্টিকেলটি ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url