অপরাজিতা ফুলের ১৪টি উপকারিতা-অপরাজিতা ফুলের চায়ের উপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি অপরাজিতা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে অপরাজিতা ফুলের উপকারিতা এবং অপরাজিতা ফুলের চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চাইলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটির মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অপরাজিতা ফুলের ১৪টি উপকারিতা
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবে অপরাজিতা ফুলের চাষ পদ্ধতি, অপরাজিতা ফুলের চা বানানোর নিয়ম এবং অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি।

ভূমিকা

আল্লাহ তালার সকল সৃষ্টি সুন্দর। এই সুন্দর সৃষ্টিগুলোর মধ্যে ফুল একটি অন্যতম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনে ফুলের গুরুত্ব অপরিসীম। ফুল পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই কঠিন। ফুলগুলোর মধ্যে সুন্দর রঙের একটি ফুল হচ্ছে অপরাজিতা। অনেকের কাছে এটি নীলকন্ঠ নামেও পরিচিত। নীল রং ছাড়াও এই ফুল আরো বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে যেমন সাদা, হলুদ, লাল এবং হালকা বেগুনি।


এই ফুল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এ রয়েছে নানা উপকারিতা। এই ফুলের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর গাছের লতা পাতা এবং শিকড়ের উপকারিতা রয়েছে যা মানবদেহে বিভিন্ন রোগের সমাধানে ম্যাজিক এর মত কাজ করে। এই ফুল দিয়ে তৈরি হয় চা। অপরাজিতা ফুলের চা দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এর রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।

এই চা পান করলে শরীর যেমন চাঙ্গা থাকবে তেমনি শরীরের সুস্থতা বজায় থাকবে। অপরাজিতা ফুল আমরা অনেকেই চিনি কিন্তু এর উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই না জানা। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন মূলতঃ এই ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে।

অপরাজিতা ফুলের উপকারিতা

অপরাজিতা ফুল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। এই ফুল দিয়ে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করা যায় এবং শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করা যায়। তাহলে চলুন অপরাজিতা ফুলের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

লিভারের সুস্থতায়ঃ অপরাজিতা ফুল দিয়ে চা খেলে লিভার সুস্থ থাকে। কারণ এই ফুলে রয়েছে পলিফেলন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড যৌগ যা লিভারের এনজাইম কমাতে সাহায্য করে। সেজন্য অপরাজিতার চা খেলে লিভার সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে। কেননা অপরাজিতা ফুলে রয়েছে লিভার সুস্থ রাখার অসাধারণ গুনাগুন।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ যাদের দুর্বল স্মৃতিশক্তি তারা অপরাজিতা ফুল দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে এটি স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। অ্যালঝেইমার চিকিৎসায় অপরাজিতা ফুল ব্যবহার করে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ এই ফুলে রয়েছে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার অনন্য ক্ষমতা।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়ঃ অপরাজিতা ফুল রক্তে কোলেস্টেরল, এলডিএল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি হার্টকে সুস্থ রাখতে চান তাহলে নিয়মিত অপরাজিতা ফুলের চা খেতে পারেন।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ অপরাজিতা ফুল ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। অপরাজিতা ফুলে রয়েছে অ্যান্থসায়ানিন যা মানবদেহের ফ্রিরেডিকেল তৈরিতে বাধা দিয়ে থাকে। ফলে মরণব্যাধি ক্যান্সার হতে শরীরকে রক্ষা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ অপরাজিতা ফুল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ফুল খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে। সেজন্য ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে এই ফুল খেতে পারেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন।

বয়সের ছাপ পড়তে দেয় নাঃ অপরাজিতা ফুলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। সেজন্য এটি নিয়মিত চায়ের সাথে খেলে বয়সের ছাপ পড়া থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সেই সাথে ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমিয়ে ত্বককে সুন্দর ও লাবণ্যময় করে তোলে।

মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতেঃ অপরাজিতার বীজ এবং শিকড় সমান পরিমাণ নিয়ে ভালো করে বেটে নিয়ে রস বের করে নিতে হবে। সেই রস এক ফোটা নাকে দিলে মাইগ্রেনের ভালো উপকার পাওয়া যায়। এটি মাইগ্রেনের ব্যথা সারাতে খুবই দ্রুত কার্যকরী।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ অপরাজিতা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে ব্যবহার করা হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা চোখের রোগ সারাতে এই ফুল দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছেন। কেননা এই ফুলে যে উপাদান রয়েছে সেগুলো চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

কানের ব্যথা উপশম করেঃ অপরাজিতা ফুলের রস কানের ব্যথা উপশম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কানে ব্যথা শুরু হলে এই রস কানের চারপাশে লাগালে ধীরে ধীরে ব্যথা দূর হয়ে যাবে। আপনি যদি কানের ব্যথার সমস্যায় ভুগেন তাহলে এর ফুলের রস ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ অপরাজিতা ফুলে রেচক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি খাদ্য পরিপাকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ফুলের চা নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও পেটের বিভিন্ন রোগ দূর করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ অপরাজিতা ওজন কমিয়ে শরীর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি ক্ষুধা দমন করে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে ফলে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার ভয় থাকে না।

শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ করেঃ অপরাজিতা ফুল শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে। এই ফুলে থাকা অ্যান্থোসায়ানিনস, প্রোনথো সায়ানিডিনস, কোয়ার্সেটিন এর মত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরের ফ্রিরেডিকেল নিরপেক্ষ রাখতে সাহায্য করে এবং কোষগুলোকে মানসিক চাপ ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

প্রস্রাবের সমস্যা দূর করেঃ অপরাজিতা গাছের মূলের গুড়া প্রস্রাবের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, প্রসাব আটকে থাকা, কম প্রস্রাব হওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে এই গুড়া। মূত্রনালীর পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে এটি।

ক্ষত নিরাময়েঃ ক্ষত সারানোর জন্য অপরাজিতা গাছের মূল ভিনেগার এর সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালে ধীরে ধীরে ক্ষত সেরে উঠবে। এই মিশ্রণটি ক্ষতস্থানে ম্যাজিকের মত কাজ করে থাকে।

অপরাজিতা ফুলের বৈশিষ্ট্য

অপরাজিতা ফুল গাঢ়ো নীল রঙের হয়ে থাকে। এছাড়াও এই ফুল বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। যেমন- সাদা, লাল, হলুদ এবং হালকা বেগুনি ইত্যাদি। নীল রঙের অপরাজিতা ফুলের উপরের অংশ নীল এবং ভেতরের দিকে কিছু অংশ সাদা থাকে। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় সাদা রংয়ের অপরাজিত দেখা যায়। সাদা রংয়ের অপরাজিতাও শরীরের জন্য অতি উপকারী। অপরাজিতা ফুলের গাছ বর্ষাকালে রোপন করতে হয়।


এই ফুলের গাছ লতা জাতীয় গাছের মতো হয় এবং এটি অনেক লম্বা হয়। এই গাছের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শরীরের বিভিন্ন উপকারিতায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ফুল, পাতা মূল ইত্যাদি নানা ধরনের রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও অপরাজিতা ফুল দিয়ে তৈরি করা হয় সুস্বাদু চা যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

অপরাজিতা ফুলের চায়ের উপকারিতা

অপরাজিতা ফুল দিয়ে চা তৈরি করলে এর একটি সুন্দর রং ধারণ করে যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। এই চা দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি মজাদার এবং অত্যন্ত উপকারী। অপরাজিতা ফুলের চা নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরে যে উপকারগুলো মিলবে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
  • অপরাজিতা ফুলের চা নিয়মিত খেলে শরীরের নানা ধরনের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে।
  • অপরাজিতা ফুলের চা-এ রয়েছে এসব বৈশিষ্ট্য যা খাদ্য হজমে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • রক্তে অধিক মাত্রায় চর্বি জমতে বাধা প্রদান করে এই চা।
  • অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় শরীরে বা ত্বকের বার্ধক্যের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করে।
  • মানসিক চাপ, হতাশা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করে অপরাজিতা ফুলের চা।
  • এসিটাইলকোলাইন যৌগ এই ফুলের থাকার কারণে দুর্বল স্মৃতিশক্তিকে উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • নিয়মিত এই চা পান করলে শরীরকে জটিল এবং কঠিন রোগ থেকে রক্ষা করে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী একটি চা, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • অপরাজিতা ফুলের নির্যাস দেহের কিছু কোষের অগ্রগতিকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চর্বি গঠনের প্রক্রিয়াকে ধীর করে থাকে।
  • অপরাজিতা ফুলের চা নিয়মিত পান করলে শরীরে বিভিন্ন কারণে হওয়া জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে।
  • পেটের ক্ষুধা কমে অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
  • শরীরের ক্লান্তি এবং অবসাদ দূর করে।
  • অন্যান্য চা-এর তুলনায় অপরাজিতা চা-এর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি থাকায় এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • এটি শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সতেজ ও চাঙ্গা করে তুলে।
  • প্রতিদিন নিয়ম করে দুইবার এই চা পান করলে ঠান্ডা জনিত সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • অপরাজিতা ফুলের চা ত্বক এবং চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
  • নিয়মিত শরীর চর্চার মত এই চা পান করলে শরীরের নানা ধরনের রোগ এমনি এমনি সেরে যাবে।
  • শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে এবং এটি শরীরে ব্যথানাশক ওষুধের মত কাজ করে।

অপরাজিতা ফুলের চা কিভাবে বানায়

প্রতিটি জিনিস খাওয়ারই একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিয়মের বাইরে খেলে তার পরিপূর্ণ স্বাদ এবং গুনাগুণ কোনটাই পাওয়া যায় না। এখানে আমরা অপরাজিতা ফুলের চা কিভাবে বানানো যায় তা আলোচনা করব। তাহলে চলুন অপরাজিতা ফুলের চা বানানোর নিয়ম জেনে নেই-

অপরাজিতা ফুল দিয়ে চা বানানোর জন্য প্রথমে ফুলকে শুকিয়ে একটি এয়ার টাইট বক্সে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। এরপর চা তৈরীর জন্য দেড় কাপ পরিমাণ পানি মেপে নিতে হবে এবং তার মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি শুকনো অপরাজিতার ফুল দিয়ে দিতে হবে। ধীরে ধীরে এ পানি রং পরিবর্তন হয়ে নীল রং করবে।

নীল রং ধারণ করলে এটি কাপে ঢেলে নিতে হবে। এ চায়ের স্বাদ বাড়ানোর জন্য এর সাথে যুক্ত হতে পারেন লেবু, এলাচ, পুদিনা পাতা ইত্যাদি। তবে নীল রঙের চায়ের লেবুর রস যুক্ত করলে এর রং পরিবর্তন হয়ে মেজেন্ডা রং ধারণ করবে।

অপরাজিতা ফুল গাছের যত্ন

অপরাজিতা ফুলের গাছ লাগানোর পূর্বে এটি চাষ পদ্ধতি এবং গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। গাছের পরিচর্যা ঠিকঠাক না নিতে পারলে সেই গাছ কখনোই ভালো হবে না এবং ভালো ফুল দিবে না। আমরা এখানে অপরাজিতা ফুলের গাছের যত্ন কিভাবে করতে হবে সে বিষয়ে কিছুটা আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেই-
  • অপরাজিতা ফুলের গাছ লাগানোর পূর্বে প্রথমে স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
  • এরপর আপনি যদি টবে লাগাতে চান তাহলে ভালো দেখে একটা টব নির্বাচন করতে হবে।
  • তারপর উপযুক্ত মাটি প্রস্তুত করতে হবে গাছের জন্য কেননা ভালো মাটি ছাড়া ভালো গাছ তৈরি করা সম্ভব নয়।
  • মাটি প্রস্তুত করা হয়ে গেলে সেখানে বীজ লাগাতে হবে এবং এরপর টবটি কয়েকদিন ছায়াতে রেখে দিতে হবে।
  • গাছ বের হওয়া শুরু হলে টবটি হালকা রোদ যেখানে পড়ে সেখানে কয়েকদিন রেখে দিতে হবে এবং তারপর গাছ বড় হয়ে গেলে পণ্য রোদে রাখা যাবে।
  • গাছে সব সময় প্রয়োজন অনুযায়ী পানি দিতে হবে তীব্র খরা হলে বেশি পানি দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়া যেন শুকিয়ে না যায়।
  • মাঝারি আর্দ্রতা এবং কম আর্দ্রতাতে অপরাজিতা গাছ সবসময় বেশি ভালো হয়। এটি সর্বোচ্চ ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বেঁচে থাকে এবং এর বেশি তাপমাত্রা হলে মারা যেতে পারে। তবে ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই গাছের ফুল এবং ফল ভালো হয়।
  • অপরাজিতা গাছ ভালোভাবে বৃদ্ধি এবং ভালো ফুল পাওয়ার জন্য মাঝে মাঝে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।
  • এছাড়া অন্যান্য কিছু সার প্রয়োগ করতে হবে যাতে করে গাছের কোন পুষ্টির ঘাটতি না হয়।

প্রতিবেদকের মন্তব্য

ফুল আমাদের প্রায় সকলেরই পছন্দ। কারণ এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বর্ধনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ফুল যেমন সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম তেমনি ফুলের আবার বিভিন্ন উপকারিতাও রয়েছে যা আমরা উপরে আলোচনায় কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এই উপকারিতা গুলো পেতে চান তাহলে নিয়মিত এই ফুল এবং এই ফুল দিয়ে তৈরী চা খেতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, এ আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url