মাশরুমের ১৫ টি উপকারিতা, পুষ্টিগুণ এবং চাষ পদ্ধতি জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি মাশরুমের উপকারিতা ,পুষ্টিগুণ এবং চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এ আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাকে মাশরুমের উপকারিতা, পুষ্টিগুণ এবং চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মাশরুমের ১৫ টি উপকারিতা, পুষ্টিগুণ
এটি পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন মাশরুমের দাম, মাশরুম খাওয়ার নিয়ম, মাশরুম কোথায় বিক্রি করা হয় ইত্যাদি সম্পর্কে।

ভূমিকা

বাংলাদেশের বেকারত্ব দূরীকরণে, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থান তৈরিতে সম্ভাবনাময় একটি ফসল হলো মাশরুম। মাশরুম চাষ করার জন্য এদেশের মাটি খুবই উপযুক্ত। মাশরুম চাষের জন্য উর্বর মাটির প্রয়োজন হয় না সেজন্য দেশে মাশরুম উৎপাদন যত বৃদ্ধি করা হোক না কেন অন্যান্য ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়া সম্ভাবনা কোনভাবেই নেই।

চাষযোগ্য জমি ছাড়াও বসতবাড়ির অব্যবহিত জায়গায় চাষ করা যায় মাশরুম। অতিরিক্ত জায়গা প্রয়োজন হয় না বলেই যে কেউ চাষ করতে পারে মাশরুম। অধিক খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ মাশরুমে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ এবং স্বাস্থ্য উপকারিতা। মাশরুমে পুষ্টিগুণ অনেক এবং অতিমাত্রায় প্রোটিনের সরবরাহ রয়েছে যা মানব দেহের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

নয়টি অতি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড রয়েছে মাশরুমে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উপাদান যা মানব দেহের জন্য অনেক প্রয়োজন। মাশরুম যেমন শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটায় তেমনি তাদের খাবার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আজ আমরা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে মাশরুম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিব।

মাশরুমের উপকারিতা

মাশরুম শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এটি শরীরে কি ধরনের উপকার করে এ সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই সম্পূর্ণ ধারণা নেই। আমরা এখানে মাশরুমের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মাশরুমের উপকারিতা সম্পর্কে-

চর্মরোগ প্রতিরোধেঃ চর্মরোগ প্রতিরোধ করতে অনেক কার্যকরী এই মাশরুম। মাশরুম ব্যবহার করলে চর্ম রোগের ভালো ফল দিবে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন বি, সি এবং ডি যা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই উপাদানগুলো উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত মাশরুম খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কেননা মাশরুমে রয়েছ কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান।

গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্যঃ মাশরুম গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য অতীব উপকারী। মাশরুমে শর্করা আমিষ চর্বি ভিটামিন ও মিনারেলের দারুন সমন্বয় রয়েছে যা শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেমকে উন্নত করে। মাশরুমে আরো রয়েছে নিয়োসিস, আ্যস করবিক এসিড এবং ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে যা গর্ভে থাকা শিশু এবং গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হাড় মজবুত করেঃ হাড় মজবুত করতে এবং হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মাশরুম। কারণ মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং ফসফরাস। এটি শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে অধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

বহুমূত্রে প্রতিরোধেঃ ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য এটি অনেক উপকারী। বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস বা বহুমূত্রের সমস্যা বেশি দেখা যায়। মাশরুম বহুমূত্র প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। শর্করা বা ফ্যাট জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। কিন্তু মাশরুম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ মাশরুমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ এনজাইম যা খাদ্য পরিপাকে এবং হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুখে রুচি ফিরিয়ে দেয়। এটি নিয়মিত খেলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে পেটকে সুস্থ রাখে।

চুল পড়া এবং অকালপক্কতা দূর করেঃ চুল পড়া এবং চুলের অকালপক্কতা সমস্যা প্রায় মানুষের মধ্যে দেখা দেয়। প্রাকৃতিক দূষণ এবং শরীরে পুষ্টি ঘাটটির অভাবে এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। মাশরুমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ সালফার ও এমাইনো এসিড যা নিয়মিত খেলে অসময়ে চুল পেকে যাওয়া এবং চুল পড়া দূর করে।

দৃষ্টিশক্তি রক্ষায়ঃ দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে কমে যাওয়া এ সমস্যা ও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাশরুম দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ মাশরুমে রয়েছে খনিজ লবণ, যা চোখের দৃষ্টি শক্তি রক্ষায় খুবই কার্যকরী। এছাড়াও এটি চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।

লিভার সুস্থ রাখেঃ ফলিক এসিড, লিংকজাই-৮ রয়েছে মাশরুমে যেটি হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি লিভারের বিষাক্ত পদার্থ বের করে লিভারকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

অ্যানিমিয়া সমস্যা দূর করেঃ বিভিন্ন কারণে শরীরে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি কমে গেলে অ্যানিমিয়া রোগ তৈরি হয়। অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত মাশরুম খাওয়া প্রয়োজন। এটি নিয়মিত খেলে নিয়ে অ্যানিমিয়ার সমস্যা হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধেঃ মাশরুমে বেটা-ডি, ল্যামপট্রল, বেনজো পাইরিন এবং টারপিনয়েড রয়েছে যা ক্যান্সার ও টিউমার ব্যাপকভাবে প্রতিরোধ করতে সক্ষম। গবেষণায় দেখা গেছে যারা মাশরুম বেশি পরিমাণ খেয়ে থাকেন তাদের মধ্যে ক্যান্সার ও টিউমারের রোগের ব্যাপকতা অনেক কম।

কিডনির রোগ প্রতিরোধেঃ মাশরুম কিডনি রোগ ও এলার্জি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে। এতে নিউক্লিক এসিড ও এন্টি অ্যালার্জেন থাকায় এবং সোডিয়াম এর পরিমাণ কম থাকায় কিডনি ও এলার্জির জন্য অত্যন্ত উপকারী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল এবং উচ্চমাত্রা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মাশরুমে মানুষের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনল এবং সেলেনিয়াম নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা মানব দেহের মারাত্মক কিছু রোগ যেমন- স্ট্রোক, স্নায়ুতন্ত্রের রোগ, ক্যান্সার, হৃদরোগ ইত্যাদি হতে শরীরকে রক্ষা করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণেঃ মাশরুম একটি আঁশযুক্ত খাদ্য এবং মাশরুমে ফাইবারের পরিমাণ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এটি খেলে পেট ভরা থাকে এবং ক্ষুধা কমে যায় ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতাও অনেক কম থাকে। মাশরুমে চর্বির পরিমাণ অনেক কম থাকায় এটি খেলে শরীরে চর্বির জমার কোন ঝুঁকি থাকে না ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ত্বকের সুস্থতায়ঃ মাশরুমে ত্বকের জন্য উপকারী যে দুইটি ভিটামিন রয়েছে সেগুলো হল নিয়সিস ও রিবোফ্লাবিন। এটি ত্বকের আদ্রতা বাড়ায় এবং ত্বক নরম ও কোমল রাখে। নিয়মিত মাশরুম খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখে।

কিভাবে মাশরুম চাষ করবেন

বাংলাদেশের খাওয়ার উপযোগী মাশরুম চারটি জাতের হয়ে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশি চাষ করা হয় অয়েস্টার মাশরুম। মাশরুম মূলত সারা বছর চাষ করা যায় তবে শীত ও বর্ষা কালে এর উৎপাদন ভালো হয়ে থাকে। অয়েস্টার বা ঝিনুক মাশরুম চাষ করার জন্য অল্প পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন হয়।

সেজন্য যে কেউ এই মাশরুম সহজে চাষ করতে পারবে। কিভাবে মাশরুম চাষ করা যায় এ সম্পর্কে আমরা নিচে আলোচনা করব। তাহলে চলুন জেনে নেই-

মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয় উপকরণ

মাশরুম চাষ করতে যে উপকরণগুলোর প্রয়োজন হয় সেগুলো হলো স্পন প্যাকেট, পাতলা পলিথিন, ধানের খড়, কাঠের গুড়া, গমের ভুসি, ছিদ্রযুক্ত কালো পলিথিন সিট, হাইড্রোমিটার ঘরের উষ্ণতা ও আদ্রতা পরিমাপের জন্য, বাঁশ, ঘরে আদ্রতা ও উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এন্ড স্প্রে, ছোট চাকু বা ব্লেড, বালতি, জীবাণু নাশক এছাড়াও আরো অন্যান্য কিছু উপকরণের প্রয়োজন পড়ে।

মাশরুম চাষ পদ্ধতি

মাশরুম চাষির জন্য প্রথমে বীজ বা স্পন প্যাকেট সংগ্রহ করতে হবে এবং এ প্যাকেটের দুই পাশে গোল করে কেটে ভালোভাবে চেছে নিতে হবে। এরপর এই প্যাকেটটিকে কিছুক্ষণের জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ডুবিয়ে রাখার তিরিশ মিনিট পর পানি থেকে উঠিয়ে নিতে হবে বীজ বা স্পন প্যাকেটিকে এবং পানি ঝরানোর জন্য দশ মিনিটের মতো উপুড় করে রাখতে হবে।

পানি ঝরে যাওয়ার পরে মাশরুম চাষের জন্য যে নির্ধারিত স্থান রয়েছে সেখানে রেখে দিতে হবে। দিনে তিন থেকে চারবার নিয়ম করে বীজ প্যাকেটের উপর হালকা করে পানি ছিটিয়ে দিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যাতে একবারে শুকিয়ে না যায়। এ প্রক্রিয়ার তিন থেকে চার দিন পর কাটা জায়গা দিয়ে অংকুর বের হওয়া শুরু হবে।

অংকুর বের হলে সেখানেও নিয়মিত পানি দিতে হবে। খাওয়ার উপযুক্ত মাশরুম তৈরি হতে অংকুর বের হওয়া শুরু থেকে ৬ থেকে ৭ দিন সময় লাগে। খাওয়ার উপযুক্ত হওয়ার পর মাশরুমকে গোড়া থেকে কেটে নিতে হবে এবং কাটা জায়গা ভালো করে চেছে রাখলে সেখান থেকে আবার মাশরুম বের হবে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করা হয় ঝিনুক বা অয়েস্টার মাশরুম।

মাশরুম খাওয়ার নিয়ম

মাশরুম এটি উপকারী সবজি জাতীয় খাবার। এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়, যেমন নুডুলস এবং সুপের সাথে। এটি বিভিন্ন ধরনের সবজির সাথে রান্না করে খাওয়া যায়। এটি সরাসরি ভাজি করেও খাওয়া যায়। মাশরুমের ভাজি খেতে খুবই সুস্বাদু। এছাড়াও এটি দিয়ে রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে। মাশরুম দিয়ে চপ এবং কোপ্তা তৈরি করলে খেতে খুবই মজা লাগে।

এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে তরকারি রান্নাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মাশরুম দিয়ে যাই তৈরি করা হোক না কেন সে খাবারেরই স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। মাশরুম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এটি অনেক উপকারী। সেজন্য যদি আপনি নিয়মিত এটি খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা বয়ে আনবে।

তবে এই উপকারিতা শুধুমাত্র চাষ করা মাশরুম থেকেই পাওয়া যায়। যেখানে সেখানে তৈরি হওয়া মাশরুম খাওয়া উচিত নয় কারণ সে মাশরুমগুলো দ্বারা উপকার না হয়ে বরং ক্ষতি হতে পারে।

মাশরুমের দাম

কোন দ্রব্যের দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয় না। বাজারদর বা চাহিদা অনুযায়ী দাম অনেক সময় কম বা বেশি হতে পারে। তবে আমরা এখানে মাশরুমের দামের মোটামুটি কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এখান থেকে আপনি বুঝতে পারবেন মাশরুমের দাম কেমন হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেই-
  • তাজা অয়েস্টার মাশরুমের এক কেজির দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা
  • শুকনা অয়েস্টার মাশরুম এক কেজির দাম ১৪০০ টাকা
  • তাজা বাটন মাশরুমের এক কেজির দাম ৫০০ টাকা
  • শুকনা বা গুড়া বাটন মাশরুমের এক কেজির দাম ৪ হাজার টাকা
  • তাজা কান মাশরুমের দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা
  • শুকনো বা গুড়া কান মাশরুমের দাম ১২০০ টাকা।
তবে মাশরুমের দাম যাই হোক না কেন দামের কথা চিন্তা না করে এটা নিয়মিত খাওয়া উচিত কারণ মাশরুম খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে সেই সাথে অনেক পুষ্টি ঘাটতি পূরণ হবে।

মাশরুম কোথায় বিক্রি করা হয়

বেকার বসে না থেকে ঘরে বসে মাশরুম চাষ করতে পারেন খুব সহজেই। মাশরুম চাষ করার পদ্ধতি জানা এবং পরিকল্পনা গ্রহণের পর অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এই মাশরুম কোথায় বিক্রি করা হয়। আমরা এখানে সেই প্রশ্নের কিছুটা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। মাশরুম যেহেতু একটি সুস্বাদু খাদ্য সেহেতু এটি বড় বড় রেস্টুরেন্টে, সুপার শপে, চাইনিজ রেস্টুরেন্টে মাশরুম বিক্রি করা যায়।

এছাড়াও মাশরুম কাঁচা বাজার, মুদির দোকানে বা বিভিন্ন জায়গায় বসে বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে। মাশরুমের পুষ্টিগুণ জানার ফলে অনেকেই এটি খাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। সে জন্য বিভিন্ন জেলায় জেলায় মাশরুম হাট গড়ে উঠেছে, সেখানে মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সহায়তায় তাজা ও শুকনো মাশরুম বিক্রি করা হয়ে থাকে।

দেশের বাইরেও রপ্তানি করা হয় কাঁচা বা শুকনা মাশরুম। মাশরুম অনলাইনের মাধ্যমেও বিক্রি করা হয়। মাশরুম চাষ করা হলে বিক্রি নিয়ে কোন সমস্যা হবে না কেননা এটি একটি খাদ্য যা অনেকেই পছন্দ করে থাকেন। সেজন্য বসে না থেকে যেখানে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে শুরু করতে পারেন এই মাশরুম চাষ।

চাকরি বা ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারবেন এখান থেকে। গবেষণা করলে দেখা যাবে যে অনেকেরই মাশরুম চাষ করে ভাগ্য বদল হয়েছে।

লেখকের মন্তব্য

মাসরুমকে আমরা সাধারণত ব্যাঙের ছাতা বলে চিনি। এই মাশরুম চাষ করে অনেকেই লাভবান হয়েছেন। সেজন্য আপনি যদি অবসর সময় বসে না থেকে মাশরুম চাষ শুরু করেন তাহলে এটি হতে পারে আপনার আয়ের একমাত্র উৎস। প্রিয় পাঠক, এর আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url