বিলিম্বি ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ - বিলিম্বি ফল খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি বিলিম্বি ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে বিলিম্বি ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগণ এবং বিলিম্বি ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সংক্ষিপ্ত মনোযোগ সহকারী পড়ুন।
বিলিম্বি ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন বিলান্দি ফল কোথায় পাওয়া যায়, বিলিম্বি ফলের চারা গাছ কোথায় পাওয়া যায়, বিলিম্বি খাওয়ার অপকারিতা এবং বিলিম্বি ফলের আচার কিভাবে তৈরি করা যায় ইত্যাদি।

ভূমিকা

কামরাঙ্গার মত দেখতে এই ফলের নাম বিলিম্বি। সবুজাভ বর্ণের লম্বাকার আকৃতি বিশিষ্ট এই ফলটি খেতে অনেক টক। এই ফলটি বন্য পশু পাখির খুবই প্রিয় খাবার। কাঠবিড়ালি ও টিয়া পাখিদের পছন্দের খাবার এটি। বিলিম্বি ফল হরিণদেরও অনেক পছন্দের একটি খাবার। এটি দেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট ও কুমিল্লা জেলাগুলোতে এই ফল বেশি পাওয়া যায়।


এই ফল দিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়। তবে এই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো দিকে রয়েছে। বিলিম্বি ফল ঔষধিগুণ সম্পূর্ণ যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এই ফল অত্যন্ত টক জাতীয় হওয়ায় অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয় এতে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ফলের গাছের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত অনেক ফুল আসে।

এই ফুল থেকে ফল হয়। এর কোন ফুলই নষ্ট হয় না সব খুলেই ফল ধরে। বিলিম্বি গাছে যখন ফল হয় গাছের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত তখন দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে। কেননা এই গাছে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরে। যা প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

বিলিম্বি ফলের উপকারিতা

বিলিম্বি ফল আমাদের মধ্যে অনেকেই চিনেনা বা যারা চিনে তারা এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেনা। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের এই ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক -

সর্দি-কাশিতেঃ সর্দি কাশি নিরাময় করতে বিলিম্বি ফল যথেষ্ট কার্যকরী। সর্দি-কাশি উপশম পাওয়ার জন্য এই ফলটিকে পানির সাথে দিয়ে চুলায় জাল করতে হবে। তারপর সেই জাল করা পানি নিয়মিত সেবন করলে সর্দি কাশি দূর হয়ে যাবে। এই ফলটি টক জাতীয় হওয়ার জন্য সর্দি কাশির দ্রুত উপশম করে থাকে।

চুলকানি নিরাময়েঃ চুলকানি সমস্যা এমন একটি সমস্যা যা শরীরে অস্বস্তি তৈরি করে। শরীর চুলকালে মনে হয় যে কোন উপায়ে এটি দূর করা উচিত। চুলকানি দূর করতে বিলিম্বি পাতার গুনাগুণ অনেক। বিলিম্বির পাতা ভালোভাবে বেটে শরীরে লাগালে চুলকানি দূর হয়ে যায। নিয়মিত কয়েকদিন এভাবে ব্যবহার করলে শরীর থেকে চুলকানি উধাও হয়ে যাবে।

বিষধর প্রাণী কামড়ালেঃ বিষধর প্রাণী কামড় দিলে শরীরে জ্বালা যন্ত্রণা করে বা ঘা হয়ে থাকে। সেই সময় যদি বিলিম্বির পাতা রস করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ বিলিম্বি ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। এই ফলটি নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিস খুব সহজে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে বিলিম্বি ফলের গুরুত্ব অত্যাধিক। যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত এই ফল খেলে রক্তচাপ খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।

চামড়া ফাটা রোধ করেঃ চুলকানি, মামস এবং চামড়া ফাটা দূর করতে বিলিম্বির পাতা ভালো করে পেস্ট করে লাগালে এই সব রোগের সমাধান পাওয়া যায়।

চর্ম রোগেঃ বিলিম্বি ফলের পাতা চর্ম রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এর পাতা ভালো করে বেটে পুরো শরীর লাগালে চর্ম রোগের সমস্যা দূর হয়ে যায়।

বিলিম্বি ফলের পুষ্টিগুণ

বিলিম্বি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। বিলিম্বি ফলের পুষ্টিগুণগুলো হলো খনিজ, ক্যারোটিন,  ভিটামিন, চর্বি, শ্বেতসার, আমিস, ক্যালোরি, থায়ামিন,  লৌহ,  ক্যালসিয়াম ,ফসফরাস, ভিটামিন বি১, ভিটামিন সি ইত্যাদি। এই ফলটি টক জাতীয় হওয়ায় চাটনি বানিয়ে খেতে পছন্দ করে মেয়েরা। এছাড়াও এই ফলে রয়েছে ভেষজ গুনাগুণ যা শরীরের উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

এই ফলে থাকা পোস্ট উপাদানগুলো শরীরকে বিভিন্ন সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এটি পরিমাণমতো খেলে শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এতে থাকা উপাদানগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মত এই ফল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে

বিলিম্বি ফল খাওয়ার নিয়ম

বিলিম্বি ফল বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এই ফল দিয়ে বিভিন্ন প্রকার রান্না করা হয়ে থাকে যেমন ছোট বা বড় মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়। মাছের ডিম এই ফল দিয়ে রান্না করলে সেই খাবারটি অনেক সুস্বাদু হয়। বিভিন্ন ধরনের ডাল ও মাংসতেও বিলিম্বি ব্যবহার করে রান্না করা যায়। এছাড়াও এই ফল বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

যেমন এই ফল পানিতে দিয়ে পানি ফুটিয়ে সেই পানি ব্যবহার করলে শরীরের চুলকানি দূর হয়ে যায়। এর পাতার রস শরীরের চুলকানি দূর করে থাকে। বিলিম্বি ফলের পাতা ভালোভাবে বেটে শরীরে লাগালে চর্ম রোগের সমস্যা দূর হয়ে যায়। তাছাড়া এটি সরাসরি রস করে খেলে সর্দি-কাশিতে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

বিলিম্বি কাঁচাও খাওয়া যায় ঝাল ও লবণ একসাথে মিশিয়ে সেটা দিয়ে এই ফল খেতে খুবই মজা লাগে। বিলিম্বি দিয়ে আচার ও চাটনি তৈরি করা যায় যা খেতে অনেক মজাদার হয়। খাবারে টকভাব আনার জন্য এই ফল বিভিন্ন তরকারির সাথে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বিলিম্বি ফল কোথায় পাওয়া যায়

বিলিম্বি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। কুমিল্লা চট্টগ্রাম সিলেট ব্রাহ্মণবাড়িয়া এই ৩ জেলাতে বেশি পাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশের সব জেলার মানুষের কাছে তেমন একটা পরিচিত নয়। সেজন্য এসব জেলার মানুষগুলো এই ফলটি খাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে না। বাংলাদেশে এটি তেমন পরিচিত না হলেও দেশের বাইরে অনেক দেশে এই ফলটি পরিচিত এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে খুব।

ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা ও ফিলিপাইন এই দেশগুলোতে বিলিম্বি ফলের চাহিদা ভালই রয়েছে। এটি বিশ্বের অনেক দেশে পাওয়া যায়। আকারে মাঝারি ধরনের এই গাছের গোড়া থেকে মাথা পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে ফল জন্ম। বিলিম্বি ফল কামরাঙ্গার বিকল্প হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের অনেক জেলায় এ ফলটি পাওয়া গেলেও বর্তমানে এই গাছের সংখ্যা বিলুপ্তির দিকে।

এটি একটি দেশীয় ফল এবং পুষ্টিকর ফল। আমাদের উচিত দেশীয় ফল বিলুপ্তির হাত থেকে বাঁচানো।

বিলিম্বি ফলের অপকারিতা

প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি সেগুলোর অপকারিতাও রয়েছে। বিলিম্বি ফলের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি। বিলিম্বি ফলের উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তবে এই ফলের উপকারের তুলনায় অপকারিতা অনেক কম। অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে সামান্য কিছু অপকারিতা দেখা দিতে পারে।

বিলিম্বি ফলে রয়েছে ক্যালসিয়াম অক্সালেট যা অতিরিক্ত খেলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য এই ফলটি নির্দিষ্ট পরিমাণ খেতে হবে। অতিরিক্ত খেয়ে নিজের শরীরকে হুমকির দিকে নিয়ে আসবেন না। নির্দিষ্ট পরিমাণ খেলে এই ফলের উপকারিতা অনেক বেশি পাওয়া যায়। সেজন্য সঠিক নিয়মে খান এবং উপকারিতাগুলো গ্রহণ করুন।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোন ফল খাওয়া উচিত নয়। সেক্ষেত্রে উপকারে তুলনায় উপকার বেশি হতে পারে।

বিলিম্বি ফল গাছের চারা কোথায় পাওয়া যায়

বিলিম্বি ফল গাছের চারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। যেমন সিলেট, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। এই গাছটি সবার কাছে পরিচিত না হলেও এটি বাংলাদেশের প্রায় অনেক জেলাতেই বিক্রি করা হয়ে থাকে। আপনি যদি বিলিম্বি ফলের গাছ রোপনের ইচ্ছা করে থাকেন তাহলে যে কোন নার্সারিতে যোগাযোগ করতে পারেন।

এই ফলের গাছ সাধারণত নার্সারিতে বিক্রি করা হয়ে থাকে। অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল বিলিম্বি। যেটি খেলে শরীরে অনেক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়ে যায়। এছাড়াও এই ফল বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়। যেমন আচার ও বিভিন্ন তরকারির সাথে এমনকি কাঁচা লবণ দিয়ে সরাসরি এই ফল খাওয়া যায়। এই গাছের চারা দেশের বাইরের বিশ্বের অনেক দেশে পাওয়া যায়।

যেমন- মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা এই দেশগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণ এই ফল উৎপাদন হয়ে থাকে।

বিলিম্বি ফলের আচার কিভাবে তৈরি করা যায়

বিলিম্বি ফল টক স্বাদযুক্ত একটি ফল। সেজন্য এই ফলের আচার অনেক মজাদার হয়ে থাকে। এই ফলের আচার অনেক মেয়ের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। আমরা এখানে বিলিম্বি ফলের আচার কিভাবে তৈরি করা হয় সে বিষয়ে আপনাদের সামনে আলোকপাত করবো। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক-

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • এক কেজি বিলিম্বি ফল
  • সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ
  • জিরা বাটা ৩ চা চামচ
  • সরিষার তেল ৩ কাপ
  • আদা বাটা ২ টেবিল চামচ
  • রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ
  • আখের গুড় বা চিনি ২৫০ গ্রাম (আপনার পরিমাণ মতো)
  • শুকনো মরিচের গুড়া একটা চামচ
  • লবন স্বাদমতো
  • পাঁচফোড়নের গোড়া এক চা চামচ
  • কাঁচা মরিচ কুচি দেড় চা চামচ
  • ধনিয়া গুড়া ১ চা চামচ
  • গরম মশার গুড়া হাফ চা চামচ
প্রস্তুত প্রণালীঃ প্রথমে ফলটি আধা ফালি করে কেটে নিন তারপর একটি পরিষ্কার প্যান চুলায় বসিয়ে দিন। সেই প্যানে সরিষার তেল হালকা গরম করে নিন। তারপর বাটা মসলাগুলো যেমন রসুন, জিরা এবং আদা তেলের মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে কষাতে থাকুন। এরপর আধা ফালি করে রাখা বিলিম্বি ফল মসলাগুলোর মধ্যে ঢেলে দিন।

চুলার হালকা আঁচে রেখে মাঝে মাঝে একটু করে নেড়ে দিন। কিছুক্ষণ পর ফল থেকে রস বের হয়ে আসা শুরু করলে সেখানে মরিচ কুচি, মরিচের গুঁড়া, সিরকা, লবণ, চিনি বা গুড়, ধনিয়া গুড়া, গরম মসলার গুড়া দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিন।এরপর বিলিম্বি ফলটি সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি পাত্রে ঢেলে তার উপর পাঁচফোড়নের গুড়া ভালোভাবে ছিটিয়ে দিন।

এরপর কয়েকদিন কড়া রোদে আচারগুলি শুকিয়ে নিন। এভাবে তৈরি করা হয় বিলিম্বি ফলের আচার। এ আচারটি আপনি যেকোনোভাবে খেতে পারবেন। এটি খিচুড়ি বা ভর্তা ভাতে খেতে অনেক মজা লাগে। এছাড়াও আপনি এই আচারটি সরাসরিও খেতে পারেন।

লেখকের মন্তব্য

এই ফল যদি আপনি চিনে না থাকেন তাহলে এর পুষ্টিগণ সম্পর্কে আপনার ধারণা না থাকাটাই স্বাভাবিক। উপরের বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে এই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। আপনি যদি এই ফল খেতে চান তাহলে পরিমাণ মতো খেতে পারের।

কারণ পরিমাণমতো খেলে শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url