চাল ধোয়া পানি পান করলে যেসব উপকারিতা পাবেন জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি চাল ধোয়া পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে এ বিষয়ে জানতে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে চাল ধোয়া পানি খাওয়ার উপকারিতা এবং চাল ধোয়া পানি দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
চাল ধোয়া পানি খাওয়ার উপকারিতা
এটি পড়লে আরো জানতে পারবেন চালের পানি মুখে দিলে কি হয়, চালের পানি ব্যবহারের নিয়ম এবং চুলের যত্নে চাল ধোয়া পানি ইত্যাদি।

ভূমিকা

বাঙালি হিসেবে আমাদের প্রতিদিন ভাত খেতে হয়। ভাত আমাদের শরীরে এনার্জি যোগায়। ভাত খাওয়া আমরা প্রত্যেকেই পছন্দ করি এবং ভাতে রয়েছে সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ। ভাত রান্না করার জন্য অবশ্যই চাল ধোয়ার প্রয়োজন পড়ে। চাল ধোয়ার পর পানিগুলো আমরা সবসময় ফেলে দেই কারণ এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা।


বারবার চাল পরিষ্কার করার পানিগুলো আমরা ফেলে দেই এবং পরিষ্কার পানি ব্যবহার করে ভাত রান্না করি। চাল ধোয়া পানি ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখলে সেটি বিভিন্ন প্রয়োজন আসবে। কারণ এই চাল ধোয়া পানিতে রয়েছে চুল, ত্বক এবং শরীরের নানা ধরনের উপকারিতা। এই উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন।

শরীরেরসম্পূর্ণ এনার্জি বৃদ্ধি করতে চাল ধোয়া পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ এবং নিউট্রিশন। চাল ধোয়া পানিতে রয়েছে খনিজ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফলিক এসিড, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো শরীরকে এনার্জি দিয়ে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

চাল ধোয়া পানি খাওয়ার উপকারিতা

চাল ধোয়া পানির উপকার জানিনা বিধায় এটি সব সময় ফেলে দিই। পুষ্টিবিদরা বলেন চাল ধোয়া পানিতে চালের চেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনি যদি না জেনে থাকেন চাল ধোয়া পানির উপকারিতা সম্পর্কে তাহলে এখনই জেনে নিন-
  • চাল ধোঁয়া পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজম প্রক্রিয়া সহজ করে দিবে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অপুষ্টিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত চাল ধোয়া পানি খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
  • বিভিন্ন ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে কম ভাত খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকে চিকিৎসকরা। এনার্জি ঠিক রাখতে বিকল্প হিসেবে চাল ধোয়া পানি একগ্লাস করে খেতে পারেন তাহলে ভালো উপকার পাবেন। প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে একগ্লাস চাল ধোঁয়া পানি খেলে শরীরের অলসতা দূর হয়ে যায়।
  • চাল ধোয়া পানিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। নিয়মিত চাল ধোঁয়া পানি খেলে শরীর শান্ত এবং সুস্থ থাকবে।
  • ডায়রিয়া সমস্যা দূর করতে চালু ধোয়া পানি রয়েছে অত্যধিক গুনাগুন। ডায়রিয়া হলে এই পানি পান করলে ডায়রিয়া ভালো হয়ে যায় এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখে।
  • চাল ধোয়া পানি খেলে সাদা স্রাব ভালো হয়ে যায়। সাদা স্রাব নিরাময় করতে চাল ধোয়া পানির রয়েছে অন্যান্য ক্ষমতা।যাদের সাদা স্রাবের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত চাল ধোয়া পানি খেতে পারেন তাহলে আশা করছি ভালো ফলাফল পাবেন
  • চাল পানি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
  • চাল ধোয়া পানি শরীরের জন্য যেমন উপকারিতা এমনি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ত্বকের যত্নে বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চাল ধোয়া পানি। এই পানি মুখে ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা এবং উজ্জ্বল হয়ে যায়। চাল ধোয়া পানি কিভাবে ব্যবহার করলে ফর্সা হওয়া যায় সে উপায় গুলো জেনে নেই-
  • চাল ধোয়া পানিতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। চাল ধোয়া পানি দিয়ে নিয়মিত মুখ ধুলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং ত্বক ফর্সা হয়।
  • ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি এবং ১ চা চামচ পরিমাণ মেথির গুড়ার সাথে চাল ধোয়া পানি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যেই ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে উঠবে।
  • যেকোনো ত্বকে মেস্তার দাগ ত্বককে লাবণ্যহীন করে তোলে। এই মেস্তার দাগ দূর করার জন্য চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। ১ চা চামচ জিরা চাল ধোয়া পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপর সেটি বেটে নিয়ে মেছতা পড়ার স্থানে লাগাতে হবে। ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর সেটি ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে ধীরে ধীরে মেছতার দাগ কমতে শুরু হবে।
  • মুখের ত্বক ফর্সা করার আরেকটি উপায় হল চাল ধোয়া পানি দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করা। ১ কাপ বেসন, ২ টেবিল চামচ মধু, ৬ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং সামান্য পরিমাণ কর্পূর এর সাথে চাল ধোয়া পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে। এরপর এটি মুখে এবং হাতে-পায়ে সব জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন
  • চাল ধোয়া পানি দিয়ে নাইটক্রিম তৈরি করে সেটি ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা হবে। ৪ চা চামচ চাল ধোয়া পানির সাথে ৩ চা চামচ এলোভেরা জেল এবং ১ চা চামচ ভিটামিন ই যুক্ত করে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর এটি এয়ারটাইট বক্সে সংরক্ষণ করে ছয় থেকে সাত দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফ্রিজে রাখলে ১৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক অনেক ফর্সা এবং উজ্জ্বল দেখাবে
  • পানির সাথে বেসন এবং মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। সামান্য পরিমাণ চাল ধোয়া পানিতে ১ টেবিল চামচ বেসন এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক মসৃন এবং উজ্জ্বল হবে।
  • চালের পানির অন্যতম কাজ হলো ত্বকের সমস্যা দূর করে উজ্জলতা বৃদ্ধি করা। সানস্পট, পিগমেন্টেশন এবং ফ্রিকেলস হালকা করতেও চালের পানির অনেক কার্যকারিতা রয়েছে।
  • এছাড়াও এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ত্বকের নরম এবং কমল রাখতে চালের পানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
  • চাল খাওয়া পানির সাথে অন্যান্য উপাদান মিশালে ভালো উপকার পাওয়া যায় তাছাড়া শুধুমাত্র এই পানি দিয়ে ভালো উপকার পেতে একটু সময় লাগবে।

চালের পানি মুখে দিলে কি হয়

চালের পানি মুখে ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চাল ধোয়ার পর সেই পানি ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করে মুখে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে মুখের ত্বক সুন্দর হবে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, মেছতা কালো কালো দাগ দূর হয়ে যায় চালের পানি ব্যবহার করলে। চালের পানিতে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

শুধুমাত্র চালের পানি দিয়ে মুখ ধুলে মুখ তরতাজা দেখায়। তবে ভালো ফলাফলের জন্য অবশ্যই চালের পানির সাথে অন্যান্য উপাদান মিশাতে হবে। তাহলে এর দ্রুত ফলাফল পাওয়া যাবে। চাল ধোয়ার পর চালের পানি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। বাইরে রোদ থেকে এসে ফ্রিজে রাখা এ পানি দিয়ে মুখ ধুলে তো অনেক ফ্রেশ দেখাবে।

রোদে গেলে ত্বকের যে ক্ষতি হয় চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করা ফলে সেই ক্ষতি পূরণ হয়ে যায়। এই চালের পানি টোনার হিসেবে কাজ করে। আপনি যদি মুখের ত্বক পরিষ্কার রাখতে চান তাহলে নিয়মিত চালের পানি ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত চালের পানি ব্যবহার করলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা।

চালের পানি ব্যবহারের নিয়ম

চালের পানির বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। চালের পানি চুলের যত্নে, ত্বকের যত্ন নেয়ার জন্য এই পানি ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও এই পানি শরীর সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত উপকারী। চালের পানি ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে গেলে বেসন মধু এবং পরিমাণ মতো চালের পানি নিয়ে একসাথে পেস্ট করে মুখে লাগাতে হবে।

তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। মুলতানি মাটি এবং মেথির গুড়ার সাথে চালের পানি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে ব্যবহার করলে ত্বক অনেক ফর্সা হয়ে যাবে। চুলে ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন।

চুলের যত্নে চাল ধোয়া পানি

শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা এবং ত্বকের যত্নের পাশাপাশি চাল ধোয়া পানি চুলের যত্ন অত্যন্ত কার্যকরী। এ পানি ব্যবহারে চুলের স্বাস্থ্য বজায় থাকে। চুল ঘন ও লম্বা করতে চাল ধোঁয়া পানির অনন্য গুনাগুন রয়েছে। তাহলে চলুন চাল ধোয়া পানি দিয়ে চুলের যত্ন কিভাবে নেওয়া যায় জেনে নিই-
  • চুলে ব্যবহারের জন্য প্রথমে চালের মধ্যে পানি দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপর পরদিন সে পানি ব্যবহার করতে হবে। এটি ব্যবহারে চুল মসৃণ এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল দেখাবে।
  • অনেকেই চালের পানির গন্ধে ব্যবহার করতে পারেন না তাদের জন্য মুখ্যম উপায় হচ্ছে চালের পানির সাথে মালটার খোসা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তাহলে চালের পানির গন্ধটা চলে যাবে।
  • চাল ধোয়া পানি নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পড়া কমিয়ে চুল ঘন করে তুলবে। এছাড়াও এ পানি ব্যবহার করলে মাথায় নতুন চুলও গজাবে।
  • চাল ধোয়া পানি চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এ পানি ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত করে। সেজন্য চাল ধোয়া পানি ফেলে না দিয়ে নিয়মিত চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

গাছের যত্নে চাল ধোয়া পানি

চাল ধোয়া পানি রয়েছে সব ধরনের গুনাগুন। গাছের যত্নে ও চাল ধোয়া পানি অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, লোহা, জিংক এবং ফাইবার জাতীয় উপাদান। এ উপাদানগুলো থাকায় এটি গাছে ব্যবহার করলে গাছ অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। চালের পানির মধ্যে আরো একটি প্রয়োজনীয় উপাদান হল নাইট্রোজেন যা গাছের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

চাল ধোয়া পানি ফেলে না দিয়ে নিয়মিত সঠিকভাবে গাছের গোড়ায় দিলে গাছের গোড়া শক্তিশালী হবে এবং গাছ সতেজ হয়ে উঠবে। আবার যারা ছাদ বাগান তৈরি করেছেন সেগুলো গাছ সাধারণত টবে বা ড্রামে লাগানো হয় সে গাছগুলো মাটিতে লাগানো গাছের মতো তেমন খাদ্য শোষণ করে নিতে পারে না। সে গাছগুলোর জন্য চাল ধোয়া পানি অত্যন্ত প্রয়োজন।

টবে লাগানো গাছে যদি নিয়মিত চাল ধোয়া পানি দেওয়া যায় তাহলে গাছ ভালো হবে এবং সে গাছগুলোতে ভালো ফল ধরবে। গাছ লাগানোর পূর্বে নির্ধারিত জায়গায় নিয়মিত চাল ধোয়া পানি দিতে পারেন সেক্ষেত্রেও মাটি শক্তিশালী হবে এবং সে মাটিতে গাছ ভালো হবে।

চাল ধোয়া পানির উপকারিতা সম্পর্কে কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ চালের পানি চুলে কতক্ষণ রাখা যাবে?

উত্তরঃ চালের পানি চুলে লাগানোর পর সর্বোচ্চ ২০ মিনিট রাখা যাবে। এর বেশি রাখলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।

প্রশ্নঃ চাল ধোয়া পানি শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী?

উত্তরঃ চাল ধোয়া পানি অন্যান্য উপাদানের সাথে মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে যায়। আর এই পানি সরাসরি ব্যবহার করলে তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশি উপকার পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ রাইস টোনার কতদিন সংরক্ষণ করা যায়?

উত্তরঃ রাইস টোনার একদিন তৈরি করে ৪ থেকে ৫ দিন সংরক্ষণ করা যায়। তবে এটি ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে হবে। তাছাড়া এটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

প্রশ্নঃ চাল ধোয়া পানি মুখে দিলে কি হয়?

উত্তরঃ চাল ধোয়া পানি মুখে দিলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি ত্বক ফর্সা করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেয়। মুখের বিভিন্ন কালো দাগ সহ মেছতার দাগ দূর করতেও চাল ধোয়া পানির অনেক কার্যকারিতা রয়েছে।

প্রশ্নঃ চাল কতক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে চালের পানি তৈরি হয়?

উত্তরঃ চালের পানি থেকে ভালো গুনাগুন পাওয়ার জন্য চালকে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর ছেকে নিয়ে এই পানি ব্যবহার করা যায় এবং এই পানি অন্যান্য উপাদানের সাথে মিশে ব্যবহার করা যায়।

লেখক এর মন্তব্য

উপরের আলোচনায় চালের পানির উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কিছুটা ধারণা পেয়েছি। সে উপকারিতা পাওয়ার জন্য চাল ধোয়ার পর পানিগুলো ফেলে না দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে। এটি সংরক্ষণ করে রাখলে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানো যাবে। প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url