একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায় এবং মাছ চাষের পদ্ধতি জানুন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায় এবং মাছ চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এ পোস্টটি আপনাকে এ বিষয়ে জানতে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাকে একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায় এবং মাছ চাষের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণার দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায় এবং মাছ চাষের পদ্ধতি
এটি পড়লে আরো জানতে পারবেন একুরিয়ামের মাছের খাবার দেওয়ার নিয়ম, গোল্ড ফিস মেল ফিমেল চেনার উপায় এবং একুরিয়ামের মাছের যত্ন কিভাবে নিতে হয় ইত্যাদি।

ভূমিকা

ঘরের সৌন্দর্য বর্ধন করার জন্য সৌখিন মানুষরা একুরিয়ামে মাছ পোষেন। একুরিয়ামে মাছ চাষ করলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে এবং বাসা-বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। শখের বসে একুরিয়ামে মাছ ফুটলেও এটি পরিষ্কার করার সময় অনেক ঝামেলায় পড়ে যেতে হয়। একুরিয়াম পরিষ্কার করতে গেলে পানি বা পরিবর্তন করতে গেলে অনেক সময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


কিন্তু একুরিয়ামে মাছ চাষ করলে তা নিয়মিত পরিষ্কার করা অপরিহার্য। একুরিয়াম সঠিকভাবে পরিষ্কার না করলে মাছগুলো বেশিদিন বাঁচবে না। একুরিয়ামের পানি খুব তাড়াতাড়ি ঘোলা হয়ে যায়। সেজন্য ঘন ঘন পরিষ্কার করতে হয়। অনেকগুলো কারণ আছে যেগুলোর কারণে একুরিয়াম এর পানি খুব তাড়াতাড়ি ঘোলা এবং অপরিষ্কার হয়ে যায়।

একুরিয়ামের তুলনায় মাছ বেশি হলে বা মাছের খাদ্য বেশি দেওয়া হলে এই পানি খুব তাড়াতাড়ি অপরিষ্কার হয়ে যায়। একুরিয়ামের পানি কিভাবে পরিষ্কার রাখা যায় সে উপায়গুলো জানলে ঝামেলা বা বিরক্তিবোধ মনে হবে না। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি মূলত একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখা এবং একুরিয়ামের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার উপায়

একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার করা অনেকেই ঝামেলা মনে করে। সেজন্য একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার রাখার কয়েকটি উপায় জেনে থাকা দরকার। সেটি জানলে আপনার জন্য পরিষ্কার রাখা বা করা অত্যন্ত সহজ হবে। তাহলে চলুন একুরিয়ামের পানি পরিষ্কার কিভাবে রাখা যায় তা জেনে নেই-
  • নতুন বসানো ফিল্টারকে কমপক্ষে ৪৫ দিন পরিষ্কার না করে রেখে দিতে হবে। এ সময়ের আগে না করাই ভালো।
  • ফিল্টার পরিষ্কার করার সময় অবশ্যই একুরিয়ামের পানি দিয়েই পরিষ্কার করা উচিত।
  • একুরিয়াম পরিষ্কার করতে গেলে প্রথমে অর্ধেক পানি বদল করার পর ফিল্টার পরিস্কার করতে হবে তারপর একুরিয়ামের উপর ফিল্টার বসিয়ে বাকি অংশ বদল করতে হবে।
  • একুরিয়ামের মাছ বেশি পুরানো হয়ে গেলে সেই একুরিয়াম পরিবর্তন করে ভালো মানের একুরিয়াম নিয়ে নিতে হবে।
  • এছাড়াও মাছ বেশি হলে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে যাতে করে পানি ঘোলা না হয়ে যায়।
  • একুরিয়ামে বড় ধরনের মাছ থাকলে অবশ্যই সেখানে পাওয়ার ফিল্টার বা টপ ফিল্টার লাগিয়ে নিতে হবে। তাহলে একুরিয়ামের পানি অনেকটাই পরিষ্কার থাকবে।
  • একুরিয়ামের মধ্যে যে সকল উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে সেগুলো বাঁচিয়ে রাখা খুবই প্রয়োজন। আর সেগুলো বাঁচাতে একুরিয়ামের উপর আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
  • ১৫ থেকে ২০ দিন পর পর সাইফোন পাইপ এর মাধ্যমে একুরিয়ামের নিচে থাকা পাথরের ময়লা তুলে ফেলতে হবে।
  • ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার বেশি পানি একুরিয়ামে ব্যবহার করা হতে বিরত থাকবেন।
  • একুরিয়ামে যে আলোর ব্যবস্থা থাকে রাতে ঘুমানোর আগে সেটি নিভিয়ে দিতে হবে তাছাড়া আলোর মাধ্যমে পোকামাকড় এর মধ্যে ঢুকে যাবে।
  • যে উপাদানগুলো একুরিয়ামে ব্যবহার করা হয় তা পানি বদল করার পর পরিমাণমতো ব্যবহার করতে হবে তাছাড়া পানি ঘোলা হয়ে যাবে।
  • একুরিয়ামে থাকা ফিল্টার সব সময় চালু রাখতে হবে কখনো বন্ধ করা যাবে না।
  • একুরিয়ামের পোষা মাছের খাবার এমনভাবে দিতে হবে যাতে করে দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে খাবারগুলো শেষ হয়ে যায়। এভাবে খাবার দিলে পানি সহজে অপরিষ্কার হবে না।
  • একুরিয়ামের মধ্যে যেকোনো সময় হাত ঢোকানো থেকে বিরত থাকুন। কারণ হাতে লেগে থাকা ময়লায় পানি অপরিষ্কার হয়ে যেতে পারে।
  • এছাড়াও একুরিয়ামে পানি ব্যবহার করার সময় সব সময় খেয়াল রাখতে হবে পরিষ্কার পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে। পরিষ্কার পানি ব্যবহার না করলে মাছ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

একুরিয়ামের মাছের খাবার দেওয়ার নিয়ম

অফিসে কিংবা বাসার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য একুরিয়াম ব্যবহার করা হয়। বাহারি ধরনের মাছের কারণে একুরিয়ামের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। সেজন্য এই মাছকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত খাবার দেওয়া প্রয়োজন। এখানে আমাদের আলোচ্য বিষয় মূলতঃ মাছের খাবার দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন কিভাবে একুরিয়ামের মাছকে খাবার দিতে হয় তা জেনে নিই-
  • যে পরিমাণ খাবার দিলে দুই থেকে তিন মিনিট এর মধ্যে শেষ করতে পারবে সে পরিমাণ খাবার দিন। যাতে করে খাবার অবশিষ্ট না থাকে বা অবশিষ্ট খাবারের কারণে যেন পানি অপরিষ্কার না হয়।
  • কতটুকু খাবার দিলে দুই তিন মিনিটের মধ্যে শেষ করতে পারবে তার একটা ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করুন। তারপর সে ধারণা অনুযায়ী খাবারগুলো দিন।
  • ব্যবহৃত একুরিয়ামে যদি অ্যামোনিয়া ও ইউরিয়া ফিলট্রেশনের ব্যবস্থা ভালো থাকে তাহলে দিনে দুই থেকে তিনবার খাবার মাছকে দিলে কোন সমস্যা হবে না। ফিলট্রেশনের ব্যবস্থা ভালো না থাকলে দিনে একবার খাবার দেওয়াই ভালো।
  • খাবার দেওয়ার সময় লক্ষ রাখতে হবে খাবারটা যেন এক জায়গায় পড়ে খাবারটা ছড়িয়ে গেলে অনেক মাছ সেগুলো খুঁজে খেতে পারে না, সে খাবারগুলো নিচে পড়ে যায় এবং সেই খাবার থেকে এমোনিয়া গ্যাস তৈরি হয়।
  • খাবার দেওয়ার পর যাতে ছড়িয়ে না যায় সেজন্য একটি পদ্ধতি হল সিলিকন পাইপ নিয়ে নিতে হবে তারপরে দুই মাথায় জোড়া লাগালে এটা গোলাকৃতি ধারণ করবে। এই পাইপটি নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো এটি পানিতে ভাসমান থাকবে এবং এর মাঝখানে খাবার দিলে খাবারগুলো ছড়াবে না এক জায়গায় থাকবে।

একুরিয়ামের মাছের যত্ন

একুরিয়ামে মাছ চাষ করলে যে বিষয়টির দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় সেটি হল মাছের যত্ন নেওয়া। মাছের যত্ন ভালোভাবে নিতে না পারলে মাছগুলো মারা যাবে। যেহেতু সৌন্দর্য বর্ধনের ক্ষেত্রে মাছের গুরুত্ব অনেক। তাই মাছকে বাঁচিয়ে রাখতে মাছের ভালোভাবে যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। একুরিয়ামের মাছের যত্ন কিভাবে নেওয়া যায় জেনে তা নেই-

আকার ও স্থান নির্ধারণঃ একুরিয়ামের মাছের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমে যে বিষয় সামনে আসে সেটি হল একুরিয়ামের আকার নির্ধারণ এবং আকার অনুযায়ী জায়গা নির্ধারণ। একুরিয়াম যেমন হবে ঠিক তেমন জায়গায় এটি রাখতে হবে। আবার এমন জায়গাতে রাখতে হবে যেখানে সূর্যের আলো না লাগে এবং এসির বাতাস না লাগে। এরকম জায়গায় রাখলে মাছ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

একুরিয়ামের পানির মানঃ একুরিয়ামের মধ্যে যে পানি থাকবে তার মান সবসময় ঠিক থাকতে হবে। পানির খরতা, লবণাক্ততা এবং পিএইচ বজায় রাখতে হবে। একুরিয়ামের পানি সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে এবং পানি বদলানোর পর পরিষ্কার পানি দিতে হবে।

পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহঃ একুরিয়ামের পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ থাকতে হবে কারণ এ মাছগুলো দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাধ্যমে শ্বাসকার্য চালিয়ে থাকে। এজন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের এয়ার পাম্প পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে সতর্কতা স্বরূপ খাবার দেওয়ার সময় এটি বন্ধ করে দিতে হবে তা না হলে খাবার সব দিকে ছড়িয়ে যাবে।

পানির সাথে মাছের খাপ খাওয়ানোঃ মাছের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পানির সাথে মাছের খাপ খাওয়ানো। মাছ এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় গেলে নতুনভাবে তাকে পানির সাথে খাপ খাওয়ানো প্রয়োজন পড়ে। পানির সাথে মাছের খাপানোর জন্য যেখান থেকে মাছ কেনা হবে সেখানে থেকে ব্যাগে করে মাছসহ কিছু পরিমাণ পানি নিয়ে আসতে হবে যাতে করে সমস্যা না হয়।

মাছের সঙ্গী নির্ধারণঃ মাছের সঙ্গী সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে না পারলে মাছের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিছু কিছু মাছ আছে যে মাছের জন্য অন্য মাছের ক্ষতি হয় সেগুলো মাছ আলাদা করে দিতে হবে। যে মাছগুলো থাকলে পরস্পর ক্ষতির কারণ হবে না সে মাছগুলো একসাথে রাখা প্রয়োজন।

একুরিয়াম সাজানোর উপাদানঃ মাছ বাদে একুরিয়াম যে উপাদানগুলো দিয়ে সাজানো হয় সেই জিনিসগুলোর প্রতি ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে। একুরিয়াম সাজানোর উপাদানগুলোর কারণে অনেক সময় মাছের ক্ষতি হতে পারে।

মাছের খাবার নির্ধারণঃ একুরিয়ামে এমন পরিমাণে খাবার দিতে হবে যাতে মাছগুলো ২-৩ মিনিটের মেধ্যে খাবার শেষ করতে পারে। অতিরিক্ত খাবার দেওয়া যাবে না। খাবার অতিরিক্ত দেয়া হলে সেগুলো একুরিয়ামের পানিকে অপরিষ্কার করে তোলে।

শীতকালে মাছের যত্নঃ শীতকালে একুরিয়ামের মাছের দিকে ভালোভাবে নজর দিতে হয় এবং এ সময় বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। শীতকালে একুরিয়ামের ভিতরে থাকা গাছগুলোকে কমিয়ে দিতে হবে এবং একুরিয়ামের উপরে ঢাকনার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে করে বাইরে ঠান্ডা ঢুকতে না পাড়ে।

গরমকালে মাছের যত্নঃ শীতকালের চেয়ে গরমকালে মাছের যত্ন নেওয়া একটু সহজ। একুরিয়ামটি শুধু এসির নিচে বা সূর্যের আলো যেখানে পড়ে সেই জায়গা না রাখলে কোন সমস্যা হবে না। গরমকালে একুরিয়ামের ঢাকনা খুলে দিতে হবে এবং একুরিয়ামের ভিতরে গাছের পরিমাণ বাড়াতে হবে। বেশি পরিমাণ গরম দেখা দিলে একুরিয়ামে ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

মাছকে প্রতিদিন কতবার খাবার দিতে হয়

  • একুরিয়ামে মাছ চাষ করলে মাছের খাবার সম্পর্কে সচেতন হওয়া সবচেয়ে বেশি জরুরী। দিনে কতবার খাবার দিলে মাছের জন্য ভালো হবে বা মাছের কোন ক্ষতি হবে না এ বিষয়ে সব সময় নজর রাখতে হবে। একুরিয়ামে যদি
  • ফিলট্রেশনের ব্যবস্থা থাকে তাহলে দিনে তিনবার খাবার দেওয়া যাবে এতে করে কোন সমস্যা হবে না। আর যদি
  • ফিলট্রেশনের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে দিনে এক থেকে দুইবার খাবার দিতে হবে। এর বেশি দিলে সেগুলো এখন একুরিয়ামের নিচে থাকা পাথরের মধ্যে ঢুকে যাবে এবং পানির পরিচ্ছন্নতা নষ্ট করে দিবে। এছাড়াও অতিরিক্ত খাবার নষ্ট হয়ে এ্যাকুরিয়ার মধ্যে গ্যাস তৈরি করতে পারে। আপনার বাসায় যদি একুরিয়াম থাকে তাহলে এই বিষয়গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য রাখবেন।

গোল্ডফিস মেল বা ফিমেল চেনার উপায়

গোল্ডফিশ মেল না ফিমেল সেগুলো চেনার কয়েকটি উপায় রয়েছে। সেগুলো হল মেইল গোল্ডফিশ দেখতে লম্বা ও বড় হয় এবং এর পাখনার কাছে কাঁটা থাকে আর ফিমেল গোল্ডফিশ দেখতে ছোট এবং গোলাকার হয় এর পাছার কাছে কোন রূপ কাঁটা যাতীয় কিছু থাকে না। মেয়ে গোল্ড ফিসের পেট মোটা হয় এবং ছেলে গোল্ড ফিস চিকন হয়।

মেল গোল্ডফিশের পেটে চাপ দিলে স্পাম বের হয় কিন্তু ফিমেল গোল্ড ফিসের পেটে চাপ দিলে স্পাম বের হয় না। এগুলো দেখেই মূলতঃ চেনা যায় মেইল এবং ফিমেল গোল্ডফিশকে।

একুরিয়ামে মাছ চাষ পদ্ধতি

একুরিয়ামে মাছ চাষ করতে গেলে এর চাষ পদ্ধতি জানা অত্যন্ত প্রয়োজন। চাছ করার পদ্ধতিগুলো জানা থাকলে মাছের চাষ ঠিকঠাক করা যায়। তাহলে আসুন মাসে পদ্ধতিগুলো জেনে নেওয়া যায়-
  • একুরিয়ামে মাছ চাষের জন্য তাপমাত্রা ঠিকভাবে রাখতে হবে।
  • একুরিয়ামের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
  • মাছকে পরিমাণ মতো অথবা সঠিক পরিমাণ খাবার দিতে হবে।
  • মাছের রোগ দেখা দিলে সাথে সাথে তা ওষুধের মাধ্যমে রোগবালাই দূর করতে হবে এবং রোগাক্রান্ত মাছকে অন্যান্য মাছ থেকে আলাদা রাখতে হবে।
  • নিয়মিত একুরিয়াম পরিস্কার রাখতে হবে।
  • মাছের যত্ন ভালোভাবে নিতে হবে এবং একুরিয়ামের ভিতরে প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু প্লান্ট লাগাতে হবে।
  • একুরিয়ামের ভিতরে যে সকল উপাদান দেয়া হয় সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেয়া উচিত যাতে করে মাছের কোন ক্ষতি না হয়।
  • কোন মাছের সাথে কোন মাছ বাস করতে পারবে সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

শেষ কথা

একুরিয়াম ঘরে সৌন্দর্য বহুবণে বাড়িয়ে দেয়। এই সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য নিয়মিত একুরিয়াম পরিষ্কার রাখতে হবে এবং মাছের যত্ন নিতে হবে। আপনি যদি একুরিয়াম কিনতে চান তাহলে অবশ্যই উপরের বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশদ ধারণা রাখতে হবে। প্রিয় পাঠক, এ আর্টিকেল যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার কাছের মানুষ এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url