মাটির বাসনে খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি মাটির বাসনে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে মাটির বাসনে খাওয়ার উপকারিতা এবং মাটির পাত্রে পানি ঠান্ডা থাকে কেন এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মাটির বাসনে খাওয়ার উপকারিতা
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন মাটির কলসির পানি পান করার উপকারিতা, মাটির প্লেটের দাম, মাটির তৈরি জিনিসপত্র কোথায় পাওয়া যাবে ইত্যাদি।

ভূমিকা

মাটির বাসনে খাওয়ার প্রচলন ছিল অনেক আগে। সে সময় প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে মাটির বাসনে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া করত। সে সময় মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে ব্যবহার করত মাটির বাসনপত্র। কিন্তু বর্তমানে সেই ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য মাটির বাসনের ব্যবহার পুনরায় ফিরে এসেছে। এছাড়াও বর্তমানে মাটির বাসন ব্যবহার করা ফ্যাশন ও বটে।


আমাদের দেশের বড় বড় রেস্টুরেন্টে মাটির বাসনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও মাটির বাসন ব্যবহার করা হয়। মাটির বাসনে খাওয়া-দাওয়া করলে শুধুমাত্র ঐতিহ্য বা আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয় না বরং মাটির বাসনে খেলে বিভিন্ন উপকারিতা লক্ষ্য করা যায়।

মাটির বাসন গুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি এতে রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা। মাটির বাসনে রান্না করা খাবার খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। মাটির বাসনে রান্না করলে খাবারের স্বাদ অন্যান্য বাসনের তুলনায় অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়।

খাবারের গুণগত মান এবং পুষ্টি ঠিক রাখতে মাটির বাসনের রয়েছে অত্যাধিক গুরুত্ব। সেজন্য অন্যান্য বাসনের চেয়ে মাটির বাসন ব্যবহার করার অভ্যাস করলে শরীরের তথা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার হবে।

মাটির বাসনে খাওয়ার উপকারিতা

আমরা মাটির বাসনে সাধারণত শখের বসে খেয়ে থাকি কিন্তু আমরা কি জানি মাটির বাসনা খাওয়ার কত উপকারিতা। আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন মাটির বাসনে খেলে কি কি উপকার হয়। তাহলে চলুন মাটির বাসনে খাওয়ার উপকারিতাগুলো জেনে নেই-

স্বাদ বৃদ্ধিঃ মাটির পাত্রে রান্না করলে খাবারের স্বাদ অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। কারণ মাটির পাত্রে ধীরে ধীরে রান্না হয়। এছাড়াও মাটির পাত্রে রান্না করা খাবারের সুন্দর সুগন্ধ পাওয়া যায় এবং অনেক সুস্বাদু হয়।

টক্সিন দূর করেঃ পুরা মাটির পাত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি খাবারের টক্সিন দূর করে পুষ্টিগুণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। মাটির পাত্রে থাকা ক্ষুদ্র ছিদ্র আদ্রতা অপসারণ করে খাবার দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষিত রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ কাদামাটিতে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক এবং খনিজ উপাদান সমৃদ্ধ থাকায় মাটির পাত্রে পানি রেখে খেলে এই পানি রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পানি ঠান্ডা রাখতেঃ গরমকালে অন্যান্য পাত্রে পানি রাখলে গরম হয়ে যায় কিন্তু মাটির পাত্রে বা কলসে পানি রাখলে সেই পানি দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা থাকে। কারণ মাটির কলসে বা পাত্রে অনেক অণুবীক্ষণ ছিদ্র থাকে যা দিয়ে পানি বাইরে বের হয়ে এসে বাষ্পীভূত হয়। পানি এভাবে বাষ্পীভূত হওয়ার সময় কিছুটা তাপমাত্রা শোষণ করে থাকে ফলে পানি ঠান্ডা থাকে।

তেল খরচ কম হয়ঃ অন্যান্য বাসনে রান্না করার সময় অল্প পরিমাণ তেল ব্যবহার করলে খাবার লেগে যায় বা পুড়ে যায়। কিন্তু মাটির বাসনে রান্না ধীরে ধীরে হয় বলে এখানে তেল অনেক কম লাগে এবং লেগে যাওয়ার ও পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

খনিজের অভাব পূরণ করেঃ মাটির পাত্রে পানি রাখা হলে পানিতে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ মিশে যায়। এই পানি পান করলে শরীরে খনিজের চাহিদা সম্পূর্ণভাবে পূরণ হয়। বিপাক প্রক্রিয়াও অনেক ভালো থাকে।

এসিডিটি দূর করেঃ খাবার হজমের জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের এসিডের। মাটির কলসে পানি রাখলে পানিতে ক্ষার জাতীয় উপাদানের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পায়। সেজন্য মাটির কলসে রাখা পানি পান করলে পেটের এসিডিটি অনেক কমে যায়। এছাড়াও এই পানি খেলে অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

সহজে হজম হয়ঃ মাটির পাত্রে রান্না করা খাবার খেলে সেই খাবারগুলো অনেক সহজে হজম হয়। মাটির পাত্রে রান্না করা খাবার খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দূর হয়ে যায় এবং হজম শক্তিও বৃদ্ধি পায়।

খাবারকে স্বাস্থ্যকর করে তোলেঃ মাটির পাত্র তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় কাদামাটি যা প্রকৃতিতে ক্ষারীয় বলে পরিচিত। এটি খাবারের এসিডের সাথে মিশক্রিয়া করে এবং পি এইচ স্তরকে নিরপেক্ষ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেজন্য মাটির পাত্রে রান্না করা খাবার সহজে হজম হয় এবং পুষ্টি ও গুনাগুণ ঠিক থাকে।

মিষ্টি এবং দুগ্ধজাত খাবারের জন্য উপযোগীঃ মিষ্টি এবং দুধে তৈরি খাবারগুলো সংরক্ষণের জন্য মাটি তৈরি পাত্র অনেক উপযোগী। মাটির পাত্র সব সময় ঠান্ডা থাকে বলে সেখানে দুধ রাখলে নষ্ট হওয়া বা টক হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। মাটির পাত্রে মিষ্টি বা দুধের তৈরি খাবার রাখলে এটি সুন্দর সুগন্ধ ছড়িয়ে থাকে।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রেঃ কাঁচের বাসনপত্রের তুলনায় মাটির বাসনপত্র অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ কাঁচের বাসনপত্র ভেঙে গেলে হাত পা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু মাটির বাসনপত্র ভেঙ্গে গেলে হাত-পা কেটে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না।

ওভেন প্রুভঃ মাটির পাত্র ওভেন প্রুফ। বেশিরভাগ মাটির বাসনগুলো মাইক্রোওভেনে ব্যবহার করার উপযোগী হয়। মাইক্রোওভেনে মাটির বাসন রেখে উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োগ করলেও কোন ক্ষতি কারক গ্যাস বের হয় না যা প্লাস্টিকের বা অন্যান্য পাত্রের ক্ষেত্রে ঘটে।

তাপ প্রতিরোধীঃ মাটির বাসনকে তাপ প্রতিরোধী বলা হয় কারণ অনেক তাপ প্রয়োগ করার পরও এটি ভেঙে যায় না বা ফেটে যায় না। মাটির বাসনগুলো উচ্চ তাপমাত্রা প্রয়োগ করে তৈরি করা হয় বলে এটি তাপ প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। খাবারকে দীর্ঘসময় গরম রাখতেও মাটির পাত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

মাটির পাত্রে পানি ঠান্ডা থাকে কেন

মাটির পাত্রে পানি ঠান্ডা থাকে কারণ মাটির পাত্রের গায়ে অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র থাকে যেগুলো খালি চোখে দেখা যায় না। এই ছিদ্রগুলো দিয়ে পানি পাত্র থেকে বের হয় এবং বাষ্প হয়ে আকাশের দিকে যেতে চায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় তাপ ছাড়া পানি বাষ্পে পরিণত হয় না সেজন্য বাষ্পে পরিণত হওয়ার জন্য যে তাপ প্রয়োজন তা পাত্রের ভিতর পানির মধ্যে থেকে আসে। ফলে পাত্রের ভিতরের পানির তাপমাত্রা কমে যায় এবং বাইরে বের হওয়া পানি বাষ্পীভূত হয়। সেজন্য মাটির পাত্রে পানি ঠান্ডা থাকে।

মাটির কলসির পানি পান করার উপকারিতা

মাটির কলসে পানি রাখার প্রচলন অনেক আগে থেকেই। কিন্তু বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের পাত্র এবং কলস আসার কারণে মাটির কলস তেমন একটা দেখা যায় না। যেসব পাত্রে আমরা পানি রেখে পান করি তার বেশিরভাগই স্বাস্থ্যসম্মত না। মাটির কলসে পানি রেখে পান করলে সেই পানি অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। মাটির কলসির পানি পান করার কি কি উপকারিতা রয়েছে জেনে নেওয়া যাক-

ডিহাইড্রেশন রোধ করেঃ মাটির পাত্রে বা কলসিতে পানি রেখে সে পানি পান করলে শরীরে ডিহাইড্রেশন কমে যায়। শরীরকে হাইড্রেট রাখতে মাটির কলসের ভূমিকা অত্যাধিক। বিশেষজ্ঞরা বলেন ডি-হাইডেশন রোধ করার জন্য ফ্রিজে থাকা ঠান্ডা পানি খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই মাটির কলসের পানি খেলেই যথেষ্ট।

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতেঃ প্রচন্ড গরমে হিট স্ট্রোক অত্যন্ত বিপদজনক। হিট স্ট্রোক থেকে তৈরি হয় মাথা ব্যথা, জ্বর এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। সেজন্য বাইরে গরম থেকে এসে মাটির কলসের এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে না এবং হিট স্ট্রোক থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

গ্যাস্টিক কমাতেঃ মাটির কলসের পানি গ্যাস্টিকের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। মাটির কলস প্রাকৃতিকভাবে পানিকে বিশুদ্ধ করে । কারণ মাটির কলসের মধ্যে থাকার ক্ষার পানির সাথে মিশে যায় এবং সে পানি পান করলে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যায়

শরীর ঠান্ডা করেঃ মাটির কলসে পানি রাখলে সে পানি অনেক ঠান্ডা থাকে যা খেলে শরীর ও ঠান্ডা হয়ে যায়। অতিরিক্ত গরমে মাটির কলসের পানি পান করলে পিপাসা মিটানোর সাথে শরীরে শান্তি অনুভূত হয়।

নিরাপদ পানিঃ মাটির কলসে পানি রাখলে সেই পানি অনেক স্বাস্থ্যসম্মত এবং নিরাপদ। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না। সেজন্য এই পানি পান করা খুবই নিরাপদ।

মাটির প্লেটের দাম

ডিজাইন এবং গুণগত মান অনুযায়ী বিভিন্ন দামে মাটির প্লেট বিক্রি করে মৃৎশিল্পীরা। মাঝারি ধরনের ভাতের প্লেটের দাম পরে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। বড় ধরনের ভাতের প্লেটের দাম ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা এবং ভাত খাওয়ার জন্য ক্লাসিক যে ধরনের প্লেট পাওয়া যায় সেগুলোর দাম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। এছাড়াও চাহিদা এবং জায়গা ভেদে দামের কিছুটা তারতম্য থাকতে পারে।

মাটির তৈরি জিনিসপত্র কোথায় পাওয়া যাবে

সৌখিন মানুষেরা মাটির তৈরি জিনিস অনেক পছন্দ করেন সেজন্য তারা মাটির তৈরি জিনিসপত্র কোথায় পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে খোঁজাখুঁজি করেন। ঢাকা শহরের কোথায় এই মাটির তৈরি পণ্যগুলো পাওয়া যায় সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। বর্তমানে দেশের প্রায় ছোট বড় সকল শহরেই মাটির তৈরী জিনিসপত্র পাওয়া যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল যেখানে রয়েছে ঠিক তার উল্টোদিকে রয়েছে মাটির তৈরি নানা পণ্যের দোকান।

এছাড়াও ঢাকা শহরের অনেক স্থানে এই দোকান দেখা যায়। এই দোকানগুলোতে সারা বছরই মাটির তৈরি জিনিসপত্রগুলো প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হয়। তবে পহেলা বৈশাখের সময় এ দোকানগুলোতে অনেক বেশি ভিড় জমে মাটির হাড়ি পাতিল থেকে শুরু করে মাটি দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের পণ্য এ দোকানগুলোতে পাওয়া যাবে।

মাটির জিনিস তৈরি করার পদ্ধতি

মাটি দিয়ে জিনিস তৈরি করতে হলে প্রথমে ভালো মানের মাটি বেছে নিতে হবে। কারণ পলি মাটি দিয়ে তৈরি হয় মাটির জিনিসপত্র। মাটির জিনিসপত্র তৈরি করার জন্য পুকুরের বা খালের মাটি নিতে হবে। তারপর সেই মাটিগুলোতে থাকা নুড়ি পাথরগুলো বেছে আলাদা করতে হবে। নুড়ি পাথর আলাদা করার পর সেই মাটিকে মন্ড পাকানো হয়।

আলাদা আলাদা জিনিসের জন্য আলাদা আলাদা মন্ড পাকানো হয়। কারণ প্রতিটি জিনিসের জন্য আলাদা আলাদা পরিমাণ মাটির প্রয়োজন। তারপর মাটিকে ভালোভাবে মেখে চ্যাপ্টা আকৃতি দিয়ে বিদ্যুতের দ্বারা চালিত চাকার উপর দেওয়া হয়। তারপর কুমার তার হাতের কৌশলের মাধ্যমে মাটির জিনিসপত্রের বিভিন্ন ধরণ আকৃতি দিয়ে থাকে।

তৈরি করা হয়ে গেলে এগুলোর ওপর বিভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করে তারপর রোদে শুকাতে দেয়। রোদে শুকানোর পর মাটির জিনিসগুলোকে উচ্চ তাপমাত্রায় পোড়াতে হয়। পুড়ানো সম্পন্ন হয়ে গেলে মাটির জিনিসপত্র তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়।

মাটির পাত্র বা বাসন সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ মাটির বাসন কি চুলায় জ্বলতে পারে?


উত্তরঃ মাটির বাসন দিয়ে চুলায় রান্না করা যায়। আগের যুগের মানুষ মাটির বাসন দিয়ে রান্না বান্নার কাজ সম্পন্ন করতো। গ্যাসের চুলাতেও মাটির বাসন ব্যবহার করা যায় সে ক্ষেত্রে কোন ক্ষতি হয় না।

প্রশ্নঃ মাটির জিনিসপত্র কিভাবে তৈরি হয়?

উত্তরঃ মাটির জিনিসপত্র সম্পূর্ণভাবে মাটি দিয়ে তৈরি হয়। এটি তৈরি করার পর নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পুরানো হয়ে থাকে।


প্রশ্নঃ মাটির পাত্রে পানি রাখা যাবে কি?

উত্তরঃ মাটির পাত্রে পানি রাখা সম্পূর্ণ নিরাপদ। মাটির পাত্রে রাখা পানি পান করলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়ে থাকে। প্লাস্টিকের বোতলে বা প্লাস্টিকের পাত্রে পানি রাখার চেয়ে মাটির পাত্রে পানি রাখা অত্যন্ত উপকারী।

লেখকের কথা

মাটির বাসনের ব্যবহার দিন দিন প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। মাটির বাসনের যে ঐতিহ্য আছে সেটি ধরে রাখার জন্য বর্তমানে মৃৎ শিল্পীরা বিভিন্ন ধরনের মাটির তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করছেন। মাটি তৈরি যে জিনিসগুলো আছে সেগুলো ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে আমাদের মাটির বাসনে খাবার খাওয়া বা পান করা উচিত।

প্রিয় পাঠক, আপনার যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url