কাঁসার পাত্রে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি কাঁসার পাত্রে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে কাঁসার পাত্রে খাওয়ার উপকারিতা এবং কাঁসার পাত্রের টক খাওয়া উচিত নয় কেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কাঁসার পাত্রে খাওয়ার উপকারিতা
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন কাঁসার বাসন কোথায় বিখ্যাত, কাঁসার বাসন কি দিয়ে তৈরি হয়, কাঁসা এবং পিতলের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি।

ভূমিকা

প্রাচীনকাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত কাঁসার বাসন ব্যবহার হয়ে আসছে। অতীতে এই কাঁসার পাত্র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপহার দেয়া হতো। বর্তমানে কাঁসার পাত্রের দুষ্প্রাপ্যতা, মূল্য এবং বাজারে বিভিন্ন ধরনের বাসন আসায় ঐতিহ্যবাহী এ কাঁসার পাত্র বিলুপ্ত হওয়ার পথে। হিসেবে ২২% টিন এবং ৭৮% তামা দিয়ে তৈরি হয় এই মূল্যবান কাঁসা।


তামা ও টিনকে একত্রে নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশিয়ে প্রায় ৭০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ধাতু তাপমাত্রা প্রয়োগ করে এই ধাতু তৈরি করা হয়। এ কাঁসার পাত্রে খাওয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত। এই পাত্রে খাওয়া দাওয়া করলে স্বাস্থ্যের কোন ঝুঁকি থাকে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অন্যান্য সকল পাত্রের চেয়ে কাঁসার পাত্রে খাওয়া অনেক উপকারী।

যেমন প্লাস্টিকের পাত্রে খাওয়া দাওয়া করলে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। কাঁসার পাত্রে খেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে না সেজন্য হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কাঁসার পাত্রে খাওয়ার উপকারিতা

কাঁসার পাত্র অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত। এই পাত্রে খাওয়া দাওয়া করলে স্বাস্থ্যহানির কোন আশঙ্কা থাকে না বরং বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। আসুন তাহলে কাঠের পাত্রে খাওয়ার উপকারিতাগুলো জেনে নেয়া যাক-

ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করেঃ আমাদের পেটে যে সকল ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় তার বেশিরভাগই আসে খাবারের পাত্র থেকে। কাঁসার পাত্রে খাবার খেলে এই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যায় ফলে পেট সুস্থ থাকে।

শরীরে দূষিত পদার্থ বের করেঃ আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ তৈরি হয়। নিয়মিত কাঁসার গ্লাসে পানি খেলে এই দূষিত পদার্থগুলো শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যার ফলে লিভার এবং কিডনি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকে।

কপার বৃদ্ধি পায়ঃ প্রতিদিন কাঁসার গ্লাসে রাতে পানি রেখে পর দিন সকালে পান করলে শরীরে কপার ও তামার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়ঃ কাসার পাত্রে খাবার খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে কাঁসার পাত্রে খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের সবকিছু স্বাভাবিক থাকে।

জীবাণু ধ্বংস করেঃ কাঁসা তৈরি করতে প্রয়োজন হয় তামার। এই তামা লুকিয়ে থাকা জীবাণু ধ্বংস করতে খুবই কার্যকরী। এছাড়াও কাঁসার পাত্রে খাবার খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ওজন কমাতেঃ কাঁসার পাত্রে পানি খেলে বা খাবার খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় সেইসাথে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে ও সাহায্য করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ প্রতিদিন কাঁসার পাত্রে পানি বা খাবার খেলে ত্বকের মেলোলিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও লাবণ্যতা বৃদ্ধি পায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও কমলতা ধরে রাখার জন্য কাঁসার পাত্রে খাবার খাওয়া উচিত।

বাত ব্যথা দূর করেঃ কাঁসার পাত্রে থাকে কপার। কপার বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর করে থাকে সেজন্য এটি বাতের ব্যথা দূর করতেও অত্যন্ত কার্যকরী।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ শরীরে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকলে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কাঁসার পাত্রে পানি খেলে দিন দিন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বৃদ্ধিতে পেতে থাকে সেজন্য এটি শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

গ্যাস্ট্রিক দূর করেঃ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পেটে গ্যাসটিকের সমস্যা তৈরি করে। কাঁসা গ্লাসে পানি খাওয়ার ফলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো মরে যায়। ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাসহ পেটের অন্যান্য সমস্যা দূর হয়ে যায়।

পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্তি দেয়ঃ কাঁসার পাত্রে পানি বিশুদ্ধকরণের বৈশিষ্ট্য রয়েছে । দূষিত পানির কারণে বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগ হয়। তাই কাঁসার পাত্রে পানি পান করলে পানিবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

রক্তশূন্যতা কমায়ঃ কাঁসার গ্লাসে পানি খেলে শরীরের তামার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তামা শরীরের কোষগুলোর কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট কার্যকরী। এছাড়াও রক্তের লোহিত কণিকার পরিমাণ বহু গুণে বাড়িয়ে দেয় ফলে রক্ত শূন্যতা কমে যায়।

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়ঃ কাঁসার পাত্রে পানি পান করলে মস্তিষ্কের নিউরনের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দেয় এবং মস্তিষ্কের অন্যান্য কর্মক্ষমতাকে উন্নত করে। ইনফ্লেম্যাশনের পরিমাণ কমিয়ে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতেও কাঁসার কোন তুলনা নেই।

থাইরয়েড ব্যালেন্স রাখতেঃ কাঁসার পাত্রে রান্না করা খাবার খেলে থাইরয়েডের ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কাঁসার পাত্রে রান্না করা খাবার খেলে শরীরে কপার এবং তামার মাত্রা বেড়ে যায় যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

কাঁসার পাত্রে টক খাওয়া উচিত নয় কেন

কাসার পাত্রে টক জাতীয় কোন জিনিস রাখা বা খাওয়া উচিত নয়। কারণ কাঁসার পাত্রে তামা উপস্থিত থাকে। আবার টক জাতীয় খাবারে এসিড থাকে। যেকোনো ধরনের টক জাতীয় খাবার কাঁসার পাত্রে রাখলে তামার সাথে বিক্রিয়া করে এক ধরনের রাসায়নিক টক এসিড তৈরি করে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।


কাসার পাত্রের টক জাতীয় খাবার খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। কাঁসার পাত্রে টক জাতীয় খাবার খেলে শরীরের ক্ষতির পাশাপাশি সেই পাত্র দেখতেও খারাপ হয়ে যায়। সেজন্য আমরা কাঁসার পাত্রে টক জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকবো যাতে শরীরের ওপর কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে না পারে।

কাঁসার বাসন বিখ্যাত কোথায়

ঐতিহ্যবাহী একটি বাসনের নাম কাঁসা। এই বাসনের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বাংলাদেশের কিছু কিছু জায়গায় এটি তৈরী করা হয়। এছাড়াও এই কাঁসার পত্র কোন কোন জায়গায় অনেক বিখ্যাত। কাঁসার বাসন তৈরি করার জন্য বিখ্যাত জায়গা হল চাপাইনবাবগঞ্জ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জায়গা যেমন রাম কেষ্টপুর, শংকরবাঢী, আজাইপুর, রাজারামপুর ইত্যাদি এলাকাগুলো ছিল বাসার বাসন তৈরি করার বিখ্যাত স্থান।

এখানে কাঁসা শিল্পীরা তাদের নিপুন হাতে তৈরি করতেন থালা, বাটি, কলস, গ্লাস, প্লেট, গামলা হাঁড়ি পাতিলসহ অন্যান্য তৈজসপত্র। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিভিন্ন ধরনের কাঁসা শিল্পের নাম ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বব্যাপী। কাঁসার বাসনের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং পূর্ব পুরুষের উত্তরাধিকারী সূত্রে পাওয়া এই পেশাকে বাদ দিতে পারেনি এই জেলার কারিগররা।

তবে বর্তমানে কালের বিবর্তনে কাঁসার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তেমন একটা লাভ করতে পারছেন না কাঁসা শিল্পীরা। দাম বৃদ্ধির কারণেও ক্রেতারাও যখন তখন কাঁসার জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।

আসল কাঁসা চেনার উপায়

কাঁসার পাত্রগুলো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি রয়েছে এর বিভিন্ন গুনাগুণ। কিন্তু সেটি হতে হবে আসল কাঁসা। এছাড়া কাঁসা ও পিতল অনেকে একই রকম মনে করে বা পিতল কাঁসা মনে করে কিনে নিয়ে চলে আসে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন আসল চিনবো কিভাবে। আসল কাঁসা চেনার প্রথম এবং প্রধান উপায় হচ্ছে আওয়াজ শুনে।

আসল কাঁসার আওয়াজ সব সময় চিকন হবে। আসল কাঁসার আওয়াজ করলে মনে হবে স্কুলের ঘন্টা বাজানোর আওয়াজ এর মত। কাঁসার কোন পণ্য কিনতে গেলে আসল কাসার কি আওয়াজ হয় সেটি শুনে যাবেন তাহলে চিনতে সুবিধা হবে। আসল কাসা গুণে ও মানে সবদিক থেকেই সেরা।

কাঁসা কি দিয়ে তৈরি হয়

কাঁসা তৈরি হয় ৭৮ শতাংশ তামা বাকি ২২ শতাংশ টিন দিয়ে। টিন এবং তামার সংমিশ্রণে তৈরি হয় এই মূল্যবান শংকর ধাতু কাঁসা। কাঁসার জিনিস তৈরি করা খুব সহজ নয়। একটি গোলাকার চাকতিকে গরম করে কয়েক জন মিলে পিটিয়ে পিটিয়ে তৈরি করা হয় কাঁসার পণ্যগুলো। কাঁসা দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন জিনিস যেমন গ্লাস, প্লেট, কলস, বাটি, হাড়ি পাতিল, স্কুলের ঘন্টা আরো অন্যান্য অনেক জিনিস।

এইগুলোর মধ্যে গ্লাস তৈরি করা সবচেয়ে বেশি কঠিন। কাসার জিনিসগুলোর দাম বর্তমানে বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের তুলনায় অনেক কম ব্যবহৃত হয়। সেজন্য এই ঐতিহ্যবাহী কাঁসার জিনিস দিন দিন বিলুপ্ত হওয়ার পথে।

কাসা ও পিতলের পার্থক্য

অনেকেই মনে করেন কাঁসা এবং পিতলের জিনিস একই রকম। সঠিক ধারণা মতে কাঁসা এবং পিতলের জিনিস সম্পূর্ণভাবে আলাদা। কাঁসা ও পিতলের জিনিসের যে পার্থক্য গুলো বিদ্যমান সেগুলো হল-
  • সংমিশ্রনের দিক দিয়েও কাঁসা এবং পিতল আলাদা। কারণ কাঁসা তৈরি হয় তামা এবং টিন দিয়ে। অপরদিকে পিতল তৈরি হয় তামা এবং দস্তা দিয়ে।
  • পিতলের জিনিসপত্র তৈরি করা খুব সহজ কিন্তু কাঁসার জিনিসপত্র তৈরি করা সহজ নয়। কাঁসার জিনিস তৈরি করা কষ্টসাধ্য বিষয়।
  • কাঁসার পাত্রে সরাসরি রান্না করা যায় অপরদিকে পিতলের পাত্রে সরাসরি রান্না করা যায় না।
  • কাঁসা দেখতে লালচে সোনালী বর্ণের হয়ে থাকে কিন্তু পিতল উজ্জ্বল সোনালী বর্ণের হয়।
  • কাঁসা এবং পিতলের শব্দও সম্পূর্ণ আলাদা। এই দুটির আওয়াজ শুনলেই বোঝা যায় কোনটা কাঁসা আর কোনটা পিতল।
  • পিতলের জিনিসপত্র বানানো সহজ বলে এটি দিয়ে অনেক নকশা জাতীয় পণ্য তৈরি করা যায় কিন্তু কাঁসার জিনিস তৈরি করা খুব একটা সহজ নয় সেজন্য এটি দিয়ে শুধুমাত্র থালা গ্লাস ইত্যাদি জাতীয় পণ্য তৈরি করা হয়।
  • কাঁসার জিনিসের তুলনায় পিতলের জিনিসের খরচ একটু কম হয়। সেজন্য খুব সহজেই পিতলের জিনিস কেনা যায়।
  • কাঁসা এবং পিতলের মধ্যে একটাই মিল হলো দুটোই তামা দিয়ে তৈরি হয় এবং দেখতে কিছুটা মিল রয়েছে। তবে কাঁসার জিনিস ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত ভালো এবং শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
কাঁসার পাত্র খাওয়া সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ কাঁসার থালায় ভাত খেলে কি হয়?

উত্তরঃ কাসার থালায় ভাত খেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে যায় সেজন্য হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও কাঁসার থালায় ভাত খেলে শরীরের বিভিন্ন উপকারিতা হয়।

প্রশ্নঃ তামার বাসন কি সবচেয়ে ভালো?

উত্তরঃ তামার বাসন রান্না বান্নাসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে ভালো। তামার বাসনে রান্নাবান্না করলে পুড়ে যাওয়া এবং নিচে লেগে যাওয়া সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ এটি তাপ পরিবাহী। তামার বাসনে রান্নার কাজে ব্যবহারের অনেক সুবিধা অন্যান্য বাসনের তুলনায় অনেক বেশি।

প্রশ্নঃ তামার কড়াইয়ের অসুবিধাগুলো কি কি?

উত্তরঃ তামার কড়াইয়ে টক জাতীয় জিনিস রাখা বা রান্না করা উচিত নয়। কারণ এটি সংকর ধাতু। এসিডের সাথে সম্পূর্ণভাবে বিক্রিয়া করে এটি। যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকারক হতে পারে। সেজন্য তামার বাসনে টক জাতীয় জিনিস রান্না করা বা খাওয়া উচিত নয়।

প্রশ্নঃ তামার বা কাঁসার পাত্রে পানি খেলে কি হয়?

উত্তরঃ কাঁসার পাত্রে পানি খেলে শরীরে নানা উপকারিতা লক্ষ্য করা যায় যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং বাতের ব্যথা দূর করে।

প্রশ্নঃ কাঁসা কত টাকা কেজি?

উত্তরঃ কাঁসার তৈরি থালা কিনতে গেলে খরচ পড়বে প্রতি কেজিতে ২০০০ থেকে ২১০০ টাকা এবং বাটি এবং গ্লাস কিনতে গেলে খরচ পড়বে প্রতি কেজিতে ২৩০০ এবং ২৪০০ টাকা।

লেখকের শেষ কথা

কাঁসার পাত্রে খাওয়ার যে সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা মেলামাইন বা প্লাস্টিকে নেই। সেজন্য আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত কাঁসার পাত্রে খাবার খাওয়া উচিত। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার পরিজনের সাথে শেয়ার করুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url