জাফরান এর উপকারিতা ও জাফরান দুধের উপকারিতা - জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়

প্রিয় পাঠক, আপনি কি জাফরানের উপকারিতা এবং জাফরান দুধের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে জাফরানের উপকারিতা ও জাফরান দুধের উপকারিতা এবং গর্ভবতী মায়েদের জাফরান খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
জাফরান এর উপকারিতা
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন জাফরান খেলে ত্বক ফর্সা হয় কিনা, রূপচর্চায় জাফরানের ব্যবহার এবং আসল জাফরান চেনার উপায় ইত্যাদি।

ভূমিকা

জাফরান একটি মসলা জাতীয় খাদ্য। এটি মসলা জাতীয় খাদ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি এবং ব্যয়বহুল। এটি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয় না বলে এর দাম অনেক বেশি। সেজন্য সবার পক্ষে জাফরান খাওয়া সম্ভব হয় না। ক্রোকাস স্যাটিভাস লীনের ফুল থেকে আসে জাফরান। এই ফুল প্রত্যেক বছর নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসের দিকে ফোটে।


এই ফুল ফোটার পর তিন থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই ফুলগুলোর মধ্যে থেকেই সংগ্রহ করা হয় জাফরান। জাফরানের সুন্দর গন্ধ এবং সুন্দর রং বিদ্যমান। এটি সাধারণত মিষ্টি জাতীয় খাবারে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহার করলে খাবারের রঙ, গন্ধ ও স্বাদ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও জাফরানের রয়েছে নানা উপকারিতা যা শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

জাফরানের অনেক গুনাগুণ থাকার কারণে এটি প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো এই জাফরান। জাফরানে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রী রেডিক্যাল এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

জাফরান খাওয়ার উপকারিতা

জাফরান যেমন মূল্যবান ঠিক তেমনি রয়েছে এর উপকারিতা। জাফরানের রয়েছে বহুমাত্রিক গুনাগুণ যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো। তাহলে আসুন জাফরানের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ জাফরান স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকরী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এর ভূমিকা অত্যাধিক। স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া রোধ করার চিকিৎসায় জাফরান ব্যবহার করা হয়।

মানসিক শান্তিঃ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জাফরান। নিয়মিত জাফরান খেলে হতাশা দূর করে মানসিক শান্তি প্রদান করতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ জাফরানে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফ্লাবোনয়েড যা শরীরের ফ্রি রেডিক্যাল কমাতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। নিয়মিত জাফরান খেলে কোলন ক্যান্সারসহ অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

হার্ট সুস্থ রাখেঃ জাফরানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান। এই উপাদানগুলো রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে সেজন্য হার্ট সুস্থ থাকে। ফলে হৃদরোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। নিয়মিত জাফরান খেলে ক্ষতিকর কলেস্টেরল শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

সর্দি জ্বর উপশম করেঃ জাফরান সর্দি জ্বর উপশম করতে অত্যন্ত কার্যকরী। গরম দুধের সাথে এক চিমটি পরিমাণ জাফরান খেলে সর্দি জ্বর দূর হয়ে যায়।

মেয়েদের স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ যে সকল মেয়েদের শারীরিক অবস্থা তেমন উন্নত নয় তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য জাফরান অত্যন্ত উপকারী। দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে খেলে হরমোন উদ্দীপিত হয় ফলে শারীরিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটে।

মাথায় নতুন চুল গজাতেঃ যাদের মাথায় টাক পড়ে গেছে তাদের মাথায় নতুন চুল গজাতে জাফরান অত্যন্ত কার্যকরী। দুধ ও মধু একসাথে মিশিয়ে মাথায় মাখলে টাক মাথায় নতুন চুল গজাবে।

খাদ্যকে আকৃষ্ট করতেঃ জাফরানের সুন্দর রং খাবারকে বহুগুণে আকর্ষণীয় করে তুলে। খাবারকে আকর্ষণীয় ও রঙিন করতে জাফরান অতুলনীয়। জাফরান খাবারের রং এমনভাবে ফুটিয়ে তুলে যাতে করে মানুষ দেখলে খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এছাড়াও মুখের রুচি বৃদ্ধি করতে জাফরান এর রয়েছে অনন্য ক্ষমতা।

বিলম্বিত বয়স সন্ধিঃ যেসব মেয়েদের ঋতুস্রাব সময়মতো হয় না বা দেরি হয় সেসব মেয়েদের জন্য জাফরান অনেক উপকারী। এক টেবিল চামচ দুধের সাথে এক চিমটি পরিমাণ জাফরানের গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে রক্তের হরমোন সচল হয় এবং বিলম্বিত ঋতুস্রাব সমস্যা দূর হয়।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জাফরান অত্যন্ত উপকারী। হজমের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং মুখের রুচি ফিরিয়ে দিতেও অত্যন্ত কার্যকরী জাফরান। এছাড়াও অ্যাসিডিটি কমিয়ে পেটের গ্যাস জমতে দেয় না।

অনিদ্রা দূর করেঃ অনিদ্রা দূর করতে জাফরানের রয়েছে দ্বিগুণ কার্যকারিতা। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে খেলে। ঘুমের সমস্যা বা অনেকটা দূর হয়ে যাবে।

জাফরান দুধের উপকারিতা

জাফরানে রয়েছে নানা ধরনের উপকারিতা। জাফরান দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে এর উপকার বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। তাহলে এবার চলুন জাফরান দুধের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই-
  • জাফরান দুধ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ দুধে আছে সোডিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে শরীরে বিভিন্ন রোগ তৈরি হয় সেজন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা অত্যন্ত জরুরী।
  • দুধ জাফরানের সাথে কিসমিস মিশালে এই মিশ্রণটি অত্যন্ত ভালো হয়। এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • দুধ জাফরানের রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার যা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • জাফরান দুধ ক্যালসিয়ামের বড় উৎসব। হাড়কে মজবুত করতে এবং ক্ষয় রোধ করতে এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও হাড়ের গঠনেও জাফরান দুধ অত্যন্ত কার্যকরী।
  • জাফরান দুধে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যা শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে শরীরকে সুস্থ সবল করে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি শরীরকে শক্তিশালী করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।
  • এক গ্লাস দুধের সাথে এক চিমটি পরিমাণ জাফরান গুড়ো মিশিয়ে খেলে সর্দি কাশির পরিমাণ অনেক কমে যাবে। যাদের অল্পতে সর্দি কাশি শুরু হয়ে যায় তাদের জন্য জাফরান দুধ খাওয়া খুবই প্রয়োজন।
  • ঋতু সাবের সময় অনেকেরই প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়। এ ব্যথা দূর করার জন্য চিকিৎসকরা গরম পানি বা গরম দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। জাফরানে রয়েছে প্রদাহ দূর করার অত্যাধিক ক্ষমতা। সেজন্য গরম দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে খেলে ঋতুস্রাবের ব্যথায় থেকে উপশম পাওয়া যাবে।
  • জাফরানে রয়েছে হৃদযন্ত্র ভালো রাখার ক্ষমতা। জাফরান ধমণীকে নরম করে রক্ত চলাচল সচল ও স্বাভাবিক রাখে। যা হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ভালো।
  • দুধ এবং জাফরান দুটোই অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য। নিয়মিত দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে খেলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয় এবং দুর্বল স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী জাফরান। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

গর্ভবতী মায়েদের জাফরান খাওয়ার উপকারিতা

প্রতিটি মহিলার জীবনে গর্ভাবস্থা অনেক আনন্দের মুহূর্ত। আনন্দ উত্তেজনা ও বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি গর্ভবতী মেয়েদের মনে মিশে থাকে। গর্ভাবস্থায় মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং উপকারী খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। এই উপকারী খাদ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হল জাফরান। এ সময় জাফরান খেলে অনেক উপকারিতা লক্ষ্য করা যায়।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা গর্ভকালীন সময়ে জাফরান খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গর্ভবতী মায়েদের জাফরান খেলে যে উপকারিতা গুলো পাওয়া যায় সেগুলো হলো-
  • জাফরানে রয়েছে মুড স্যুইং নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা। গর্ভকালীন সময়ে মেয়েদের প্রধান সমস্যা হল মুড স্যুইং। এর অর্থ হলো মন কখনো ভালো কখনো খারাপ। জাফরান নিয়মিত খাওয়ার ফলে সেরোটোনিন হরমোন তৈরি করে যার রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে মুড স্যুইং নিয়ন্ত্রণে রাখে।
  • গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এ সমস্যা দূর করতে দুধের সাথে এক চিমটি জাফরান মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে অনিদ্রা দূর হবে এবং ঘুম ভালো হবে
  • গর্ভবতী মায়েদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা অনুভূত হয়। এই ব্যথা বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। এই ব্যথা অনেক সময় সহনীয় অবস্থায় থাকে হঠাৎ করেই অসহনীয় হয়ে পড়ে। এ সকল ব্যথা বেদনা দূর করতে অনেক কার্যকরী জাফরান। সেজন্য জাফরানকে অনেক সময় পেইন কিলার বলা হয়ে থাকে।
  • জাফরান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেশি দেখা যায়। সেজন্য এই সময় জাফরান খাওয়া অনেক প্রয়োজনীয়।
  • গর্ভাবস্থায় মুখের স্বাদ ও রুচি ভিন্ন ধরনের হয়ে যায় সেজন্য জ্যাঙ্ক ফুড খাওয়ার চাহিদা অত্যন্ত বেড়ে যায়। এ খাবারগুলো খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা গর্ভের বাচ্চা এবং মা দুজনের জন্যই ক্ষতিকর। জাফরান কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে এই সমস্যা দূর করতে সহায়ক।

জাফরান খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়

জাফরান খেলে শুধুমাত্র শরীরের উপকারিতা হয় না এটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত জাফরান খেলে শরীরের যেমন বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা লক্ষ্য করা যায় তেমনি ত্বকের সৌন্দর্য ফুটে উঠে এবং ত্বক ফর্সা হয়। এছাড়াও জাফরান দিয়ে তৈরি ত্বকের জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী তৈরি হয়েছে।

তবে দুধ ও জাফরান একসাথে মিশিয়ে খেলে ত্বকের বেশি উপকার পাওয়া যায়। ত্বক ফর্সা করার জন্য কিভাবে জাফরান খেতে হয় চলুন সে বিষয়ে জানি-

প্রথমে নিয়ে নিতে হবে এক গ্লাস পরিমাণ দুধ। তারপর সে দুধকে মাইক্রোওভেনে বা চুলায় ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটানো হয়ে গেলে সেখানে দিয়ে দিতে হবে এক চিমটি পরিমাণ জাফরান। জাফরান দেয়ার কিছুক্ষণ পর দুধের রং হলুদ হতে থাকবে। এরপর দিয়ে দিতে হবে কয়েকটি কিসমিসএক চা চামচ মধু


যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা আছে তারা এই দুটিকে বাদ দিয়ে দিতে পারে। এগুলো দেওয়া হয়ে গেলে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে । তারপর কিছুটা ঠান্ডা হলে বা কুসুম কুসুম গরম অবস্থায় খেয়ে নিতে হবে জাফরান মিশানো দুধটি। এভাবে কয়েকদিন খেলে নিজে নিজেই বুঝতে পারবেন ত্বকের উজ্জ্বলতা কতটা বৃদ্ধি হয়েছে।

রূপচর্চায় জাফরানের ব্যবহার

উপরের আলোচনায় আমরা জেনেছি ত্বক ফর্সা করার জন্য জাফরান খাবার নিয়ম। এখন আমরা রূপচর্চায় জাফরান কিভাবে ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে। চলুন জেনে নেই-
  • কাঁচা দুধের সাথে জাফরান মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে মুখের উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি পায়
  • চন্দনের গুড়ার সাথে এক চিমটি পরিমাণ জাফরানের গুড়া এবং গোলাপজল দিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে তারপর সেটি মুখে লাগালে ত্বক অনেক মসৃণ এবং লাবণ্যময়ী হয়ে উঠবে
  • জাফরান কালো দাগ দূর করতে সক্ষম। জাফরানের সাথে নারিকেল তেল ও ব্রাউন সুগার মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে কোনই হাটু এবং যেখানে কালো দাগ রয়েছে সেখানে লাগিয়ে রাখলে সে দাগগুলো দূর হবে এবং মরা চামড়া উঠে যাবে। এই মিশ্রণটি বডি স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে থাকে।
  • ত্বককে সুস্থ ও সতেজ রাখার জন্য জাফরানের গুড়োর সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এটা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ত্বক সতেজ দেখাবে।
  • বাদাম তেল ত্বকের মশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। সেজন্য বাদাম তেলের সাথে জাফরান মিশিয়ে তারপর রাতে ঘুমানোর আগে সেটি ব্যবহার করলে ত্বক নরম এবং কোমল থাকবে।
  • এছাড়াও জাফরানের ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করলে এটি ত্বকের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। জাফরানের ফেসপ্যাক তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপাদানগুলো হল জাফরান, দুধ, নারিকেল তেল এবং চিমটি পরিমাণ চিনি।

আসল জাফরান চেনার উপায়

জাফরান একটি ব্যয়বহুল এবং দামি মসলা জাতীয় খাবার। সেজন্য এটি কেনার আগে আসল বা নকল সেগুলো যাচাই করে কিনতে হবে। নকল জাফরান পানিতে ছেড়ে দিলে পানির রং সাথে সাথে লাল হয়ে যায় এবং হাতে ঘষলেও লাল রং ধারণ করে। কিন্তু আসল জাফরানের রং কখনো লাল হয় না এটি পানিতে ভিজিয়ে রাখলে পানির রং হলদে হয়।

পানির রং হলদে হওয়ার জন্যও কিছুক্ষণ সময় লাগে নকল জাফরানের মত সাথে সাথে পানির রং পরিবর্তন হয় না। জাফরান চিনতে হলে পানিতে ভিজিয়ে রেখে পানির রং দেখে আসল জাফরান চিনে নিতে হবে।

মন্তব্য

জাফরান একটি সুন্দর রং ও গন্ধযুক্ত মসলা জাতীয় খাদ্য। এটি খাওয়া এবং ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনি যদি এই উপকারগুলো পেতে চান তাহলে জাফরান খেতে বা ব্যবহার করতে পারেন। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url