পালং শাকের উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই

প্রিয় পাঠক, আপনি কি পালং শাকের উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে পালং শাকের উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম এবং পালং শাকের জুসের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পালং শাকের উপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন পালং শাক চাষ করার পদ্ধতি, পালং শাকে কোন ভিটামিন থাকে এবং পালং শাকের অপকারিতা ইত্যাদি।

ভূমিকা

পালং শীতকালীন একটি শাকের নাম। পালং শাক শীতকালে উৎপাদন করা হয়। চিকিৎসকরা বলেন শরীরকে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে হলে খাবারের তালিকায় শাকসবজি রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তারা আরো বলেন প্রতিদিন শাকসবজি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরকে বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগ থেকে দূরে রাখে।


পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যা শরীরকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। পালং শাকের যেমনি উপকারিতা রয়েছে তেমনি খেতেও খুব সুস্বাদু। এটি একটি শীতকালীন শাক হওয়ার কারণে এর চাহিদাও রয়েছে অনেক। পালং শাকে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোহাইড, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাসসহ আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।

এগুলো উপাদান থাকার ফলে পালং শাক শরীরকে বিভিন্ন প্রকার রোগবালাই থেকে দূরে রাখে। পালং শাক পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর সেজন্য এটি সুপার ফুড হিসেবে বিবেচিত। ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্যকর এবং স্বাস্থ্য উপকারি সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।

পালং শাকের উপকারিতা

পালং শাক শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারী। পালং শাক মূলতঃ সবুজ শাকের মধ্যে একটি। এতে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্ট উপাদান। আপনি যদি পালং শাকের উপকারিতা সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক -

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পালং শাক খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ পালং শাকে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম রয়েছে। সেজন্য পালং শাক খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আপনি যদি অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন তাহলে খাবারের তালিকায় পালং শাক রাখতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ পালং শাক হচ্ছে আয়রণযুক্ত খাবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই নির্ভরযোগ্য। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা খুবই কষ্টদায়ক। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগেন তাহলে নিয়মিত পালং শাক খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটো কেমিক্যাল যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির করতে সাহায্য করে এবং চোখকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন যা চোখে ছানি পড়া চোখকে রক্ষা করে।

ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখেঃ পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন এ যা ত্বকের বাইরের স্তরের আদ্রতা বজায় রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে ত্বককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করেঃ পালং শাকে উচ্চমাত্রার আয়রণ থাকায় অক্সিজেনের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ভিটামিন সি ভিটামিন কে তারনিত করে আমাদের শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে দেয়।

হার্ট সুস্থ রাখেঃ হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে পালং শাক অত্যন্ত কার্যকরী। নিয়মিত পালং শাক খেলে হার্ট এটাকে ঝুঁকি অনেক অংশে কমে যায় এবং হার্ট সুস্থ থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অতি প্রয়োজনীয় যা পালং শাকের মধ্যে বিদ্যমান।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ পালং শাকে রয়েছে একাধিক পরিমাণ ফ্ল্যাবোনয়েড যা ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। ক্যান্সারসহ অন্যান্য কঠিন রোগ থেকে শরীরকে মুক্ত রাখে। পালং শাক খেলে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি হতে দেয় না, ফলে কানসারের ঝুকি কমে যায়।

হাড় মজবুত করেঃ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের ক্ষয় রোধ করে এবং হাড়কে মজবুত করতে সহায়তা করে। নিয়ম করে পালং শাক খেলে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ পালং শাকে ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং কার্বোহাইডেটের পরিমাণ একটু কম থাকে সেজন্য রক্তে শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যারা ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়ম করে পালন সব খেতে পারেন তাহলে ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ পালং শাক স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারন- পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট। মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য এই ফোলেট অত্যন্ত প্রয়োজন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ বিভিন্ন কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। নিয়মিত পালং শাক খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ পালংশাক হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। কারণ পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হজমের ক্ষেত্রে অতি উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ও দূর করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে পালং শাক।

রক্ত পরিষ্কার করেঃ পালং শাক রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তশূন্যতা দূর করে এবং শরীরের শক্তি জগতের সাহায্য করে।

পালং শাক খাওয়ার নিয়ম

পালং শাকে রয়েছে অত্যন্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা। তবে এর সম্পূর্ণ উপকারিতা পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়মে খাওয়া প্রয়োজন। তাহলে চলুন জেনে নেই পালং শাক খাওয়ার সঠিক নিয়ম -
  • পালং শাক ভাজি করে খাওয়া যায় তবে। খেয়াল রাখতে হবে পালং শাকে অতিরিক্ত পানি যেন না মিশানো হয় এবং পালং শাকের মধ্য থেকে বের হওয়া পানি যেন ফেলে না দেওয়া হয়। এ পানি ফেলে দিলে পুষ্টিগুণ সব চলে যাবে।
  • মিক্সড সবজি হিসেবে পালং শাক অন্যান্য সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করে খাওয়া যায়। এভাবে খেলে এর স্বাদ অনেক বেশি পাওয়া যায়।
  • মসুরের ডালের সাথে মিশিয়ে পালং শাক রান্না করে খাওয়া যায়।
  • সালাদের সাথে পালং শাক খাওয়া যায় তবে এর সাথে দুধ বা দই মিশিয়ে নিলে পুষ্টিগুণ বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও পালং শাক জুস বানিয়ে খাওয়া যায়। পালং শাক শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
  • তবে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে বলেছেন পালং শাক রান্না করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা খেলে উপকারিতা অনেক বেশি পাওয়া যায়। কারণ পালং শাকে রয়েছে লুটেইন নামক উপাদান। যার রক্তনালীর চর্বি হয়ে বন্ধ থাকার ঝুকি কমিয়ে দেয়। সিদ্ধ করে রান্না করে খেলে লুটেইন কমে যায়।

পালং শাকের জুসের উপকারিতা

পালং শাক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী কারণ পালং শাকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। যা শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেজন্য পালং শাকের জুসেরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাহলে চলুন পালং শাকের জুসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
  • পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়ম করে পালং শাকের জুস খেলে রক্তে লোহিত কণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এবং অ্যানিমিয়া সমস্যা দূর হবে।
  • পালং শাকের জুসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
  • জুস খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে কারণ পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন, আয়রন, পানি, ফাইবার এবং খনিজ পদার্থ। যা ত্বককে সজীব করে তুলতে সহায়তা করে।
  • পালং শাকের জুস রক্তে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং রক্ত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • নিয়মিত পালং শাকের জুস খেলে সূর্যের ক্ষতিকারক রাশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সেজন্য নিয়মিত পালং শাক করে জুস খাওয়া অতি প্রয়োজন।
  • নিয়োক্সেথিন এবং ভায়োল্যাক্সা নথি নামক এন্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে পালং শাকে যা ত্বকে প্রদাহ হতে ত্বককে রক্ষা করে। এছাড়াও বিভিন্ন ডিজিস হতে ত্বকের রক্ষা করে।
  • পালং শাকের জুসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের বিভিন্ন পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি হার্টের পেশির কর্মক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • পালং শাকের জুসে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা গর্ভবতী মায়েদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাই পালং শাকের জুস খেলে গর্ভের বাচ্চার ও অনেক উপকার হয় এবং দুগ্ধদানকালেও এটি অনেক উপকার হয়। কারণ এটি বুকের দুধ বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী।
  • পালং শাকের রস চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শাকের রসের সাথে মধু এবং অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে চুল অনেক সিল্কি এবং স্বাস্থ্য উজ্জ্বল হয়।
  • নিষ্প্রণ চুলের প্রাণ ফেরাতে পালং শাকের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি চুলে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে সেজন্য এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
  • পালং শাকের রস চুলের সুস্থতার পাশাপাশি ত্বকের সুস্থতাও বজায় রাখতে সাহায্য করে। পালং শাকের রস মুখে মাখলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বহু গুণের বৃদ্ধি পায়। পালং শাকের জুস কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • আমাদের শরীরে থাকা ফ্রি রেডিকেলস ত্বককে ড্যামেজের দিকে ঠেলে দেয়। পালং শাকের জুসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রী রেডিক্যাল ধ্বংস করে ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • পালং শাকের জুস চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। পালং শাকের রস বের করে চুলের গোড়াতে নিয়মিত লাগালে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুল পড়া অনেক কমে যায়।

পালং শাক চাষ করার পদ্ধতি

বর্তমান সময়ে বাড়ির ছাদে বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করা হয়। এ শাক সবজিগুলো মূলতঃ টবে লাগানো হয়। আজ আমরা এখানে টবে পালং শাক চাষ করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো। তাহলে জেনে নিন কিভাবে টবে পালং শাক চাষ করা যায়-

পালং শাক চাষ করার জন্য প্রথমে মাটি ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। মাটি ঝরঝরে করে নিতে হবে। তারপর ৬০ শতাংশ মাটির সাথে ৪০ শতাংশ জৈব সার মিশিয়ে টবে ভরতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে টবে প্রথমে সম্পূর্ণ মাটি দিয়ে ভরা যাবে না। কিছু অংশ ফাঁকা রাখতে হবে। পালং শাকের বীজ ছড়িয়ে দিয়ে বাঁকি অংশটুকু মাটি দিয়ে ভরাট করতে হবে।

মাটিতে অবশ্যই কিছুটা ভেজা ভাব থাকতে হবে। পালংয়ের বীজ লাগানের পর টব যেখানে সম্পূর্ণ রোদ লাগে সেখানে রেখে দিতে হবে এবং মাঝে মাঝে পানি দিতে হবে। যাতে মাটি শুকনো হয়ে না যায়। পালংয়ের বীজ বোনার ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে গাছ বের হওয়া শুরু হবে। গাছ বের হওয়ার পর নিয়মিত পানি দিতে হবে যাতে মরে না যায়।

পালং শাকে কোন ভিটামিন থাকে

আমরা সবাই জানি পালং শাক ভিটামিন ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না পালং শাকে কি কি ভিটামিন থাকে। পালং শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আইরন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ আরো অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি খেলে শরীরে নানা ধরনের উপকার সাধিত হয়।

যারা ডায়েটের মধ্যে থাকে তারা নিয়মিত পালং শাকের জুস খেলে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হয় না। এছাড়াও এটি বিভিন্ন রোগের মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

পালং শাকের অপকারিতা

পালং শাক শরীরের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত উপকারী কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন পরিমাণ মতো পালং শাক খেলে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে পালং শাক খেলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অতিরিক্ত পালং খেলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

পালং শাকে থাকে অক্সালেট যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথরে সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রত্যেক ব্যক্তি শরীরের অবস্থা আলাদা আলাদা সেজন্য ব্যক্তিভেদে অতিরিক্ত পালংশাক খাওয়ার ফলে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই আমরা নিয়মমতো পালং শাক খাবো এবং শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার চেষ্টা করব।

মন্তব্য

পালং শাক বাংলাদেশে শীতকালে জন্মে তাই একে শীতকালী শাক বলা হয়। এই শাকে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এ শাকের অনেক উপকারিতার পাশাপাশি সামান্য কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আপনি যদি এই শাকের উপকারগুলো পেতে চান তাহলে সঠিক নিয়মে খাবেন। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url