চন্দন কাঠের উপকারিতা এবং আসল চন্দন চেনার উপায় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি চন্দন কাঠের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে চন্দন তেলের উপকারিতা ও চন্দন পাউডার ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
চন্দন কাঠের উপকারিতা এবং চন্দন পাউডার ব্যবহারের নিয়ম
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন চন্দন ব্যবহারের নিয়ম, আসল চন্দন চেনার উপায়, চন্দন দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় এবং চন্দন পাউডারের দাম ইত্যাদি।

ভূমিকা

চন্দন সুগন্ধিযুক্ত মাঝারি ধরনের চিরহরিৎ বৃক্ষ। ভারতে এই গাছটি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায় এই সুগন্ধযুক্ত চন্দন গাছ। উন্নত গুণাগুণসম্পন্ন হাওয়ায় প্রাচীনকাল থেকে মহিলাদের রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই চন্দন। হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদিতে ব্যবহার হয়ে থাকে চন্দন কাঠ।


আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে চন্দন বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়। চন্দনের রয়েছে ওষুধে গুনাগুণ যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। সৌন্দর্য বর্ধন বা রূপচর্চায় ব্যবহার করা হয় চন্দনের গুঁড়া। কারণ চন্দন রূপচর্চায় অতি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখে।

এছাড়াও চন্দর বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনি ও সুগন্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয় চন্দন। চন্দনে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়ার উপাদান যা ত্বকের ব্রণ দূর করতে সহায়তা করে। চন্দন বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে যেমন- রক্ত চন্দন, পীত চন্দন, শ্বেত চন্দন এবং কুচন্দন।

বিভিন্ন প্রজাতির চন্দন থাকলেও লাল চন্দন এবং সাদা চন্দন বেশি চাষ করা হয়ে থাকে। চন্দন একদিকে যেমন ঔষধি গুনাগুণসম্পন্ন এবং সুগন্ধ যুক্ত হওয়ার কারণে বিশ্বের জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক।

চন্দনের উপকারিতা

শারীরিক সুস্থতা এবং ত্বকের যত্নে চন্দনের রয়েছে অনন্য ভূমিকা। চন্দনের বিভিন্ন ধরনের উপকারিতার কথা আমরা অনেকেই জানি না। তাহলে চলুন জেনে নেই চন্দনের উপকারিতাগুলো -

বলিরেখা দূর করেঃ চন্দনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট রয়েছে যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সহায়তা করে।

রোদে পোড়া দাগ দূর করেঃ সূর্যের তাপে বেশিক্ষণ থাকার ফলে ত্বকের অনেক ক্ষতি হয়। ত্বক কালো হয় এবং পোরা ভাব হয়। এরকম তোকে চন্দনের গুড়া ভালো কাজ দেয়। চন্দনের গুড়া নিয়মিত ব্যবহার করলে রোদে পোড়া দাগ সহ ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করতে সহায়তা করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করেঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার জন্য চন্দনের গুড়ার কোন বিকল্প নেই। উজ্জ্বল ফর্সা এবং মসৃণ ত্বক পেতে চন্দনের গুড়ার সাথে হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করলে দ্রুত ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা এক চা চামচ চন্দনের গুড়া আধা কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসবে। চন্দনের গুড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।

মুখের দাগ দূর করেঃ ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে চন্দনের গুড়া অত্যন্ত কার্যকরী। চন্দনের গুড়ার সাথে মধু বা ডিমের কুসুম মিশিয়ে ব্যবহার করলে মুখের কালো দাগসহ বিভিন্ন ধরনের দাগ দ্রুত দূর করে।

ডার্ক সার্কেল দূর করেঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ডার্স সার্কেল তৈরি হয়। এই ডার্ক সার্কেল দূর করতে হলে চন্দনের গুড়া ব্যবহার করতে হবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য চন্দনের গুড়ার সাথে গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো একসাথে ব্যবহার করলে ডার্ক সার্কেল দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক ফর্সা হবে।

মাথা ব্যথা দূর হয়ঃ চন্দন মাথা ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। গোলাপ জলের মধ্যে চন্দন মিশিয়ে তারপর সেটি কপালে লাগালে মাথা ব্যথা দূর হয়ে যায়।

ঘামের দুর্গন্ধ দূর করেঃ চন্দন সুগন্ধযুক্ত হওয়ায় ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। গোলাপজলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে শরীরে ঘামের যে দুর্গন্ধ থাকে সেটি দূর হয়ে যায় এবং সুগন্ধ ফিরে আসে।

ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করেঃ চন্দন ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। যাদের ত্বকে তেল তেল ভাব বেশি রয়েছে তারা তারা চন্দনের সাথে গোলাপ ফুল ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যাবে।

এলার্জি দূর করেঃ চন্দন এলার্জি দূর করতে সক্ষম। এলার্জির কারণে ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় চুলকাতে থাকে। চন্দন পেস্ট করে চুলকানির জায়গায় লাগালে চুলকানি ধীরে ধীরে কমে যাবে।

ব্যথা দূর করেঃ চন্দন বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দনের গুড়া পেস্ট করে ব্যথার স্থানে লাগিয়ে রাখলে ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যাবে। যাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হয় তারা এই উপায়টি অবলম্বন করতে পারেন।

লাল চন্দনের উপকারিতা

মানুষের সৌন্দর্য চর্চায় আদিকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে চন্দন। আশ্চর্যজনক বিষয় হল চন্দনের পাতা বা ফুলে কোন গন্ধ নেই এর সুগন্ধ হচ্ছে চন্দনের কাঠে। চন্দন বিভিন্ন ধরনের হলেও আমরা লাল এবং সাদা চন্দন বেশি ব্যবহার করে থাকি। এখানে আমরা লাল চন্দনের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাহলে জেনে নিন লাল চন্দনের উপকারিতা-
  • লাল চন্দন ত্বকের বিভিন্ন সমস্য দূর করে থাকে। ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমন রোধ করে এবং চুলকানির বিরুদ্ধে লড়াই করে কারণ লাল চন্দনে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল এজেন্ট। এছাড়াও ত্বকের ব্রন, পিম্পল এবং ত্বক কুচকে যাওয়া রোধ করে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে চন্দনের সাথে দই বা লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
  • চন্দনের তেল ব্যবহার করলে হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি খিচুনি বন্ধ করতেও অধিক কার্যকারী। সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত অনেক সমস্যার সমাধান করে চন্দনের তেল।
  • চন্দন কাঠ কাটা বা ক্ষতস্থানে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করতে অত্যন্ত কার্যকারী। চন্দনের গুড়ার সাথে সামান্য পরিমাণ কর্পুর ও পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ক্ষতস্থানে, ফুসকুরাতে এবং এলার্জিতে লাগালে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
  • এই সুগন্ধযুক্ত চন্দন কাঠ দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্ত রাখে ফলে মস্তিস্ক শান্ত থাকে। এছাড়া চন্দন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
  • চন্দনে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান আছে যা মুত্রনালির সংক্রমন দূর করে সাহায্য করে। এছাড়া মুত্রনালির বিভিন্ন ধরনের সমস্য দূর করে থাকে।

চন্দন পাউডার ব্যবহারের নিয়ম

প্রতিটি জিনিস ব্যবহারের একটি সুনির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। যে কোন জিনিস নিয়মাবলী ব্যবহার করলে যার সম্পূর্ণ ফলাফল পাওয়া যায়। চন্দন পাউডারের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি। এটি ব্যবহারের জন্য কতগুলো নিয়ম অনুসরণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ নিয়ম মেনে চন্দন পাউডার ব্যবহার করলে ভালো এবং দ্বিগুণ ফলাফল পাওয়া যায়। তাহলে চলুন চন্দন পাউডার ব্যবহারের কতগুলো নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক -
  • ত্বকের শুষ্কতা দূর করার জন্য চন্দন পাউডার, নারিকেল তেল এবং গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এই উপাদানগুলো একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। তারপর ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়ে যাবে।
  • তৈলাক্ত ত্বকের জন্য চন্দন পাউডারের সাথে গোলাপজল বা টমেটো রস এবং মুলতানের মাটি একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এটি ত্বকে লাগাতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর সেটি ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব শোষণ করে ত্বক ভালো রাখবে।
  • ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করার জন্য চন্দনের গুড়ার সাথে এক চিমটি পরিমাণ হলুদের গুড়া এবং এক চা চামচ দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ত্বকে এবংগলায় লাগাতে পারেন। এটি লাগানোর পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য এতে দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন তাহলে দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক সুন্দর হবে।
  • সূর্যের তাপে বেশিক্ষণ থাকার ফলে মুখে পুরা দাগ পড়ে যায়, এ দাগ চন্দনের মাধ্যমে তোলা সম্ভব। চন্দনের পাউডারের সাথে শসা রস ও লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে রোদে পোড়া কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
  • মুখের অন্যান্য কালো দাগ দূর করতে চন্দনের গুড়ার পেস্টের সাথে কাঁচা হলুদ এবং গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করলে মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যায়।
  • ব্রনের দাগ দূর করার জন্য চন্দনের গুড়ার সাথে বেসন ও ভিটামিন ই যুক্ত করতে হবে তাহলে ব্রনের দাগ দূর হয়ে যাবে।

আসল চন্দন চেনার উপায়

উপরের আলোচনায় আমরা চন্দনের উপকারিতা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছি। ত্বক ও শরীরের জন্য চন্দন অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু এর উপকারিতা তখনই সম্পূর্ণরূপে পাওয়া যাবে যখন এটি আসল চন্দন হবে। চন্দনের দাম বেশি হওয়ার কারণে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নকল চন্দন আসল চন্দন বলে বিক্রি করছে।

এজন্য আমাদের চন্দন কেনায় প্রতারিত না হওয়ার জন্য আসল চন্দন চেনার কয়েকটি উপায় সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আসল চন্দন চেনার অন্যতম উপায় হচ্ছে সুগন্ধ নিয়ে। আসল চন্দন সবসময় সুগন্ধযুক্ত হবে এবং এটি মিষ্টি সুগন্দযুক্ত হবে।

এছাড়াও এটি ছুরি বা ব্লেড দিয়ে কাটলে একটি নরম স্তর তৈরি হবে যা দেখে চন্দন আসল বা নকল বোঝা যাবে। এই উপায়গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে আসল চন্দন এটা কেনা অনেক সহজ হবে।

চন্দন দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়

চন্দন ব্যবহার করার ফলে ত্বক ফর্সা হয় এ কথা আমরা সবাই জানি। তবে এই ফর্সা হওয়ার জন্য কি কি উপায় অবলম্বন করতে হয় সে সম্পর্কে আমাদের অনেকের ধারণা নেই। তাহলে চলুন চন্দন দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিই-

চন্দন ও কাঁচা হলুদঃ চন্দন দিয়ে ত্বক ফর্সা করার কয়েকটি উপায়গুলোর মধ্যে চন্দন ও কাঁচা হলুদ এই উপাদান দুটি অন্যতম। চন্দন ও কাঁচা হলুদের সাথে পরিমাণ মতো কাঁচা দুধ মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের সৌন্দর্য অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়।

চন্দন ও আমন্ড অয়েলঃ চন্দন ও আমন্ড অয়েল একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বক মসৃণ ও লাবণ্যময়ী হয়ে ওঠে।

চন্দনের তেলঃ চন্দনের তেল ত্বক ফর্সা করার অত্যন্ত কার্যকরী। এ তেল ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর হয়ে যায় এবং ত্বকে সুস্থতা বজায় থাকে।

চন্দন সাবানঃ চন্দন সাবান ব্যবহারের ফলেও ত্বকের রং অনেক ফর্সা হয়। এই সাবান তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

চন্দন পাউডারের দাম

চন্দনের গুণগত মান বিচার করে এর দামে কিছুটা তারতম্য হতে পারে। কারণ গুণগত মানের ক্ষেত্রে দাম নির্ধারিত হয়। এছাড়াও এটি জায়গা ভেদে দামেরও পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের দেশে ১০০ গ্রাম লাল চন্দনের পাউডারের দাম ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত এক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে দাম পড়ে।

আবার লাল চন্দনের চেয়ে সাদা চন্দনের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। সাদা চন্দনের গুড়া কিনতে গেলে এক কেজিতে দাম হবে ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে চন্দনের দাম যেমনই হোক না কেন দামের দিক চিন্তা না করে আসল চন্দন দেখে কেনা অত্যন্ত প্রয়োজন। কারণ নকল চন্দন কিনে প্রতারিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

প্রতিবেদকের মন্তব্য

উপরের আলোচনায় আমরা চন্দনের বিভিন্ন ধরণের উপকারিতা সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেয়েছি। চন্দনের বহুমুখি উপকারিতার কারণে এটি ব্যাবহারে জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেজন্য ত্বক এবং শরীরের উপকার পেতে চাইলে নিয়মিত চন্দন ব্যবহার করতে পারেন।

প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url