কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় - কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হওয়া যায়

প্রিয় পাঠক, আপনি কি কাঁচা হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে কাঁচা হলুদ দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায় এবং কাঁচা হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কাঁচা হলুদ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম, কাঁচা হলুদ খাওয়ার অপকারিতা ইত্যাদি।

ভূমিকা

দৈনন্দিন রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয় হলুদ। হলুদ সাধারণত রান্নাবানায় মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও কাঁচা হলুদ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় বিশেষ করে রূপচর্চায়। ত্বকের পরিচর্যায় কাঁচা হলুদ অন্যতম উপাদান হিসেবে বিবচিত। ত্বকের রং ফর্সা করতে হলুদের ক্ষমতা অনেক।


হলুদের মধ্যে কারকিউমিন নামক বিশেষ উপাদান আছে যা মানব শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হলুদ নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের রং ফর্সা, উজ্জল ও লাবন্যময় হয়ে ওঠে। কাঁচা হলুদ দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ত্বক ভিতর থেকে ফর্সা হয়।

এছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঁচা হলুদের রস খেলে শরিরের নানা ধরণের উপকার পাওয়া যায়। হলুদে উপস্থিত থাকা কারকিউমিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে সুরক্ষা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কাঁচা হলুদ দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়

কাঁচা হলুদ ত্বকের যত্নে অত্যন্ত উপকারী। কারণ কাঁচা হলুদে রয়েছে কারকিউমিন নামক একটি বিশেষ উপাদান যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাঁচা হলুদ দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় সেগুলো কায়েকটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক-
  • দুই টেবিল চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা, এক টেবিল চামচ পরিমাণ চালের গুড়া, সমপরিমাণ টক দই বা কাঁচা দুধ এবং মধু। এই উপাদানগুলো একসাথে মিশিয়ে ভালভাবে পেস্ট করে সেটি মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের ব্রন ধিরে ধিরে কমে যাবে। এ মিশ্রণটি ব্যবহার করার পর মুখে ময়েশ্চারইজার ব্যবহার করতে হবে তাহলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
  • সেসিটিভ ত্বকের জন্য হলুদ অত্যন্ত উপকারী। এরকম ত্বকের জন্য ১ চা চামচ হলুদ বাটার সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল এবং গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এ উপাদানগুলে একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এটি মুখে লাগানোর পর ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
  • ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির জন্য ১ টেবিল চামচ হলুদ বাটা, ২ টেবিল চামচ ময়দা এবং পরিমাণমত আমল্ড অয়ের মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। এ মিশ্রণটি ত্বক ফর্সা করার জন্য খুবই কার্যকারী। নিয়মিত এটি ব্যবহার করতে ত্বকের উজ্জলতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক

রান্নাবানায় বহুল ব্যবহৃত মসল হচ্ছে হলুদ। এটি রান্নাবান্নায় যেমন প্রয়োজনীয় তেমনি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে ত্বকের সৌন্দর্য বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। আমরা এখানে হলুদের কয়েকটি কার্যকরী ফেসপ্যাক নিয়ে আলোচনা করবো।

হলুদ, মধু ও দুধের ফেসপ্যাকঃ ১ চা চামচ হলুদের গুড়া, ১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ পরিমাণ কাঁচা দুধ দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরী করে এটি মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহারে ত্বক কোমল করে তুলবে এবং ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করতে সাহায্য করবে।

হলুদ, অ্যাভোকেডা এবং টক দইয়ের ফেসপ্যাকঃ হলুদের গুড়ার সাথে অ্যাভোকেডার পেস্ট এবং এক চা চামচ পরিমাণ টক দই একসাথে মিশিয়ে ফেস প্যাক তৈরী করতে হবে। এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ, মধু এবং লেবুরে রসের ফেসপ্যাকঃ পরিমাণমত হলুদ, আধা চা চামচ লেবুর রস এবং ১ টেবিল চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরী করতে হবে। এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অতিব উপকারী।

হলুদ, বেসন ও গোলাপজলের ফেসপ্যাপকঃ ১ টেবিল চামচ হলুদের গুড়া, ২ টেবিল চামচ বেসন এবং পরিমাণমত গোলাপজল মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরী করতে হবে। এটি ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বক মসৃন এবং উজ্জল হবে। ত্বকের ব্রন দূর করে ত্বককে লবন্যময়ী করে তোলে।

কাঁচা হলুদের উপকারিতা

কাঁচা হলুদ শুধুমাত্র ত্বক ফর্সা করেনা বরং এটি শরীরের জন্যও অত্যন্ত উপকারি। কাঁচা হলুদ শরীরের কি কি উপকার বয়ে আনে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-

হজমশক্তি বৃদ্ধি করেঃ কাঁচা হলুদ হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকারী। নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে খাদ্য পরিপাক করতে সহায়তা করে। যার ফলে হজমশক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের সুস্থতা বজায় থাকে।

হাড়ের ক্ষয়রোধ করেঃ হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে। যাদের হাড় ক্ষয়ের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত হলুদ খেতে পারলে এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

পাকস্থলীকে সুরক্ষিত রাখেঃ হলুদে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পাকস্থলিকে ক্ষতিকারক ব্যকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে পাকস্থলির সুস্থতা বজায় থাকে।

ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ কাঁচা হলুদ রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে। সে জন্য যাদের ডায়াবেটিক এর সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেতে পারেন।

দাঁতের মাড়ি মজবুত রাখেঃ কাঁচা হলুদে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা দাঁতের মাড়িকে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি মাড়ির ক্ষয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

রক্তশূন্যতা দূর করেঃ কাঁচা হলুদের হয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যার রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ি দেয় এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে সে আয়রনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে হলুদ।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেলে মরণবাদী ক্যান্সার হতে রক্ষা পাওয়া যায়। কাঁচা হলুদ ক্যান্সারের পরিধিতে বাঁধা প্রাপ্ত করে ফলে ক্যান্সারের চোখে অনেক অংশ কমে যায়।

হার্ট সুস্থ রাখেঃ হার্ট সুস্থ রাখতে কাঁচা হলুদ অত্যন্ত কার্যকরী । বিভিন্ন সমস্যা দূর করে হাটকে সুস্থ রাখে। সরাসরি কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে না পারলে রস করে কলেজ জুসের সাথে খেতে পারেন।

খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা হলুদ ত্বক ও শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে উপকারিতা বেশী পাওয়া যায়। কারণ খালি পেটে কাঁচা হলুদের গুনাগুণ শরীর সম্পূর্ণ ভাবে শোষণ করে নিতে পারে। খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যায় জেনে নেয়া যাক-
  • এক টুকরা কাঁচা হলুদ সকালে খালি পেটে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে কাঁচা হলুদ।
  • হলুদে উপস্থিত থাকা কারকিউমিন উপাদান হাড়ের ক্ষয়রোধ করেত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • কাঁচা হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
  • খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাঁচা হলুদ রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • শরীরের আয়রনের পরিমাণ করে গেলে কাঁচা হলুদ তা পূরণ করতে সাহায্য করে। যাদের শরীরে আয়রণের ঘাটতি রয়েছে তারা নিয়মিত খালি পেটে কাঁচা হলুদ খেতে পরেন।

কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম

শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য কাঁচা হলুদের কোন বিকল্প নেই। সকালে খালি পেটে কাঁচা হল খেলে রক্ত পরিষ্কার করে এবং সেই সাথে রোগ প্রতিরক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাঁচা হলুদের ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য নিয়ম করে খাওয়া অতি প্রয়োজন। কাঁচা হলুদ খাওয়ার সঠিক নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন ২৫০ মিলি গ্রহণ করা।

এ পরিমাণ হলুদগ্রহণ করলে শরীরের জন্য ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সকালে ও রাতে ২৫০ মিলি করে খাওয়া যেতে পারে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধের সাথে কাঁচা হলুদ খেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায়।

এছাড়াও সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়া যায় যা শরীরের জন্য অতি উপকারী। তবে খালি পেটে হলুদ খাওয়ার পর তিরিশ মিনিট কোন খাদ্য গ্রহণ না করাই ভালো।

বয়স ধরে রাখতেঃ কাঁচা হলুদ এবং মসুর ডাল পেস্ট করে ভালো করে মুখে মাখার ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখা হারিয়ে যাবে এবং চেহারায় বয়সের ছাপ পড়বে না।

খুসকি দূর করতেঃ মাথার খুসকি নিয়ে আমরা কত কিছইনা চিন্তা করি। মাথায় খুসকি হলে খুব লজ্জায় পড়তে হয়, কেননা খুসকি সব সময় ঘাড়ের পড়ে থাকে। যতই পরিষ্কার করুন না কেন আবার পড়বে এবং আবার পড়বে। কাঁচা হলুদ ব্যবহারে এই খুসকি থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন। হলুদের রয়েছে এন্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান যা খুসকি দুর করতে অধিক কার্যকরী।

আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ পেস্ট ও ৩-৪ চা চামচ খাঁটি নারকেল তেল একসাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগানোর ৩০ মিনিট পর ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। দেখবেন মাথা খুসকি মুক্ত এবং চুল ঝলমলে উজ্জল হয়েছে।

কাঁচা হলুদ খাওয়ার অপকারিতা

অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। কোন কিছুর উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। হলুদের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও কম নয়। এখন তাহলে জেনে নেয়া যাক হলুদের অপকারিতাগুলো-

পেটের সমস্যাঃ অতিরিক্ত হলুদ গ্রহণের ফলে বুক জ্বলা-পোড়া, বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা বা পাতলা পায়খানা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কিডনিতে পাথর সৃষ্টিঃ মাত্রাতিরিক্ত হলুদ খাওয়ার ফলে আপনার কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হলুদে থাকা অক্সালেটের কারণে শরীরের ক্যালসিয়াম বিলুপ্ত হতে থাকে। আর এ জন্যই কিডনিতে পাথর সৃষ্টি হতে থাকে। তাই অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

আয়রণ ঘাটতিঃ দেহের খনিজ পদার্থের মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে আয়রণ। আয়রণ ঘাটতির কারণে শরীরে রক্ত স্বল্পতা দেখা দেয়। আর অতিরিক্ত হলুদ গ্রহণ করা আয়রণ ঘাতির মূল কারণ। তাই মাত্রাতিরিক্ত হলুদ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

ওষুধের গুনাগুণ ব্যহতঃ হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-বায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা পাকস্থলিকে ক্ষতিকারক ব্যকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। কিন্তু হলুদ অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে তা বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে ওষুধের গুনাগুণ নষ্ট করে দেয়। তাই অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হওয়া যায়

কাঁচা হলুদের সাথে ফর্সা হওয়ার একটি যোগসূত্র রয়েছে। কাঁচা হলুদে একটি বিশেষ উপাদান রয়েছে সেটি হল কারকিউমিন। এই উপাদানটি হলুদ ছাড়া অন্য কোথাও পাওয়া যায় না। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় সমাধান হিসেবে কাজ করে থাকে। কার কিউমিনের মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিবায়োটিক গুণ। 

যা ত্বককে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এটি ত্বকের অন্যান্য সমস্যাও দূর করে থাকে। সেজন্য কাঁচা হলুদ মুখে ব্যবহার করলে যে উপকারিতা পাওয়া যায় কাঁচা হল খাওয়ার ফলে একই ধরনের উপকারিতা।

লেখক এর মন্তব্য

হলুদ ত্বক ও শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপনি এই উপকারগুলো পেতে চাইলে নিয়ম করে হলুদ ব্যবহার এবং খেতে পারেন। কারণ হলুদের নানা ধরণের উপকারী বৈশিষ্ট রয়েছে। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url