পেঁপে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা- পেঁপে পাতার রস খেলে কি প্লাটিলেট বাড়ে
প্রিয় পাঠক আপনি কি পেপে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আসুন আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে পেঁপে পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পেঁপে পাতার রস বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন পেঁপে পাতার রস খাওয়ার নিয়ম, কি পরিমান পেঁপে পাতার রস খাওয়া যাবে এবং পাতার রস খেলে কি প্লাটিলেট বাড়ে ইত্যাদি।
ভূমিকা
সবজি এবং ফল হিসেবে পেঁপে অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। পেঁপেতে রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা। ফল হিসাবে এর রয়েছে নানা গুনাগুণ এবং বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে চিকিৎসকরা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পেঁপে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা পেঁপের পাতার রস খাওয়া যায় এবং এরও রয়েছে নানা ধরনের উপকারিতা।
পেঁপের পাতার রস যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনি এটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পেঁপের পাতায় রয়েছে ভিটামিন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই , ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে আয়রন। পেঁপের পাতার রস খেলে শুধুমাত্র শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণেই করে না বরং এটি শরীরের বিভিন্ন রোগের মোকাবেলা করে শরীরকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে।
পেঁপের পাতার জুস বা রস নিয়ম মেনে খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের জটিল এবং কঠিন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পেঁপে এমন একটি সুস্বাদু ফল যার সবকিছুই খাওয়া যায় যেমন পেঁপে, পেঁপের বীজ এবং পেঁপের পাতা।
পেঁপে পাতার উপকারিতা
পেঁপে আমাদের অনেকেরই অত্যন্ত পছন্দের উপকারী একটি ফল। পেঁপের যেমন রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ তেমনি এর পাতার রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। পেঁপের পাতা রস করে খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে। পেঁপে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের এই প্রতিবেদনটি। তাহলে চলুন পেঁপে পাতার কি কি উপকারিতা রয়েছে জেনে নেই-
আরো পড়ুনঃ আমরুল পাতার রস কোন রোগের জন্য উপকারী
লিভার সুস্থ রাখতেঃ পেঁপে পাতার যে সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লিভারের সুস্থতা। এটি লিভারকে সুস্থ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। পেঁপে পাতার রস বা জুস করে নিয়মিত খেলে লিভার সিরোসিস এর মত কঠিন রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি লিভার পরিষ্কার করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং কার্যকরী পেঁপে পাতার রস। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে ইনসুলিন উৎপাদনও ঠিক থাকে। ডায়াবেটিসের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে কিডনি এবং লিভারের জন্য যে ক্ষতি হয় তা থেকে রক্ষা করে পেঁপে পাতার রস।
পিরিয়ডের ব্যথাঃ পিরিয়ডকালীন সময়ে অনেক মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা সহ্য করতে হয়। হরমোন এবং পিরিয়ড চক্রকে ঠিক রাখতে সহায়তা করে পেঁপে পাতা। পিরিয়ডের সময় পেঁপে পাতার রস করে খেলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে যায়।
হজমের সহায়তাঃ পেঁপে পাতায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, এনজাইম প্রোটিন এবং মিনারেল যা হজম প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে। এতে রয়েছে আন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা পেটের প্রদাহ দূর করে এবং আলসার নিরাময় করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ পেঁপে পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম কারণ এতে রয়েছে এসিটোজেনিন যৌগ আন্টি ক্যান্সার উপাদান। সেজন্য এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
চুল ও ত্বকের যত্নঃ পেঁপে পাতায় রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি যা চুল ও ত্বকের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী। পেঁপে পাতা ফ্রিরেডিকেল দূর করতে সক্ষম। পেঁপে পাতা নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের ব্রণ দূর হয়ে যায় এবং ত্বক ভালো থাকে। চুলের যত্নেও পেঁপে পাতা অত্যন্ত কার্যকরী। চুল লম্বা এবং ঘন করতে এর রয়েছে অনেক গুণাগুণ।
টক্সিন দূর করাঃ আমাদের শরীরে ক্ষতিকার টক্সিন বিভিন্ন রোগের দিকে শরীরকে ধাবিত করে। পেঁপে পাতার রস শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে। শরীরকে বিষমুক্ত রাখতে পেঁপে পাতার রসের রয়েছে অনন্য ভূমিকা।
পেটের গ্যাস দূর করেঃ গ্যাস দূর করে পেট সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে।
গাটে ব্যথাঃ বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হাত-পায়ের গিরায় গিরায় ব্যথা এবং গাটের ব্যথা ছুয়ে যায়। যাদের এই ব্যথা আছে তারা নিয়মিত পেঁপে পাতার রস খেলে তা সেরে যাবে। পেঁপে পাতার রস খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ দূর হয়ে যায়।
জ্বরের প্রকোপ কমাতেঃ জ্বরের প্রকোপ কমাতে পেঁপে পাতার রস অত্যন্ত কার্যকরী। জ্বর হলে শরীরে ক্লান্তিবোধ, বমিবমি ভাব, মাথাব্যাথার সমস্যাও দেখা দেয়। এ সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায় পেঁপে পাতার রস খেলে।
পেঁপে পাতার রস বানানোর নিয়ম
পেঁপে পাতার রস খাওয়ার পূর্বে এই রস বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আমাদের অবগত থাকতে হবে। প্রথমে সতেজ এবং তাজা পাতা রস বা জুস বানানোর জন্য ৬ থেকে ৭টি পাতা নিতে হবে তারপর পানিতে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে। যাতে করে পেঁপে পাতার জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর পানি থেকে পাতা তুলে তা ব্লেন্ডারে দিয়ে বেটে নিতে হবে।
তারপর সেখান থেকে তুলে রসগুলো ভালোমতো ছাকুনি দিয়ে ছেকে নিতে হবে। কাঁচা পাতা থেঁতো করে রস বের করে সরাসরি খাওয়া যায়। পেঁপে পাতার রস ভালোভাবে বানিয়ে খেলে তার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
পেঁপে পাতার রসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- পেঁপে পাতার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে কিন্তু তার পাশাপাশি এই পাতা রয়েছে কয়েকটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। যা আপনি না জানলে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তাহলে পেঁপে পাতার রসের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
- গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পেঁপে পাতার রস অত্যন্ত বিপদজনক। গর্ভাবস্থায় এটি খেলে গর্ভাবস্থা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও যারা গর্ভধারণ করতে চান তাদের জন্য পেঁপে পাতার রস খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এটি গর্ভধারণের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতিকর।
- পেঁপে পাতার রস নিয়মমতো খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে কিন্তু অতিরিক্ত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা অনেক কমে দিবে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বিপদজনক।
- পেঁপে পাতার রস একটি শক্তিশালী এলার্জেন। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় এটি এলার্জির পরিমাণ অনেক বাড়িয়ে দিবে।
- প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পেপে পাতার রস খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি যেমন পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যাও তৈরি করতে পারে পেঁপে পাতার রস।
পেঁপে পাতার রস খেলে কি প্লাটিলেট বাড়ে
পেঁপে পাতার রস খেলে কি প্লাটিলেট বাড়ে এ সম্পর্কে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। প্লাটিলেট কমার মূল কারণ হচ্ছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু হলে ধীরে ধীরে প্লাটিলেট কমে যায়। কিন্তু অনেকের ধারণা পেঁপের পাতার রস খেলে প্লাটিলেট ধীরে ধীরে বেড়ে যায়। আসলে কি এই কথা যুক্তিসঙ্গত। পেঁপে পাতার রস খেলে প্ল্যাটিলেট বাড়বে বিজ্ঞানসম্মতভাবে এরকম কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন পেঁপে পাতার রস খেলে প্লাটিলেট বাড়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। প্লাটিলেট বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা খাবার খাওয়াকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করলে এটি এমনি এমনি বেড়ে যাবে। এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করলে ডেঙ্গু রোগ এমনি এমনি সেরে যাবে।
পেঁপে পাতার রস খাওয়া সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর
প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটুকু পেঁপে পাতার রস খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ প্রতিদিন ১০ মিলি পরিমাণ পেঁপে পাতার রস দিনে দুইবারে খাওয়া যাবে।
প্রশ্নঃ পেঁপে পাতার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কি ধরনের?
উত্তরঃ পেঁপে পাতার রস গর্ভাবস্থায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় এটি খেলে গর্ভের সন্তানের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
প্রশ্নঃ রক্তের প্লাটিলেট কত হলে মানুষ মারা যায়?
উত্তরঃ রক্তে-প্লাটিলের পরিমাণ ২০ হাজারের নিচে নেমে আসলে শরীরের কোন আঘাত ছাড়াই রক্তক্ষরণ হতে থাকবে এবং ১০০০০ এর নিচে নামলে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়।
প্রশ্নঃ পেঁপের জুস খেলে কি ওজন বৃদ্ধি পায়?
উত্তরঃ পেঁপের জুস খেলে ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় না এবং অতিরিক্ত ওজন কমে যায় না। এটি খেলে ওজন স্বাভাবিক থাকে এবং অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
পেঁপে পাতার রস কতটুকু খেতে হয়
পেঁপে পাতার রস কতটুকু খেতে হয় এ বিষয়ে আমাদের অনেকেরই ধারণা নেই। আমরা জানি সব কিছু খাওয়ার একটি নিয়ম আছে। নিয়মের বাইরে খেলে কার্যকারিতা কমে যাবে বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। পেঁপে পাতার রসের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনি। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ১০ মিলি পেঁপে পাতার রস খেতে পারবেন। এ পেঁপের রস ৮ ঘন্টা ব্যবধান রেখে খেতে হবে।
এই পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে আর কম খেলে এর গুনাগুনের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।এর সঠিক গুনাগুণ পাওয়ার জন্য যতটুকু পরিমাণ প্রয়োজন সে পরিমাণ মতো খেতে হবে তাহলে উপকারিতা সম্পূর্ণরূপে পাওয়া যাবে এবং বিরুপ প্রতিক্রিয়া সম্ভাবনা থাকবে না।
পেঁপে পাতা খাওয়ার নিয়ম
পেঁপে পাতা সাধারণত রস করে খেতে হয়। এই পাতা সরাসরি খাওয়া যায় না কারণ এটি খেতে অনেক তিতা। পেঁপে পাতার রস সরাসরি ও খেতে পারেন বা অন্যান্য কোন রসের সাথে মিশেও খেতে পারেন। পেঁপে পাতার রস তিতা স্বাদযুক্ত হওয়ায় অনেকেই এটি সরাসরি খেতে পারেনা। সেজন্য এই রসের সাথে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকে।
এ রসের সাথে চিনি মিশিয়েও খাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে চিনি ও লবণ একসাথে দেওয়া যাবে না। পেঁপে পাতার রস সরাসরি খেতে না পারলে খাবারের সাথে মিশিও খেতে পারেন সেক্ষেত্রে এর উপকারিতা বা গুনাগুণ একই থাকবে। আবার বিভিন্ন ধরনের শাক সবজির সাথে মিশিয়ে এর রস খাওয়া যায়।
পেঁপে পাতার ঔষধিগুণ
পেঁপে পাতার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধিগুণ। এই ওষধিগুণাবলীর কারণে পেঁপে পাতার রস খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ শরীর থেকে দূর হয়ে যায়। এমন অনেক রোগ আছে যেগুলোর মহাঔষধ হিসেবে কাজ করে পেঁপে পাতার রস। এটা মরণঘাতি ক্যান্সার প্রতিরোধেও সক্ষম। এর মধ্যে রয়েছে যেমন ওষুধে গুণ তেমনি রয়েছে পুষ্টি উপাদান। এ পুষ্টি উপাদান আবার শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
লেখকের মন্তব্য
উপরের আলোচনায় আমরা পেঁপে পাতার রসের উপকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছি। এ ধারণা থেকে আমি বলতে চাই যে পরিমাণ পেঁপে পাতার রস খেলে উপকারিতা পাওয়া যাবে সে পরিমাণ রস খাওয়া উচিত এবং যেসব রোগের ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে সেসব রোগীদের এ রসটি এড়িয়ে চলা উচিত। প্রিয় পাঠক, আপনার যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের এবংপরিবারের সাথে শেয়ার করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url