স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় - কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক, আপনি কি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে চলুন আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চাইলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়, কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়, স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয় ইত্যাদি।

ভূমিকা

প্রত্যেকে সুন্দরের পূজারী। সুন্দর হতে সবাই চায় সেজন্য নিজেকে সবাই আকর্ষণীয় ও ফর্সা দেখাতে চায়। আকর্ষণীয় ও ফর্সা হওয়া জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপনি ছেলে হন বা মেয়ে হন সৌন্দর্যের কদর সব জায়গায। সুন্দর্যের পরিমাপ সব সময় একই রকম হয় না তবুও আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় ফর্সা মানেই সম্পূর্ণরূপে সুন্দর এরূপ এখনো মানা হয়।


ফর্সা রংয়ের চেহারাকে আকর্ষণীয় বলে মনে করা হয়। সেজন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত ফর্সা হওয়ার প্রোডাক্ট বের হয়েছে। এ প্রোডাক্টগুলো কম সময়ের মধ্যে ফর্সা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। এই প্রোডাক্ট ব্যবহারের ফলে ত্বক ফর্সা হয় এ কথা সত্য কিন্তু এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়। যা আমাদের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা করতে পারে।

সেজন্য সম্পূর্ণরূপে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হতে পারেন। ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোতে ত্বক যেমন ফর্সা হবে তেমনি ত্বককে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা করবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে উপকরণগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো ব্যবহারে ত্বকের সুস্থতাও বজায় থাকবে এবং ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে।

ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য ঘরোয়া উপায়গুলো অনুসরণ করা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফর্সা হওয়া খুব সহজ। প্রাকৃতিক উপকরণগুলো ব্যবহার করে ফর্সা হলে সেটি অনেক স্থায়ী হয়। তাহলে চলুন কি কি উপাদান দ্বারা ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় জেনে নিই-

কাঁচা হলুদঃ কাঁচা হলুদ মসলা জাতীয় খাদ্য এবং প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে খুবই পরিচিত। এই হলুদের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের সমাধান হয়ে থাকে। কাঁচা হলুদ ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। কাঁচা হলুদ ত্বকের স্মৃতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে করে। নিয়মিত কাঁচা হলুদ ব্যবহার করলে ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হয় যা দেখতে লাবণ্যময়ী লাগে। কাঁচা হলুদের পেস্ট করে তার সাথে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগাতে হবে। লাগানোর পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

গোলাপজলঃ গোলাপজলে রয়েছে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা  আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। গোলাপ জল ব্যবহার করলে মুখের ত্বক কোমল ও মোলায়েম হয়ে যায়। টক দইয়ের সাথে হাফ চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা দেখায়। ত্বকের সব দাগ দূর হয় এবং স্থায়ীভাবে ফর্সা হয় ।

কমলা লেবুঃ কমলা লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ত্বক ফর্সা করে। হলুদের গুড়ার সাথে কমলা লেবুর রস মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে। তারপর সেটি সমস্ত মুখে লাগাতে হবে এবং ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভালো ফলাফলের জন্য এটি দিনে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।

কয়েকদিন ব্যবহার করলে আপনি নিজেই এর ফলাফল বুঝতে পারবেন। এছাড়াও কমলালেবুর খোসাও মুখের ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। কাঁচা হলুদের সাথে কমলালেবুর খোসা পেস্ট করে নিয়ে মুখে মাখলে ত্বকের কালো দাগ দূর হয় এবং ফর্সা হয়।

যষ্টিমধুঃ যষ্টিমধু বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এটি ব্যবহার করলে অনেক রোগের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করা যায়। কয়েক ফোটা যষ্ঠীমধুর রস নিয়ে মুখে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে তারপর সকালে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকের ডার্ক সার্কেল অনেক ক্ষেত্রে কমে যায়।

লেবুঃ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। লেবুর শরীরের পাশাপাশি মুখে ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারণ লেবু একটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল এবং মুখে ত্বকের জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকরী। লেবুর রস ত্বকের ভিতর থেকে ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

লেবুর রস মুখে লাগানোর পর কয়েক মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে যায়। লেবুর রস মুখের ত্বকে একদিন পরপর ব্যবহার করতে হবে। লেবুর রস ব্যবহার ব্যবহার করে সূর্যের আলোয় যাওয়া যাবে না। লেবুর রস ব্যবহার করলে মুখে বিভিন্ন ধরনের সোপ সোপ দাগ দূর হয়ে যায়।

বেসনঃ মুখের ত্বক সহজেই ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান হচ্ছে বেসন। বেসন নিয়মিত ব্যবহার করলে মুখের ত্বক নরম এবং কমল হয় সেই সাথে মসৃণ দেখায়। বেসনের সাথে হলুদের গুড়া এবং কাঁচা দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করলে কয়েকদিনের মধ্যে ত্বকের উজ্জ্বলতা ভাব চলে আস। বেসন, হলুদের গুড়া এবং কাঁচা দুধ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করতে হবে।

তারপরে মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। দ্রুত ফলাফল পেতে চাইলে দিনে দুইবার এটি ব্যবহার করতে পারেন কারণ এটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

অ্যালোভেরাঃ এলোভেরা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে থাকে। এটি শরীরের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী। এলোভেরা জেল নিয়মিত মুখে মাখলে মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যায় এবং ত্বক লাবণ্যময় হয়ে ওঠে। এটি মুখের মেছতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। আপনি মুখে দাগ দূর করতে চাইলে নিয়মিত এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক উপাদান যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।

মধুঃ মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। এটি ব্যবহার করলে তাকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ভালো ফলাফলের জন্য চালের গুড়া বা বেসনের সাথে মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক কুচকে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। এছাড়াও এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে ত্বকে স্বাস্থ্যজ্জল করে তোলে।

চালের গুড়াঃ স্থায়ীভাবে ত্বক ফর্সা করার জন্য চালের গুড়া অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ চালের গুড়াতে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। চালের গুড়ার সাথে মধুমে ব্যবহার করলে ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হয।

আখরোটঃ আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও প্রোটিন। সেই জন্য এটি ত্বককে ভেতর থেকে ফর্সা করে এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে। আখরটের সাথে বাদাম মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিতে হবে তারপর এগুলোর সাথে টক দই দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মুখে লাগাতে হবে এবং লাগানোর পর ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে।

চন্দনের গুঁড়াঃ ঝকঝকে ত্বক পেতে চাইলে চন্দনের গুঁড়া অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। ত্বক উজ্জ্বল, মসৃন এবং ঝকঝকে করে তুলবে চন্দনের গুড়া ব্যবহারে ফলে। এটা নিয়মিত দুধের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে উজ্জলতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে এবং ত্বক স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে।

শসাঃ ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালো দাগ দূর করার জন্য শসার কার্যকারিতা রয়েছে অনেক। এটি চোখে নিজের কালো দাগ সহ মুখের অন্যান্য কালো দাগ দূর করে থাকে। শশার সাথে মধুমিতা ব্যবহার করলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়।

কলাঃ পাকা কলা ত্বকের জন্য উপকারী। পাকা কলা ভালোভাবে চটকিয়ে মুখে মেখে তার ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললো ভালো ফল পাওয়া যায়।

পাকা পেঁপেঃ পাকা পেঁপে ব্যবহার করলে মুখে তৈলাক্ত ভাব দূর হয় এবং ত্বক ফর্সা দেখায়। পাকা পেঁপে যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা তাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

কালো রঙের মানুষদের আমাদের সমাজে অবন্তে বলে মনে করা হয়। সেজন্য গায়ের রং ফর্সা করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ফর্সা মানুষের তুলনায় কালো মানুষদের অবহেলা চোখে দেখা হয়। কালো থেকে ফর্সা হওয়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। সে উপায় গুলো হলো -
  • টমেটো ও মধু দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগালে রোদে পোড়া কালো রং পরিবর্তন হয়ে ফর্সা হয়ে যাবে ।
  • কালো চোখ ফর্সা করার জন্য মধু ও বেসন একসাথে মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে। এভাবে কয়েক দিন ব্যবহার করলে ত্বকের কালো রং কেটে ফর্সা হয়ে যাবে।
  • কাঁচা দুধ ত্বকের ভিতর থেকে ফর্সা করে কারণ কাঁচা দুধে রয়েছে ল্যাকটিড অ্যাসিড। কালো ত্বক ফর্সা করার জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
  • কাঁচা হলুদ ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। কাঁচা হলুদের সাথে দুধ ব্যবহার করলে পরিবর্তন হয়ে ফর্সা হয়ে যায়।
  • এছাড়াও কালো রঙের ফর্সা করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। সেগুলো দেখে বুঝে শুনে কিনতে হবে কারণ সেগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে বা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • টক দই ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত টক দই ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা দেখাবে।

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

ফর্সা রং সবাই পছন্দ করে। তবে ত্বকের রং ফর্সা এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সবাই স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়গুলো খোঁজে। কেননা নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সবাই চাই। আমরা জানি ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম পাওয়া যায়। এমন অনেক ক্রিম আছে যেগুলো অনেক দ্রুত ত্বক ফর্সা করে।

কিন্তু এ ফর্সা স্থায়ী হয় না। ক্রিম ব্যবহারের ফলে সাময়িকভাবে ফর্সা হওয়া যায। স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান গুলো সবচেয়ে উপযুক্ত। এভাবে যদি ফর্সা হতে চান তাহলে প্রাকৃতিক উপায় ফর্সা হওয়ায় সবচেয়ে ভালো। প্রাকৃতিক উপকরণগুলো ব্যবহার করলে মুখের ত্বক যেমন ফর্সা হয় তেমনত্বকের স্বাস্থ্য বজায় থাকে।

এছাড়াও এগুলোর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থাকায় নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায়। এভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য কয়েকটি উপাদান হলো-
  • কাঁচা হলুদ
  • মধু
  • লেবু
  • মেথি
  • চন্দনের
  • গুঁড়া
  • এলোভেরা
  • বেসন
  • কাঁচা দুধ
  • টক দই
  • টমেটো
  • শসা
এই উপাদানগুলো ব্যবহারের ফলে ত্বকের কালো রং ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে শুরু করবে এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে। এগুলো হাত এবং পা ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করা যায়।

কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয়

প্রতিদিন ফল খেলে শরীরে নানা ধরনের উপকার মিলে। ত্বকের উজ্জলতা বজায় রাখার জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই প্রতিদিন ফল খাওয়া উচিত। ফল খেলে শরীর সুস্থতার পাশাপাশি ত্বকের ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। যেগুলো ফল খেলে তোকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় সেগুলো ফল হলো-


আপেলঃ কথায় আছে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ওষুধ থেকে দূরে থাকা যায়। বাস্তবে কথার সাথে অনেক অংশেই মিল রয়েছে। কারণ আপেলে রয়েছে ভিটামিন এ, সি পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট । যা ত্বকের ফ্রি রেডিকেল দূর করতে সাহায্য করে। সেজন্য যদি প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া যায় তাহলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।

লেবুঃ লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি এর প্রধান উৎস হিসেবে লেবুর চিহ্নিত করা হয়। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে লেবুর কার্যকারিতা রয়েছে। এছাড়াও লেবু ব্যবহারের ফলে বা খাবার ফলে ত্বক কালো থেকে ফর্সা হয় এবং উজ্জ্বল দেখায়।

পাকা পেঁপেঃ ১২ মাসের যেগুলো ফল রয়েছে তাদের মধ্যে পেঁপে একটি। তবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অনেকেই পেঁপে ব্যবহার করে থাকেন। পেঁপে ব্যবহার করলে ত্বকের যেমন উপকার হয় তেমনি খেলেও পাওয়া যায়। প্রতিদিন পেঁপে খেলে ত্বক সুন্দর হওয়ার সাথে সাথে শরীরের বহু রোগ দূর হয়ে যায়।

কলাঃ বারোমাসি ফলের মধ্যে আরেকটি হলো কলা। কলা সব সময় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। কলার দাম অন্য ফলে তুলনায় কম হওয়ায় সকলেরই কলা খাওয়া হয়। সহজলভ্য এই ফল আমাদের ত্বককে ফর্সা সাহায্য করে। কারণ কলায় রয়েছে আয়রন,  আ্যমাইনো এসিড এবং প্রচুর পরিমাণে পানি। কলা নিয়মিত খেলে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে এবং ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করে।

আমঃ সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ফল মৌসুমী ফল হিসেবে পরিচিত। অত্যন্ত স্বাদের কারণে এই ফল অনেকেরই পছন্দের। আমে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ফ্লাবোনয়েড, বিটা ক্যারোটিন,  জ্যান্টো ফিল ইত্যাদি। এ উপাদানগুলো আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে।

শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়

শ্যামলা ত্বক নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় থাকেন। কারণ ফর্সা ত্বকের মানুষদের সবাই পছন্দ করেন। শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম রয়েছ। এ ক্রিমগুলো ব্যবহার করলে অল্প সময়ের মধ্যে ফর্সা হওয়া যায়। ক্রিম যেহেতু কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হয় সেজন্য এগুলোর বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।

ক্রিম ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হাওয়াই সবচেয়ে ভাল। কারণ এগুলোর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে না। ক্রিম ব্যবহার করে ফর্সা হতে চাইলে গুণগতমান বিচার করে ব্যবহার করতে হবে।

লেখক এর মন্তব্য

আপনি ছেলে বা মেয়ে যেই হন না কেন সৌন্দর্যের কদর সবার বেলায়। সুন্দর্যের পরিমাপ সব সময় এক রকম হয় না তবুও আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় ফর্সা মানেই সম্পূর্ণরূপে সুন্দর এ ধারণা সেই আদিকাল থেকেই ফর্সা রংয়ের চেহারাকে আকর্ষণীয় বলে মনে করা হয়। তাই আমাদের এই লোখায় মানুষের শরীরের কালো বা শ্যামলা রং কিভাবে ফর্সা করা যায় এ বিষয়ে ধারণা দেয়া হয়েছে।

যদিও তা চিকিৎসা বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত নয়। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url