মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সাহায্য করবে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার এবং হঠাৎ করে চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মেয়েদের চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন মেয়েদের মাথার চুল পড়লে কি করণীয় এবং অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার ইত্যাদি।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে চুল পড়া একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চুল পড়া বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন আয়রনযুক্ত পানি, পরিবেশ দূষণ, পুষ্টিহীনতা, অতিরিক্ত মানসিক ও শারীরিক চাপ এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। এছাড়া আমরা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে যে মেডিসিন গ্রহণ করি সেগুলোর কারণেও অনেক সময় চুল উঠে যায়। চুল পড়ার পরিমাণ কম হলে সেটি নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।


কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণ চুল পড়লে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চুল পড়া সমস্যা তো সবার জন্য সমান হওয়ার কথা কিন্তু মেয়েদের জন্য একটু বেশি সমস্যা। কারণ চুলেতে নারীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। যে নারীর চুল বেশি তার সৌন্দর্য ফুটে ওঠে তাড়াতাড়ি। অতিরিক্ত চুল পড়া শুরু করলে চুলের জন্য এক্সট্রা পরিচর্যা প্রয়োজন হয়।

মেয়েদের অতিরিক্ত চুল পড়াকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় অ্যান্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপিসিয়া। চিকিৎসকরা বলেন চুল পড়ে যাওয়ার যে কারণগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রধান কারণগুলো হচ্ছে শারীরিক অসুস্থতা, রক্তস্বল্পতা, অপারেশন পরবর্তী বিভিন্ন ওষুধ গ্রহণের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং হজমের সমস্যা ইত্যাদি।

মেয়েদের চুল পড়ার কারণ

মেয়েদের চুল পড়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। কি কি কারণে চুল পড়ে সেগুলো আলোচনা করা হলো-
  • শারীরিক অসুস্থতার কারণে মেয়েদের মাথার চুল পড়ে যেতে পারে। শারীরিক অসুস্থতা হলে শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের সল্পতা তৈরি হয়। যা চুল পড়ে যাওয়ার কারণ হয়ে থাকে।
  • হরমোনের সমস্যার কারণে অনেক সময় চুল পড়তে পারে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক না থাকলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয় তার মধ্যে একটি চুল পড়া এবং আরো একটি মুখের বিভিন্ন অংশে অবাঞ্চিত চুল গজানো।
  • রক্তস্বল্পতা হলে মেয়েদের চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয় সেজন্য চুলে পড়ে যায়।
  • ডায়াবেটিস ওভারেন পলিসিস্টিক এবং মূত্রনালী সমস্যা হলে চুল পড়ে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে।
  • ক্যান্সার রোগের জন্য কেমোথেরাপি দেওয়া হয় সেই কেমোথেরাপি দিলে চুল সবগুলো উঠে যায়।
  • মেয়েদের গর্ভকালীন সময়ে চুল পড়া সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেলে চুল পড়া সমস্যা দেখা দেয়।
  • শারীরিক এবং মানসিক চাপের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে চুল পড়া বৃদ্ধি পায়।
  • হাই ব্লাড প্রেসারের ওষুধ এবং অতিরিক্ত ভিটামিন ই গ্রহণ করলে অতিরিক্ত চুল পড়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া এবং হজমের সমস্যার কারণে চুল পড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ভেজা চুল না শুকিয়ে বেঁধে রাখলে চুল পড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • ওজন কমানোর জন্য অনেকে ডায়েট করে। অতিরিক্ত ডায়েটের ফলে চুল পড়া সমস্যা দেখা দিতে পারে।

চুল পড়ার প্রতিকার

চুল পড়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে সেগুলো আমরা কিছুটা জানলাম। এখন আমরা চুল পড়ার প্রতিকার সম্পর্কে আলোচনা করব। চলুন তাহলে জেনে নেই চুল পড়ার প্রতিকার-

ভিটামিন যুক্ত খাবার গ্রহণঃ ভিটামিনের পরিমাণ কমে গেলে চুল পড়া সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা দূর করার জন্য ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। শরীরে পরিপূর্ণ ভিটামিন থাকলে চুল পড়া আপনা আপনি কমে যাবে।

শারীরিক বা মানসিক চাপ কমানোঃ অতিরিক্ত শারীরিক বা মানসিক চাপ চুল পড়ার অন্যতম কারণ। সেজন্য শারীরিক মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে চুল পড়া কমে যাবে সেইসাথে শরীর সুস্থ থাকবে।

চুল আঁচড়াতে হবেঃ প্রতিদিন নিয়ম মতো মাথার চুল আঁচড়াতে হবে যাতে করে চুরে জট না পড়ে এবং চুল না উঠে যায়।

শ্যাম্পুর ব্যবহারঃ সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা এবং চুলের শ্যাম্পু করার আগের দিন মাথায় তেল দেওয়া।

ভেজা চুল না আঁচড়ানোঃ ভেজা চুল না আঁচড়ানো, কারণ ভেজা চুলের গোড়া নরম থাকে সেজন্য চুল আঁচড়ালে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পেঁয়াজের ব্যবহার করাঃ চুল পড়া শুরু হলে চুলের গোড়ায় পেঁয়াজের রস লাগাতে হবে তাহলে চুল পড়া ধীরে ধীরে কমে যাবে।

এলোভেরা জেলঃ চুল পড়া কমাতে এলোভেরা জেল অত্যন্ত কার্যকরী। অ্যালোভেরা জেল চুলে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে ব্যবহার করলে চুল পড়া ধীরে ধীরে কমে যাবে।

পুষ্টি ঘাটতিঃ ডায়েটের কারণে চুল পড়ে যায় সে কারণে ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট করা প্রয়োজন শরীরে যে সকল পুষ্টি ঘাটতি রয়েছে সেগুলো সকল পুষ্টি গ্রহণ করতে হবে।

ভিটামিন ইঃ ভিটামিন ই চুলের জন্য অনেক উপকারি। কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনে তা ব্যবহার করতে হবে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ ভিটামিন ই গ্রহণ না করলে চুল উঠা বন্ধ/কমে যাবে।

চুলের আগা ছাঁটাঃ চুলের আগা ফেটে গেলে নিয়মিত চুলের আগা ছেঁটে দিতে হবে। তাহলে চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।

হঠাৎ করে অতিরিক্ত চুল পড়ার কারণ

আমাদের শরীরের মধ্যে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যা লেগে আছে তার মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে চুল পড়া। হঠাৎ করে চুল পড়তে লাগলে দুশ্চিন্তা বহুগুণে বেড়ে যায়। চুল অতিরিক্ত পড়ে পড়ে এমন অবস্থা তৈরি হয় যে মাথার ত্বক বের হয়ে যায়। বেশ কিছু কারণে হঠাৎ করে চুল উঠার প্রবণতা দেখা যায়। চিকিৎসকরা বলেন এন্ড্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পেলে চুল পড়া সমস্যা দেখা দেয়।

এছাড়াও শারীরিক সমস্যা তৈরি হলেও চুল পড়া সমস্যা তৈরি হয়। কিছু কিছু মেডিসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়ে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি বেশি পরিমাণে দেখা দিলে সে সময় হঠাৎ করে চুল পড়া শুরু হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় চুলের গোড়া ভিজে থাকার জন্য চুলের গোড়ায় ছত্রাকের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়।

 ই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে চুল ঝরে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হঠাৎ করে চুল পড়ে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে এটিও একটি উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও চুলে বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয় যার সবগুলো চুলের জন্য উপযুক্ত নয়। এ প্রোডাক্টগুলোর কারণেও হঠাৎ করে চুল পড়া শুরু হতে পারে।

মেয়েদের মাথার চুল পড়া রোধে করণীয়

চুল নারী সৌন্দর্যের ভূষণ এই কথা আমরা সবাই জানি। চুল পড়া শুরু হলে অনেক সময় মাথায় টাক পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে যেন আমাদের প্রত্যেকের চুল পড়া শুরু হলে এটি কি করে রোধ করতে হবে সে সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। মেয়েদের চুল পড়া রোধ করার জন্য কয়েকটি উপায় হল-
  • মৌসুমী ফল বেশি পরিমাণে খেতে হবে কারণ মৌসুমী ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা চুল পড়া রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া শরীর সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু কিছু কিছু সবজি বা শাক আছে যেগুলো খেলে আমাদের চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী সেজন্য নিয়মিত শাকসবজি খেতে হবে।
  • চুলে সব সময় নরমাল পানি ব্যবহার করতে হবে। গরম পানি চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চুলে গরম পানি ব্যবহার করলে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
  • চুলে সব সময় ভালো মানের শ্যাম্পু বা অন্যান্য চুলের পণ্য ব্যবহার করতে হবে। যেকোনো পণ্য ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অনেক সময় চুলের বিভিন্ন স্টাইল তৈরি করার জন্য চুলে হিট দেওয়া হয় যা চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চুলে এ ধরনের হিট দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
  • চুলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করলে চুল প্রাণ হীন হয়ে যাবে এবং রুক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
  • চুলে নানা ধরনের কালার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় এই কেমিক্যাল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • চুলের পুষ্টি ফিরিয়ে আনার জন্য বাদাম তেল, অলিভ অয়েল এবং নারিকেল তেল পরিমান মত মিশিয়ে নতুন একটি তেল তৈরি করতে হবে যা চুলের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর।

অল্প বয়সে চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকার

চুল সৌন্দর্যের একটি মূল অংশ। সুন্দর স্বাস্থ্য উজ্জ্বল এবং ঘন চুল সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এই চুল অকালে পড়ে যাওয়া শুরু হলে তা সুন্দরীদের পরিপূর্ণতা নষ্ট করতে সক্ষম হয়। বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ দূষণ, ভিটামিনের অভাব, ট্রেস এবং অন্যান্য কারণে অল্প বয়সে চুল ঝরে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়।

চুল পড়া সমস্যা প্রতি ১০০ জনে ৯০ জনের মধ্যে এ সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা অল্প বয়সে চুল পড়ার অন্যতম অন্যতম কারণ হিসেবে মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষন্নতা অপুষ্টি ইত্যাদি বিষয়গুলোকে আখ্যায়িত করেছেন। এছাড়াও তারা বলেন পরিমিত ঘুম এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে অল্প বয়সে চুল ঝরে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

এছাড়াও বিভিন্ন রোগের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হলে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এ চুল পড়া রোধ করার জন্য প্রথমে যেটি করতে হবে তা হল শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে হবে। কেননা অপুষ্টি কারণেই চুল পড়ে। অতিরিক্ত ট্রেস কমাতে হবে। স্বাভাবিকভাবে চুল পড়লে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই কিন্তু অতিরিক্ত চুল পড়লে বিভিন্ন উপায়ে তা প্রতিকার করার চেষ্টা করতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করে চুল পড়া রোধ করা যায় এছাড়াও বাজারে বিভিন্ন ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায় যেগুলো চুলের জন্য অত্যন্ত ভালো। এগুলো ব্যবহারেও চুল পড়া কমে যেতে পারে। এছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে কয়েকটি প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করেও চুল পড়া রোধ করা যায় যেমন পেঁয়াজের রস, মেহেদী, অ্যালোভেরা ইত্যাদি।

এগুলো ব্যবহারের ফলে চুল পড়া কমে যাবে এবং চুল ঘন ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে। প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ব্যবহারের ফলে চুলের অনেক উপকার হয় এবং এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না। এগুলো উপায় ব্যবহার করে চুল পড়া না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অতিরিক্ত চুল পড়া কিছু কিছু রোগের ও লক্ষণ হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

মেয়েদের চুল পড়া সমস্যা বড় সমস্যাগুলোর মধ্যেই পড়ে। এ সমস্যাগুলো দেখা দিলে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন উপায়ে তা প্রতিকার করার চেষ্টা করতে হবে। তারপরেও এর প্রতিকার না পেলে সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যাতে করে সঠিক কারণ নির্ধারণ করা যায়। প্রিয় পাঠক, আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url