ডিমের খোসা খাওয়ার নিয়ম ও ডিমের খোসার উপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি ডিমের খোসা খাওয়ার নিয়ম ও ডিমের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে ডিমের খোসা খাওয়ার নিয়ম ও ডিমের খোসা উপকারিতা এবং ডিমের খোসার ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করুন।
ডিমের খোসা খাওয়ার নিয়ম ও ডিমের খোসার উপকারিতা
এটি পড়লে আরো জানতে পারবেন ডিমের খোসার পাউডারের উপকারিতা, ডিমের খোসার পাউডার কোথায় বিক্রি হয় এবং গাছে ডিমের খোসার ব্যবহার ইত্যাদি।

ভূমিকা

ডিম একটি সুষমা খাদ্য। ডিমে যে পরিমাণ পুষ্টিগণ আছে যা অন্যান্য খাবারে নেই। ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমরা প্রায় সবাই অবগত। কিন্তু আমরা কি জানি ডিমের খোসায় রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ বা উপকারিতা। এর উপকারিতা না জানার কারণে ডিম খাওয়ার পর আমরা খোসা ফেলে দিয়ে থাকি। ডিমের খোসার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।


প্রত্যেকটি ডিমের খোসার মধ্যে ২ গ্রাম পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে যার বেশিরভাগই হচ্ছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট। এছাড়াও ডিমের খোসা গুড়া করে খেলে শরীরে বিভিন্ন রোগ বালাই দূর হয়ে থাকে। ডিমের খোসায় যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর বিভিন্ন গুনাগুণ এবং ব্যবহারবিধি রয়েছে। এই ডিমের খোসা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়।

ডিমের খোসা গাছের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ডিমের খোসা গুড়া করে গাছে ব্যবহার করলে গাছের গোড়া অনেক শক্তিশালী হয় এবং উর্বর হয়।এছাড়াও ডিমের খোসা দিয়ে বিভিন্ন কারুকার্য তৈরি করা হয়। এজন্যই খোসা ফেলে না দিয়ে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত।

ডিমের খোসা খাওয়ার নিয়ম

ডিম ডিমের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেনা বা জানলেও কিভাবে খেতে হয় সে উপায় বা খাওয়ার নিয়ম জানেনা। ঠিক সে কারণেই ডিমের খোসা ফেলে দিতে হয়। ডিমের খোসা কিভাবে খেতে হয় সে বিষয়ে আলোচনা করব। ডিমের খোসা খাওয়ার জন্য প্রথমে খোসা ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে তারপর এটি পানিতে সেদ্ধ করতে হবে যাতে করে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণুগুলো ধ্বংস হয়।

তারপর এটিকে ভালোভাবে শুকিয়ে গুড়া করে নিতে হবে। তারপর এই ডিমের খোসার গুড়া আপনি যেকোনোভাবে খেতে পারেন। ডিমের খোসার গোড়া কেক, রুটি, ফলের রস বা বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথেও মিশিয়ে খাওয়া যায়। ডিমের খোসা শরীরের জন্য অনেক উপকারী তাই এটি নিয়ম করে খেলে বিভিন্ন রোগ বালাই দূর হয়ে যাবে।

ডিমের খোসার উপকারিতা

ডিম আমরা অনেকেই পছন্দ করি এবং প্রতিদিনই প্রায় খাওয়া হয়ে থাকে। ডিম খাওয়ার পর ডিমের খোসা আমরা ফেলে দিয়ে থাকি। ডিমে যেমন প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর খোসাতেও অনেক উপকারিতা রয়েছে যা জানলে আমরা অবাক হব। ডিমের খোসা খাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায় এবং প্রত্যেক ক্ষেত্রেই এর উপকারিতা রয়েছে অসামান্য। তাহলে চলুন ডিমের খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

  • ডিমের খোসা গুড়া করে খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় কারণ ডিমের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম বা ক্যালসিয়াম কার্বনেট। এছাড়াও এটিকে ক্যালসিয়ামের উৎস বলা হয়ে থাকে। বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের শরীরের ক্যালসিয়াম কমতে থাকে সেজন্য শরীরে নানা রকম সমস্যা তৈরি হয়। শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য নিয়ম করে ডিমের খোসার গুড়া খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • ডিমের খোসার গুড়া হাড় মজবুত করতে যথেষ্ট কার্যকরী। যেহেতু খোসার গুড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম সেজন্য এটি হাড়কে মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে।
  • ডিমের খোসা শুধুমাত্র শরীরের জন্য উপকারী নয় বরং এটি গাছের জন্য কীটনাশক হিসেবে কাজ করে থাকে। ডিমের খোসাতে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যা গাছের পোকামাকড় দূর করে গাছকে শক্তিশালী করে তোলে।
  • ত্বকের যত্নে ডিমের খোসার গুড়া অত্যন্ত উপকারী। ডিমের সাদা অংশের সাথে ডিমের খোসা গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এটি মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে ত্বকের অনেক উপকার লক্ষ্য করা যায়।
  • অনেকেই চা বা কফি তেতো ভাব পছন্দ করেন না সেজন্য ডিমের খোসার গুড়া চা বা কফির সাথে মিশিয়ে খেলে তেতো ভাব দূর হয়ে যাবে।
  • রান্না ঘরের বাসন পরিষ্কার করার জন্য ডিমের খোসার গুড়া ব্যবহৃত হয়। হাড়ি পাতিলের বিভিন্ন ধরনের পোড়া দাগ দূর করার জন্য ডিশ ওয়াশের সাথে ডিমের খোসার গুড়া মেশাতে হবে তাহলে পুরা দাগ খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
  • শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা যেমন বাত বা গাঁটের ব্যথা এবং আরো অন্যান্য ব্যথা দূর করার জন্য ডিমের খোসার গুড়ার সাথে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দুই দিন রেখে তারপর ব্যাথার স্থানে লাগাতে হবে তাহলে ধীরে ধীরে ব্যথা কমতে শুরু করবে।
  • মানুষের শরীরের হাড়ের বিভিন্ন রোগ থাকে যেগুলো হাড়ের জন্য ক্ষতিকর ডিমের খোসার গুড়া নিয়মিত খেলে হাড়ের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করবে।
  • ডিমের খোসা পাখির এবং মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে এছাড়াও এটি সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এটি গাছপালাকে অনেক শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে।

ডিমের খোসার পাউডার এর উপকারিতা

ডিমের খোসা সাধারণত গুঁড়ো করে বা পাউডার তৈরি করে ব্যবহার করা হয়। এই পাউডার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করে হয়ে থাকে। ডিমের খোসার পাউডারের মাধ্যমে যে উপকারিতা গুলো লক্ষ্য করা যায় সেগুলো হলো-

গাছের পুষ্টি বাড়াতেঃ ডিমের খোসার পাউডার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ যা সার হিসেবে গাছে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর ব্যবহারের ফলে গাছ অনেক শক্তিশালী হয় এবং ভালো ফল ধরে। গাছের পুষ্টি বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত এ পাউডার ব্যবহার করতে হবে।

কীটনাশক হিসেবেঃ ডিমের খোসার পাউডার কীটনাশক হিসেবে কাজ করে থাকে। এতে গাছের গোড়ায় ছিটিয়ে রাখলে পোকামাকড় ধ্বংস হয়ে যায়।

মাটি উর্বরতা বৃদ্ধিঃ মাটি শোধন এবং উর্বরতা বৃদ্ধি করার জন্য ডিমের খোসার পাউডার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই খোসার পাউডারে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম যা গাছের বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ পাউডার ভালোভাবে মাটির সাথে মিশালে এর উপকার ভালোভাবে পাওয়া যায়।

মানব দেহেরঃ ডিমের খোসার পাউডার মানব দেহে বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে যেমন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে, হাড় মজবুত করে, হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে এবং দাঁতের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

ডিমের খোসার ব্যবহার

আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় ডিম থাকে। ডিম খাওয়ার পর আমরা সাধারণত ডিমের খোসা ফেলে দেই। কিন্তু এই ডিমের খোসা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। আসুন তাহলে ডিমের খোসার ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

সার হিসেবেঃ ডিমের খোসা সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডিমের খোসায় রয়েছে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা গাছের জন্যও অনেক উপকারী। এই খোসাগুলো ফেলে না দিয়ে গাছে দিলে গাছ অনেক শক্তিশালী হয় এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

রুপার বাসন পরিষ্কারেঃ ডিমের খোসা সেদ্ধ করার পর ভালোভাবে গুড়া করে নিয়ে তারপর এটি দিয়ে রুপার বাসন এবং গহনা পরিষ্কার করলে তা অনেক চকচকে বা ঝকঝকে হয়ে যায়।

বাসনের পোড়া দাগ দূর করতেঃ অনেক সময় রান্না করার পর বাসনে বা কড়াইয়ে পুড়া দাগ লেগে থাকে। এই ডাগ দূর করার জন্য ডিমের খোসার গুড়া ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ওয়ালমেট তৈরিতেঃ ডিমের খোসা খন্ড খন্ড করে বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করা হয়। বিশেষ করে ওয়ালমেট তৈরিতে অনেক বেশি প্রয়োজন হয় ডিমের খোসার। ডিমের খোসা দিয়ে ওয়ালমেট তৈরি করলে সেটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়।

ঘর সাজানোর সামগ্রীঃ ডিমের খোসায় রং করে ঘর সাজানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করা হয়। এটি দিয়ে সুন্দর সুন্দর ডিজাইনের মমদানিও তৈরি করা হয় যা ঘরে রাখলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।

টিকটিকির উপদ্রব কমাতেঃ প্রত্যেক বাসা বাড়িতেই প্রচুর পরিমাণে টিকটিকি থাকে। এই টিকটিকি বিভিন্ন উপদ্রব তৈরি করে যেমন মলত্যাগ করে, খাবার দাবারে ঢুকে ইত্যাদি। টিকটিকির উপদ্রপ কমাতে ডিমের খোসা কয়েক জায়গায় রেখে দিলে ভালো কাজ দিবে।

পাখিদের খাদ্যঃ ডিমের খোসা গুড়া করে ঘরের বা ছাদের এক কোনে রেখে দিলে পাখিরা খেতে পারবে। এই ডিমের খোসার গুঁড়া পাখিদের খাদ্য হিসেবে অনেক পরিচিত।

ত্বকের যত্নেঃ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করার জন্য ডিমের খোসার গুড়া ব্যবহার করা হয়। ডিমের খোসার গুড়া এবং ডিমের সাদা অংশ একসাথে মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে হয়। এটি মুখে ব্যবহার করার পর কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে দেখবেন ত্বক অনেক সুন্দর ও কমল হবে।

সিঙ্ক পরিষ্কার করতেঃ রান্নাঘরের সিঙ্ক পরিষ্কার করতে ডিমের খোসার গুড়া অত্যন্ত কার্যকরী। ডিমের খোসার গুড়া ডিশওয়াশের সাথে মিক্স করে সিঙ্ক পরিষ্কার করলে সিঙ্ক দেখতে অনেক ঝকঝকে হয়।

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতেঃ মানবদেহের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে ডিমের খোসা অত্যন্ত কার্যকরী।

ফার্স্ট এইড হিসাবেঃ খোসা ফার্স্ট এইড হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কোথাও কেটে গেলে বা ছিড়ে গেলে ডিমের খোসার নিচে যে পাতলা সাদা আবরণ থাকে এটি সেই জায়গায় লাগালে ব্যান্ডেজ এর মত কাজ করে। এছাড়া এটি ক্ষতস্থানে লাগালে রক্ত পড়া তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়।
ডিমের খোসা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ ডিমের খোসা কতটুকু খাওয়া উচিত?

উত্তরঃ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২.৫ গ্রাম ডিমের খোসার গুড়া খাওয়া যেতে পারে। এই ডিমের খোসা খেলে প্রাপ্তবয়স্কদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।

প্রশ্নঃ ডিমের খোসার গুড়া কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়?

উত্তরঃ ডিমের খোসার গুড়া আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি যেমন সিঙ্ক পরিষ্কার করতে, পোড়া দাগ দূর করতে, সার হিসেবে, কীটনাশক হিসেবে এবং ত্বকের যত্নে।

প্রশ্নঃ ডিমের খোসা খাওয়া কি ভালো?

উত্তরঃ ডিমের খোসা খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ভালো কারণ এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম কার্বনেট যা হাড়কে মজবুত করে এবং শরীরে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।

প্রশ্নঃ ডিমের খোসায় কতটুকু পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে?

উত্তরঃ ১ গ্রাম পরিমাণ ডিমের খোসায় আনুমানিক ৩৮০ মিলিগ্রাম পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। ডিমের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ডিমের খোসা গুড়া করে খেলে ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ হয়ে যাবে।

ডিমের খোসার পাউডার কোথায় বিক্রি হয়

ডিমের খোসার পাউডার কোথায় পাওয়া যায় বা কোথায় বিক্রি করা যায় এ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। তাহলে চলুন ডিমের খোসার পাউডার কোথায় বিক্রি হয় সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক-

কসমেটিকস এর দোকানেঃ ডিমের খোসার পাউডার ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী সেজন্য এটি কসমেটিকসের দোকানে বিক্রি হয়। কারণ ত্বকের যত্নে যে সকল পণ্য সামগ্রী রয়েছে সেগুলো কসমেটিকসের দোকানে পাওয়া যায়।

ওষুধের দোকানেঃ ডিমের খোসার পাউডার অনেক সময় শরীরের রোগ নিরাময়ে ভূমিকা পালন করে। সেজন্য এটি ওষুধের দোকানে বিক্রি হয়ে থাকে। কারন এটি শরীরের জন্য ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

সার বা কীটনাশকের দোকানেঃ ডিমের খোসার পাউডার গাছের জন্য কীটনাশক এবং সার হিসেবে আমরা ব্যবহার হয়ে থাকে। যেহেতু সার হিসেবে এটি আমরা ব্যবহার করে থাকি সেহেতু সারের দোকানে কাস্টমার খোঁজ করবে সেজন্য এটি সারের দোকানে বিক্রি হয়ে থাকে।

পার্লারে পাওয়া যায়ঃ ত্বকের বিভিন্ন উপকারের জন্য ডিমের খোসার অত্যন্ত কার্যকারিতা রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক, স্ক্রাব তৈরি করা হয় ডিমের খোসার পাউডার দিয়ে। তাই পার্লারে ডিমের খোসার পাউডার পাওয়া যায় বা বিক্রি করে থাকে।

গাছে ডিমের খোসার ব্যবহার

গাছে ডিমের খোসার ব্যবহার করলে অত্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে থাকে। এটি গাছের বিভিন্ন রোগবালাই এবং পোকামাকড় দূর করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের সবজি, বেগুন, টমেটো এবং বিভিন্ন ধরনের শাক উৎপাদনে ডিমের খোসা ব্যবহার করা হয়। এই খোসা গাছের পরিপূর্ণ পুষ্টি দিতে সাহায্য করে।

এছাড়াও এটি ভালো সার হিসেবে গাছে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডিমের খোসা মাটিকে উর্বর করতে এবং শোধন করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই খোসা মাটির সাথে মিশালে মাটি জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়। আবার গাছের গোড়ার ও পাতার বিভিন্ন রোগ দূর করে থাকে ডিমের খোসা।

লেখকের মন্তব্য

ডিমের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি ডিমের খোসারও রয়েছে অনেক উপকার। এ খোসা খাওয়া এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেজন্য আমরা ডিম খাওয়ার পর খোসাগুলোকে ফেলে না দিয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করি। প্রিয় পাঠক, আপনার যদি এ আর্টিকেলটি ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url