পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে শীতে পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ও প্রতিকার এবং পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্ক বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এটি পড়লে আরও জানতে পারবেন পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে, শীতে পা ফাটা দূর করার উপায়, গরমে পা ফাটার কারণ এবং গরমে পা ফাটা দূর করার উপায় ইত্যাদি।

ভূমিকা

শীতকালে পায়ের গোড়ালি ফাটা এটি একটি কমন সমস্যা । প্রায় ব্যক্তির এ সমস্যাগুলো দেখা যায়। পায়ের গোড়ালি ফাটলে অনেক অস্বস্তির বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। পায়ের গোড়ালি বিভিন্ন কারণে ফেটে যায।শুষ্ক আবহাওয়া ও আদ্রতার কারণে পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। ভিটামিনের অভাবেও পা ফেটে যায়। এছাড়াও শরীরে অনেক রোগের কারণে পায়ের গোড়ালি ফেটে যেতে পার।


আবার অনেক সময় ফাটা জায়গা দিয়ে রক্ত বের হয়ে যায। পা ফেটে গেলে সেখানে অনেক ব্যথা এবং যন্ত্রণা হয়। শীতকালে পায়ের গোড়ালি ফাটা সমস্যা মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণে স্বাভাবিকভাবে হাঁটা চলাফেরার সমস্যা তৈরি হয। আবার পা ফেটে গেলে পায়ের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং দেখতে অনেক খারাপ লাগে।

পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণও প্রতিকার

পায়ের গোড়ালি ফাটা এটি একটি রোগ যা বিভিন্ন কারণে ফেটে যেতে পারে। সেজন্য প্রথমে পায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ জানতে হবে এবং তারপর তার প্রতিকার জানতে হব।

খালি পায়ে হাটাঃ খালি খালি পায়ে হাঁটলেপায়ের গোড়ালিতে ময়লা আটকে যায় যে কারণে পা ফেটে যায়।

শক্ত জুতা পরাঃ শক্ত জুতা পরা অনেক সময় পা ফাটার জন্য দায়ী হতে পারে। শক্ত জুতা পরলে পায়ের গোড়ালিতে অনেক চাপ পড়ে এবং ফেটে যায়।

পর্যাপ্ত পানি পান না করাঃ মানব শরীরের সবকিছু ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিত। শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে অনেক সমস্যা তৈরি হয় এবং সেইসাথে পা ফাটা রোগ হয়ে থাকে।

ভিটামিনের অভাবেঃ শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে পা ফেটে যেতে পারে। যে ভিটামিনের অভাবে পা ফেটে সেগুলো হলো ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই।

পা ঘামলেঃ আমাদের প্রত্যেকের শরীরে আলাদা আলাদা গঠন বিন্যাস রয়েছ। অনেকের পা সব সময়ই ঘামতে থাক। বেশী পরিমাণ পা ঘামলে পা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

এগুলো ছাড়াও বিভিন্ন রোগের কারণে পা ফাটা সমস্যা দেখা দিতে পারে যেমন পামু প্লান্টার কেরাটো ড্রামা, পিটুরিয়াসিররুবরা পাইলারিস রোগগুলো সাধারণত পা ফাটার কারণ ও হতে পারে।

পা ফাটার প্রতিকার

পা ফাটার বিভিন্ন ধরনের প্রতিকার রয়েছে। পা ফাটার কারণ জানা থাকলে প্রতিকার করা তাড়াতাড়ি সম্ভব হয় আসুন তাহলে পা ফাটার প্রতিটা সম্পর্কে জানা যাক-

পর্যাপ্ত পানি পান করাঃ পা ফাটার সমস্যা দূর করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা উচিৎ। সুস্থ মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা অত্যন্ত প্রয়োজন। পা ফাটা থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্যা দূর করার জন্য পরিমাণমত পানি পান করা উচিত।

খালি পায়ে না হাটাঃ খালি পায়ে হাঁটলে পায়ে ময়লা লেগে থাকে সে কারণে পা ফেটে যায় এজন্য খালি পায়ে যাবে না। এছাড়াও শীতের জুতা মোজা পরার অভ্যাস করতে হবে যাতে করে পায়ে ময়লা না আটকায়।

ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়াঃ যে খাবারগুলো খেলে আমাদের শরীরে পরিপূর্ণ ভিটামিন পাওয়া যাবে এবং সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকা যাবে সে খাবারগুলো খেতে হবে। শরীরের ভিটামিনের অভাব পূরণ হলে পা ফাটা সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

গ্লিসারিন ও গোলাপজল এর ব্যবহারঃ পায়ের গোড়ালি ফাটলে গ্লিসারিন ও সমপরিমাণ গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে পায়ের ফাটা নেই লাগাতে হবে তাহলে গোড়ালি নরম হবে এবং পা ফাটাও দূর হয়ে যাবে।

পায়ের গোড়ালের বাড়তি যত্নঃ শীতকালে যেহেতু পায়ের গোড়ালি ফেটে যায় সেহেতু শীতকালে এর বাড়তি যত্ন নেয়া উচিত।

নরম জুতা ব্যবহার করাঃ নরম জুতা ব্যবহার করলে পায়ের গোড়ালিতে তেমন চাপ পড়ে না সেজন্য ফেটে যাওয়া সম্ভাবনা কম থাকে। নরম জুতা পরলে পায়ের গোড়ালি ফাটাসহ পায়ের অন্যান্য সমস্যাও দূর হয়ে যায়।

শীতে পা ফাটা দূর করার উপায়

অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীতকালে পা ফাটার সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। সেজন্য এই সময়টাতে পায়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কিভাবে যত্ন নিলে পা ফাটা দূর হবে সেই বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব। চলুন তাহলে শীতে পা ফাটা দূর করার কয়েকটি উপায় জেনে নেই-
  • গোসলের সময় পা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে যাতে কোন ময়লা আটকে না থাকে
  • বাইরে ঘুরতে গেলে বাড়িতে ফেরার পর গরম পানিতে নারিকেল তেল মিশিয়ে এবং তার সাথে অল্প পরিমাণ লবণ মেশাতে হবে। তারপর সেই পানিতে পা কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখতে হবে। ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়ে গেলে গোড়ালিতে গ্লিসারিন অথবা অলিভ অয়েল লাগাতে হবে।
  • পায়ের ফেটে যাওয়া স্থানে ময়লা আটকে গেলে সেটি পরিস্কার জরার জন্য চালের গুড়ার সাথে মধু ও ভিনেগার মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে ফাটা স্থানে লাগাতে হবে তাহলে পায়ের ফাটায় লেগে থাকা ময়লা সুন্দরভাবে উঠে যাবে এবং ফাটা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
  • পায়ের গোড়ালি ফাটা স্থানে ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে গেলে সেখানে আমন্ড অয়েল বা অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন তাহলে ফাটা দূর হয়ে যাবে।
  • পায়ের গোড়ালিতে নারিকেল তেল ভালোভাবে মেসেজ করে নিলে পায়ের গোড়া নরম থাকে এবং পা ফাটা দূর হয়ে যাবে।

পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার ঘরোয়া উপায়

পায়ের গোড়ালি ফাটা একটি অস্বস্তিকর বিষয়। পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে দেখতে খুব খারাপ দেখায় এবং বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। সেজন্য পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করা অবশ্যিক হয়ে পড়ে। পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার জন্য অনেকগুলো উপায় থাকলেও ঘরোয়া উপায় সবচেয়ে ভালো। আসুন তাহলে পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার জন্য কয়েকটি ঘরোয়া উপায় জেনে নেই-

পাকা কলাঃ পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করতে পাকা কলা অনেক কার্যকরী। পাকা কলা ভালোভাবে চটকে নিয়ে ফাটা স্থানে লাগাতে হবে। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর এটি ধুয়ে ফেলতে হবে। পাকা কলায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৬ এবং ভিটামিন সি সহ অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান। সেজন্য শীতে শুষ্ক ত্বকে পাকা কলা পা ফাটা দূর করতে অনেক বেশি সহায়ক।

তিলের তেলঃ পায়ের গোড়ালি ফাটা দেখা দিলে তিলের তেল ব্যবহার করা শুরু করুন তাহলে ধীরে ধীরে ফাটা দূর হয়ে যাবে এবং পায়ের গোড়ালি অনেক নরম থাকবে।

চালের গুড়া, মধু ও ভিনেগারঃ তিন টেবিল চামচ পরিমাণ চালের গুড়ার সাথে এক চামচ মধু এবং ৩ ফোঁটা আপেল সিডার ভিনেগার একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর কুসুম কুসুম গরম পানিতে পা ভালোমতো পরিষ্কার করে নিয়ে এই মিশ্রণটি লাগাতে হবে। কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে পায়ের গোড়ালি ফাটা ধীরে ধীরে কমে যাবে।

গ্লিসারিন ও গোলাপজলঃ শীতের শুষ্ক ত্বকে প্রাণ ফিরিয়ে নিয়ে আসতে গ্লিসারিনের ভূমিকা অত্যাধিক। এটি ত্বকসহ পায়ের গোড়ালি ফাটাও দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। রাতের বেলা গ্লিসারিনের সাথে গোলাপজল মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে রাখলে পায়ের গোড়ালি ফাটতে দেয় না এবং গোড়ালি ফাটা দূর হয়ে যায়।

লেবুর রসঃ পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে সেখানে অনেক ব্যথা এবং যন্ত্রণা হয়। সেজন্য অনেক দ্রুত গোড়ালি ফাটা দূর করতে হয়। দ্রুত ফলাফল পাওয়ার জন্য লেবুর রসের সাথে ভেসলিন মিশিয়ে গোড়ালিতে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে দেখা যাবে অল্প সময়ে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

পেঁয়াজের রসঃ পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার জন্য পেঁয়াজের রস অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। পেঁয়াজের রস বের করার জন্য পেঁয়াজকে প্রথমে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর রস বের করে অলিভ অয়েল বা মধুর সাথে মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ব্যবহার করতে হবে।

নারিকেল তেলঃ পায়ে ময়লা লেগে থাকলে পা বেশী ফেটে যায়। সেজন্য পায়ের ময়লা প্রথমে পরিষ্কার করতে হবে তারপর সেখানে নারিকেল তেলের সাথে লেবু মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে দিয়ে ভালোভাবে মেসেজ করুন। তার কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন দেখবেন ধীরে ধীরে পা ফাটা দূর হয়ে যাবে।

বেকিং সোডাঃ এক বালতি পরিমাণ কুসুম কুসুম গরম পানিতে তিন টেবিল চামচ বেকিং সোডা দিয়ে দিতে হবে। তারপর বেকিং সোডা মিশ্রিত পানিতে পা ডুবিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখতে হবে। রাখার পর পায়ের গোরা ধীরে ধীরে ঘষতে হবে এরপর ধুয়ে ফেলতে হবে। ধোয়া হয়ে গেলে পায়ের গোড়ালি ভালোভাবে মুছে ভালো মশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

নিম পাতাঃ নিম পাতা অনেক সময় অ্যান্টিসেফটিক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। নিম পাতা বেটে হলুদের গুড়ার সাথে মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে ব্যবহার করলে পা ফাটা দূর হয়। নিম পাতায় রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল যা পা ফাটা রোধ করতে সহায়তা করে। ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি ত্বক ভালো রাখতে খুবই প্রয়োজনীয়। ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি এর অভাব হলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাসহ পা ফাটা বা পায়ের গোড়ালি ফাটা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পা ফাটা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ পায়ের গোড়ালি ফাটলে কি করতে হবে?

উত্তরঃ পায়ের গোড়ালি ফাটা দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপায় রয়েছে সে উপায়গুলো ব্যবহার করতে হবে যাতে করে গোড়ালি ফাটা দূর হয়ে যায়।

প্রশ্নঃ সারা বছর পা ফাটে কেন?

উত্তরঃ শুষ্কতার কারণে পা ফাটা সমস্যা হয়। কোন কারণে পানি কম খাওয়া হলে শরীর শুষ্ক হয়ে যায় সে জন্য পা ফাটার মত সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও অন্যান্য কারণে সারা বছর পা ফেটে যেতে পারে যেমন শক্ত জুতা পরা, বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করা ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের রোগ হলে বা ভিটামিনের অভাব হলে পা ফেটে যায়।

পা ফাটে কোন ভিটামিনের অভাবে

শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে পা ফেটে যায় কিন্তু অনেক সময় বিশেষ কিছু ভিটামিনের অভাবেও পা ফাটে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক রাখার জন্য ভিটামিনের প্রয়োজন আছে। ভিটামিনের অভাব পা ফাটার উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে একটি। ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি ত্বক ভালো রাখায় ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজনীয়।

ভিটামিন বি ও ভিটামিন সি এর অভাব হলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি পায়ের গোড়ালি ফাটা সমস্যাও দেখা দেয়। সেজন্য পা ফাটা দূর করতে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।

গরমে পা ফাটার কারণ

আমরা শুধুমাত্র শীতকালে পা ফাটার কারণ জানি কিন্তু গরমকালে কি কারণে পা ফাটে সেটা জানি না। আজকাল শীতকাল ছাড়াও সারা বছরই পা ফাটা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দূষণের এবং অন্যান্য কারণে এ সমস্যাগুলো সব সময় হচ্ছে। গরমে পা ফাটার মূল কারণ হচ্ছে শরীরে পানির ঘাটতি।

শরীরে পানির ঘাটতি হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় যে কারণে পা ফেটে যায়। এছাড়াও ধুলাবালির কারণেও পা ফেটে যায় ও দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করার কারণে পা ফেটে যায় এবং শক্ত জুতা পরিধান করার কারণেও পা ফাটে।

গরমে পা ফাটা দূর করার উপায়

উপরে আমরা শীতে পা ফাটার কারণ ও তা দূর করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখানে আমরা গরমে পা ফাটা দূর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করব। গরমে কি উপায়ে পা ফাটা দূর করা যায় সে উপায় গুলো হলো -

মধুঃ মধুতে রয়েছে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি পায়ের গোড়ালি নরম রাখে এবং শুষ্ক হতে দেয় না। পায়ে মধু ব্যবহার করলে পা ফাটা খুব সহজে দূর হয়ে যায়।

মাউথ ওয়াশঃ এক বালতি পানির মধ্যে মাউথ ওয়াশ দিয়ে মিশাতে হবে তারপর এই পানিতে পা ডুবিয়ে রাখতে হবে তাহলে পা ফাটা দূর হয়ে যাবে। এই উপায়টি প্রতিদিন রাতে ব্যবহার করা যাবে।

নারিকেল তেলঃ নারিকেল তেল অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি তেল। এটি প্রতিদিন রাতে পায়ের গোড়ালিতে মেখে ঘুমাতে হবে তারপর সকালে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহারের ফলে পায়ের ফাটা দূর হয়ে যাবে।

আপেল সিডার ভিনেগারঃ আপেল ফিডার ভিনেগার এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা শুষ্ক ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

সিয়া বাটারঃ শিয়া বাটার ত্বকে মশ্চারাইজারের কাজ করে থাকে। সেজন্য এটি ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এটি ব্যবহার করতে হবে তাহলে পা ফাটা ধীরে ধীরে সরে যাবে।

লেখকের মন্তব্য

শীতে বা গরমে যখনই হোক না কেন পা ফাটা একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আবহাওয়া জনিত এবং বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে এই পা ফাটা রোগ হয়ে থাকে। সেজন্য পা ফাটা দূর করতে আমাদের প্রত্যেকের পায়ের প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং কোন রোগের লক্ষণ হয়ে থাকলে এটি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রিয় পাঠক, আপনার যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url