নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন নিম পাতার গুড়া খেলে কি হয়, এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, চর্ম রোগের নিম পাতার ব্যবহার এবং নিমপাতা মুখে দিলে কি উপকার হয় ইত্যাদি।

ভূমিকা

ঔষধি গুণ সম্পন্ন এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পাতা হলো নিম পাতা। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে প্রায় পাঁচ শহস্রাধিক বছর থেকে মানব শরীরের বিভিন্ন রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। এর সকল অংশ যেমন ডাল, পাতা, রস এবং নিম গাছের ফুল মানুষের শরীরের নানা রোগ বালাই দুর করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে অনন্য অবদান রাখছে।


বাংলাদেশসহ এই উপমহাদেশে নিম গাছ ঔষধি গাছ নামে পরিচিত। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকগণের মতে যারা ডায়াবেটিস রোগে ভূগছেন তারা যদি নিয়মিত নিম পাতা বা পাতার রস খেতে পারেন তাহেল তাদের শরীরের ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণসহ অনেক জটিল ও কঠিন রোগ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবেন।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করেঃ প্রতিদিনি সকালে নিয়ম করে নিমের পাতা বা রস খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে থাকার সুগার নিয়ন্ত্রণে আসবে।

রক্ত পরিষ্কার করেঃ নিম ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ একটি গাছ। এর ঔষধি গুণের কারণে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের দিয়ে রক্ত পরিস্কার করে।

ইমিউনিটি বৃদ্ধি করেঃ নিম পাতায় আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টিমাইক্রোবিয়াল ও এন্টিভাইরাল যা দেহের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে। তাই শরীরে কোন রোগ বাসা বাঁধতে পারে না এবং কোন অসুখ সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

পেটের সমস্যা সমাধান করেঃ নিম পাতা আমাদের পেটের জন্য খুবই ফলদায়ক। এসিডিটি দূর করতে এ পাতা বা এর রস এর কোন বিকল্প নেই। এছাড়া সিদ্ধ করা নিম পাতার পানি সকালে খালি পেটে খেলে পেট ব্যথা, গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা দূর হয়।

নিম পাতার গুড়া খেলে কি হয়

চুলকানিঃ সেদ্ধ নিম পাতার পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের যাবতীয় চুলকানি বা খোসপাচড়া নিরাময় হয়। শরীরে চুলকানি হলে নিম পাতার গুড়া ও সরিষার তেল একসাথে মিশিয়ে লাগালে তা খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

ছত্রাকের ইনফেকশনঃ নিম পাতা ব্যবহারের ফলে শরীরের কোন স্থানে বিশেষ করে হাতে বা পায়ের ফাঙ্গাস দ্বারা ইনফেকশন হলে তা ধংস করে। নিমে ফাঙ্গাস ধংসকারি জেডুনিন ও নিম্বিডল বিদ্যমান। আক্রান্ত স্থানে নিম পাতা বেটে পেস্ট করে অথবা নিম পাতার গুড়াতে পানি মিশিয়ে পেস্ট করে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও নিমের তেল ২-৩ ফোঁটা করে দিনে ৩ বার ক্ষতস্থানে ব্যবহার করলে ক্ষত দ্রুত নিরাময় হয়।

চুলেঃ নিম পাতার গুড়ো পেস্ট করে নিয়মিত মাথায় ব্যবহার করলে চুলের গোড়া শক্তিশালী, চুল উজ্জল ও ঝলমলে হয় এবং নতুনভাবে চুল গজাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এছাড়াও মাথায় চুলকানি বা ফুষ্কুড়ি হলে তাও ভালো হয়। নিমের তেলে চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন ই রয়েছে।

শরীরের দুর্গন্ধ দূর করেঃ অনেকে তাদের শরীরে দুর্গন্ধের কারণে মানুষের সামনে যেতে লজ্জায় পড়ে। গোসলের পানির সাথে তারা নিম পাতা বা নিম পাতার গুড়া মিশিয়ে গোসল করলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। এখন বাজারে নিম সাবানও পাওয়া গোসলের সময় নিম সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এ সাবান কতটা কার্যকরি এটা হলফ করে বলা যাবে না।

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার

এলার্জি সম্পর্কে জানেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। বর্তমানে এলার্জির সমস্যা এতাটাই কষ্টদায়ক যাদের আছে শুধু তারাই বুঝবেন এটা কি। এই এলার্জির জন্য অনেকের অনেক পছন্দের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। যাদের এলার্জি আছে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ তাদের চিংড়ি, ইলিশ মাছ, পুঁটি মাছ, বেগুন, কচু, হাঁস ও গরুর মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি খেতে বারন করে থাকেন।


এগুলো খেলে তাদের ত্বকে চুলকানি শুরু হয়ে যায় ও লালচে চাকা চাকা দাগ দেখা দেয়। এছাড়াও চোখে চুলকাতে থাকে ফুলে যায় এবং চোখ লাল হয়ে পানি পড়তে থাকে। নিম পাতার রস বা গুড়ো নিয়মিত খেলে খুব অল্প দিনে এই এলার্জির সমস্যা দূর হবে।

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার

চর্মরোগ এক ধরনের ভয়ানক রোগ। এ রোগ সাধারণত বর্ষাকালে হয়ে থাকে। বর্ষাকালে আদ্রতার কারণে এই রোগ হয়। চর্মরোগ দূর করতে নিম পাতার অনেক কার্যকারিতা রয়েছে। কারণ নিম পাতার রয়েছে অনেক ঔষধি গুন যা চর্মরোগ দূর করতে সাহায্য করে। নিমের শিকড় থেকে শুরু করে পাতা ফল সবগুলোর ঔষধি গুন রয়েছে।চর্মরোগ দূর করতে নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এ নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব।
  • নিম পাতার ছাল গাছ থেকে তুলে এটি রোদে শুকাতে হবে তারপর গুড়া করতে হবে। নিমের ছাল গুড়া করা হলে সেই গুড়া ৩ গ্রাম পরিমাণ নিতে হবে এবং এক গ্লাস পানির সাথে মিশাতে হবে তারপর সারারাত এটি ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর সকালে সেই পানির সাথে মধু মেশাতে হবে এবং এই পানিটি ব্যবহার করতে হবে। এইভাবে ব্যবহার করলে চর্ম রোগে ভালো ফল পাওয়া যায় এবং চর্মরোগ উপশম হয়।
  • নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে তারপরে বেটে ক্ষতস্থানে ব্যবহার করলে দ্রুত ক্ষত শুকিয়ে যায় এবং সেরে ওঠে।
  • নিমের পাতার সাথে নিমের বীজ ও নিমের ছাল একসাথে পেস্ট করে নিয়ে শরীরে লাগালে শরীরের চর্ম রোগসহ চুলকানি এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায়।
  • চর্মরোগ ভালোভাবে উপশম করতে হলে আরেকটি উপায় হল নিমের পাতা মিশ্রিত পানি। নিমের পাতা এবং পানি একসাথে চুলায় ভালোভাবে ফুটাতে হবে তারপর ঠান্ডা হয়ে গেলে সেই পানি ব্যবহার করতে হবে তাহলে চর্ম রোগের সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে।
  • হলুদের সাথে নিম পাতা পেস্ট করে শরীরে লাগালে একজিমা, চুলকানি, দাদসহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে থাকে।

নিম পাতার উপকারিতা

নিম পাতা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কেননা নিমপাতায়ে রয়েছে অনেক ওষুধি গুণ যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। নিম পাতার যে সকল উপকারিতা রয়েছে সেগুলোর নিচে দেয়া হলো-
  • নিম পাতায় রয়েছে এন্ট্রি মাইক্রোবিয়াল, এন্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে প্রবেশ করলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দূর হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় একই সাথে শরীরকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ রাখে।
  • আমাদের প্রত্যেকের শরীরে বিভিন্নভাবে ক্ষতিকারক টক্সিন তৈরি হয় যেটি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নিম পাতা খেলে এই ক্ষতিকারক টক্সিন দূর হয়ে যায়। টক্সিন দূর করার জন্য নিমপাতা অত্যন্ত কার্যকরী।
  • পেটে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার কারণে পেটের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয় যেমন এসিডিটি, বদহজম, আলসারসহ আরো অন্যান্য সমস্যা। পেটের সমস্যা দূর করার জন্য সকালে খালি পেটে নিমপাতা রস খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। নিয়মিত নিম পাতার রস খেলে পেটের সমস্যা ধীরে ধীরে দূর হয়ে যায়।
  • নিম পাতা শুধুমাত্র শরীরের সমস্যা দূর করে না বরং এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। মুখে তাকে ব্রণ হলে নিম পাতার পেস্ট লাগালে সেটি দ্রুত সরে ওঠে।
  • চর্মরোগ নিরাময়ে নিম পাতা রয়েছে অত্যন্ত গুনাগুণ। চর্ম রোগের ক্ষেত্রে নিমপাতাকে মহা ঔষুধও বলা হয়ে থাকে। কারণ চর্মরোগে ওষুধের চেয়ে বেশি কার্যকরী এই নিমপাতা।
  • নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ যা মানব দেহকে মরণঘাতী রোগ থেকে রক্ষা করে এবং ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি পূরণ করে।
  • নিমপাতা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া এবং ফাংগাস শরীর থেকে দূর করতে খুবই কার্যকরী। এছাড়াও শরীরে বিভিন্ন ধরনের ইফেকশন দূর করতে নিম পাতার গুরুত্ব অত্যাধিক।
  • নিম পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মহাওষুধ। কারণ নিমপাতা ব্লাড সুগারকে কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।
  • লিভার ভালো রাখতে অত্যন্ত কার্যকারিতা রয়েছে নিম পাতার। নিয়মিত নিম পাতা খেলে লিভারের বিভিন্ন রোগ দূর করে লিভার কে সুস্থ রাখে।
  • চুলের জন্য নিমপাতা অত্যন্ত ভালো। এটি খুশকি দূর করে মাথার ত্বক ভালো রাখতে সহায়তা করে। চুলের গোড়া মজবুত করে এবং সুস্থ রাখে। চুলের গুড়া সুস্থ থাকলে চুল দ্রুত বাড়ে এবং লম্বা হয়।

নিম পাতা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ নিমপাতা কি কি রোগের কাজ করে?

উত্তরঃ নিম পাতা বিভিন্ন রোগের রোগ নিরাময় হিসেবে কাজ করে। যেমন চর্মরোগ, পেটের রোগ, চোখের রোগ, ত্বকের রোগ ইত্যাদি। এই সকল রোগের জন্য নিম পাতা খাওয়া বা ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজন।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটুকু নিমের রস খাওয়া উচিত?

উত্তরঃ প্রতিদিন দুই থেকে তিন চামচ নিমের রসের সাথে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য ভালো। তবে এটি খালি পেটে খাওয়া উচিত এতে করে শরীরের উপকার তাড়াতাড়ি হয়।

প্রশ্নঃ অতিরিক্ত নিম পাতা খেলে কি হয়?

উত্তরঃ অতিরিক্ত নিম পাতা খেলে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ অতিরিক্ত নিমপাতা শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে এবং কিছু রোগের ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন নিমপাতা কখন খাওয়া উচিত?

উত্তরঃ নিম পাতার প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত। খালি পেটে নিম পাতা খেলে এর উপকারিতা এবং কার্যকারিতা অনেক বেশি পাওয়া যায়।

নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়

নিম পাতা মুখে দিলে মুখের ত্বকের খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। নিম পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল উপাদানগুলো থাকায় মুখের ত্বকের ইনফেকশন দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিম পাতা ত্বকের ব্রণ ছাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী। এটি টোনার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও নিয়মিত নিম পাতা ও হলুদ একসাথে পেস্ট করে মুখে লাগালে মুখের কালো দাগ দূর হয়ে যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করে।

নিম পাতার অপকারিতা

  • নিম পাতা শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। এই অপকারিতাগুলো আমাদের প্রত্যেকেরই জেনে থাকা দরকার। সেগুলো হল-
  • অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • অধিক পরিমাণে নিম পাতা খেলে বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া এবং মাথা ব্যাথার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে সেজন্য পরিমাণমতো নিমপাতা খাওয়ায় উচিত।
  • যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তাদের নিম পাতা না খাওয়াই ভালো। নিম্ন রক্তচাপ রোগীদের ক্ষেত্রে বিপদজনক হতে পারে
  • যাদের কিডনি ও লিভারের সমস্যা আছে তাদেরও নিম পাতা এড়িয়ে চলা উচিত অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিমপাতা খাওয়া উচিত কারণ এসব রোগীদের ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।
  • অতিরিক্ত নিম পাতা হজমের সমস্যা তৈরি করে। সেজন্য পরিমাণমত নিম পাতা বা প্রতিদিন দুটি করে নিম পাতা খাওয়া উচিত।
  • অনেক সময় বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এ নিমপাতা। যাদের বাচ্চা হচ্ছে না বা বাচ্চা নিতে চাচ্ছেন তারা নিমপাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এছাড়াও এটি অনেক সময় গর্ভপাতেরও কারণ হয়ে থাকে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিমপাতা উপকারী হলেও অতিরিক্ত নিম পাতা খাওয়া কখনো উচিত না। অতিরিক্ত নিম পাতা খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের ব্লাড সুগার একেবারেই কমে যাবে যা তাদের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক।

লেখকের শেষ কথা

নিমপাতা শরীর, ত্বক এবং চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে নিম পাতা খাওয়া বা ব্যবহার করা উচিত। যাতে করে সম্পূর্ণভাবে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url