শিশুদের পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি শিশুদের পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আসুন আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শিশুদের পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার উপায়
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার কারণ, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধির কৌশল এবং শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধিতে শিক্ষকের ভূমিকা ইত্যাদি।

ভূমিকা

পড়াশোনায় অমনোযোগী এরকম সমস্যা প্রায় বাচ্চার মধ্যেই দেখা যায়। পড়াশোনায় অমনোযোগী বাচ্চাদের নিয়ে বাবা-মাদের মধ্যে নানা ধরনের দুশ্চিন্তা দেখা দেয়। কারণ অমনোযোগী বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ ভালো হয় না। পড়াশোনা মনোযোগ দিয়ে না করলে সে পড়াশোনার কোন মূল্য থাকে না।


পড়াশোনা করানোর মূল উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জন শুধুমাত্র পরীক্ষায় পাস বা সার্টিফিকেটের জন্য পড়াশুনা করানো হয় না। আর মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা না করলে সেরকম ভাবে জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয়। একজন শিশুকে সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পড়াশোনার গুরুত্ব অত্যাধিক।

এমন অনেক বাচ্চা আছে যারা পড়াশোনার সময় স্থির থাকে না বা পড়াশোনার মধ্যেও খেলাধুলা করে।এছাড়াও শিশুদের বাবা-মার কাছ থেকে তাদের বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের অমনোযোগিতার কথা শোনা যায়। প্রত্যেক বাচ্চার বৈশিষ্ট্য আলাদা আলাদা। অমনোযোগী বাচ্চাদের মনোযোগী করে তোলার জন্য বাবা-মারা বিভিন্ন ধরনের উপায় বা কৌশল খুঁজে থাকে।

কারণ যে কোন উপায়ে তাদের বাচ্চা যদি মনোযোগী হয় সেজন্য। আমাদের এই আর্টিকেলটি মূলত শিশুদের পড়ালেখার লেখার মনোযোগী করার কয়েকটি উপায় নিয়ে। এর মাধ্যমে হয়তোবা কিছু উপায় আপনার প্রয়োজনে আসতে পারে।

শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধির উপায়

প্রত্যেক শিশুই চঞ্চল এবং অস্থির। সেজন্য বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে তোলা খুবই অসাধ্য।কিন্তু অসাধ্য ব্যাপার সাধন করে বাচ্চাদের মনোযোগী করে তোলার অতীব জরুরি। কারণ বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তাদের পড়াশোনার উপর। শিশুর মনোযোগ বৃদ্ধির যে কয়েকটি উপায় রয়েছে তা নিচে আলোচনা করা হলো-

রুটিন তৈরি করুনঃ বাচ্চাদের পড়াশোনা মনোযোগী করে তোলার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত উপায় হচ্ছে রুটিন তৈরি করা। দিনে দুইবার পড়তে বসার অভ্যাস তৈরি করুন। বাচ্চার কাছ থেকে জেনে নিন কোন সময়টা তার পড়াশোনা করতে ভালো লাগে। তার পছন্দের সময় অনুসারে রুটিন তৈরি করুন। যাতে করে ওই সময়টা পড়াশোনার দিক মনোযোগ ‍দিতে পারে।

পড়া শুরু করুন পছন্দের বিষয় নিয়েঃ আপনার বাচ্চা যে বিষয়ে পড়াশোনা পছন্দ করে সে বিষয় দিয়ে পড়ানো শুরু করুন। যাতে করে বাচ্চা শুরুতেই বিরক্তবোধ না হয় এবং আগ্রহ বৃদ্ধি হয়। পছন্দের বিষয় দিয়ে পড়া শুরু করলে দেখা যাবে দিন দিন তার পড়ালেখায় আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মনোযোগী হচ্ছে।

বইয়ের বাইরে অন্য কিছু শেখানঃ একটি বাচ্চাকে সব সময় বইয়ের মধ্যে আটকে রাখলে সে বাচ্চার পড়াশুনায় মনোযোগ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাবে। সেজন্য পড়াশোনার বাইরে অন্য কিছু শিখানোর চেষ্টা করুন। কারণ পড়াশোনার পাশাপাশি বাহ্যিক জ্ঞান অর্জন করাও একটি বাচ্চার জন্য খুবই প্রয়োজন। এই উপায়ে দুইটি বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। একটি হল পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং পড়াশোনার বাইরে অনেক কিছু শিখতে পারবে।

উপযুক্ত স্থান বাছাই করুনঃ পড়াশোনায় মনোযোগী করার জন্য উপযুক্ত স্থান কোনটি সেটি বাছাই করুন। এ অবস্থান বাছাই করতে হবে যেখানে পড়াশোনা করার সময় মনোযোগ নষ্ট না হতে পারে বা মনোযোগ অন্যদিকে না যেতে পারে। পড়াশোনায় মনোযোগী করার জন্য উপযুক্ত স্থানের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুনঃ পড়াশুনার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে। কতটুকু সময়ে আপনার বাচ্চা পড়াশোনা শেষ করতে পারে সেই সময়টি ঠিক করুন। কারণ অতিরিক্ত সময় পড়াশোনায় বসিয়ে রাখলে শিশুর মনোযোগ আপনা আপনি নষ্ট হয়ে যাবে।

উৎসাহ প্রদানঃ বাচ্চাদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ প্রদান করুন। বাচ্চাদের পড়াশোনায় মনোযোগী করার জন্য বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিতে হবে। উৎসাহ দিলে বাচ্চাদের মনে পড়াশোনার আগ্রহ তৈরি হয়।

খেলার সময় দিনঃ সারাদিনে নির্দিষ্ট একটি সময় খেলতে দিন। খেলাধুলার মাধ্যমে বাচ্চার মানসিক বিকাশ সাধিত হবে এবং মনসংযোগ বৃদ্ধি পাবে। খেলাধুলার মাধ্যমে শিশু বিনোদন উপভোগ করতে পারে যা তার মানসিক বিকাশের জন্য জরুরী। মানসিক বিকাশ বৃদ্ধি পেলে পড়াশোনায় মনোযোগ বসানো সহজ হবে।

প্রশ্ন করতে দিনঃ অনেক শিশু আছে যারা প্রশ্ন করতে পছন্দ করে। প্রশ্ন করা সবচেয়ে একটি ভালো গুণ শিশুদের জন্য। প্রশ্ন করার মাধ্যমে সে অনেক কিছু শিখতে পারে। বিরক্ত না হয়ে তার প্রশ্নের ভালোভাবে এবং সঠিকভাবে উত্তর দিন। তাহলে তার প্রশ্ন করার আগ্রহ এবং জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। এরপর ধীরে ধীরে প্রশ্নগুলো বইয়ের মধ্যে ধরার উৎসাহ দিন তাহলে বইয়ের প্রতি আগ্রহী হবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।

খেলার ছলে পড়তে শেখানঃ অনেক দুরন্ত বাচ্চা আছে যারা পড়াশোনা করতে চায় না বা বই নিয়ে পড়তে বসতে চায়না। এসব বাচ্চাদের মনোযোগী করে তোলার জন্য খেলার ছলে পড়াতে হবে। তাহলে সে আনন্দের সাথে পড়াশোনা করবে এবং পরবর্তীতে পড়াশোনায় মনোযোগী হবে।

শিশুর প্রশংসা করুনঃ শিশুর পড়াশোনা বা অন্য যেকোন বিষয় নিয়ে প্রশংসা করুন। তাহলে তার মন ভালো হবে এবং ধীরে ধীরে পড়াশুনায় আকৃষ্ট হবে। এছাড়া বাচ্চাকে কারো সাথে তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন। অন্য বাচ্চার সাথে তুলনা করলে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং যেকোনো বিষয়ে অমনোযোগী হয়ে ওঠে।

বুঝিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করুনঃ পড়তে না চাইলে বা পড়ার সময় কোন কিছু না পারলে বকাঝকা বা মারধর না করে বুঝিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করুন। বুঝিয়ে পড়ালে বাচ্চার মধ্যে থাকা ভীতি দূর হবে এবং পড়াশোনা করার ইচ্ছা শক্তি বৃদ্ধি পাবে ও মনোযোগী হয়ে উঠবে।

পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার ইসলামিক উপায়

অনেক সময় শান্ত পরিবেশ এবং পড়াশুনা করার জন্য ইচ্ছাশক্তি জাগ্রত হওয়ার পরও পড়াশোনা ভালোভাবে হচ্ছে না বা পড়ালেখায় মন বসানো যাচ্ছে না। ঠিক এই সময় বেছে নিতে হবে ইসলামিক উপায়। ইসলামিক উপায় অবলম্বন করে ছোট ছোট কিছু আমল করে তাহলে বাচ্চার পড়াশোনায় মনোযোগের ক্ষেত্রে অনেকটাই ভালো ফলাফল আশা করা যায়। বাচ্চাদের পড়াশোনা মনোযোগের ক্ষেত্রেও ঠিক সেরকমই অনেকগুলো দোয়া আছে। বাচ্চাদের পড়াশোনা মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য একটি দোয়া হলো-

দোয়া- উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ছাব্বিতনি, ওয়াজআলনি হাদিয়াম মাহদিয়্যা।

অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাকে স্থির রাখুন, এবং আমাকে হিদায়াতপ্রাপ্ত ও হিদায়াতকারী বানিয়ে দিন।

পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার কারণ

পড়াশুনায় মনোযোগী হওয়ার উপায় সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার আগে আমাদের পড়াশোনায় অমনযোগী হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে হবে। আমরা শিশুদের পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার কারণগুলো খুঁজে পাই তাহলে সে বাচ্চাকে মনোযোগী করে তোলা অনেক সহজ হবে। পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সেগুলো হল-

মোবাইলে আসক্তঃ বর্তমান সময়ে পড়াশোনা অমনোযোগী হওয়ার সবচেয়ে বড় এবং প্রধান কারণ হচ্ছে মোবাইলে আসক্ত হওয়া। মোবাইলে আসক্ত বাচ্চারা শুধু মাত্র পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটি বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পরিণত হয়।

পারিপার্শ্বিক পরিবেশঃ পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে পারিপার্শ্বিক পরিবেশ। অর্থাৎ যে পরিবেশে বড় হচ্ছে সে পরিবেশে পড়াশোনার গুরুত্ব কতটুকু বা যার সাথে মেলামেশা করছে তাদের পড়াশুনা অগ্রগতি কেমন তার উপর নির্ভর করে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশে যদি সবার মধ্যে পড়াশুনায় উদাসীনতা থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবে সেই শিশুর পড়াশোনায় অমনোযোগী হবে এটাই স্বাভাবিক।

লক্ষ্য ঠিক না থাকাঃ অনেক শিশু বা বাচ্চাদের মধ্যে ছোটবেলা থেকে লক্ষ্য থাকে যে সে বড় হয়ে কি হবে। কিন্তু অনেক বাচ্চার মধ্যে কোন লক্ষ্য থাকে না সেসব বাচ্চারাই পড়াশুনার প্রতি অমনোযোগী হয়। কারণ তারা বুঝতেই পারেনা তারা জীবনে কি করতে চায় বা কি হতে চায়।

পড়াশোনায় অতিরিক্ত চাপঃ পড়াশোনায় অতিরিক্ত চাপ অনেক সময় বাচ্চাকে অমনোযোগী করে তোলে। বাচ্চার সাধ্যের বাইরে পড়াশোনার চাপ সৃষ্টি করা বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমাদের এই বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে শিশুর যেন ক্ষতি না হয় এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রত্যেক বাবা-মার উচিত।

বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিতঃ শিশু এবং কিশোর পরিবারের পরে বেশি প্রভাবিত হয় বন্ধুদের দ্বারা। ভালো বন্ধুর সাথে মেলামেশা করলে ভালো কিছু শিখবে এবং খারাপ বন্ধুর সাথে মেলামেশা করলে খারাপ জিনিস শিখবে। ভালো বন্ধুদের সাথে মেশার ফল তো ভালই হবে কিন্তু খারাপ বন্ধুদের সাথে মিশলে পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়াসহ বিভিন্ন খারাপ কাজে লিপ্ত হতে পারে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের সবসময় নজরদারি রাখতে হবে। কারণ বাড়ন্ত বয়সে সম্পূর্ণভাবে প্রভাব বিস্তার করে বিস্তার করে বন্ধুবান্ধব।

শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধির কৌশল

শিক্ষা একটি সুন্দর ও সুশীল সমাজ গড়ে তোলার হাতিয়ার। অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারেনা। অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ফিরাতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিক্ষক। একজন শিক্ষকের পারে তার শিক্ষার্থীকে ক্লাসে মনোযোগ বৃদ্ধি করতে। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি করার প্রধান উপায় হল ক্লাসের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর করা।


খারাপ শিক্ষার্থী বা অমনোযোগী শিক্ষার্থীকে সবসময় নজরে রাখা। শিক্ষার্থীদের এমন কথা বলা উচিত না যেন সে হীনমন্যতায় ভোগে। তাহলে মনোযোগ বৃদ্ধির পরিবর্তে অমনোযোগী বেশি হয়ে যাবে। খারাপ বা অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের সময় প্রশংসা করা উচিত যাতে করে সে ক্লাসে বিরক্ত না হয়ে আগ্রহী হয়।

ক্লাসের পড়াশোনার মাঝে মাঝে গল্প বা আনন্দের কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা উচিত। সে ক্ষেত্রে অমনোযোগী বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব বিস্তার করবে। ক্লাসের পড়া সহজভাবে উদাহরণসহ বুঝাতে হবে যাতে শিক্ষার্থীদের বুঝতে সুবিধা হয়। ভালোভাবে পড়াশোনা বুঝতে পারলে শিক্ষার্থীর মনোযোগ আরো বৃদ্ধি পাবে।

চোখের দিকে তাকিয়ে পড়ানো উচিত তাহলে পড়া বুঝতে সুবিধা হয়। এছাড়াও একজন অমনোযোগী শিক্ষার্থীর দিকে একটু বেশি নজর দিতে হবে যাতে করে সে মনোযোগী হতে পারে এবং কিভাবে পড়াশুনায় তার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে সে উপায় অবলম্বন করতে হবে।

ক্লাসে মনোযোগী হওয়ার উপায়

পড়াশুনায় ভালো হওয়া এবং ভাল ফলাফল করার প্রধান উপায় হচ্ছে ক্লাসে মনোযোগী হওয়া। সে মনোযোগী না হলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভালো ফল আশা করা অসম্ভব। ক্লাসে মনোযোগ বৃদ্ধির কয়েকটি উপায় আছে সেই উপায় গুলো হলো-

মনোযোগ নষ্টের হাতিয়ারঃ মনোযোগ নষ্ট করার যে সকল জিনিস সেগুলো কাছ থেকে সরিয়ে রাখতে হবে। যাতে করে ক্লাসে মনোযোগী হওয়া যায়। পড়াশুনায় মনোযোগ নষ্ট হয় বা বিঘ্নিত হয় এমন জিনিস কাছে না রাখাই ভালো।

শিক্ষকের সাথে আলোচনাঃ পড়াশোনা ভালো বুঝতে না পারলে মনোযোগী হওয়া যায় না। সেজন্য বুঝতে না পারা বিষয় নিয়ে শিক্ষকের সাথে আলোচনা করতে হবে। তাহলে সে বিষয় বুঝতে পারলে। পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।

শিক্ষকের সাথে ভালো সম্পর্কঃ শিক্ষকের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করা মনোযোগ বৃদ্ধির অন্যতম হাতিয়ার। সেজন্য মনোযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য শিক্ষকের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা জরুরী।

বসার স্থান নির্ধারণঃ ক্লাসে গিয়ে এমন জায়গায় বসতে হবে যেখানে ক্লাসের দিকে মনোযোগ বেশি দেওয়া যায়। বসার সঠিক স্থান নির্ধারণ করতে পারলে খুব সহজেই মনোযোগ বৃদ্ধি করা সম্ভব।

পড়াশুনা রুটিন তৈরিঃ পড়াশোনার মনোযোগ বৃদ্ধি করার জন্য পড়াশোনার রুটিন তৈরি করা প্রয়োজন। কোন সময় পড়াশোনা করলে পড়াশোনা ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়া যাবে সেই সময় নির্ধারণ করে রুটিন তৈরি করতে হবে।

লেখকের শেষ কথা

শিশুদের পড়াশোনায় মনোযোগী করে তোলা প্রত্যেক বাবা-মার কর্তব্য। সেজন্য বিভিন্ন উপায়ে অবলম্বন করে শিশুদের মনোযোগী করে তুলা খুবই প্রয়োজন। কেননা পড়াশুনায় মনোযোগী না হলে শিশুদের ভবিষ্যৎ উজ্জল হবে না। প্রিয় পাঠক এ আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url