খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি খেজুরের গুড় খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খেজুর গুড়ের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারেই পড়ুন।
খেজুরের গুড়ের উপকারিতা ও অপকারিতা
এটি পড়লে আরো জানতে পারবেন খেজুরের গুড় কিভাবে তৈরি করা হয়, খেজুরের গুঁড়ের দাম কত এবং খেজুরের গুড় কোথায় পাওয়া যায় ইত্যাদি।

ভূমিকা

শীতের আগমনের সাথে শুরু হয় বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠাপুলির উৎসব। এই সময় প্রতিটি বাড়িতে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায়। এই পিঠাগুলিকে সুস্বাদু করার জন্য খেজুরের গুড়ের কোন জুড়ি নেই। কারণ শীতকালে খেজুরের গুঁড়ো তৈরি হয়। টাটকা খেজুরের গুড় দিয়ে পিঠা তৈরি করলে সে পিঠার স্বাদ অমৃত। শীতকালে খেজুরের গুড়ের পিঠা খাওয়া বাঙালি জাতির একটি ঐতিহ্য।


খেজুরের রস থেকে তৈরি হয় এই সুস্বাদু খেজুরের গুড়। এই খেজুরের গুড় সারা বছর পাওয়া গেলেও এটি তৈরি হয় শীতকালে। খেজুরের গুড়ে আছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম ইত্যাদি। যাদের শরীরের হিমোগ্লোবিন কম তারা নিয়ম করে খেজুরের গুড় খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে। চিনি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

সেজন্য চিনির পরিবর্তে খেজুরের গুড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। খেজুরের গুড়ের পাশাপাশি এই সময় খেজুরের রস পাওয়া যায়। খেজুরের রস খেতে অনেক মজা। সুস্বাস্থ্যের জন্য যে সকল উপাদান প্রয়োজন তার অনেকটাই খেজুরের গুড়ের মধ্যে পাওয়া যায়। আমরা যারা আখের গুড় খেতে পছন্দ করি না তারা খেজুরের গুড় খেতে পারি কেননা খেজুরের গুড় খেতে খুব সুস্বাদু।

খেজুরের গুড়ের উপকারিতা

খেজুরের গুড়ের মধ্যে রয়েছে বাঙালি ঐতিহ্য। শীতের সময় খেজুরের পিঠা খাওয়ার আমেজ তৈরি হয় প্রতিটি বাঙালির ঘরে।খেজুরের গুড় খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই গুড় স্বাস্থ্যে উপকারিতা অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না।

রক্তশূন্যতা কমায়ঃ খেজুরের গুড়ে আয়রন রয়েছে সেজন্য খেজুরের গুড় হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কম আছে তারা প্রতিদিন নিয়ম করে খেজুরের গুড় খেলে এই সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

হজমের সমস্যা দূর করেঃ যারা হজম সমস্যায় ভুগছে এবং তারা খাবারের তালিকায় এই খেজুরের গুড় রাখতে পারেন। যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তারা খাবারের তালিকায় খেজুরের গুড় রাখতে পারেন। খেজুরের গুড় হজমের সমস্যা পুরোপুরি দূর করে দেয়।

ওজন কমায়ঃ যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তা করছেন তারা নিয়মিত খেজুরের গুড় খেতে পারেন তাহলে অতিরিক্ত ওজন ধীরে ধীরে কমে যাবে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ত্বকের উজ্জ্বলতায়ঃ যেকোনো ধরনের গুড় ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে অত্যন্ত কার্যকরী। বিশেষ করে খেজুরের গুড় ত্বকের ব্রণ ও মেসতা দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে খুবই কার্যকরী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ খেজুরের গুড়ে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি উপাদান। যেগুলো শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও খেজুরের গুড়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

এলার্জি দূর করেঃ শীতকালে শরীরে এক ধরনের এলার্জি দেখা দেয়। এলার্জি আমাদের শরীরে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খেজুরের গুড় এই এলার্জি দূর করতে সক্ষম।

ডায়েট চার্টেঃ যারা নিয়মিত ডায়েট করেন তারা তাদের ডায়েট চাটে খেজুরের গুড় রাখতে পারেন। কেননা খেজুরের গুড় ফিটনেস ধরে রাখতে সাহায্য করে।

শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিঃ খেজুরের গুড়কে শক্তিবর্ধক বলা হয়ে থাকে। এই গুড়ে আয়রন, কার্বোহাইডেট এবং গ্লুকোজ রয়েছে যা শরীরের এসব ঘাটতি পূরণ করে শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

ব্যাথা দূর করেঃ খেজুরের গুড় বাতের ব্যথা এবং হাড়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। যারা বাতের ব্যথায় ভুগছেন তারা খেজুরের গুড় খেতে পারেন তাহলে এই ব্যথা একটু একটু করে কমে যাবে।

খেজুরের গুড়ের পুষ্টি উপাদান

খেজুরের গুড় অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। এ খাবারে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপকারিতা। খেজুরের গুড়ের যে সকল পুষ্টিগণ রয়েছে সেগুলো হলো আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম জাতীয় খনিজ উপাদান। যেগুলো শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই খেজুরের গুড় শরীরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে থাকে।

খেজুরের গুড় খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী। রক্ত পরিষ্কার করতে খেজুরের গুড়ের কোন তুলনা নেই। এছাড়া খেজুরের গুড় শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি হয় নানা ধরনের পিঠাপুলি। এগুলো খেতে খুব মজাদার।

বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে খেজুরের গুড়ের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। এই খেজুরের গুড়ে যেমন রয়েছে পুষ্টিগুণ তেমনি এটি খেতে খুবই সুস্বাদু। অন্যান্য গুড়ের তুলনায় এর স্বাদ অনেক বেশি। আমি ব্যক্তিগতভাবে অন্যান্য গুড়ের চেয়ে খেজুরের গুড়কে বেশি পছন্দ করি।

খেজুরের গুড়ের জন্য বিখ্যাত কোন জেলা

সুস্বাদু এবং ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়ের জন্য বিখ্যাত জেলা হল যশোর এবং ফরিদপুর জেলা। খেজুরের রস এবং গুড়ের জন্য যশোর জেলা খুবই বিখ্যাত এবং পরিচিত। খেজুরের গুড় যশোরের ঐতিহ্যবাহী পণ্য হিসেবে বিবেচিত। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য যশোরের চৌগাছায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল গাছি সমাবেশ। যশোরের লোকজন মনে করে এই ঐতিহ্য হারিয়ে গেলে যশোরের পরিচিতি হারিয়ে যাবে দেশবাসীর কাছে।

এই পরিচিতি এবং ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য মূলত এই গাছি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যশোরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খেজুরের গাছ। এই গাছ থেকেই তৈরি হয় সেই ঐতিহ্যবাহী খেজুরের গুড়। তবে বর্তমানে অন্যান্য জেলায় তৈরি করা হচ্ছে খেজুরের গুড়। বিশেষ করে নাটোর জেলাও খেজুরের গুড়ের জন্য অনেক পরিচিতি লাভ করেছে।

খেজুরের গুড়ের ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটানোর জন্য এই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছে গুড়ের আড়ত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে নাটোরের গুড়েরও বেশ চাহিদা রয়েছে সারাদেশে। এই গুড় বিক্রেতারা নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে প্রচুর লাভবান হচ্ছেন। নাটোরের গুড়ের স্বাদ ও মান অটুট থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের পরিচিত ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।

খেজুর গুড় কিভাবে তৈরি হয়

খেজুরের রস থেকে তৈরি হয় সুস্বাদু এই খেজুরের গুড়। অঘ্রাণ মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করা হয় খেজুরের গুড় তৈরির জন্য। খেজুরের রস সংগ্রহের আগে প্রথম ধাপে যেটি করতে হয় খেজুরের গাছের ডগায় বাকল তুলে তুলে ফেলে ৬ থেকে ৭ দিন ওভাবে রেখে দেয়। দ্বিতীয় ধাপে কাটা জায়গায় আবার কাটা শুরু করে।

তৃতীয় ধাপে কিছুদিন পর রস পড়া শুরু হলে খেজুরের রস সংগ্রহ করার জন্য হাড়ি গাছের কাটা জায়গায় শক্ত করে বাধা হয়। তারপর ধীরে ধীরে সেই হাড়ি রসে ভরে যায়। এই রস সংগ্রহ করে বড় ধরনের পাত্রে অধিক তাপ দিয়ে তৈরি করা হয় খেজুরের গুড়। খেজুরের গুড় সাধারণত চার ধরনের যেমন খেজুরের ঝোলা গুড়, দানা গুড়, পাটালি গুড় এবং চিটাগুড়।

খেজুরের গুড় কোথায় পাওয়া যায়

খেজুরের গুড় এখন সারা দেশে সব জায়গায় পাওয়া যায়। কিন্তু এই গুড় তৈরি হয় যশোর এবং নাটোর জেলায়। এই জেলাগুলো থেকে সারা দেশের চাহিদা পূরণ করার জন্য সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও ফরিদপুরেও খাঁটি খেজুরের গুড় পাওয়া যায়। এই জেলাটিও খেজুরের গুড়ের জন্য বিখ্যাত। ফরিদপুর জেলার খেজুরের গুড় খ্যাতির সাথে সারাদেশে পরিচিত লাভ করে আসছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলাও খেজুরের গুড়ের জন্য বিখ্যাত। চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরোজগঞ্জে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় খেজুরের গুড়ের হাট বসে। শুক্রবার ও শনিবার সপ্তাহে এই দুই দিনই এখানে হাট বসে। এই হাট অনেক জাকজমকপূর্ণ হয়ে থাকে। এখানকার গুড়ের গুণগত মান অনেক ভালো। বিদেশের রপ্তানি করা হয় চুয়াডাঙ্গার গুড়।

এই হাটে গুড় কিনলে অনেক লাভবান হওয়া যায়। তাই বলা যায় বাংলাদেশের অনেক জেলায় খেজুরের গুড়ের জন্য অন্যতম। গুণগত মান বিচার করলে সব জেলার ঘুরে কম বেশি একই রকম। ঐতিহ্যবাহী এই খেজুরের গুড় তৈরি করে গুড় বিক্রেতারা দেশের ঐতিহ্য অন্যান্য দেশে পৌঁছে দিচ্ছে।

খেজুরের গুড় সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ খেজুরের গুড় দিয়ে কি তৈরি হয়?

উত্তরঃ খেজুরের গুড় দিয়ে নানা ধরনের পিঠা পায়েস তৈরি হয়। শীতকালে খেজুরের গুড় তৈরি হয় এবং এই সময়ে পিঠাপুলির উৎসবে শুরু হয়ে যায় বাঙালির ঘরে ঘরে।

প্রশ্নঃ পাটালিগুড় কত টাকা কেজি?

উত্তরঃ পাঠালি গুড় বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন দামে পাওয়া যায়। কোথাও প্রতি কেজিতে ২০০ টাকা আবার কোথাও ৩০০ টাকা এবং কিছু কিছু জায়গায় ৪০০ টাকাতেও এটি বিক্রি হয়।

প্রশ্নঃ সকালে খালি পেটে গুড় খেলে কি হয়?

উত্তরঃ শরীরের জমে থাকা চর্বি কমাতে গুড়ে রয়েছে অসামান্য ভূমিকা। প্রতিদিন খালি পেটে গুড় খেলে শরীরের চর্বি কমে গিয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ খেজুরের গুড় কি ওজন কমায়?

উত্তরঃ প্রতিদিন এক চামচ খেজুরের গুড় খেলে শরীরের ওজন কমে যায়। কিন্তু অতিরিক্ত গুড় খেলে ওজন কমার পরিবর্তে তা বৃদ্ধি পায় কারণ খেজুরের গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি।

খেজুরের গুড়ের দাম

শীতকাল আসলে খেজুরের গুড়ের চাহিদা অন্যান্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়ে যায়। কারণ শীতকালে এই গুড় তৈরি হয় এবং এই সময় খেতে বেশি মজা লাগে। খেজুরের গুড় খাওয়ার কথা চিন্তা করলেই উঠে আসে দামের কথা। চাহিদা এবং উৎপাদন অনুযায়ী খেজুরের গুড়ের দাম জায়গা বেঁধে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।

খুচরা মূল্যে প্রতি কেজি খেজুরের গুড়ের দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। পাইকারি দামে খেজুরের প্রতি কেজিতে ১৩০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে পড়ে। খেজুরের ঝোলা গুড়ো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজিতে ২৭০ টাকা। এই খেজুরের গুড় আবার ঢাকায় আরো চড়া দামে বিক্রি হয়।

যেসব জায়গাতে খেজুরের গুড় তৈরি হয় সে জায়গাগুলোতে একটু কম দামে পাওয়া যায়।বর্তমানে যেহেতু সব জিনিসের দাম ঊর্ধ্বগতি সে ক্ষেত্রে গুড়ের দাম পূর্বের তুলনায় এই বছরে বেশি হতে পারে।

খেজুরের গুড়ের অপকারিতা

খেজুরের গুড়ের উপকারিতা কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এই খেজুরের গুড় অতিরিক্ত খাওয়া হলে শরীরে কিছু কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে। কি সমস্যা তৈরি হতে পারে এ বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক-

ওজন বৃদ্ধিঃ যারা ওজন কমানোর জন্য প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন তারা খেজুরের গুড় পরিমাণ মতো খাবেন। পরিমাণ মতো খেজুরের গুড় খেলে সেটি ভালো কিন্তু অতিরিক্ত এই গুড় খেলে শরীরের ওজন অনেক বেড়ে যেতে পারে। কেননা এই গুড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যঃ মিষ্টির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে বিশেষজ্ঞগণ চীনের পরিবর্তে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কিন্তু সেটি পরিমাণ মতো। পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে শরীরে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে যেটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য হুমকি স্বরূপ।

বদহজমের সমস্যাঃ আমরা সাধারণত তৈরি হওয়া গুড় কিনে থাকি। সে ক্ষেত্রে আমরা জানি না এই গুড় কিভাবে তৈরি হয় বা প্রস্তুত হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এই গুড় তৈরি করে থাকে। এসব গুড় পেটের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে এবং বদহজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

নাক কান দিয়ে রক্ত পড়াঃ খেজুরের গুড় শরীরের জন্য অনেক উপকারী সেজন্য বিশেষজ্ঞরা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে এটি শরীরের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। যেমন গরমের সময় অতিরিক্ত খেজুরের গুড় খাওয়ার নিষেধ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা কারণ এগুলো অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে নাক কান দিয়ে রক্ত পড়া সমস্যা তৈরি হতে পারে।

লেখকের মন্তব্য

খেজুরের গুড় বাংলা বাঙালির একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি খেতে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। খেজুর গুড়ের পুষ্টিগুণ পেতে চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে ১ থেকে ২ চামচ গুড় খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন। প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেল পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে বা উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url