চুইঝাল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি চুইঝাল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আসুন এ আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে চুইঝাল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা এবং চুইঝাল কোথায় পাওয়া যায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
চুইঝাল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
এটি পড়লে আরো জানতে পারবেন চুইঝাল কিভাবে খেতে হয়, চুইঝাল রান্নার রেসিপি এবং চুইঝালের চারা কোথায় পাওয়া যায় ইত্যাদি।

ভূমিকা

কিছু খাদ্য কোন কোন জায়গার ঐতিহ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তেমনি একটি মসলা জাতীয় খাদ্য হচ্ছে চুইঝাল। এটি খুলনা জেলার ঐতিহ্যবাহী একটি খাদ্য। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জেলাগুলোতে এই চুইঝালের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। মাংস রান্না করতে এই চুইঝালের কোন তুলনা নেই। এমনকি বাংলাদেশের এই দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকাগুলোতে চুইঝাল ছাড়া মাংস রান্না করা হয় না বললেই চলে।


মাংস রান্না করার পর চুইঝাল ফেলে দিতে হয় না বরং এটি চুষে খাওয়া যায়। চুইঝাল একটি ঝালযুক্ত খাদ্য। রান্নার পর এটি ঝালের সুন্দর একটি সুগন্ধ যুক্ত হয়। চুইঝালের পাতা ফুল কান্ড শেকড় এই সবগুলিতে নানা ধরনের ঔষধি গুণ রয়েছে। যা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এছাড়াও চুইঝালের মধ্যে ভেষজ গুণও রয়েছে।

এই চুইঝাল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেমন- দেশি এটো চুইঝাল, ডাল চুই, গাছ চুই। এইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্বাদ হলো এটো চুইঝালের। এই দুই দলের চুইঝালের দামটাও অন্যান্য চুইঝালের তুলনায় একটু বেশি।

চুইঝাল খাওয়ার নিয়ম

চুইঝাল দুই উপায়ে খাওয়া যায়। একটি হল রান্না করে এবং অপরটি হল ওষুধ হিসেবে। চুইঝাল মূলত রান্নার কাজে বেশি ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের মাংস যেমন গরু, খাসি এবং হাঁস। এ মাংস রান্না করার জন্য চুই ঝাল ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য রান্না যেমন গরুর বট, নেহারি, মোরগ পোলাও, ইলিশ পোলাও, বেগুনের তরকারি, মাছ রান্নায় এবং ভর্তা করে এই চুইঝাল খাওয়া যায়। খুলনা বাগেরহাট, যশোর এবং সাতক্ষীরা জেলার লোকজন বিভিন্ন রান্নায় চুইঝাল ব্যবহার করে থাকে।

এটি খাবারে ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও চুইঝালের রয়েছে নানা ধরনের ওষুধি গুণ। এই চুইঝাল নানা ধরনের রোগ নিরাময় করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময়ের জন্যএটি গুড়া করে পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

চুইঝাল খাওয়ার উপকারিতা

চুই গাছ একটি লতা জাতীয় গাছ। এর পাতা, কাণ্ড, মূল এবং ফুল সবগুলোতে ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি খেলে শরীরে নানা ধরনের উপকারিতা হয়ে থাকে। সে উপকারিতাগুলো হল-

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ কোলেস্টোলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে চুইঝাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কোলেস্টরেল এর মাত্রা স্বাভাবিক রেখে হার্টকে সুস্থ রাখে এবং ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল শরীরে জমতে দেয় না।

পেটের বিভিন্ন সমস্যায়ঃ পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে চুইঝাল খাওয়া যায়। পেটের সমস্যা সম্পূর্ণ শরীরকে দুর্বল করে দেয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চুইয়ের গুড়া সকালে ও বিকালে গরম পানিতে মিশিয়া খেতে হবে। তাহলে এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। ডায়রিয়ার মত সমস্যা ও দূর হয় চুইয়ের মাধ্যমে।

জন্ডিসঃ যারা দীর্ঘদিন জন্ডিসের সমস্যায় ভুগছেন তারা আমলকি ভেজানো পানির সাথে সামান্য পরিমাণ চুইয়ের গুড়া মিশিয়ে খেলে জন্ডিস সেরে যায়।

মুখের রুচি বাড়ায়ঃ অনেক সময় শরীরের অসুখ হলে মুখের রুচি থাকে না। চুইঝাল মুখে রুচি বাড়াতে সক্ষম। এছাড়াও ক্ষুধা মান্দা দূর করে এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ চুইঝালে আইসোফ্লাভন ও অ্যালকালয়েড নামক ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এ উপাদানগুলো থাকায় শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে বা ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা তৈরি করে।

গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ পেটের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী ঔষধি খাদ্য হলো এই চুইঝাল। এটি পেটের এসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন রোগ থেকে পেটকে সুস্থ রাখে।

সর্দি কাশিতেঃ চুই ঝাল যেহেতু একটি ঝাঁঝালো বা ঝাল সাদযুক্ত মসলা জাতীয় খাদ্য। সেজন্য এটি আদার মতো কাজ করে থাকে। সর্দি কাশিতে ভালো কাজ দিয়ে থাকে চুইঝাল। আবার খুসখুসে কাশি হলে চুই ঝাল খেলে দ্রুত উপশম করে।

অনিদ্রা দূর করেঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুইঝাল ঘুমের ওষুধ হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত চুইঝালের গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে খেলে এ সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং ঘুম স্বাভাবিকভাবে হবে।

ব্যথা উপশম করেঃ ব্যথা উপশম করায় সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হচ্ছে এই চুইঝাল। শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা দূর করতে এর ভূমিকা যথেষ্ট।প্রসবের পরবর্তী ব্যথা দূর করার জন্য এই চুইঝাল যথেষ্ট কার্যকরী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে চুইঝাল। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে শরীর সুস্থ ও সচল থাকে এবং কোন রোগ কাছে ঘেষতে পারে না।

চুইঝাল কোথায় পাওয়া যায়

চুইঝাল হচ্ছে মসলা জাতীয় একটি খাদ্য। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম জেলা গুলোতে পাওয়া যায়।খুলনা যশোর বাগেরহাট সাতক্ষীরা এই জেলাগুলোতে চুইঝাল পাওয়া যায় এবং এ জেলাগুলোতে এর খুব জনপ্রিয়তা রয়েছে। বর্তমানে এটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ করে ঢাকায়। এছাড়াও এই চুইঝাল অনলাইনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়।

বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে এই চুইঝাল ব্যবহার করে রান্না বান্না করে থাকে। বিভিন্ন ধরনের রেসিপিতে এই চুইঝাল ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে মাংস রান্নায় এটি ব্যবহৃত হয়। রান্নাবান্না ছাড়াও এটির রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুণ যা শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় করে শরীরকে সুস্থ্য রাখে। শরীরের রোগ ব্যাধি দূর করে শরীরকে সুস্থ্য রাখার ক্ষেত্রে এর যথেষ্ট কার্যকারিতা রয়েছে।

এর মূল, কাণ্ড, শাখা, পাতা এবং ফুলও ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মুখের রুচি ফিরিয়ে আনার জন্য চুইঝাল খুবই কার্যকরী একটি খাদ্য। এটি ঝাল জাতীয় খাদ্য হওয়ায় রান্নায় মরিচের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই চুইঝাল বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম জেলা গুলোতে চাষ করা হয়ে থাকে।

চুইঝাল রান্নার রেসিপি

চুইঝাল বিভিন্ন উপায়ে রান্না করা যায়। এ চুইঝাল মূলত মাংস রান্না করতে ব্যবহার করা হয়। আমি এখানে চুইঝাল দিয়ে মাংস রান্নার রেসিপি আলোচনা করব। চুইঝালে মাংস রান্নার জন্য প্রথমে এক কেজি গরুর মাংস নিয়ে নিতে হবে। মাংসের টুকরা একটু বড় সাইজ করে কাটতে হবে। চুইঝালের মাংস রান্না করতে আরেকটি জিনিস খুবই প্রয়োজন সেটি হল আস্ত রসুন। নিয়ে নিতে হবে চারটি আস্ত রসুন।

এরপর মসলার জন্য নিতে হবে এক টেবিল চামচ মৌরি এবং সমপরিমাণ মেথি। তারপর এটি গুড়া করে নিতে হবে। এরপর একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে সেখানে কয়েকটি দারচিনি, তেজপাতা, কয়েকটি এলাচ এবং গোলমরিচ দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে হবে। তারপর এক কাপ পরিমাণ পিঁয়াজ কুচি ঢেলে দিতে হবে।

তারপর সেটি নেড়েচেড়ে বাদামিক রঙের হলে তার মধ্যে সামান্য পরিমাণ পানিযুক্ত করতে হবে। তারপর এক টেবিল চামচ রসুন বাটা, আদা বাটা, জিরা বাটা এবং ছয় থেকে ৮ থেকে ১০ টি শুকনো মরিচ বাটা দিয়ে দিতে হবে। এরপর দুই মিনিট ভালোভাবে নাড়তে হবে। এখন যুক্ত করতে হবে কিছু গুড়া মসলা যেমন হাফ টেবিল চামচ ধনিয়ার গুড়া, হাফ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়া এবং স্বাদমতো লবণ।

এগুলো দেওয়া হয়ে গেলে মশলাগুলো ভালোভাবে কষাতে হবে। কষানো হয়ে গেলে তেলগুলো যখন উপরে ভাসবে তখন ভালোভাবে ধুয়ে রাখা গরুর মাংস মসলাগুলোর মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। এরপর চুইঝালটির চারপাশের কালো অংশটি ভালোভাবে কেটে নিতে হবে। এরপর চুইঝালকে কেটে টুকরো টুকরো করতে হবে।

এই টুকরো টুকরো ইচ্ছামতো করতে পারেন এর কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই। এক কেজি মাংসতে ১৫০ গ্রাম চুই ঝাল দিতে হয়। অপরদিকে কষাতে থাকা মাংস মাঝে মাঝে ভালোভাবে নেড়ে দিতে হবে। কিছুক্ষণ কষানোর পর সামান্য পরিমাণ পানি দিতে হবে তারপর আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। চুলার আঁচ অবশ্যই মিডিয়াম রাখতে হবে।

পানি দেওয়ার দশ মিনিট পর গুঁড়ো করে রাখা মসলা, টুকরো করা চুইঝাল এবং আস্ত রসুন দিয়ে দিতে হবে। এগুলো দেয়া হয়ে গেলে সবকিছুই একবারে ভালো করে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভালোভাবে কষাতে হবে যাতে করে মাংস এবং চুই ঝালসিদ্ধ হয়ে যায়।

সবগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে দিয়ে দিতে হবে হাফ চা চামচ ভাজা গরম মসলা গুড়া এবং সমপরিমাণ ভাজা জিরার গুড়া। এগুলো দেয়া হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে এবং ঢেকে দিতে হবে। এইভাবে তৈরি করতে হবে চুইঝাল দিয়ে গরুর মাংস রান্না।

চুইঝাল খাওয়া সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ চুইঝাল কি খাওয়া যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ চুইঝাল খাওয়া যায়। চুইঝাল বিভিন্ন উপায়ে রান্না করে খাওয়া যায় এবং বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবেও এটি খাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ চুইঝালের দাম কত?

উত্তরঃ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দাম হয়ে থাকে এই চুইঝালের। প্রতি কেজিতে সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৬০০ টাকা হয়ে থাকে।

প্রশ্নঃ চুইঝালের চারা কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তরঃ বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের জেলা গুলোতে চুইঝালের চারা পাওয়া যায়। এই এলাকায় চুইছালের অনেক চাহিদা এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে।

প্রশ্নঃ চুইঝালের উপকারিতা কি?

উত্তরঃ চুইঝাল একটি মসলা জাতীয় খাদ্য। এটির রান্নায় স্বাদ এনে দেওয়ায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এর রয়েছে ঔষধি গুণ যা বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে মুক্ত রাখে। শরীরের সার্বিক সুস্থতায় এর গুরুত্ব অত্যাধিক।

প্রশ্নঃ চুইঝাল কিভাবে খাওয়া যায়?

উত্তরঃ চুইঝাল রান্না করে খাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের মাংসের সাথে এই চুইঝাল রান্না করে খাওয়া যায়। এছাড়াও অন্যান্য রান্নার রেসিপিতে এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চুইঝাল আবার ভেষজ গুণসম্পন্ন ঔষধি গাছ যা বিভিন্ন রোগের সমাধান হিসেবে কাজ করে থাকে।

লেখকের মন্তব্য

চুইঝাল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী মসলা জাতীয় খাদ্য। রান্না স্বাদ বাড়ানোর সাথে সাথে ঔষধ হিসেবে কাজ করে এই চুইঝাল। এটি যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে এর স্বাদ নেওয়ার জন্য একবার খেয়ে দেখতে পারেন। কারণ এটি সুস্বাদু একটি মসলা জাতীয় খাদ্য। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার পরিজনের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url