আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি আমলকি খাওয়ার নিয়ম ‍ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা এবং খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আমলকি খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
এটি পড়লে আরো জানতে পারবেন কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা, শুকনো আমলকি খাওয়ার উপকারিতা, আমলকি খাওয়ার সঠিক নিয়ম এবং চুলের যত্নে আমলকি ইত্যাদি।

ভূমিকা

ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য আমরা খাবার খাই। কিন্তু আমরা যেসব খাবার খাই সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। শরীর সুস্থতার জন্য যেসব পুষ্টিগুণ প্রয়োজন তা সে খাবারগুলো থেকে কি সম্পূর্ণ পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ খাবারের মধ্যে পুষ্টিগুণের কথা চিন্তা করেন এবং যেসব খাদ্যে পুষ্টিগুণ ভরপুর তারা সেগুলো খাবার খেয়ে থাকেন।


প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সাথে সাথে শরীরে সম্পূর্ণ পুষ্টি পাওয়ার জন্য প্রতিদিন আমাদের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল খাওয়া উচিত। পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল গুলোর মধ্যে আমলকি অন্যতম একটি। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্য উপকারিতা যা শরীরের রোগবালাই দূর করতে সক্ষম।

পেয়ারা এবং লেবুর চাইতে বেশি ভিটামিন সি রয়েছে এই আমলকিতে। সব সময় সুস্থ থাকার জন্য আমাদের প্রতিদিন একটি করে আমলকি খাওয়া উচিত। শুধু আমলকি খাওয়া যায় তা নয় আমলকির পাতাও ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও চুলের সুস্থতায় আমলকি মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

অন্যান্য ফলের তুলনায় অধিক পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে আমলকিতে। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য শরীরে ভিটামিন সি অনেক প্রয়োজন। আমলকি ভিটামিন সি এর ঘাটতি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে সক্ষম। এছাড়াও আমরা কি খাওয়ার যেগুলো উপকারিতা রয়েছে সেগুলো হল-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ আমলকি অধিক ভিটামিন সি যুক্ত ফল হওয়ায় এটি শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও প্রতিদিন আমলকি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ যাদের দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত আমলকি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়া ছাড়াও পেটের বদ হজম, এসিডিটি এবং পেটের বিভিন্ন ধরনের গোলযোগ দূর হবে।

শরীরের মেদ কমাতেঃ শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে আমলকির কার্যকারিতা অনেক। আমলকি মেদ কমিয়ে শরীরের ফিটনেস বজায় রাখার মাধ্যমে তারুণ্য ধরে রাখতে সহযোগিতা করে।

ত্বক লাবণ্যময়ী করে তোলেঃ আমলকির রস মধুর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে তা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বককে লাবণ্যময়ী করে তুলতে অত্যন্ত কার্যকরী।

কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত আমলকি খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। ফলে শরীরের এনার্জি দ্বিগুণ বেড়ে যায় এবং ক্লান্তি ও অবসাদ দূর হয়।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ আমলকিতে আছে ফাইটো কেমিক্যাল যা চোখের সাথে সম্পর্কিত ডিজারনেশন রোধ করতে সাহায্য করে । চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে চোখের দৃষ্টি ভালো রাখার জন্য জোরালো ভূমিকা পালন করে।

পেটের গ্যাস দূর করেঃ কুসুম কুসুম গরম দুধ বা পানির সাথে আমলকির পাউডার মিশিয়ে খেলে পেটে জমে থাকা গ্যাস কমতে শুরু করে। খালি খেতে না পারলে কিছু পরিমাণ চিনি মিশিয়ে খেতে হবে। এটি নিয়ম করে দিনে দুইবার খেতে পারলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা একেবারে কমে যাবে।

সর্দি কাশি দূর হয়ঃ সর্দি কাশিসহ ঠান্ডাজনিত সকল সমস্যা দূর করতে আমলকির কোন তুলনা নেই। যাদের বেশিরভাগ সময় সর্দি কাশি লেগেই থাকে তারা নিয়ম করে আমলকি খেতে পারেন তাহলে এটি সহজেই দূর হবে। বিশেষ করে শীতকালে আমলকি খেতে পারলে সর্দি কাশি হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।

অনিদ্রা দূর করেঃ প্রতিদিন আমলকি খেলে শরীর ও মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। সেজন্য ঘুম ভালো হয় এবং অনিদ্রা হয়ে যায়। অনিদা দূর করার জন্য আমলকি খুবই উপকারী একটি ফল।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ আমলকি মরণঘাতী ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম। আমলকিতে যেসব উপাদান রয়েছে সেগুলো উপাদান ক্যান্সারের পোস্ট বৃদ্ধিতে বাধা তৈরি করে। সেজন্য শরীরকে ক্যান্সার হতে মুক্ত রাখে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেরঃ উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখায় আমলকির আমলকি গুরুত্ব অধিক। এছাড়াও আমলকি শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে শরীরকে ঝরঝরে এবং জীবাণুমাস্ত রাখতে সহায়তা করে।

কাঁচা আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি সহ অন্যান্য হাজারো পুষ্টিগুণ। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য আমলকি অনেক উপকারী একটি ফল। চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, রুক্ষতা দূর করা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, পেটের সমস্যা , শরীরে ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করা এবং শরীরে সম্পূর্ণ এনার্জি দেয়ার জন্য আমলকির গুরুত্ব অনস্বীকার্য।


শরীরকে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ রাখার জন্য বিশেষজ্ঞরা কাঁচা আমলকি এবং আমলকি সিদ্ধ করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রতিদিন আমলকি খেলে মুক্তি পাওয়া যায় জটিল এবং কঠিন রোগ থেকে। কেননা আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

যেটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। আবার আমলকি শরীরে ক্ষতিকারক ফ্রী রেডিকেলের প্রভাব কমিয়ে দেয়।

খালি পেটে আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে আমলকি খেলে এর পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ সম্পূর্ণভাবে পাওয়া যায়। বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে খালি পেটে আমলকি খাওয়ার অনন্য গুণাগুণ রয়েছে। খালি পেটে আমলকি খেলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় সেগুলো হল-

পরিপূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যায়ঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে যদি আমলকির রস খাওয়া যায় তাহলে এর পুষ্টিগুণ খুব সহজেই শরীর শোষণ করে নিতে পারে। যে কারণে পরিপূর্ণ পুষ্টি পাওয়া যায় এবং পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়।

টক্সিন দূর করেঃ ক্ষতিকারক টক্সিন বৃদ্ধি পেলে নানা ধরনের সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধে। আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ক্ষতিকারক টক্সিন শরীর থেকে বের করতে খুবই কার্যকরী।

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ প্রতিদিন খালি পেটে আমলকির জুস করে খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি খুব সহজেই দূর হয়ে যায়। খালি পেটে আমলকির জুস শরীরের বিপাক ক্রিয়া অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করেঃ শীতকালে ঠান্ডা জনিত সমস্যা প্রত্যেকের মধ্যেই দেখা যায়। খালি পেটে আমলকি খাওয়ার ফলে এই সমস্যা কমে যায় এবং এ সমাধান স্থায়ী হয়। আমলকি টক এবং ঝাঁঝালো স্বাদযুক্ত হওয়ায় এর কার্যকারিতা একটু বেশি হয়। এতে খালি খেতে না পারলে এর সাথে চিনি মিশিয়ে খেতে হবে।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা হয়েছে এ আমলকিতে। নিয়মিত খালি পেটে খেলে হজমের ক্ষমতা অনেক অংশে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

শুকনো আমলকি খাওয়ার উপকারিতা

কাঁচা আমলকির মতই পুষ্টিগুণ রয়েছে শুকনো আমলকির মধ্যে। শুকনো আমলকিও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন শুকনো আমরা কি খেলে সাথে নানা ধরনের উন্নতি সাধিত হয়। স্বাস্থ্য ভালো রাখার সাথে সাথে শরীরের পরিপূর্ণ শক্তি জোগাতে আমলকির কোন জুড়ি নেই। শুকনো আমলকিতে যে সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে সেগুলোর নিচে আলোচনা করা হলো।
  • শুকনো আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
  • সংক্রমণজনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই শুকনো আমলকি খেলে
  • ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই পরিবর্তন শরীরের নানা প্রভাব ফেলে। শুকনো আমলকি খাওয়ার ফলে ঋতু পরিবর্তনের এই প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • শীতকালের বিভিন্ন সমস্যা থেকে শরীরকে রক্ষা করার জন্য শুকনো আমলকি খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ শীতকালে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে।
  • বুক জ্বালাপোড়া এসিডিটি পেটের গোলযোগ ইত্যাদি সমস্যা দূর করার জন্য শুকনো আমলকি পানিতে ফুটিয়ে সে পানি খেতে হবে। তাহলে পেটের এই সমস্যাগুলো খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
  • আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ পাওয়া যায় যা আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে খুবই প্রয়োজনীয়।
  • আমলকি নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে সক্ষম। এ আমলকিকে ন্যাচারাল মাউথ ফ্রেশনার বলা হয়ে থাকে। নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য শুকনো আমলকি চিবিয়ে খেতে হবে তাহলে এই দুর্গন্ধ ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে।

চুলের জন্য আমলকির উপকারিতা

আমরা সাধারণত চুলের যত্নে আমলকি বেশি ব্যবহার করে থাকি। চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য যে সকল পুষ্টিগুণ প্রয়োজন তার সবগুলো আমলকির মধ্যে রয়েছে। চুলের যত্নে আমলকির গুণের কোন শেষ নেই। চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতাগুলো আলোচনা করা হলো-
  • আমলকিতে আছে ফাইটো নিউটিয়েন্ট খনিজ এবং ভিটামিন যা চুলের জন্য প্রয়োজনীয় কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে। চুলের মৃত কোষকে জীবিত করতে কোলাজেন প্রোটিন এর ভূমিকা অনেক
  • আমলকি চুলের গোড়া শক্ত করে চুল পড়া কমায় এবং চুল বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে
  • আমলকি চুলের ত্বক ভালো রাখে এবং খুশকি দূর করে
  • আমলকির রস নিয়মিত মাথায় মাখলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে
  • চুল পড়া এবং চুল পাকা কমাতে আমলকি রস খুবই কার্যকরী উপাদান
  • আমলকি চুলের রুক্ষতা ও চুল ফাটা রোধ করতে সহায়তা করে
  • অল্প বয়সে চুল পাকা কমাতে প্রতিদিন আমলকির রস খেতে হবে তাহলে চুল পাকা প্রতিরোধ করা যাবে
  • আমলকির রস মাথার ত্বকে মাখলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয় এবং মাথার ত্বক ভালো থাকে

আমলকি খাওয়ার সঠিক সময়

আমলকি খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই ।যে কোন সময় দু একটা আমলকি খাওয়া যেতে পারে। তবে এর গুনাগুণের কিছুটা তারতম্য হতে পারে। যেমন সকালে খালি পেটে আমলকি খেলে এর পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য বেশি উপকারিতা দেয়। কারণ খালি পেটে আমলকির খেলে এর পুষ্টিগুণ শরীর খুব সহজে শোষণ করতে পারে। সেজন্য ভালো উপকার পাওয়ার জন্য সকালে খালি পেটে আমলকি খাওয়েই সবচেয়ে ভালো।

আমলকি খাওয়ার নিয়ম

আমাদের প্রত্যেক জিনিসই পরিমাণ মতো হওয়া উচিত। পরিবারের বেশি খেলে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমরা কি খাওয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক একই রকম। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে সর্বোচ্চ তিন থেকে চারটি আমলকি খেতে পারবে। আমলকি খোসা সহ সম্পূর্ণ খাওয়া যায়। এর কোন অংশ বাদ দিতে হয় না।

আমলকি যেহেতু টক ও তেতো স্বাদযুক্ত সেহেতু খালি খেতে না পারলে মধুর সাথে খাওয়া যায়। পরিমাণ মতো আমলকি শরীরের জন্য ভালো এর চেয়ে বেশি খাওয়া হলে পেটের সমস্যা তৈরি হতে পারে। নিয়ম মেনে আমলকি খেলে এর পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়। তাছাড়া এর ব্যতিক্রম করতে পারে।

আমলকি খাওয়ার অপকারিতা

প্রতিটি জিনিসের উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তেমনি আমলকি খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। আমলকির উপকারিতা তখনই পরিপূর্ণ পাবেন যখন এটি সঠিক নিয়মে খাওয়া হবে। অতিরিক্ত খেলে এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। অতিরিক্ত আমলকি খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যাদের রক্তে শর্করা ওঠানামা করে তাদের জন্য আমলকি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। যে সকল মায়েরা বাচ্চাদের দুগ্ধ দান করে তাদের আমলকি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এছাড়া গর্ভবতী মায়েরাও আমলকি খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।

মন্তব্য

আমলকি একটি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত ফল হাওয়ায় শরীরের সম্পূর্ণ সুস্থতা বজায় রাখে। এজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত প্রতিদিন অন্তত একটি করে আমলকি খাওয়া। প্রিয় পাঠক, আপনার যদি আর্টিকেল পড়ে ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের এবং কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url