শিমের বিচির উপকারিতা, পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা - শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা

প্রিয় পাঠক, আপনি কি সিমের উপকারিতা, পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আসুন আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে শিমের বিচির উপকারিতা, পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা এবংশুকনো শিমের বিচির উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
শিমের বিচির উপকারিতা, পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন শিমের বিচি খাওয়ার নিয়ম,শিমের বিচির পুষ্টি উপাদান
এবংশিমের বিচি খেলে ওজন বাড়ে না কমে ইত্যাদি।

ভূমিকা

শিম শীতকালীন একটি সবজি। এটি সাধারণত শীতকালেই পাওয়া যায় এবং এটি শীতকালে খেতে বেশি ভালো লাগে। শিম সবজি হিসেবে অনেকেই পছন্দ করেন সেই সাথে শিমের বিচিও অনেকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। শিমের বিচি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি রয়েছে এর অনেক পুষ্টিগুণ। শিমের বিচিতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও আয়রন যা শরীরকে সম্পূর্ণরূপে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে।


আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা শরীরের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। নিয়মিত শিমের বিচি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ এবং সবল করতে সাহায্য করে। শিমের বিচিতে রয়েছে প্রোটিন যা শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। শিমের বিচিতে আমিষ ও শর্করা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। শিমের বিচি শরীরে শক্তি যোগানোর পাশাপাশি পুষ্টির চাহিদও পূরণ করতে সাহায্য করে।

শিমের বিচির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

শিমের বিচি দেশ ও বিদেশের মানুষের অনেক পছন্দের একটি খাবার। এ খাবারের যেমন রয়েছে স্বাদ তেমনি রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টিগুণ। এটি খেলে শরীরের মধ্যে বিভিন্ন উপকারিতা দেখা যায়। শিমের বিচির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ গুলো হলো-

পুষ্টির চাহিদা মেটাতেঃ শিমের বিচির মধ্যে যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য প্রচুর পুষ্টির প্রয়োজন হয়। নিয়মিত শিমের বিচি খেলে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়।

আমিষের ঘাটতি পূরণ করেঃ নিরামিষভোজী মানুষ সবসময় মাছ-মাংস এড়িয়ে চলেন। শিমের বিচির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ যা শরীরের আমিষের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। যারা মাছ মাংস খান না তারা নিয়মিত শিমের বিচি খেয়ে শরীরের আমিষের ঘাটতি পূরণ করতে পারেন।

হাড়ের ক্ষয় রোধ করেঃ হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে ক্যালসিয়াম। শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকায় এটি হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে সক্ষম। হাড়ের ক্ষয় রোধ করে হাড়কে মজবুত করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড যা ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা তৈরি করে। ফলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ থেকে শরীরকে মুক্ত রাখে।

হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ শিমের বিচি হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। শিমের বিচিতে থাকা খাদ্য আঁশ হজম প্রক্রিয়া সঠিকভাবে করতে সাহায্য করে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে শিমের বিচি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। যাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল বা অল্পতেই সবকিছু ভুলে যান তারা নিয়মিত শিমের বিচি খেতে পারেন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য।
হার্ট সুস্থ রাখেঃ শিমের বিচিতে কোলেস্টরেলের নেই বললেই চলে। সেজন্য হার্টের রোগীরা নিশ্চিন্তে এই শিমের বিচি খেতে পারেন। এছাড়াও এটি খেলে হার্ট সম্পূর্ণভাবে সুস্থ থাকে।

এনার্জি ও শক্তি বৃদ্ধিতেঃ শিমের বিচিতে রয়েছে প্রোটিন, উচ্চমানের ফাইবার, ভিটামিন এবং আয়রন। যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণ করে শরীরের সম্পূর্ণ এনার্জি দিয়ে থাকে। শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে শিমের বিচি খুবই কার্যকরী একটি উপাদান।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ শিমের বিচির মধ্যে যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ও শর্করা রয়েছে যা শরীরকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে।

ওজন কমাতেঃ অনেকে মনে করেন শিমের বিচি খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল কারণ ওজন কমানোর জন্য খাবারের তালিকায় যেগুলো থাকে সেগুলোর মধ্যে শিমের বিচিও একটি। কেননা শিমের বিচি খেলে শরীরের ওজন ধীরে ধীরে কমে যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ শিমের বিচি রক্তের সুগার কমাতে সহায়তা করে। রক্তের অতিরিক্ত সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

শুকনো শিমের বিচির উপকারিতা

শুকনো শিমের বিচি অনেকদিন ধরে সংরক্ষণ করা যায়। শিমের বিচি শুকিয়ে রাখলে এর গুনাগুণ কোনোভাবে নষ্ট হয় না বরং সম্পূর্ণভাবে এর পুষ্টিগুণ ঠিক থাকে। যেহেতু শিম শীতকালীন সবজি তাই এটি অন্য ঋতুতে পাওয়া যায় না। যে কারণে এর বিচিও পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। তাই সারা বছর এর পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য শিমের বিচিকে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়।


সংরক্ষণ করা শিমের বিচির বা শুকনো শিমের বিচিতে রয়েছে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা। শুকনো শিমের বিচিতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার ভিটামিন আয়রন ক্যালসিয়ামসহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। এই উপাদানগুলো শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।

শুকনো শিমের বিচি খোসা ছড়িয়ে গুড়া করে দিনে তিন থেকে চারবার খেলে মুখের রুচি ফিরে আসে এবং জ্বরের তীব্রতা কমে যায়। এছাড়াও এটি শরীরের জটিল রোগ দূর করতে সাহায্য করে। গর্ভকালীন মায়েদের শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য শিমের বিচি অধিক কার্যকরী।

সেজন্য শিমের বিচির পুষ্টিগুণ পেতে চাইলে শুকিয়ে রেখে দিতে হবে তাহলে সারা বছর এর পুষ্টিগুণ গ্রহণ করা যাবে।

শিমের বিচি খাওয়ার নিয়ম

শিমের বিচি যে কোন উপায়ে খাওয়া যেতে পারে এর ধরা বাধা কোন নিয়ম নেই। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি রান্না করে খাওয়া হয়ে থাকে। শিমের বিচি সুস্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাদ্য যা বেশিরভাগ মানুষের পছন্দ করে থাকে। এই শিমের বিচি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে করা যায়। শিমের বিচির ডাল রান্না করেও এটি খেয়ে থাকে।

এছাড়াও এটি বাদামের মত করে ভেজে খাওয়া যায়। ভেজে খেতেও এটি খুব সুস্বাদু। শিমের বিচি বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে। শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এটি খোসা ছড়িয়ে গুড়া করেও খাওয়া যায়। ছোটখাটো আড্ডায় এই শিমের বিচি খাওয়া হয় আবার হালকা ক্ষুধা নিবারণের জন্য এটি খাওয়া যেতে পারে।

যেকোনো জায়গায় যে কোন সময় এ বিচি খাওয়া যায়। দেশসহ বিদেশেও শিমের বিচির জনপ্রিয়তা রয়েছে অনেক। এমন অনেকে আছে যারা সিম পছন্দ করেনা কিন্তু শিমের বিচি অনেক পছন্দ করে। শিমের চেয়ে এর বিচির স্বাদ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। সেজন্য ছোট বড় সকলেই এই খাদ্যটি পছন্দ করে থাকে।

শিমের বিচির পুষ্টি উপাদান

শিমের বিচির মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। এই পুষ্টি উপাদানগুলো হল প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন, ফাইবার, আঁশ এবং খনিজ উপাদান। এই উপাদানগুলো থাকায় শিমের বিচিকে অধিক পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।যে সকল খাদ্যে বেশি পুষ্টিগুণ আছে সেগুলোর মধ্যে শিমের বিচিও একটি।

এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

শিমের বিচি খেলে কি ওজন বাড়ে

আমাদের প্রায় একটি প্রশ্ন সম্মুখীন হতে হয় সেটি হচ্ছে শিমের বিচি খেলে কি ওজন বাড়ে? যাদের ওজন তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি তারা শিমের বিচি খেতে ভয় পায়। কারণ তাদের ধারণা সীমের বিচি খেলে ওজন আরো বৃদ্ধি পাবে। শিমের বিচি খেলে ওজন বাড়ে এই ধারণা সাধারণত ভুল কারণ বিশেষজ্ঞরা মতে শিমের বিচি ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

ওজন কমানোর জন্য ডায়েটের চাটে শিমের বিচি রাখতে পারেন। শিমের বিচি খেলে কোন ভাবে ওজন বৃদ্ধি পায় না বরংঅতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়। শিমের বিচিতে রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান যা শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে।

শিমের বিচি সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন এবং উত্তর

প্রশ্নঃ শিমের বীজ খেলে কি হয়?

উত্তরঃ শিমের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যা খেলে শরীরের নানা ধরনের উপকার সাধিত হয়। শিমের বিচির মধ্যে যে পুষ্টি উপাদান রয়েছে সেগুলো শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। শিমের বিচি বেশি খেলে শরীর সুস্থ ও সচল থাকে।

প্রশ্নঃ শিমের বিচি ভাজা খেলে কি হয়?

উত্তরঃ শিমের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান। এগুলো শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্ত রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

প্রশ্নঃ বেশি শিমের বিচি খেলে কি ক্ষতি হয়?

উত্তরঃ অতিরিক্ত শিমের বিচি খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সেজন্য বিশেষজ্ঞরা পরিমাণ মত শিমের বিচি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেজন্য আমাদের পরিমাণ মতো শিমের বিচি খাওয়া উচিত।

প্রশ্নঃ শিমের বিচি কি প্রোটিনের ভালো উৎস?

উত্তরঃ শিমের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন। সেজন্য বলা যেতেই পারে শিমের বিচি প্রোটিনের অত্যন্ত ভালো উৎস।

প্রশ্নঃ শিমের বিচি খেলে কি ওজন কমে?

উত্তরঃ শিমের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যেটি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং পেটের ক্ষুধা কমিয়ে দেয়।

শিমের বিচির অপকারিতা

শিমের বিচির উপকারিতা আমরা সবাই জানি। শিমের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্য উপকারিতা যা শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে। কিন্তু শিমের বিচির সামান্য কিছু ক্ষতিকর বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেগুলো হল এলার্জি, যাদের শরীরে এলার্জি সমস্যা আছে তারা শিমের বিচি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

শিম এবং শিমের বিচি খেলে তাদের শরীরে এলার্জি সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিমের বিচি অতিরিক্ত খাওয়া হলে পেটের সমস্যা সহ বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়াও সিমে রয়েছে সামান্য পরিমাণ ক্ষতিকারক সাইনোজেনিক গ্লুকোসাইড। এ উপাদানটি শিমের বিচির মধ্যেও সামান্য পরিমাণ রয়েছে।

সেজন্য শিমের বিচি রান্না করতে হলে প্রথমে সিদ্ধ করা পানি একবার ফেলে দিয়ে তারপরে রান্না করতে হবে। অতিরিক্ত শিমের বিচি খেলে শরীরে একটু সমস্যা তৈরি হতে পারে সেজন্য পরিমাণমতো শিমের বিচি খাওয়া উচিত। কারণ অতিরিক্ত সবকিছুই ক্ষতিকর।

লেখকের শেষ কথা

শরীরের স্বাস্থ্য সচেতনতা সবসময় বজায় রাখতে হবে। সেজন্য পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত। শিমের বিচিতে পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ থাকায় এটি আমরা সবাই খেতে পারি তবে সেটি পরিমাণ মতো। অতিরিক্ত সবকিছু খাওয়া থেকে আমরা দূরে থাকব। প্রিয় পাঠক এ আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url