বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়গুলো জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি কি বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আসুন এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়গুলো এবং কোন ফল খেলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে চাইলে সম্পন্ন আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম, বাচ্চাদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি।

ভূমিকা

সকল বাচ্চার মেধা এক নয়, কারো বেশী আবার কারও কম। অনেক বাচ্চা আছে যারা জন্ম থেকেই মেধাবী (তাদের সংখ্যা খুবই কম) তাছাড়া অন্য সবাই যে যার পরিবার ও পরিবেশের কারণে মেধার বিকাশ কম বা বেশী হয়। যে বাচ্চার অভিভাবক যত কেয়ার নিবে সে বাচ্চা তত মেধাবী হয়ে গড়ে উঠবে। শিশুর মেধার বিকাশ সঠিকভাবে না হলে তার স্মৃতিশক্তি সেভাবে বৃদ্ধি হয় না।


দুর্বল স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়। তা না হলে তাদের আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়ার আশংকা থাকে। শিশুর বিশেষ কোন সমস্যা না থাকলে কিছু টেকনিক প্রয়োগের মাধ্যমে বাচ্চার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা যায়।

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায়

স্মৃতিশক্তি কম বা স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এ সমস্যা অনেক বাচ্চাদের মধ্যে দেখা যায়। এ সমস্যা নিয়ে বাচ্চাদের বাবা-মা মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দেয় এবং তারা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির উপায় খুঁজে। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার কয়েকটি উপায় আছে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-

পর্যাপ্ত ঘুম

প্রত্যেক শিশুর প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা গভীর ঘুমের প্রয়োজন। শিশুরা যাতে সময়মত বিছানায় গিয়ে ঘুমাতে পারে সেদিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। ঘুমানোর একটা রুটিন ঠিক করুন এবং সেটি মেনে চলুন। বাচ্চারা যাতে দুপুরে ঘুমাতে পারে সে বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। খেয়াল করলে দেখা যাবে যে দুপুরে ঘুমানো বাচ্চারা অন্যদের থেকে স্মৃতিশক্তি কিছুটা বেশী ।

বাচ্চাকে প্রেসার ক্রিয়েট না করা

পরীক্ষায় প্রথম হতে হবে, পরীক্ষার ফলাফলের ক্ষেত্রে অন্যের সাথে তুলনা করা এবং সবার সামনে বাচ্চাকে ছোট করা এ জাতীয় কোন কথা বলা উচিত নয়। তাহলে সে হীনমন্যতায় ভুগবে। প্রতিটি বাচ্চার নিজস্ব সৃজনশীলতা রয়েছ যার ফলে সে অনেক কিছু নিজের মত শেখে। তার মত তাকে সেটা করতে দিন তবে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কি পড়ছে, যা পড়ছে তা সে ঠিকমত বুঝতে পারছে কিনা।


তার মত করে পরিবেশ সৃষ্টি করুন দেখবেন পড়া মুখস্থ করার প্রয়োজন হবে না পড়লেই মনে থাকবে। তাহলেই স্মৃতিশক্তির সাথে সাথে তার চিন্তাশক্তিও বাড়বে

জানার আগ্রহ তৈরি করা

শিশুকে কোন কিছুর সম্পর্কে জানার আগ্রহ তৈরি করতে হবে বা প্রশ্ন করা শিখাতে হবে। আগ্রহ তৈরি হলে শিশু স্মৃতিশক্তি প্রখর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেননা যত প্রশ্ন করবে সে বিষয়ে তত উপলব্ধি করবে এবং মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে যে বাচ্চাগুলো বেশি প্রশ্ন করে তাদের স্মৃতিশক্তি অন্য বাচ্চাদের তুলনায় প্রখর হয়ে থাকে।

বাচ্চাদের সাথে আলোচনা করা

বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিশুদের সাথে আলোচনা করতে হবে যাতে করে সে নিজের মধ্যে থাকা ভাবনা চিন্তাগুলো প্রকাশ করতে পারে। তাদের কি চিন্তাভাবনা আছে কি করতে চাই সেগুলো জানতে হবে। বাচ্চাদের সাথে আলোচনা করলে বাচ্চাদের চিন্তা ধারার অনেক উন্নতি হয় এছাড়াও বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়

ছবি বা চিহ্নের ব্যবহার

কোন কিছু শেখানোর সময় শেষ সরাসরি শিখতে না পারলে সেগুলো ছবি বা কোন চিহ্ন ব্যবহার করে শেখানোর চেষ্টা করুন তাহলে সেটা মনে রাখতে শিশুদের খুব সুবিধা হবে। এভাবে তার স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হবে।

শরীরচর্চা বা ব্যায়াম

নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর ভালো থাকে পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যা স্মৃতিশক্তির উন্নতি হয়। তাই বলা যায় শরীরচর্চা শুধু শরীর ভালো রাখে না সে ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

পড়াশোনার জায়গা পরিবর্তন

বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনা করার অভ্যাস তৈরি করুন। কারণ এক জায়গায় পড়াশোনা করালে সে ক্ষেত্রে বাচ্চাদের পড়াশোনার আগ্রহ এবং বিরক্তভাব আসতে পারে। আর আগ্রহ না থাকলে সেই পড়াশোনার কোন মূল্য থাকবে না মনে রাখার ক্ষমতাও কমে যাবে। তাই মাঝে মাঝে বিভিন্ন জায়গায় পড়াশোনা করানোর চেষ্টা করুন বা ঘুরতে ঘুরতে শেখানোর চেষ্টা করুন।

বিনোদনের মাধ্যমে শেখানো

শিশুকে যা শেখানো হবে সেগুলো সরাসরি শিখতে না চাইলে বিনোদনের মাধ্যমে শেখানোর চেষ্টা করুন। বিনোদনের মাধ্যমে বলতে ছড়া বা গানের মাধ্যমে শেখানো। এভাবে শিখালে বাচ্চা আগ্রহ সহকারে শিখে এবং সেগুলো মস্তিষ্কে সহজে ধরে রাখতে পারি যার ফলে স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী হয়

কোন ফল খেলে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে

কলাঃ কলাতে আছে ব্যপকপরিমাণে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা যা শরিরের বল বৃদ্ধি করতে সহায়ক। সকালে একটি কলা খেলে পুরো সকালজুড়ই আপনার সন্তানটির শরীরে শক্তি বজায় থাকবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তার মনোযোগ বৃদ্ধি পাবে।

কালোজামঃ এন্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিস্ক ও হার্টকে যাবতীয় ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আর কালোজামে আছে অধিক পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্টস। কালোজাম হার্টের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এজন্য আপনার শিশুকে প্রতিদিন দুই-একটা কালোজাম খেতে দিতে পারেন।

আপেলঃ কালোজামের মতো আপেলেও প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্টস বিদ্যমান। আপেলের খোসায় এর পরিমাণ আরো বেশী। আমাদের দেশের বেশীরভাগ শিশুরই আপেল প্রিয় ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম। মস্তিস্ককে উর্বর করতে আপনার শিশুক আপেল বিশেষ করে লাল আপেন খেতে দিন।

অ্যাভোকাডোঃ আনস্যাচুরেডেট ফ্যাট সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। অ্যাভোকাডোতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকায় শিশুদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।

আমলকিঃ শিশুদের স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করার আরেকটি পুষ্টিকর ফল হচ্ছে আমলকি। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এর ফলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঔষধ হিসেবে এই ফল খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়।

শিশুদের কি খাওয়ালে বুদ্ধি বাড়ে

শিশুর বুদ্ধের বিকাশ বা মানসিক বিকাশ বেশিরভাগ খাবারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কোন কোন খাবার খেলে বাচ্চাদের বুদ্ধি বাড়ে এবং মানসিক বিকাশ ঘটে সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করব।
  • প্রোটিন যুক্ত খাবারের বাচ্চার শারীরিক শক্তি পাশাপাশি বুদ্ধি বা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। প্রোটিনযুক্ত খাবার হল ডিম, দুধ, মুরগির মাংস, ছোলা, মসুরের ডাল, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পনির, বাটার ইত্যাদি। এই খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা শিশুর মানসিক বিকাশ এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়।
  • স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য যেগুলো খাবারে জিংক পাওয়া যায় সে খাবারগুলো খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। জিংক যুক্ত খাবার গুলো হল মাছ, মাংস, দুধের তৈরি খাবার এবং বাদাম। এসব খাবার খেলে স্মৃতিশক্তি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
  • এছাড়াও আয়রন, আইডিন, কলিন, ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২ এবং ওমাগো ফাটি অ্যাসিড ইত্যাদি উপাদানগুলো যে খাবারে আছে সে খাবারগুলো শিশুদের খাওয়াতে হবে। যার ফলে শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম

অনেক বাচ্চা আছে যাদের স্মৃতিশক্তি খুবই দুর্বল। সেসব বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করা খুবই প্রয়োজন। স্মৃতিশক্তি বিভিন্ন উপায়ে বৃদ্ধি করা যায় এগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ব্যায়াম। মস্তিষ্কের ব্যায়াম স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করে। লেখালেখি, ছবি আঁকা, কবিতা বা ছন্দ লিখা ইত্যাদির হচ্ছে মস্তিষ্কের ব্যায়াম।

এগুলো নিয়মিত করলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য শিশুদের এ কাজগুলো করার প্রতি আগ্রহ তৈরি করতে হবে যাতে করে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয় এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায়

দুর্বল স্মৃতিশক্তি বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি দুর্বল হলে তা ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ হয় এবং সফলতার বিভিন্ন ধাপে বাধা তৈরি করে। এই স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার কয়েকটি ঘরোয়া উপায় নিয়ে নিজে আলোচনা করা হলো-

কাঠবাদামঃ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কাঠ বাদামের কথা সুন্দরভাবে উল্লেখ করা রয়েছে। প্রতিদিন একটি থেকে দুইটি কাঠবাদাম শিশুদের খাওয়ালে ধীরে ধীরে মেধাবিকাশিত হবে বা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে।

মধুঃ মধুর নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি। নিয়মিত মধু খেলে শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনি এটি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।

সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ শাকসবজিতে রয়েছে ভিটামিন কে, প্রোটিন এবং ফোলেট। সবুজ শাকসবজি স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করে।

ঘিঃ প্রতিদিন ঘি খেলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের নানা ধরনের উপকার হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি। নিয়ম করে প্রতিদিন বাচ্চাদের ঘি খাওয়ালে স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ এবং মজবুত হয়।

আখরোটঃ আখরোট এক ধরনের সুপার ফুড। আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রতিদিন একটি করে আখরোট খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বা ধারণক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

ডিমঃ ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। প্রোটিন মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির জন্য খুবই প্রয়োজন। সেজন্য প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে ডিম বাচ্চাদের খাওয়ানো উচিত। তাহলে স্মৃতিশক্তি খুবই শক্তিশালী হবে। ডিমকে প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস বলে বিবেচনা করা হয়।

ওটসঃ ওটস রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং জিংক মস্তিষ্কের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় নিয়মিত ওটস শিশুদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে ভালো প্রভাব ফেলে। ওটস শুধু শিশুদের স্মৃতিশক্তির জন্য সহায়ক না বরং এটি শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রেও খুবই কার্যকরী। কেননা শারীরিক সুস্থতার সাথে সাথে ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির সংযোগ আছে।

লেখক এর মন্তব্য

বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুর্বল স্মৃতিশক্তি থাকলে বাচ্চাদের ভবিষ্যতের বিভিন্ন ধরনের বাধা তৈরি হয়ে থাকে। সেজন্য বাচ্চাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাবা-মাদের নজর দেওয়া খুবই জরুরী। প্রিয় পাঠক আপনার যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url