চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আসুন আজকে আমরা চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ এবং ফয়ে’স লেক সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ বিষয়ে জানতে হলে নিচের আর্টিকেলগুলি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থানসমূহ
এই আর্টিকেল পড়লে আপনি আরও জানতে পারবেন- একদিনে চট্টগ্রাম ভ্রমণ করা কি সম্ভব, চট্টগ্রামের পার্ক সমুহ, চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক স্থান ইত্যাদি।

ভূমিকা

বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হয় এই চট্টগ্রাম শহরকে। পাহাড় পর্বত ও উপত্যকা থাকার কারণে ভৌগলিক অবস্থানের দিক দিয়ে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সৌন্দর্যে ভরা একটি বিভাগ। বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে অবস্থিতি চট্টগ্রাম বিভাগ। বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগ সবচেয়ে বৃহত্তম।


সর্বমোট ১১টি জেলা নিয়ে গঠিত এই চট্টগ্রাম বিভাগ। চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা চট্টগ্রাম বিভাগ। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার এ চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত। এছাড়াও বাংলাদেশের অন্যতম এবং একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত।

বিশ্ব দরবারে এই স্থানগুলো বহু পরিচিত। এই স্থানগুলো দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটকে সে ভিড় করে। চট্টগ্রাম বিভাগে যেগুলো দর্শনীয় স্থান আছে সেগুলো স্থানে পর্যটকদের উপভোগ করার মত অনেক কিছু রয়েছে। ভ্রমন প্রিয় মানুষেরা স্থানগুলোতে প্রায়ই ঘুরতে আসে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় দর্শনীয় স্থানসমূহ

পাহাড় পর্বত, উপত্যকা, সমুদ্র, বনভূমি ইত্যাদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই চট্টগ্রাম বিভাগ। এই বিভাগে রয়েছে দেখার মত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান। গুলোতে যে মানুষ প্রাকৃতিক লীলাভূমি উপভোগ করতে পারে। আসুন চট্টগ্রাম বিভাগের কয়েকটি দর্শনীয় স্থানসমূহ সম্পর্কে জেনে নেই-

আগুনিয়া চা বাগানঃ আগুনিয়া চা বাগান চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি স্থান। এই স্থানটি প্রায় তিন হাজার একর জায়গা জায়গা জুড়ে অবস্থিত। আগুনিয়া চা বাগান চট্টগ্রাম জেলার উত্তর রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় অবস্থিত। এ চা বাগান পুরোপুরি যেন সবুজের সমরহ।

আগুনিয়া চা বাগান এই উপজেলা সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই স্থানটি দেখার জন্য মানুষ প্রতিদিন বিকেলে এখানে এসে ভিড় জমায়।

সন্দীপ সমুদ্র সৈকতঃ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সন্দীপ সমুদ্র সৈকত। এই সমুদ্র সৈকতটি চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি প্রাচীনতম দ্বীপ। মেঘনা নদীর মোহনায় সন্দীপ সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। এই দ্বীপে যারা বসবাস করে তাদের মধ্যে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান এবং তাদের মনোভাব ও সহযোগীপূর্ণ। এই সমুদ্র সৈকত দেখার জন্য মানুষ দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে

ইকোপার্কঃ বাংলাদেশের প্রথম ইকো পার্ক চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে অবস্থিত। এই ইকোপার্কটি ৮০৮ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে এই ইকোপার্ক একটি উল্লেখযোগ্য।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতঃ বাংলাদেশের কয়েকটি সমুদ্র সৈকতগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এই সমুদ্র সৈকতটি চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কর্ণফুলী নদীর মোহনায় এই সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত এই দুই মনোরম দৃশ্যই এই সৈকত থেকে উপভোগ করা যায়।


এই স্থানটিতে ঘুরে দেখার মত অনেক কিছুই রয়েছে।এই স্থানের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক বেড়াতে আসে।

চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাঃ চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়াখানাটি চট্টগ্রাম জেলার মধ্যেই অবস্থিত। বর্তমানে এই চিড়িয়াখানায় রয়েছে ৭২ প্রজাতির ২৮০ টি প্রাণী। ছয় একর জায়গা জুড়ে পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে এই চিড়িয়াখানা। রয়েছে সেগুলো দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ ছুটে আসে।

আন্দরকিল্লা জামে মসজিদঃ ১৬৬৭ সালে নির্মাণ করা হয় অন্দরকিল্লা জামে মসজিদ। এই জামে মসজিদের নির্মাণ করার পর থেকেই ইসলাম ধর্মালম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এই মসজিদের ইমাম নিযুক্ত করা হতো পবিত্র মদিনা থেকে। এটি অনেক প্রাচীনতম মসজিদ। পুড়া মাটি এবং পাথর দিয়ে এ মসজিদের দেয়াল তৈরি করা হয়েছে।

লালদীঘিঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা আরো একটি উল্লেখযোগ্য স্থান হলো লালদীঘি। লালদীঘির আশেপাশে রয়েছে আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ, জেলা পরিষদ ভবন এবং কয়েকটি ব্যাংকের শাখা সমূহ। ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসনামলে এ দিঘির পাশে লাল কুঠির এবং লাল ঘরকে কেন্দ্র করে এই দিঘির নাম রাখা হয় লালদীঘি। চট্টগ্রাম শহরের জেলা রোডের শেষপ্রান্তে লালদিঘী অবস্থিত।

ফটিকছড়িঃ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এবং মনমুগ্ধকর দৃশ্য রয়েছে ফটিকছড়িতে। পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসার মত অন্যতম জায়গা হল ফটিকছড়ি। প্রকৃতি যেন অপরূপ সৌন্দর্য দিয়ে নিজ হাতে সাজিয়েছেন এ ফটিকছড়িকে। এই ফটিকছড়িকে পরিপূর্ণ সৌন্দর্যে রূপ দিয়েছে চা বাগান, রাবার বাগান, বনভূমি, পাহাড়, চির যৌবনা খাল এবং প্রাচীন স্থাপনাগুলো। এইখানে রয়েছে সর্বমোট ১৭ টি চা বাগান। প্রতিটি চা বাগানে নিজ নিজ সৌন্দর্য দিয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।

ফয়ে’স লেকঃ ফয়ে’স লেক পাহাড়তলীতে চট্টগ্রামে অবস্থিত। ফয়ে’স লেক হচ্ছে মানুষের তৈরি বা কৃত্রিম হ্রদ। এটি প্রায় ৩৩৬ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। প্রথমে এই লেকের নাম নিজ এলাকার নামে পাহাড়তলী লেক নামে পরিচিত ছিল পরবর্তীতে এটি ব্রিটিশ প্রকৌশলী নিয়ে নাম অনুসারে ফয়ে’স লেক রাখা হয়। কৃত্তিমভাবে এই লেক তৈরি করা হলেও এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এই সৌন্দর্যে ভরা লেক দেখার জন্য দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ বেড়াতে আসে।

খৈয়াছড়া ঝর্ণাঃ চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পাহাড়ে অবস্থিত একটি জলপ্রপাত যা খৈয়াছড়া ঝর্ণা নামে বেশ পরিচিত। গঠনগত দিক দিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঝর্ণা এটি। খৈয়াছড়া প্রাকৃতিক এবং নান্দনিক সৌন্দর্য দেখে ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা মুগ্ধ হয়ে থাকে। এ ঝর্ণার রয়েছে মূল মুগ্ধকর ও অপরূপ দৃশ্য। যা মানুষকে আকৃষ্ট করে।

এখানে প্রকৃতি নিজ মনে খেলা করে সর্বক্ষণ। খৈয়াছড়া ঝর্ণা রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মানুষ পাহাড়ের পাদদেশে তাঁবু টাঙ্গিয়ে অবস্থান করে।

রেলওয়ে জাদুঘরঃ বাংলাদেশের একমাত্র রেলওয়ে জাদুঘর চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে অবস্থিত। রেলওয়ে জাদুঘরের নামের পূর্বে এটি রেলওয়ে বাংলা নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের জাদুঘর নামে পরিবর্তিত করা হয়। এটিও চট্টগ্রাম বিভাগের একটি দর্শনীয় স্থান।

কালুরঘাটঃ ১৯৩০ সালের এ কালুরঘাট ব্রিজ নির্মিত হয়। এদিকে বোয়ালখালীর দুঃখ বলা হয়ে থাকে।

সাহেব বিবির মসজিদঃ ৫০০ বছরের প্রাচীনতম সাহেব বিবির মসজিদটি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় অবস্থিত। ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায় জমিদার আমির মোহাম্মদ চৌধুরীর পত্নী এবং চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত প্রসিদ্ধ মালিকা বানুর মাতা সাহেব বিবি এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন।

তার নাম অনুসারে এই মসজিদের নামকরণ করা হয়। এ মসজিদের পাশে ফুলের বাগানের মধ্যে কবরস্থানে শায়িত রয়েছেন মরহুমা সাহেব বিবি। এই সাহেব বিবি মসজিদ দেখার জন্য বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বেড়াতে আসে।

একদিনে চট্টগ্রাম ভ্রমণ করা কি সম্ভব

চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দর্শনীয় স্থান। কিন্তু সবগুলো স্থান একদিনে ভ্রমণ করা দূরহ ব্যাপার। তবে কয়েকদিন সময় নিয়ে চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরে আসতে পারেন যেগুলো স্থানে উপভোগ করার মত অনেক কিছুই রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্থান হল-
  • পতেঙ্গা
  • ফটিকছড়ি
  • আগুনিয়া চা বাগান
  • সন্দীপ সমুদ্র সৈকত
  • ইকোপার্ক
  • লালদিঘি
  • ফয়ে’স লেক
  • খৈয়াছড়া ঝরনা ইত্যাদি
এছাড়াও দেখার মত আরও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর স্থানগুলো যদি দেখতে চান তাহলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কয়েক দিনের জন্য ঘুরে আসতে পারেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই স্থানগুলোতে গেলে সকলের মন মুগ্ধ ও প্রফুল্লতায় ভরে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।

ফয়ে’স লেক কোথায় অবস্থিত

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে অবস্থিত ফয়ে’স লেক। এটি একটি কৃত্রিম হ্রদ। ১৯২৪ সালে এ লেক আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এটি খনন করা হয়। সেই সময় এই লেকের নাম ছিল পাহাড়তলী লেক। পরবর্তীতে ফয়ে’স লেক ব্রিটিশ প্রকৌশলী নামে নামকরণ করা হয়। ফয়ে’স লেকে দেখার মত অনেক কিছুই রয়েছে।

যেমন বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড এর ব্যবস্থা আছে। এছাড়া বড়দের উপভোগ করার মত রয়েছে পাহাড় ও লেক। সবকিছু মিলিয়ে এই ফয়ে’স লেকটি মনোমুগ্ধকর

চট্টগ্রামের পার্ক সমুহ

প্রজাপতি পার্কঃ ২০০৯ সালে পতেঙ্গ সমূদ্র সৈকতের কাছে পতেঙ্গা নেভাল একাডেমী ১৫ নং রোডে প্রজাপতি নামক পার্ক স্থাপন করা হয়। প্রায় ৬ একর জায়গাজুড়ে অবস্থিত দেশের প্রথম প্রজাপতি পার্ক ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এ পার্কে প্রায় ২০০ প্রজাতির হাজারখানেক প্রজাপতি রয়েছে।

সীতাকুন্ডু ইকো পার্কঃ ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যাওয়ার পথে সীতাকুন্ডুতে একটি পার্ক রয়েছে যার নাম সীতাকুন্ডু ইকো পার্ক। পার্কটি বিভিন্ন থিম দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করলেই আপনি দেখতে পাবেন সারি সারি পাইন গাছের সারি। এখানে আছে একটি লেক ও পুকুর এবং বিখ্যাত সহশ্রধারা ও সুপ্তধারা জলপ্রপাত।

ফয়ে’স লেকঃ ফয়ে’স লেক একটি কৃত্তিম হ্রদ যা পাড়াতলীতে অবস্থতি। এটি ফয়ে’স লেক এর একটি অংশে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক নামে একটি পার্ক তৈরী করা হয়েছে ২০০৫ সালে। এ পার্কে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার রাইড, সার্কাস সুইং ফ্যামিলি ট্রেন, ফ্লোটিং ওয়াটার প্লে, পিকনিক স্পট পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ সী ওয়ার্ল্ড নামে একটি ওয়াটার থিম পার্ক। ফয়ে’স লেক এ আসলে আপনি হতাশ হবেন না।

জাম্বুরি পার্কঃ আগ্রাবাদের এসএম মোরশেদ সড়কে অবস্থিত জাম্বুরি পার্কটি ২০১৮ সালে চালু করা হয়। এর আয়তন ৮.৫৫ একর। চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে অত্যাধুনিক পাক এটি। জাম্বুরি পার্কে প্রায় ৩.৫০ ফুট গভীর ৫০ হাজার বর্গফুট বিশিষ্ট একটি কৃত্রিম লেক রয়েছে।

পার্ক জুড়ে রয়েছে প্রায় ৫০০টি রঙ্গিন এলইডি লাইট। সন্ধ্যায় যখন বাল্বগুলো জলে উঠে তখন এই পার্কটি রঙ্গিণ আলোয় ঝলমলিয়ে উঠে। তখন দেখতে খুব ভালো লাগে এবং মন ভালো হয়ে যায়।

চট্টগ্রাম শিশু পার্কঃ ১৯৯৪ সালে চালু হয় চট্টগ্রাম শিশু পার্ক। ৩ একর জায়গাজুড়ে এই চট্টগ্রাম শিশু পার্কটি চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউরি সার্কিট হাউসের পাশে অবস্থিতি। শিশুদের জন্য সকল প্রকার রাইডসহ সেখানে রয়েছে হরেক রকম ফুলের বাগান ও বসার স্থান। প্রতি সোবমার থেকে শুক্রবার পার্কটি খোলা থাকে।

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক স্থান

চট্টগ্রামে অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটির নাম নিচে উল্লেখ করা হলো-
  • ইউরোপিয়ান ক্লাব
  • কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র
  • চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
  • আন্দরকিল্লা জামে মসজিদ
  • লালদীঘি
  • সাহেব বিবির মসজিদ
  • গুপ্ত পমিদার বাড়ী
  • চাকমা রাজবাড়ী
  • চট্টগ্রাম সেনানিবাস
  • কধুখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাচীন মৃৎভবন ও পার্বতী চরণ দীঘি
  • চট্টগ্রাম ওয়ার সিমেট্রি
  • দামপাড়া বধ্যভূমি
  • জেএম সেন হল
  • দেয়াঙ পাহাড়
  • মীরসরাই শমসের গাজীর কেল্লা
  • ফতেহপুর শিলালিপি ইত্যাদি

লেখক/ভ্রমনকারীর বক্তব্য

চট্টগ্রাম বিভাগের দর্শনীয় প্রায় সকল স্থানই আমার দেখা। জায়গাগুলোতে ঘুরে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আশা করি আপনাদেরও পছন্দ হবে এবং ভালো লাগবে। আপনি চাইলে চট্টগ্রামের দর্শনীয় স্থানগুলো পরিবার/বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। প্রিয় পাঠক এই পোস্ট পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার কাছের মানুষ ও বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url