সজনে পাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি সজনে পাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় নক করেছেন। এখানে আমরা আপনাকে এই পোস্টের মাধ্যমে সজনে পাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা এবং সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সজনে পাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

এ পোস্ট পড়লে আপনি আরো জানতে পারবেন সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম, সজনে পাতার ব্যবহার এবং সজনে পাতা নিয়ে আমাদের ধারণা ইত্যাদি।

ভূমিকা

বাংলাদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো সজনে। এটি বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। সজনের বৈজ্ঞানিক নাম হলো Moringa Oleifera। সজেনে জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ এর পুষ্টিগুণ। সজনের অনেক উপকারিত রয়েছে। সজেনের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনী এর পাতারও রয়েছে অনেক উপকারিতা।


বর্তমানে সজনে পাতাকে সুপারফুড নামে অভিহিত করা হয়। সজনে পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। এছাড়াও এতে আছে অ্যামিনো এসিড, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, প্রটিন ও কার্বহাইড্রেট ইত্যাদি।

সজনে পাতার উপকারিতা

সুগার নিয়ন্ত্রণ করে সজনে পাতাঃ সজনে পাতার রস বা গুড়ো পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে শরীরের অতিরিক্ত সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্ট, চোখ, কিডনি, স্নায়ুতন্ত্র ইত্যাদির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাই ডাযাবেটিস রোগীদের জন্য সজনে পাতার গুড়া একটি সুপার টনিক হিসেবে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা ডাক্তারের দেয়া ব্যবস্থাপত্রের পাশাপাশি এই সুপারফুড খ্যাত সজিনা পাতা বা পাতার গুড়া নিয়মিত ও পরিমাণ অনুসারে খেতে চিকিৎসকের পরামর্শে খেতে পারেন।

লিভার সুস্থ রাখতে সজনে পাতা

লিভার মানব শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। প্রতিদিন আমরা যে খাবারগুলো খাই তার উপর নির্ভর করে লিভারের স্বাস্থ্য। যদি আমরা ভালো মানের খাবার খাই তাহলে লিভার ভালো থাকবে আর ভাজা-পোড়া, স্পাইসি ফুড ইত্যাদি অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত জাঙ্কফুড খাওয়া যায় তাহলে লিভার খারাপ হবে।

লিভার যদি খারাপ হয় তাহলে শরীরের সকল অঙ্গই ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়বে। তাই এই লিভার ভালো রাখাতে হলে আপনাকে অবশ্যই খাবারের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সজনে পাতার রস বা গুড়ো আপনার লিভারকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে

বার্মিজ চিকিৎসগণের মতানুসারে সজনে পাতার রস ২/৩ চা চামচ করে দিনে ২ বার খাবারের পূর্বে খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ত্বকের যত্নে

সজনে পাতার গুড়ো ত্বকের বলিরেখা ও কুঁচকানোভাব দুর করে ত্বককে উজ্জল করে তোলে। এ জন্য আধা টেবিল চামচ সজনে পাতার গুড়ো, এক টেবিল চাম মধু, এক টেবিল চামচ গোলাপজন ও আধা টেবিল চামচ লেবুর রস এক সাথে পরিমাণমত পানি মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগাতে হবে। কিছুক্ষন পর কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।

দেখবেন আপনার ত্বক মসৃন, উজ্জল ও নরম হয়েছে। সজনে পাতার রস খেলে শ্বাসকষ্ট সারে, হেচকি উঠা বন্ধ হয় এবং সজনে পাতার রস বা পেস্ট মাথায় দিলে খুসকি দূর হয় ও চুল ঝলমলে উজ্জল হয়। এছাড়াও ঠোঁটের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে সজনের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায়

সজনে পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা দাঁত ও হাড় গঠনে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। একটা মানব দেহে যত প্রকার উপাদান প্রয়োজন হয় তার ১৯ শতাংশ ক্যালসিয়াম ও ১৬ শতাংশ ফসফরাস আছে ১০০ গ্রাম সজনে পাতায়। দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া ও রক্ত পড়া সমস্যায় সজনে পাতা ২ গ্লাস পরিমাণ পানিতে ফুটিয়ে প্রতিদিন সেই পানি দিয়ে কুলকুচি করলে এটির সমাধানসহ খাবারের রুচি বৃদ্ধি হয় এবং দাঁত শক্ত হয়।

সজনে পাতা রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করেঃ সজনে পাতায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ আছে। আমরা সবাই জানি ভিটামিন এ এর অভাবে রাতকানা রোগ হয়। তাই সজনে পাতার ভর্তা, রস, গুড়া প্রতিদিন পরিমানমত খেলে রাতকানা রোগ হওয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

প্রেটিনের অভাব পূরণ হয়

বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বড় একটি অংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠি। এদেশের দরিদ্র পরিবারের সন্তানরা বেশিরভাগ প্রেটিনের অভাবে ভোগার ফলে তাদের শারিরিক বৃদ্ধি যথাযথভাবে হয় না। এর মূল কারণ তাদের পরিবার থেকে মাছ, মাংস, ডিম, দুধসহ প্রোটিনযুক্ত খাবারগুলি পরিবশেন করতে না পারা।

সজনে পাতায় ১৮ রকমের এমিনো এসিড রয়েছে প্রটিনের প্রধান উপাদান। সজনে পাতা আমাদের দেশে খুব সহজেই পাওয়া যায় তাই প্রোটিন পাওয়ার একটি প্রধান উৎস হিসেবে সজনে পাতা খাওয়া যেতে পারে।

সজনে পাতার ঔষধি গুণ

সকল প্রকার পুষ্টি উপাদান ও ভেষজ গুণাবলী সম্পন্ন সজনে গাছকে (Miracle Tree) মিরাকেল ট্রি বলা হয়ে থাকে। কেননা এ গাছের সবই (ডাঁটা, পাতা, বাকল শিকড় ইত্যাদি) ঔষধি গুণসম্পন্ন। যাদের বদহজমের সমস্যা আছে, কোনকিছু খেলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয়, বুক জ্বালাপোড়া করে, পায়খানা কষাসহ পরিপাকতন্ত্রের সমস্য রয়েছে তারা সজনে পাতার গুড়া সেবন করলে উপকার পাবেন।

হারবাল ও ভেষজ চিকিৎসকগণ হার্ট ও ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগীদের জন্য সজনে পাতা গুড়া করে ঔষধ তৈরী করে থাকেন। যদিও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান দ্বারা সজনে পাতার গুড়ার ব্যবহার স্বীকৃতপ্রাপ্ত নয়।

সজনে পাতা খাওয়ার নিয়ম

সজনে পাতা খাওয়ার উপকারিতাতো জানলাম কিন্তু কিভাবে খেলে উপকার হবে তা জানা না থাকলে উপকারের পরিবর্তে অপকার হতে পারে। তাই সজনে পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম ও পরিমাণ জানা খুবই জরুরী। শরীরের ওজন অনুযায়ী সজনে পাতা খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে (চিকিৎসাব বিজ্ঞান দ্বারা স্বীকৃত নয়) প্রতি ১ কেজিতে ১ গ্রাম করে।

আপনার শরীরের ওজন যদি ৭০ কেজি হয় তাহলে আপনি ৭০ গ্রাম পরিমাণ সজনে পাতা খেতে পারবেন। তবে আপনি এর মাত্রা সর্বোচ্চ প্রতি ১ কেজিতে ৩ গ্রামের বেশী কোনভাবেই খাবেন না। এছাড়া যখন আপনি নিয়মিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড ইত্যাদি রোগের ঔষধ সেবন করবেন।

তখন সজনে পাতা বা গুড়া খাওয়ার জন্য আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে খাবেন। নতুবা কোন কোন ঔষধের সাথে সজনে পাতা বা গুড়ার সাংঘর্ষিক বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। ফলে ঔষধের কার্যকারিতা হারানোসহ শারিরিক নানা সমস্যা হতে পারে।

সজনে পাতার ব্যবহার

আপনি বিভিন্নভাবে সাজনে পাতা খেতে পারেন। কিভাবে সজনে পাতা খেতে হয় তার ধাবাহিক বর্ণনা নিচে দেয়া হলো-

সজনে পাতার ভাজি

আমরা বিভিন্ন প্রকার শাক যেমন করে ভাজি করে খাই তেমনি সজনে পাতারও ভাজি করা যায়। যেমন- পাতা অল্প পানিতে সেদ্ধ করে নিতে হবে তারপর স্বাদ ও পরিমাণমত পেঁয়াজ, লবন, মরিচ, রসুন তেল ইত্যাদি একসাতে করে ভেজে রান্না করুন এবং অন্যান্য খাবারের সাথে তা পরিবেশন করুন।

পাতার ভর্তা

আপনারা খুব সহজেই সজনে পাতার ভর্তা তৈরী করে খেতে পারেন। গাছ থেকে কচি পাতা সংগ্রহ করে ভালোকরে ধুয়ে ময়লা পরিস্কার করে হাড়িতে অল্প পানিতে পাতা সেদ্ধ করে নিন। এরপর পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা অথবা ভাড়া শুকনা মরিচ, তেল ও পরিমাণমত লবন মিশিয়ে ভর্তা করুন। এক্ষেত্রে হাতের ত্বকের জ্বালা-পোড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে আপনি ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে পারেন।

সজনে পাতার বড়া

বড়া তৈরি করে খেতে পারেন সজনে পাতা দিয়ে। সেক্ষেত্রে ভালোমানের পাতা সংগ্রহ করে পাটায় বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করতে হবে। শুধু সজনে পাতা দিয়ে বড়া বানাতে পারেন অথবা যেকোন ডাল মিশিয়েও বড়া বানাতে পারেন সেক্ষেত্রে বড়ার স্বাদ অনেকটা বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে সজনে পাতা ও ডালের সাথে অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন- লবন, পেঁয়াজ, মরিচ ইত্যাদি একসাথে মাখিয়ে নিয়ে গরম তেলে ভাজতে হবে। গরম গরম পরিবেশন করুন, মুচমুচে সজনে পাতার বড়া খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।.

সজনে পাতার চা

সজনে পাতা দিয়ে চা তৈরী করেও খাওয়া যায়। দুইভাবে আপনি সজনে পাতার চা খেতে পারেন- (১) পাতা শুকিয়ে গুড়া করে অথবা শুকনো পাতা ফুটানো পানিতে দিয়ে চা করে, (২) কাঁচা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে চা করে খেতে পারেন। নিয়মিত সজনে পাতার চা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার পাওয়া যায়।

সজনে পাতার গুড়া

সারা বছর সজনে পাতা পাওয়া গেলেও আপনার প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে নাও পেতে পারেন। তাই সজনে পাতা গুড়া করে অনেক দিন পর্যন্ত খেতে পারেন। সর্বপ্রথম আপনাকে ভালোমানের পাতা সংগ্রহ করে বিশুদ্ধ পানিতে পরিস্কার করে রোদে শুকাতে হবে। শুকিয়ে মচমচে হলে পাটায় পিষে বা ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভালো করে গুড়ো করে কাঁচের বয়ামে রেখে দিন। অনকেদিন পর্যন্ত গুনাগুণ ভালো থাকবে।

পুষ্টি বেশী কোনটায় ডাটাতে না পাতায়

সজনে ডাটা একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার। পুষ্টিগুণ বিবেচনা করলে সজনে পাতা ও ডাটা উভয়ই গুণাগুণ সমৃদ্ধ যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনার যেটি বেশী পছন্দ সেটি খেতে পারেন। উল্লেখ্য যে, সজনে পাতা থেকে ডাটাতে বেশী পরিমাণ ফাইবার ও ভিটামিন সি বিদ্যমান। তাছাড়া বিভিন্ন সবজির সাথে সজনের ডাটা খাওয়া যে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় তা নিচে উল্লেখ করা হলো-

  • হাড় ও দাঁতকে মজবুত রাখে
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
  • লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • রক্তস্বল্পতা কমায়
  • দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
  • দেহের ক্ষত দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে

গর্ভাবস্থায় সজনে পাতা খাওয়া যাবে কি?

চিকিৎসকগণ গর্ভবতী মায়েদের অধিক পরিমাণে আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে গর্ভাবস্থায় মেয়েদের আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়। এমতাবস্থায় অনেকে আয়রনের ঔষধ বা ইনজেকশন দিয়ে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। কিন্তু গ্যাসসহ অন্যান্য সমস্যার কারণে আয়রনের ট্যাবলেট অনেকে খেতে পারেন না।

আবার ইনজেকশনের মূল্যও বেশী সেক্ষেত্রে সজনে পাতা বা ডাটা এই আয়রনের ঘাটতি পূরণে সক্ষম। যদিও গর্ভাবস্থায় তা সেবন করা কতটা নিরাপদ তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারে না এ নিয়ে অনেক গবেষণা করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তাই এ বিষয়ে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এর সাথে পরামর্শ করাই শ্রেয়।

সজনে পাতা নিয়ে আমাদের ধারণা

ইন্টারনেটে সার্চ দিলে সজনে পাতার অনেক গুণাগুণের তথ্য দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে পাওয়া যায় যে ১০০ গ্রাম সজেনে পাতায় যে পরিমাণ ভিটামিন সি আছে তা ৭টি কমলার চেয়ে বেশি বা যে পরিমাণ পটাসিয়াম আছে তা কলার তুলানায় ১৫ গুণ এবং দুধের চেয়ে ৪ গুণ ক্যালসিয়াম বেশি। তাই আপনাদের জ্ঞ্যাতার্থে প্রতি ১০০ গ্রাম সজনে পাতায় কোন পুষ্টিগুণ কি পরিমাণ আছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো-

  • ভিটামিন সি-৫১.৭ মিলিগ্রাম
  • ক্যালসিয়াম-১৮৫ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম-৩৩৭ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেশিয়াম-১৪৭ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম ১৯ মিলিগ্রাম
  • আয়রন ৪.০০ মিলিগ্রাম
  • শর্করা ৮.২৮ গ্রাম
  • ফাইবার ২.০ গ্রাম
  • স্নেহ ১.৪০ গ্রাম
  • প্রোটিন ৯.৪০ গ্রাম
  • ভিটামিন এ প্রায় ৩৭৮ মাইক্রোগ্রাম

সজনে পাতার অপকারিতা

সজনে পাতার অনেক উপকারের কথা আলোচনা করা হলো। এ পাতার অনেক উপকারিতা থাকলেও কিছু অপকারিতাও রয়েছে যা আমাদের জানা প্রয়োজন। নিচে সজনে পাতার যা সামান্য অপকারিতা রয়েছে তা উল্লেখ করা হলো-
  • অতিরিক্ত সজনে পাতা বা গুড়া খেলে পেটের সমস্যাসহ ক্ষুধামন্দা ভাব ও বমি বমি ভাব হতে পারে
  • যারা নিয়মিত ব্লাড প্রেসারের ঔষধ খান ও সজনে পাতার রস বা গুড়াও খান তাদের ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে
  • পাতার সাথে যে ডাল থাকে সেগুলো মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব পড়াসহ ইমিউনিটি সিস্টেম নষ্ট করতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় সজনে পাতা বা গুড়া খাওয়ার বিষয়ে অনেক সাবধান থাকে হবে। কেননা পাতা সংগ্রহ করার সময় তাতে যদি ডাল মিশ্রিত থাকে তাতে গর্ভবতি মা-সহ গর্ভে থাকা বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ সময় সজনে পাতা বা গুড়া না খাওয়াই ভালো।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

সন্দেহাতিতভাবে বলা যায় যে, সজনে পাতা একটি পুষ্টিকর খাদ্য। কিন্তু তাই বলে সকল ধরণের পুষ্টিকর খাবারকে ছাড়িয়ে যাবে তা নয়। ঔষধ বা স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে এটি আপনি খেতেই পারেন তবে বেশি নয় পরিমাণমত। উপরের বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের মাধ্যমে আপনারা নিশ্চই সজনে পাতার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা এবং সজনে পাতার অপকারিতা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url