কলিজা খাওয়ার উপকারিতা -গরুর কলিজা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আপনি কি কলিজা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাকে কলিজা খাওয়ার উপকারিতা এবং কলিজা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
কলিজা খাওয়ার উপকারিতা
এই আর্টিকেলটি পড়লে আরো জানতে পারবেন মুরগির কলিজা খাওয়ার উপকারিতা, খাসির কলিজা খাওয়ার উপকারিতা এবং গরুর কলিজা খাওয়ার উপকারিতা ইত্যাদি।

ভূমিকা

শিশু থেকে বয়স্ক প্রত্যেকে আমরা কলিজা পছন্দ করি। কলিজায় স্বাদ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। খুব কম মানুষ আছে যারা কলিজা পছন্দ করেনা। কলিজা শুধু সুস্বাদু একটি খাদ্য নয় বরং এটি অনেক পুষ্টিকর। নিয়মিত কলিজা খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। খাওয়ার যোগ্য কলিজাগুলোর মধ্যে গরুর কলিজা ও খাসির কলিজা সবার পছন্দের। রক্ত তৈরিতে কলিজার রয়েছে অসামান্য ভূমিকা।

বেঁচে থাকার জন্য মানুষের শরীরের যে সকল উপাদান প্রয়োজন রক্ত সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। পরিমাণে তুলনায় রক্ত কমে গেলে মানুষের শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অনেক সময় মারাও যেতে পারে। যাদের শরীরের রক্ত তুলনামূলক কম চিকিৎসক তাদেরকে ওষুধের পাশাপাশি গরু, খাসি বা মুরগির কলিজা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।


কারণ কলিজাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রক্ত। কলিজায় রয়েছে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ডি সহ আরো অন্যান্য উপাদান। কলিজা খাবারে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি শরীরে পুষ্টির চাহিদাও পূরণ করে থাকে। শরীরকে সুস্থ সবল রাখার জন্য খাবারের তালিকায় নিয়মিত কলিজা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।

এছাড়া বাচ্চাদের কলিজা খাওয়ালে বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়ে থাকে। তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।

কলিজা খাওয়ার উপকারিতা

খাদ্য হিসেবে আমরা একটি গরু, মহিষ, খাসি বা মুরগির শরীরের যে যে অংশ খেয়ে থাকি সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো কলিজা। এই কলিজা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি রয়েছে অনেক গুনাগুণ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এই কলিজা খেয়ে থাকি। আমরা এখানে কলিজা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব।

রক্ত বৃদ্ধি করতেঃ কলিজাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা শরীরের রক্ত বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের শরীরের রক্তের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত খাবারের তালিকায় কলিজা রেখে দিতে পারেন তাহলে ক্রমশ রক্ত বৃদ্ধি পাবে।

ক্যান্সারে ঝুঁকি কমায়ঃ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কলিজার গুরুত্ব অত্যাধিক। সেলেনিয়াম নামক উপাদান কলিজার মধ্যে থাকায় এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধে সক্ষম কলিজা।

শিশুর শারীরিক বিকাশেঃ শিশুর শারীরিক বিকাশে কলিজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একটি শিশুর বাড়ন্ত বয়সে প্রয়োজন পরে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের। এই কলিজার মধ্যে অনেক উপাদান আছে যেগুলো শিশু শারীরিক বিকাশে সহায়তা করে। এছাড়াও শিশুর আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেঃ কলিজা খেলে শিশুদের মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে যা মানসিক বিকাশে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। দুর্বল স্মৃতি শক্তি শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য বাধা তৈরি হয় সেজন্য নিয়মিত কলিজা খাওয়ানো উচিত।

সর্দি কাশিতেঃ কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিংক রয়েছে যা ঠান্ডা জনিত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। সর্দি কাশি ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা দূর করে কলিজা। কলিজা খেলে শরীরের জিংকের চাহিদা মিটার সম্ভব হয় এবং সেই সাথে অন্যান্য রোগ ব্যাধি থেকে শরীরকে মুক্ত রাখা যায়।

হার্টের রোগ প্রতিরোধ করেঃ কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক দুটি উপাদান কলিজার মধ্যে থাকায় হাটের রোগ প্রতিরোধ করে হাটকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ জিংক ও দস্তা কলিজার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এই উপাদানগুলো থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন কলিজা খাওয়া খুবই প্রয়োজন।

মুরগির কলিজা খাওয়ার উপকারিতা

মুরগির মাংস কমবেশি আমাদের সবারই পছন্দের কিন্তু মুরগির কলিজা আমরা অনেকেই পছন্দ করি না। মুরগির কলিজার গুনাগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে জানলে এটি না খেয়ে আপনি থাকতে পারবেন না। মুরগির কলিজাতে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। মুরগির কলিজা খাওয়ার যে সকল উপকারিতা রয়েছে সেগুলো হল-

রক্তশূন্যতা দূর করেঃ মুরগির কলিজা রক্তশূন্যতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী। মুরগির কলিজায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা অ্যানিমিয়া বা রক্তশুণ্যতা সমস্যা দূর করে শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

ওজন কমাতেঃ যে সকল খাবারে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম রয়েছে সেগুলো খাবারের মধ্যে মুরগির কলিজা অন্যতম। কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ার কারণে মুরগির কলিজা নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়। মুরগির কলিজা ওজন বৃদ্ধি না করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

হার্ট সুস্থ রাখেঃ হার্ট সুস্থ রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল ফাইবার যা মুরগির কলিজাতে রয়েছে। মুরগির কলিজা খেলে হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং হাটের অন্যান্য সমস্যা দূর হয়।

দুর্বলতা দূর করেঃ কোন রোগে আক্রান্ত হলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে অথবা কোন অপারেশন হলে সে ক্ষেত্রেও শরীরে প্রচুর পরিমাণে দুর্বলতা অনুভব হয়। এই দুর্বলতা দূর করার জন্য চিকিৎসকগণ মুরগির মাংস বা কলিজা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ এটি দুর্বল শরীরকে সবল করতে সক্ষম।

খাসির কলিজা খাওয়ার উপকারিতা

ভোজন প্রিয় মানুষ সবসময় খাবার খেতে পছন্দ করেন। সেজন্য সবসময় সুস্বাদু খাবারকে বেছে নেন। সুস্বাদু খাবারের মধ্যে একটি হচ্ছে খাসির কলিজা। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি রয়েছে পুষ্টিগুণ। খাসির কলিজা খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে যা স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে অনেক বেশি। খাসির কলিজায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান।

খাসির কলিজা খেলেও শরীরে রক্ত বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত কলিজা খেলে রক্তের ঘাটতি পূরণ করে অ্যানিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা সমস্যা দূর করে খাসির কলিজা। খাসির কলিজা শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও নানা ধরনের উপকার সাধিত করে যেমন দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, শারীরিক বিকাশ, শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা, কৃমিনাশক এবং বাচ্চাদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে।

এছাড়াও খাসির কলিজা দিয়ে অনেক পছন্দের রেসিপি তৈরি করা যায়। যারা এমনি এমনি কলিজা ভুনা খেতে পছন্দ করে না তারা বিভিন্নভাবে এটি রান্না করে খেতে পারেন। খাসির কলিজা রান্না করে খেলে খাবারের চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। খাসির কলিজায় যেগুলো উপাদান রয়েছে সেগুলো পাওয়ার জন্য নিয়মিত খাবারের তালিকায় খাসির কলিজা রাখতে হবে।

গরুর কলিজা খাওয়ার উপকারিতা

খাসি এবং মুরগির কলিজা অনেকেই পছন্দ করেন না কিন্তু গরুর কলিজা বেশিরভাগ মানুষ পছন্দ করেন। গরুর মাংস যেমন আমাদের অনেকের প্রিয় তেমনি গরুর কলিজা। এবং মুরগির কলিজার মতো গরুর কলিজারও রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা যা খেলে মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। গরুর কলিজা খেলে যে উপকারগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হল-

রক্তের উৎসঃ গরুর কলিজায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান যেমন- ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২, জিংক, আয়রন, ফসফরাস এবং সেলেনিয়াম। এছাড়া রক্তের প্রধান উৎস হিসেবে ধরা হয় গরুর কলিজাকে।

রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক করেঃ আমাদের শরীরের রক্ত প্রবাহিত হয় বিভিন্ন শিরা উপশিরার মধ্য দিয়ে। গরুর কলিজায় কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক উপাদান থাকায় শিরা-উপশিরাকে প্রসারিত করে ফলে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিকভাবে হয়ে থাকে।

শরীরের অন্যান্য সমস্যার সমাধানঃ গরুর কলিজা শরীরের অন্যান্য সমস্যা যেমন সর্দি-কাশি, হাঁপানি, ইনফেকশনজনিত সমস্যা, শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, কৃমি প্রতিরোধ কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু ও ভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

কলিজা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ মুরগির কলিজা খেলে কি হয়?

উত্তরঃ মুরগির কলিজায় রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান যা খেলে শরীরের রোগ ব্যাধি দূর হয়ে যায় এবং শরীরকে সুস্থ করে। সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন ধরনের অসুখের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে মুরগি কলিজা।

প্রশ্নঃ গরুর কলিজায় কি কি ভিটামিন থাকে?

উত্তরঃ গরুর কলিজায় ভিটামিন বি, আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিংক, সেলেনিয়াম ইত্যাদি উপাদান থাকে। যা মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

প্রশ্নঃ গর্ভবতী মায়ের কলিজা খাওয়া যাবে কি?

উত্তরঃ কলিজা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু গর্ভবতী মায়ের অতিরিক্ত কলিজা খাওয়া উচিত নয়। কারণ কলিজাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে যা গর্ভের বাচ্চার জন্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে।

কলিজা খাওয়ার অপকারিতা

কলিজা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত কলিজা খেলে শরীরে সামান্য কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিছু কিছু রোগীদের ক্ষেত্রে কলিজা খাওয়া বিশেষ করে গরু ও খাসির কলিজা খাওয়া বারণ হয়ে থাকে। সেসব রোগীদের কলিজা খেলে শরীরের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যাদের শরীরে কোলেস্টরল বেশি তারা কলিজা না খাওয়াই ভালো।

এছাড়াও যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা কলিজা খাওয়া এড়িয়ে চলুন। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তারা কলিজা পরিমিত পরিমাণ খাবেন। যাতে করে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধা তৈরি না হয়। হার্টের রোগীদের ক্ষেত্রেও কলিজা ক্ষতিকারক হতে পারে সেজন্য তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলিজা খাওয়া উচিত।

বয়লার মুরগির কলিজা শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর কারণ এটি কৃত্তিম উপায়ে বড় হয়, এ মুরগিগুলোকে যে ফিড খাওয়ানো হয় তা তৈরির উপাদানগুলো পুষ্টিগুণ সম্পন্ন নয় এবং অল্প সময়ে বড় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক এগুলো মুরগি শরীরে প্রয়োগ করা হয় তাই এ মুরগির মাংস বা কলিজা খেলে সে এন্টিবায়োটিকগুলো মাংস বা কলিজার সাথে আমাদের দেহে ঢুকে যায় যা শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক।

লেখকের শেষ কথা

কলিজা আমরা অনেকেই পছন্দ করি কিন্তু সেটি গরু এবং খাসির। মুরগির তুলনায় গরু খাসির কলিজা আমাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। মুরগির কলিজা জনপ্রিয় না হলেও গরু খাসির মতো রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। সেজন্য আমাদের উপকারিতা জেনে সবগুলো কলিজায় পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত যাতে শরীরের সম্পূর্ণ পুষ্টি পায়। প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লাগে এবং উপকৃত হন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজনের সাথে অবশ্যই শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url