বাইং কিওয়ার্ড র‌্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে

প্রিয় পাঠক, আপনি কি বাইং কিওয়ার্ড র‌্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে কিভাবে এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আসুন আজ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকেবাইং কিওয়ার্ড র‌্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে এবং বাইং কিওয়ার্ড র‌্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এই সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
এটি পড়লে আরো জানতে পারবেন লং টেল কিওয়ার্ড বিশ্লেষণ, আর্টিকেল রাইটিং এ ট্রেটেজি ও টপিক খুঁজে বের করা এবং কিওয়ার্ড এনালাইসিস করা, গেস্ট ব্লগিং কি এবং এর সুবিধা এবং অসুবিধা এবং গেস্ট ব্লগিং করে আয় করার উপায় ইত্যাদি।

ভূমিকা

বাইন কি ওয়ার্ড কি এবং বাইং কি ওয়ার্ড র‌্যাঙ্ক করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় সে বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা। আসুন সে বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করি। যদি কেউ এমন কিছু বিষয়ে জানার জন্য গুগলে সার্চ দেয় সেটা যে কোন ধরনের প্রোডাক্ট বা খাওয়ার কোন জিনিস হতে পারে। যে বিষয় নিয়ে সার্চ দেয় সেটি জানার জন্য যে জিনিসটি ভালো না খারাপ। ওয়েবসাইটে সে বিষয়ে সকল কিছু জানার পর সেই জিনিস অবশ্যই কিনতে চাইবে।

যদি আপনি চান সেই জিনিস নিজেই বিক্রি করতে পারবেন তা না হলে অন্য কেউ সেটি বিক্রি করলে তাদের পেজের লিংক নিজের ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করে সেই জিনিসটি বিক্রি করলে তাহলে সেটিকে বাইং কি ওয়ার্ড বলে। অর্থাৎ কোন পোস্ট বা আর্টিকেলের মাধ্যমে পাঠককে বা ক্রেতাকে কোন জিনিস বা প্রোডাক্ট কেনার জন্য কনভার্ট করাকে বাইং কি ওয়ার্ড বলে।

বাইং কি ওয়ার্ড করে আপনি নিজের প্রডাক্ট বিক্রি করতে পারেন বা অন্য কারো প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য সে পেজের লিংক দিয়ে বিক্রি করে দিতে পারেন। এদিকে আবার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংও বলা হয়।

বাইং কিওয়ার্ড র‌্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে

বাইং কিওয়ার্ড র‌্যাঙ্ক করে অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করা সম্ভব সে বিষয়ে কিছু আলোচনার মাধ্যমে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। বাইং কি ওয়ার্ড কে আবার এফিলিয়েট মার্কেটিংও বলা হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা বাইং কি ওয়ার্ড র‌্যাঙ্ক করে শুধু নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম করা যায় না বরং অন্য জনের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিয়েও আয় করা যায়। বাইং কিওয়ার্ড র‌্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে সেটি নিচে আলোচনা করা হলো।

বাইন কিওয়ার্ড র‌্যাঙ্ক করে টাকা ইনকাম করার উপায়

বাইন কিওয়ার্ড করে কিভাবে টাকা ইনকাম করা দুই ধরনের উপায় হল-

নিজের প্রোডাক্ট বা জিনিস বিক্রি করেঃ আপনার ওয়েবসাইটে কোন প্রোডাক্ট বা কোন জিনিস নিয়ে লিখলেন যে প্রোডাক্টটি আপনি বিক্রি করতে চান এবং সেটি লিখার পর গুগলে র‌্যাঙ্ক করলে কেউ এ বিষয়ে জানার জন্য গুগলে সার্চ দিবে। তারপর সেটি পেলে সে বিষয়ে জানার পর কিনতে চাইবে । আপনি যদি সেই জিনিস নিজে বিক্রি করতে চান তাহলে আপনার সেই পেজের লিংক ওয়েবসাইটে পোস্টের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে তাহলে যে ব্যক্তি এই পোস্টটি পড়ে কিনতে চাইলে সে লিংকের সাহায্যে পেজে গিয়ে প্রোডাক্টটি কিনবে।

অন্যজনের বিজনেস প্রমোটঃ অন্য কারো বিজনেস প্রমোট করেও ইনকাম করা যায়। অন্য কারো বিজনেস প্রমোট করে কমিশন নেওয়াকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। এভাবেও ব্যাংক কি ওয়ার্ডের মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।

লংটেল কি ওয়ার্ড বিশ্লেষণ

কি ওয়ার্ড দুই ধরনের হয় একটি হলে শর্টটেল কিওয়ার্ড অপরটি লংটেল কিওয়ার্ড। শর্টটেল কি ওয়ার্ড সাধারণত দুটি শব্দ নিয়ে হয় এবং লং টেল কি ওয়ার্ড তিন শব্দের অধিক নিয়ে হয়। শর্টটেল কি ওয়ার্ড দিয়ে মানুষ গুগলে বেশি সার্চ করে সেজন্য এটির সার্চ ভলিউম বেশি এবং লংটেল কি ওয়ার্ড দিয়ে কম সংখ্যক মানুষ গুগলে সার্চ করে সেজন্য এই কি ওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম খুবই কম। লংটেল কি ওয়ার্ড দিয়ে যদি কোন পোস্ট লেখা হয় এবং সেটি ঠিকঠাক এসিও করা হলে সে পোস্টটি google সার্চ রেজাল্টে এক নাম্বারে অবস্থান করবে।

কেননা কি ওয়ার্ড দিয়ে কম সংখ্যক মানুষ পোস্ট লিখে। যেহেতু মানুষ লংটেল কিওয়ার্ড দিয়ে তেমন কোন পোস্ট লিখে না সেও তো সেই জায়গা ফাঁকাই থেকে যায়। আপনি যদি নতুন পোস্ট বা আর্টিকেল লেখা শুরু করেন তাহলে আপনি এরকম লংটেল দিয়ে পোস্ট লেখা শুরু করেন তাহলে ধীরে ধীরে আপনার পেজে ভিজিটর আসা শুরু করবে। 

তারপর আপনার ওয়েবসাইট যদি একটা ভালো পর্যায়ে যায় তারপরে আপনি পোষ্ট লেখার জন্য শর্টের বেছে নিতে পারেন। শর্টটেল বা লংটেল কি ওয়ার্ড দিয়ে আর্টিকেল লিখেন না কেন সেগুলো অবশ্যই সাজেশন থেকে নিয়ে লিখতে হবে।

আর্টিকেল রাইটিং এ ট্রেটেজি ও টপিক খুঁজে বের করা এবং কি ওয়ার্ড এনালাইসিস করা

আমরা যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখি সে বিষয় সম্পর্কে কি আমরা আগে থেকে সম্পূর্ণ জানি বা সম্পূর্ণ জেনে শুনে তারপরে লিখতে আসি। না আমরা আসলে যে বিষয়ে লিখব সে বিষয়ে সম্পর্কে সবকিছু জেনে শুনে লিখতে আসি না। আর্টিকেল লিখতে আসার পর গুগলে সার্চ দিয়ে বিষয়গুলো জেনে শুনে বুঝে তারপর লেখালেখি শুরু করি। এরপর আমরা যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখব সে কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখে তারপর লেখা শুরু করি।

কারণ দেখতে হবে যে সে বিষয়ে আর্টিকেলের ভ্যালু কতটুকু। যে আর্টিকেলের কোনো ভ্যালু থাকবে না বা মানুষ এটা দিয়ে কখনো ছার্তি করবে না সে আর্টিকেল লেখা না লেখা সমান কথা।এছাড়া অনেকের আরেকটি সমস্যা হয়ে থাকে সেটি হল টপিক খুঁজে বের করা। আর্টিকেল লিখতে এসে অনেকে টপিক খুঁজে পায় না আসুন সে বিষয়ে আলোচনা করি। আমাদের মনে যে বিষয়ে আসুক না কেন সেটি দিয়ে আমরা গুগলে সার্চ করতে পারি।

তারপর সার্চ রেজাল্টে বা সাজেশানে সেই বিষয়ে সাথে সম্পর্কিত অনেক রেজাল্ট পাওয়া যায়। আমরা চাইলে তার যেকোনো একটি ফোকাসকিওয়ার্ড নিয়ে লেখা শুরু করতে পারি। এর পরের বিষয় হচ্ছে কিওয়ার্ড এনালাইসিস। আপনি যে ফোকাস কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করবেন সেটি দিয়ে গুগলে সার্চ দিন তারপর দেখবেন কীওয়ার্ডের সাথে রিলেটেড অনেকেই লিখেছে। তারা যেভাবে পোস্ট লিখেছে সবার থেকে আপনারটা বেটার হলে তবে গুগল রেংকিংয়ে আসবে।

 এছাড়া পোস্টের মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড ছাড়াও অন্যান্য কেউবা যুক্ত করতে হবে যাতে করে অন্য কেউ আর দিয়ে সার্চ দিলেও আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল রাঙ্কিং এ আসে।

গেস্ট ব্লগিং কি এবংএর সুবিধা এবং অসুবিধা

গেস্ট ব্লগিং কি এবং এর সুবিধা কি এবং অসুবিধা কি সে বিষয়ে আমরা এ পোস্টে আলোচনা করব। তাহলে সে বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক-

গেস্ট ব্লগিং কিঃ গেস্ট ব্লগিং হচ্ছে অন্য কারো ওয়েবসাইটে অতিথি হয়ে লেখালেখি করা অর্থাৎ অন্য কারো ওয়েবসাইটে কিছু সময়ের জন্য অতিথি হয়ে লেখালেখি করে তার পারিশ্রমিক নেয়াকে গেস্ট ব্লগিং বলে।

গেস্ট ব্লগিং এর সুবিধাঃ গেট ব্লগিং এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি যে ধরনের আর্টিকেল লিখেন না কেন আর্টিকেল লিখে কারো কাছে বিক্রি করলে আপনি সাথে সাথে পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে লাভ লস এর কোন রিস্ক থাকে না।

গেস্ট ব্লগিং এর অসুবিধাঃ গেস্ট ব্লগিং এর সুবিধার চেয়ে অসুবিধায় বেশি। আমরা যেগুলো আর্টিকেল লিখি তার মধ্যে যেকোনো একটি আর্টিকেল রেংক করলে সেখান থেকে অনেক অর্থ উপার্জন করা যায়। কিন্তু গেট ব্লগিং হয়ে আর্টিকেল লিখে বিক্রি করে দিলে সেখান থেকে শুধু নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে আর কোন অর্থ পাওয়া যায় না। কিন্তু নিজেরা ওয়েবসাইটে যদি আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করা যায় এবং সেটি যদি গুগলের এক করে তাহলে সেখান থেকে সব সময় অর্থ উপার্জন করা যায়।

গেস্ট ব্লগিং করে আয় করার উপায়

গেস্ট ব্লগিং করে যে যে উপায়ে আয় করা যায় সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-
  • বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিক এর কাছে ফেরি করে আর্টিকেল বিক্রি করা
  • মার্কেটপ্লেসে যে আর্টিকেল বিক্রি করা
  • গেস্ট ব্লগিং লিখে পার্ট টাইম জব করা এবং
  • গেস্ট ব্লগিং লিখে ফুলটাইম জব করা

মন্তব্য

উপরের আলোচনার বিষয়বস্তু পড়ে আপনিবাইং কিওয়ার্ড রেঙ্ক করে টাকা ইনকাম করা যায় কিভাবে এ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। প্রিয় পাঠক আপনি যদি পোস্টটি পড়ে উপকৃত হওয়ার এবং ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বান্ধব পরিবারের সাথে শেয়ার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url